বাস্তবায়ন
সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্র-জনতার বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে গিয়ে গুরুতর আহতদের খোঁজখবর নিলেন প্রধান উপদেষ্টা
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে প্রক্রিয়া বলা সম্ভব নয়। আমাদের ছাত্র-জনতার কাছে ফেরত যেতে হবে। তাদের কাছ থেকে দাবিটা আসতে হবে। তারা কী নতুন সংবিধান চায়, নাকি পুরোনো সংবিধান সংস্কার করে সংশোধনের মাধ্যমে আনতে চায়। এ বিষয়ে জনগণের রায় নিতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। এছাড়া ছাত্র-জনতার যে সমন্বয়করা রয়েছেন তারা এ বিষয়ে (সংবিধান সংশোধন) দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য আপনারা কী করছেন জানতে চাইলে এ এফ হাসান আরিফ বলেন, এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তবে আপনাদের প্রত্যাশা যে কালকেই পূরণ হতে হবে, সেটা নয়। ছাত্র-জনতার বক্তব্য কী? সেটা একটু শুনুন। আমরা সেকেন্ডারি (দ্বিতীয় স্তরে)।
আরও পড়ুন: ঢাকা নদী বন্দরের ঘাটের রাজস্ব বাড়াতে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার তাগিদ নৌ উপদেষ্টার
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি তোমাদের অনুরোধ করব- সমন্বয়ের সঙ্গে জড়িত, ছাত্র-জনতা শ্রমিক বিপ্লবের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হও। আমরা কিন্তু সেকেন্ডারি, ওখান থেকে তোমার প্রশ্নের উত্তরগুলো আসবে। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেটা আমরা এক্সিকিউট (বাস্তবায়ন) করব। আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা, আমি যেই হই না কেন, আমার ৫৭ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকুক না কেন, সেটা মুখ্য নয়। প্রথমে হচ্ছেন তারা (সমন্বয়ক)। ডেফিনেটলি এটা একটা মেজর- ইস্যু ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন।
উপদেষ্টা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে আনা যায় সেটা নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে যে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর নাকি চার বছর করা হবে। সেটা আলোচনা করে নির্ধারণ করতে হবে। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের যদি চার বছর হতে পারে, আমরা থার্ড ওয়ার্ল্ডের দেশ, আমাদের কেন পাঁচ বছর লাগবে।
আরও পড়ুন: গণভবনে নির্মিতব্য স্মৃতি জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা
২ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রী চান তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক ভারত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি চান ভারত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক, কারণ এটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমি ভারতকেই অগ্রাধিকার দেব। ভারতের হাতে তিস্তা নদীর পানি রয়েছে। সুতরাং তাদের প্রকল্পটি করা উচিত এবং তারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে এখানে যা প্রয়োজন তা দেবে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক চীন সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, চীন তিস্তা প্রকল্প সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব নিয়ে এসেছে এবং সম্ভাব্যতা যাচাইবাছাই করেছে। এদিকে ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে এবং সম্ভাব্যতা যাচাইবাছাই করবে।
তিনি বলেন, ভারতের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হওয়ার পর সরকার বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
৪ মাস আগে
জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার পাবে: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। জনস্বার্থে যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা দরকার সেটা সবার আগে দেখা উচিত।
চলমান প্রকল্পগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকট মাথায় রেখেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে, প্রকল্প বাস্তবায়নে হাত দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি ঘটানো যাবে না। বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটাও দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, আমেরিকা প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা
বিভিন্ন বড় প্রকল্পের অগ্রাধিকার নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে কমলাপুরের প্রকল্প মতিঝিল পর্যন্ত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও জানান, ‘হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা এবং কমলপুর থেকে পূর্বাচল হয়ে বিমানবন্দর ৩১ কিলোমিটারের মধ্যে পাতাল রেল এবