সেবা
অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত ঢামেক হাসপাতাল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা ও অতিরিক্ত চাপের কারণে রোগীদের সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে।
ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগী হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে রোগী ও তাদের স্বজনদের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তির পরই তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অপর্যাপ্ত খাদ্য ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবের সম্মুখীন হন।
আসন সংকটের কারণে অনেক রোগীকে জনাকীর্ণ করিডোর ও ওয়ার্ডের মেঝেতে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান খান ক্রমবর্ধমান সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, চলমান এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছেন।
চিকিৎসায় বিলম্ব ও ওষুধের অভাব
ময়মনসিংহে এক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়া আলাল উদ্দিন ৪ অক্টোবর থেকে করিডোরে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু এখনও বিছানা পাননি।
তার ভাই জালাল উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রয়োজনের সময় নার্সদের পাওয়া যায় না, এমনকি ডাক্তারদেরও খুঁজে পাওয়া কঠিন।’
আরেক রোগী ২৪ বছর বয়সি জাহিদ হাসান ২ অক্টোবর ভর্তি হয়েছেন। তিনিও একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা জাহিদের বাবা জানান, ‘প্রেসক্রাইব করা একটি ইনজেকশন এখনও দেওয়া হয়নি, বলা হচ্ছে সেটি স্টকে নেই, যদিও হাসপাতালের ফার্মেসিতে তালিকাভুক্ত।’
ওষুধের অভাবে অনেক রোগী বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
পরিচ্ছন্নতার অভাব
হাসপাতালে রোগীর অতিরিক্ত চাপের কারণে পরিচ্ছন্নতার মান বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মীরা।
তবে অপরিচ্ছন্নতার জন্য লোকজনের আচরণও দায়ী বলে মনে করেন হাসপাতালের পরিচালক। তিনি বলেন, ‘শৌচাগারগুলোর পাইপলাইনে প্রায়ই অপ্রয়োজনীয় বস্তু আটকে যায় এবং পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া প্রতিটি শৌচাগার প্রায় ১০ জন লোক ব্যবহার করেন, তাই সঠিক স্যানিটেশন বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’
হাসপাতালের রান্নাঘরেও দেখা গেছে নানা রকম সমস্যা। যেখানে রান্না করা হচ্ছে, তার আশপাশে বর্জ্য জমে রয়েছে। খাদ্যদ্রব্যগুলো ঢেকে রাখা হয়নি। এগুলো রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করছে।
জনবল সংকট ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা
পরিচালকের মতে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অভাব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। তিনি বলেন, ‘জনবল না বাড়ালে এরকম অব্যবস্থাপনা চলতেই থাকবে।’
এছাড়াও, প্রতিদিনের জন্য রোগীপ্রতি মাত্র ১৫০ টাকা খাদ্য বাজেট যথেষ্ট নয় বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে খাবারের মান উন্নয়নের জন্য এটি ২০০ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করেন।
দুর্নীতির কারণে আর্থিক চাপ
বেশ কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, রোগীদের জন্য হুইলচেয়ার সহায়তা মৌলিক সেবার মধ্যেই পড়ে। অথচ এর জন্য হাসপাতালের কর্মচারীদের ৫০-১০০ টাকা পরিমাণ বকশিস দিতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ওয়ার্ড সহকারী বলেন, ‘রোগীরা যদি আমাদের কিছু দেন, তাহলে আমাদের ব্যক্তিগত খরচ মেটাতে সহায়ক হয়।’
হাসপাতালের পরিচালক এই সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের কাজে জড়িতদের আমরা বরখাস্ত করেছি, তবে পুরোপুরি এই প্রথা নির্মূল করা এখনো চ্যালেঞ্জিং।’
১ মাস আগে
বিদ্যুত সেবাকে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা উচিত: ফরহাদ মজহার
বিদ্যুতের সেবাকে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা উচিত উল্লেখ করে নতুন জ্বালানি নীতি প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার।
সোমবার ( ৪ নভেম্বর) পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) মিলনায়তনে 'এনার্জি ট্রানজিশন ইন হোয়াট ওয়ে?' শীর্ষক সেমিনারে ফরহাদ মজহার নব্য উদারনীতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
নীতিনির্ধারক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে মজহার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে একে 'ফ্যাসিবাদী' আখ্যা দিয়ে নব্য উদারবাদী অর্থনৈতিক মডেল প্রচারের অভিযোগ করেন। উদারবাদী নীতিটি করপোরেট স্বার্থকে প্রাধান্য দেয় এবং সমাজকে 'লুটপাটে' উৎসাহিত করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
তিনি যুক্তি দেন, এই পদ্ধতিটি বেসরকারিকরণের ওপর অযৌক্তিক জোর দিয়ে সরকারি খাতকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং জনগণের জীবনকে হতাশ করেছে। আমাদের অবশ্যই নয়া উদারনীতিবাদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, যেখানে বেসরকারি খাতের স্বার্থ প্রাধান্য পায়। এই নব্য উদারবাদী আদর্শ ব্যাপক হতাশার জন্ম দিয়েছে।
মজহার আমলাতন্ত্রে ব্যাপক জবাবদিহিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। যাকে তিনি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হিসাবে চিহ্নিত করেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ শোষণকারী নব্য উদারবাদী নীতি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত বলে মনে করেন।
আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার শোষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের সমস্যাগুলো মোকাবিলার জন্য আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তি বিকাশের ক্ষমতা রয়েছে ‘
মাজহার তার বক্তব্যে নব্য উদারবাদী অর্থনীতির পক্ষে থাকার জন্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি পরিবেশগত স্থায়িত্বকে উপেক্ষা করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনা না করে আমরা একটি জাতীয় জ্বালানি নীতি তৈরি করতে পারি না। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ভবিষ্যতের যে কোনও নীতির মূল হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অপরিকল্পিত ও ব্যয়বহুল উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছে হাসিনা সরকার: উপদেষ্টা ফাওজুল
মজহার জ্বালানি নীতিতে জনবান্ধব পদ্ধতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন। মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য আরইবি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু বললে তা সফল হবে না, সেটা বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি যেই হোক না কেন।’
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহমেদ গণমুখী উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতির মূল মাপকাঠি হিসেবে গ্রাহক সন্তুষ্টির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে সহযোগিতা অপরিহার্য।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন) উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলমও এ খাতের অগ্রাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্ক করে বলেন, শক্ত দার্শনিক ভিত্তি ছাড়া জ্বালানি রূপান্তর মুখ থুবড়ে পড়বে। তিনি গত ১৫ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কর্মকর্তাদের সেবার চেয়ে মুনাফাকে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করা হয়। কর্মকর্তারা মুনাফার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন, যার ফলে উল্লেখিত মুনাফা এবং প্রকৃত সাংগঠনিক ক্ষতির মধ্যে মিল ছিল না। তিনি উল্লেখ করেন যে, আগের সরকারের নীতিগুলো দেশকে আমদানির উপর নির্ভরতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, যার ফলে স্বনির্ভরতা কমেছে।
আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রশাসনের সকল স্তরে টেকসই, জনগণের চাহিদা এবং জবাবদিহিতাকে অগ্রাধিকার দিতে বাংলাদেশের জ্বালানি নীতির কৌশলগত পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে কর অব্যাহতি: দেশে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাড়ানোর পরিকল্পনা
১ মাস আগে
সাশ্রয়ী ও উন্নত সেবার নতুন হজ প্যাকেজ দেবে সরকার
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজযাত্রীরা সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন সেবার মাধ্যমে আরও সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক প্যাকেজ আশা করতে পারেন।
ইউএনবির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট ইসলামিক পন্ডিত খালিদ হোসেন বলেন, ২০২৫ সালের হজ প্যাকেজটি আগামী ৩০ অক্টোবর দুপুরে উদ্বোধন করা হবে। হজযাত্রা আরও সহজলভ্য করতে এই প্যাকেজে থাকছে বিশেষ ছাড়।
হজযাত্রা আরও ব্যয়সাশ্রয়ী করতে সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ভ্রমণ ও আবাসন ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সাম্প্রতিক আলোচনার কথাও তুলে ধরেন খালিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সৌদি সরকারের সম্মতি
তিনি বলেন, গত ২২ অক্টোবর আমরা বিমান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক করেছি। বিমান খরচ কমাতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে এবং বেবিচক ও এনবিআর কিছু ফি মওকুফের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই ছাড়ের ফলে হজযাত্রীপ্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
সরকার বিমান ভাড়া এবং হোটেল ভাড়ার খরচ কমানোর দিকে মনোনিবেশ করছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে মক্কা ও মদিনায় আবাসন বিকল্পগুলো পরিদর্শন করছেন।
তিনি বলেন, বিমান ভাড়া ও হোটেল খরচকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের লক্ষ্য হলো হজের সার্বিক খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা।
ব্যয়ের বিভাজন
তিনি হজের প্রাথমিক খরচের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, বিমান ভাড়া, মক্কা মদিনায় হোটেল ভাড়া, তাঁবু ভাড়া এবং মিনা ও আরাফাতের খাবারের মতো ব্যয়ের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন।
‘এছাড়া বাস, গাইড, ভিসা প্রসেসিং, স্বাস্থ্য বিমা ও কোরবানির পশুর খরচ রয়েছে।’
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ব্যয় কমানোর প্রাথমিক ক্ষেত্র হলো মক্কা ও মদিনায় বিমান ভাড়া ও হোটেল খরচ।
২০২৫ সালের প্যাকেজ
চলতি বছর সরকার হজযাত্রীদের জন্য দুটি স্বতন্ত্র প্যাকেজ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে হারাম শরিফ থেকে দেড় থেকে আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
রিয়ালের দাম ২ টাকা বাড়লেও ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখতে সমন্বয় করা হয়েছে।
খরচ কমাতে সমুদ্র ভ্রমণ
হজ খরচের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিমান ভাড়া হওয়ায় হোসেন বলেন, সরকার সৌদি আরবে একটি সমুদ্র পথ খুঁজছে। যা হজযাত্রীদের ভ্রমণ ব্যয়ে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। জাহাজে যেতে সময় বেশি লাগবে। আসা-যাওয়া মিলে ১৪ থেকে ১৬ দিন লাগতে পারে। ইমিগ্রেশন, সমুদ্রপথে নিরাপত্তা, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রভৃতি বিষয়ও বিবেচনায় নিতে হবে। নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌবাহিনীর সঙ্গেও আমাদের আলোচনা করতে হবে।
তবে, তিনি লজিস্টিকাল চ্যালেঞ্জগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রগামী বড় জাহাজের প্রয়োজনীয়তা, যা বর্তমানে দেশে নেই।
প্রয়োজনীয় জাহাজ ১ কোটি টাকার বরাদ্দে ইজারা দেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য সহযোগিতা নিতে বাংলাদেশের বৃহত্তম জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকলেও হোসেন এই উদ্যোগ নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, 'হজের জন্য সমুদ্রপথে ভ্রমণের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে এবং আমরা আশা করছি আগামী বছরের মধ্যে এই ক্ষেত্রটি উন্মুক্ত হবে।’
তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, সমুদ্র যাত্রায় প্রায় ১৬ দিনের যাওয়া ও আসার ভ্রমণে উল্লেখযোগ্যভাবে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং জাহাজে অভিবাসন, সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে।
অনিয়ম মোকাবিলা
স্বচ্ছতা ও সম্ভাব্য অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘হজযাত্রীরা আল্লাহর মেহমান, যেকোনো ধরনের প্রতারণা বা অসদাচরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রা পর্যালোচনায়
সরকারি অর্থায়নে হজ কর্মসূচিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে খালিদ হোসেন বলেন, ইতোপূর্বে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ফ্রি হজ করার জন্য যেতেন। এই প্র্যাকটিসটা আমরা বন্ধ করে দেব।
তিনি বলেন, কোনো লোক আমাদের দায়িত্বের বাইরে হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত নয়। কেবল সরকারি টাকায় হজ করবেন, এই প্র্যাকটিসটা আমরা আগামী বছর থেকে বন্ধ করে দিতে চাই। একেবারে বন্ধ করতে না পারলেও সহনীয় পর্যায়ের নামিয়ে আনতে চাই।
এই পরিকল্পিত সংস্কারের মাধ্যমে সরকার হজযাত্রাকে আরও সাশ্রয়ী, সুবিন্যস্ত এবং বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ করছে, সবার জন্য আধ্যাত্মিকভাবে পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: ২৩ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করতে হবে হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন
১ মাস আগে
ভেঙে পড়েছে খুমেকের চিকিৎসা সেবা, রোগীরা ভোগান্তিতে
ভেঙে পড়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা। অজানা কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল। এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান। আর অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে ৪১ চিকিৎসককে। ফলে একরকম বন্ধ হয়ে গেছে খুমেকের চিকিৎসা সেবা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) খুমেকের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগের অর্ধশত চিকিৎসক অনুপস্থিত। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতালে অপর্যাপ্ত শয্যা ও জনবল, চিকিৎসায় ভোগান্তি
দেখা যায়, বহির্বিভাগের ২০২ নম্বর রুমের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯ নম্বর রুমের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭ নম্বর রুমের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫ নম্বর রুমের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪ নম্বর রুমের ডা. সুব্রত কুমার মন্ডল, ২০৩ নম্বর রুমের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১ নম্বর রুমের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২ নম্বর রুমের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩ নম্বর রুমের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮ নম্বর রুমের ডা. নিরুপম মন্ডল, ২০৪ নম্বর রুমের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১ নম্বর রুমের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০ নম্বর রুমের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২ নম্বর রুমের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫ নম্বর রুমের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত।
নিরাপত্তা ঝুঁকিতে তারা আসেননি বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া আন্তঃবিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার কনসালট্যান্টসহ আরও ২১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত। এতে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দূর থেকে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
বাগেরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, ব্রেস্ট টিউমার নিয়ে খুমেকে এসেছি। কাউন্টারে টিকিট কেটে কক্ষে এসে দেখি ডাক্তার নেই। এখন ফেরত যেতে হবে। কবে এ অবস্থা ঠিক হবে জানি না।
এসব বিষয়ে খুমেকের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এবং আরএস কেউ কর্মস্থলে না থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, হাসপাতাল সরাসরি আমাদের অধীনে না। তারপরও আমি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চাপে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান পদত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে মেডিকেল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন কার্ডিওলোজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোস্তফা কামাল।
তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন ৪১ জন চিকিৎসকের একটি তালিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এতে ভয়ে দুটি কাগজেই সই করেন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আক্তারুজ্জামান।
এই ৪১ জন চিকিৎসকের মধ্যে পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আরএমও, রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পোস্টের চিকিৎসক রয়েছেন।
উপপরিচালক ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, জীবনে কেউ আমাকে আওয়ামী লীগ ও স্বাচিপ কোনো কিছুর প্রাথমিক সদস্য হয়েছি কোনো দিন দেখাতে পারলে আমি সব শাস্তি মাথা পেতে নেব। আমি কোনো দিন সরকারি চাকরি ছাড়া কোনো দিন কোনো আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি এমন কোনো রেকর্ড নেই। বরং আমাকে আওয়ামী লীগ সরকার বারবার শাস্তিমূলক বদলি করেছে। নিচের গ্রেডে নামিয়ে দিয়েছে। এতকিছুর পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভাবলাম এবার হাসপাতালের জন্য কিছু করতে সুযোগ পাব, কিন্তু আমাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হলো।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু
খুলনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফোরামের সদস্য সচিব ডা. তাহমিদ মাশরুর বলেছেন, স্যার ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন এমন অভিযোগে তাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পদত্যাগ করিয়েছেন এমন কোনো বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অবগত নন।
৩ মাস আগে
প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে জরুরি বিভাগ রয়েছে। যেকোনো রোগীকে সেখানে প্রথম সেবা দেওয়া হয়। প্রাণিসম্পদ খাতেও জরুরি সার্ভিসের প্রয়োজন রয়েছে। প্রাণি সম্পদের সম্ভাবনাকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে হলে যারা প্রাণিকে সেবা দেয়, তাদের সেবাকেও জরুরি সেবার অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ খাতকে সামনে নিয়ে যেতে হলে এটি দরকার। তাই প্রাণিসম্পদসেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিপ্রেক্ষিতের আয়োজনে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কোরবানিতে চাহিদা অনুযায়ী গবাদিপশুর যোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। দেশবাসী এবার ঈদুল আজহা শান্তিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারবে। কোনো চিন্তার কারণ নেই।
চামড়া প্রাণিসম্পদের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চামড়ার দাম নির্ধারণ, প্রক্রিয়াকরণ, ও বাজারজাতকরণের কাজে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
প্রাণিসম্পদের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, আমিষ জাতীয় খাবার খেলে সুষমভাবে দেহ ও মনের গঠন হয়। তাই এ খাতকে অবহেলা করে উন্নতি করা যাবে না। এখাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মানুষের জীবনে পূর্ণাঙ্গ সফলতা চাইলে প্রাণিসম্পদকে বাদ দিয়ে তা করা সম্ভব নয়।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয় বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক ফেলোশিপের এ ধরনের উদ্যোগে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বেশি লাভবান হবে। কারণ সাংবাদিকেরা প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেন। আর মানুষের মানুষের স্বপ্ন নিয়ে যারা কাজ করেন তারা রাষ্ট্রের গৌরবের অংশ।
অনুষ্ঠানে ফেলোশিপ সম্পন্নকারী প্রত্যেককে ৭৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয় এবং ফেলোশিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া এ দুটি ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে অর্থ পুরস্কার ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রথম স্থান অর্জনকারীকে ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।
প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন ডেইলি অবজারভারের সিনিয়র রিপোর্টার মো. মিজানুর রহমান, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার শান্ত সিংহ, তৃতীয় হন বিজনেস পোস্টের স্টাফ রিপোর্টার রোকন উদ্দীন।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন বাংলাভিশনের প্রতিবেদক মাইনুল ইসলাম শোভন, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও তৃতীয় হন জিটিভির প্রতিবেদক মো. বায়েজিদ হোসেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে এবং পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিবিসি নিউজের এডিটর প্রণব সাহা, এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. আব্দুর রহিম, এলডিডিপির চিফ কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী বক্তব্য দেন।
এছাড়াও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুকনুজ্জামান অঞ্জন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পরিপ্রেক্ষিতের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ফাতেমা ইসলাম।
আরও পড়ুন: চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৬ মাস আগে
প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর
প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শক্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, বিটিআরসিকে (বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) এক্সটার্নাল আইটি অডিট করতে হবে, ফাইন্যান্সিয়াল অডিট করতে হবে। তবেই আমরা বুঝতে পারব কোনো একজন সাংবাদিক সচিব মহোদয়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছেন। দেখা যাচ্ছে এক মিনিট পর সচিব মহোদয় ওই পাশ থেকে বলছেন, হ্যালো হ্যালো, আবার বলবেন কী বললেন বুঝতে পারিনি। ড্রপ হওয়ার আগেই কিন্তু এ রকম হচ্ছে। একটা টেকনোলজিক্যাল এরর হচ্ছে এখানে। এ বিষয়গুলো রেগুলার প্রবলেম।
আরও পড়ুন: রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছায়ানটের জমকালো পহেলা বৈশাখ উদযাপন
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এর ফলে সময় নষ্ট হচ্ছে, অর্থ নষ্ট হচ্ছে, মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। বিরক্তি তৈরি হচ্ছে। মোবাইল অপারেটররা বলেছেন এটা ওদের জন্যও লস। টেকনোলজিক্যাল সমস্যা হলে ওদের লস।
তিনি বলেন, কল ড্রপ হলো বা ড্রপ না হলেও আমি যে আমার কথা শেষ করতে পারলাম না এটার কোনো ক্ষতিপূরণ আমি গ্রাহক হিসেবে পাচ্ছি কি না। সেটার রেকর্ড বিটিআরসির কাছে থাকছে কি না, কিংবা আমরা ওই রেকর্ড দেখিয়ে বাধ্য করতে পারছি কি না।
পলক আরও বলেন, আমি এ ধরনের নির্দেশনাও দিয়েছি যে, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমাদের লাইসেন্সিং গাইড লাইনে যা আছে, এক লাখ হোক বা এক কোটি হোক, আমাদের যা সুযোগ আছে, আমরা সেটা প্রয়োগ করা শুরু করব। যদি তারা (মোবাইল ফোন অপারেটর) তাদের প্রতিশ্রুত সার্ভিস না দিতে পারে, তাহলে লাইসেন্সিং গাইডলাইনে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে, সেটা জরিমানা হোক বা অন্য কোনো সেবা সুযোগ সংকুচিত করা হোক, সেগুলো বিটিআরসিকে করার জন্য আমরা এরইমধ্যে শক্ত নির্দেশনা দিয়েছি।
মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড করা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা, গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে এটি খুব প্রয়োজন। মন্ত্রী বা এমপির যদি ভেরিফায়েড পেইজ থাকে, সেক্ষেত্রে যেগুলো ভেরিফায়েড না সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। জনগণকেও আমরা সচেতন করতে পারি যে, এটা হচ্ছে ব্লু সাইন ভেরিফায়েড পেইজ, বাকিগুলো থেকে যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বা চাচ্ছে সেগুলো আপনারা প্রত্যাখ্যান করুন। আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে বলতে পারি ভেরফায়েড পেইজ বা অ্যাকাউন্ট ছাড়া বাকিগুলো রিমুভ করেন।
মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পেইজ বা অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করার কাজ প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে আমরা কাঙ্ক্ষিত জায়গায় হয়তো পৌঁছাতে পারিনি। একেবারে দুর্বল বলা যায় না। পরিস্থিতি আরও উন্নয়নে আমরা এ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করছি।
আরও পড়ুন: মে দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা
ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার আশা মন্ত্রীর
৭ মাস আগে
খুলনার আবু নাসের হাসপাতালে জনবল সংকট, সেবা দিতে হিমশিম
জনবল সংকট সমস্যার সমাধান যেন নেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের।
২০১০ সালে ৩০ মার্চ মাত্র ৩০টি শয্যা নিয়ে শুরু হয় এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। বর্তমানে ২৫০শয্যায় উন্নীত হলেও রয়েছে জনবল সংকট।
এতো বড় হাসপাতালে মাত্র ১ জন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। তাছাড়া চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসার সংকটতো রয়েছেই। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দ্বারা কাজ চালানো হচ্ছে।
এছাড়া গেল কয়েক মাস আগে পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন কয়েকজন সিনিয়র কনসালটেন্ট। আর সেই সঙ্গে আরও কয়েকজন চিকিৎসক বদলি হওয়ার আদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ১০ টাকার টিকিট কেটে সেবা নিচ্ছেন। যেখানে রয়েছে কার্ডিওলজি বিভাগ সিসিইউ, পোস্ট সিসিইউ, গাইনি, নিউরোলজি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, অর্থপেডিক্স মেডিসিন, ডায়াবেটিস, নিউরো মেডিসিন, মেডিসিন, ফিজিওথ্যারাপি, নিউরো সার্জারি, হোমো ডায়ালাইসিস, দন্ত বিভাগ, বার্ন এন্ড প্লাস্টিক ইউনিটসহ ইনটেনসিভ কেয়ার আইসিইউ সাপোর্টের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২৭০ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে লাইসেন্স আছে ৯৮টির
এক সময় যা গরীব অসহায় মানুষের জন্য এ সব ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছিল শুধুই স্বপ্ন। পাশাপাশি মুমূর্ষু রোগীদের জন্য কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য মনিটর, আলট্রাসনো, সিটিস্কান, এমআরআই, ইকো, ইটিটি, ইসিজি, ইটিটি, ডক শর্ট দেওয়ার ব্যবস্থাসহ কার্ডিয়াক মনিটর, লাইফ সাপোর্ট ভেন্টিলেটার ও স্বল্প খরচে প্যাথলজি পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে।
হাসপাতালটিতে গরীব অসহায় রোগী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয় না। এ ছাড়া স্বল্প খরচে এমআরআই, এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইকোসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা রয়েছে। তবে এত সব থাকলেও নেই চাহিদামতো জনবল। বিশেষ করে ৪র্থ শ্রেণীর চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী সংকট আরও তীব্র হচ্ছে।
এখানে প্রতিনিয়ত বহির্বিভাগের সামনে রোগীদের চিৎকার, চেঁচামেচি শোনা যায়। তবে, এর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একজন মাত্র টেবিল বয়কে রোগীর টিকিট জমা নিতে দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী রোগী শেখ রহিমা বলেন, ‘আমি কার্ডিওলজি বিভাগে ১১২নং কক্ষে টিকিট জমা দিতে পারিনি। কারণ হলো অতিরিক্ত রোগীর চাপ, আর দায়িত্বে আছে মাত্র একজন টেবিল বয়। আমি এতো ভিড়ের মধ্যে টিকিট জমা দিতে পারিনি। এখন বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এর থেকে ভালো হবে টাকা কিছু খরচ করে ডাক্তারের ব্যক্তিগত চেম্বারে গিয়ে নিরিবিলি সেবা নেওয়া।’
আরও পড়ুন: পরিবেশগত ছাড়পত্রের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ, খুলনায় তবুও চলছে ইটভাটা
নাম না প্রকাশ করার শর্তে চুক্তিভিত্তিক এক কর্মচারী বলেন, ‘প্রতিদিন হাজার, হাজার রোগী বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসেন। আমাদের উপর মারাত্মক চাপ পড়ে। তারপরও চাকরি করতে হয়। এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে কী করব!’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে তিন শিফট ডিউটি করতে হয়। আমাদের ১৩৩ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে চালক, মালীসহ অন্যান্য কর্মচারী আছেন। যারা রোগীর সেবার কাজে নিয়োজিত নেই। অন্যান্য হাসপাতালে সরকারিভাবে ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী থাকলেও আমাদের নেই। প্রতি বছর শোনা যায় জনবল বৃদ্ধি হবে, কষ্ট কম হবে। তবে এখনও আগের মত অবস্থানে আছে।’
এ ব্যাপারে হাপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, জনবল সংকট আছে। এছাড়া আরও কিছু শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে কারণে আরও জনবল সংকট হয়ে গেছে। বিশেষ করে ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল অফিসার ও আনসার সদস্য, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী।
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে জনবল ঘাটতি থাকলেও সেবা বন্ধ করা যাবে না। হয়তো একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক জনবল সংকট আছে, বৃদ্ধিকরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার!
১০ মাস আগে
পরিপূর্ণভাবে জনগণের সেবা করব: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সবসময় জনগণের পাশে থাকব, তাদের পরিপূর্ণভাবে সেবা করব। এছাড়া জনগণকে দেওয়া প্রতিটি অঙ্গীকারই একে একে পূরণ করব।
তিনি বলেন, নৌকা প্রতীকের উপর আপনারা আস্থা রেখেছেন, আপনাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাব। আসুন আমরা সকলে মিলে জাতির পিতার স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি।
আরও পড়ুন: পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান পদ্ধতির সহজীকরণ করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সবুজবাগের পূর্ব বাসাবো প্রিন্স গার্ডেন মাঠে শীতার্তদের মধ্যে তিন হাজার কম্বল ও নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমি একজন মন্ত্রী, এর চেয়ে বড় পরিচয় আমি ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য। একটি নির্দিষ্ট প্রতীকে নির্বাচন করলেও দল-মত নির্বিশেষে সবাই আমার এলাকার জনগণ।
তিনি আরও বলেন, আগামী পাঁচ বছর আপনাদের সেবা করে যাব। সমাজের কিছু কিছু মানুষের জন্য আমাদের বিশেষ ভাবনা, বিশেষ পরিকল্পনা আছে। সেই বোধ থেকেই আজকের আয়োজন। শীতের তীব্রতা বাড়ায় আপনাদের পাশে থাকতে এসেছি।
আরও পড়ুন: ওসমানী উদ্যানে বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করলেন পরিবেশমন্ত্রী
১০ মাস আগে
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করব। এটা করতে পারলে ঢাকা শহরে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সামন্ত লাল বলেন, আমি প্রতিটি হাসপাতালে যাব। কী কী সমস্যা আছে জেনে একটা কর্মপরিকল্পনা করব।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি সবাই সিনসিয়ারলি কাজ করি অসম্ভব কিছু না। পাঁচ থেকে ৫০০ বেডে (বার্ন ইউনিট) নিয়ে আসতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। আমি অনেকের কাছে গিয়েছি প্রথম প্রথম। আমাকে অনেকেই ফিরিয়ে দিয়েছে এবং ফাইল ছুড়ে মেরেছে, এ রকম ঘটনাও আছে। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে সবার সহযোগিতা পেয়েই এ জায়গায় এসেছি।
আরও পড়ুন: নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন
এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, এ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মকর্তা আছেন এবং যারা বাইরে আছেন, আপনারা যেকোনো সময় আমার অফিসে চলে আসবেন। আপনাদের জন্য আমার দরজায় কোনো প্রটোকল থাকবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আগের মতোই থাকব, আমাকে একটু উপদেশ দেবেন। আপনাদের উপদেশ পেলে আমরা নির্ধারিতভাবে কাজ করতে পারব।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জ-৩: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নির্বাচিত
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি দূর করতে আপনি কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি চেষ্টা করব। দুর্নীতির বিষয় নিয়ে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামে ডাক্তাররা কেন থাকেন না তার কারণ বের করতে হবে। তাদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। সব দেখে আমি ব্যবস্থা নেব। প্রতিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করব। সমস্যা কোথায় খুঁজে বের করব।
আরও পড়ুন: মা-শিশুর মৃত্যুহার কমাতে ৫০০ সরকারি স্বাস্থ্য ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা সেবা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু রবিবার
‘সবার জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো ‘ডাইফ সেবা সপ্তাহ ২০২৪’ পালন করতে যাচ্ছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) শুরু হয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত চলবে এই সেবা সপ্তাহ।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও মাঠ পর্যায়ের উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়গুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সেবা প্রদান কার্যক্রম চলবে।
প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয় একসঙ্গে রাজধানীর বিজয়নগরের শ্রম ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সেবা সপ্তাহ পালন করবে। অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের বাকি ৩০টি উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয় নিজ নিজ কার্যালয়ে সেবা সপ্তাহ পালন করবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির গৃহীত পদক্ষেপ
সেবা সপ্তাহে কারখানার লে-আউট প্ল্যান অনুমোদন, সম্প্রসারণ ও সংশোধন; কারখানা, প্রতিষ্ঠান, দোকানের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও সংশোধন; ঠিকাদার সংস্থার লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন; কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের চাকরিবিধি অনুমোদন; শ্রমবিষয়ক লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তি, দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও তথ্য অধিকারবিষয়ক আবেদনপত্র গ্রহণসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য সেবা দেওয়া হবে।
এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য শ্রমিক, মালিক, সরকার, বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাঝে সেতুবন্ধনের কাজ করে যাচ্ছে ডাইফ।
আরও পড়ুন: জাতির সেবা করতে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার আহ্বান শেখ হাসিনার
১১ মাস আগে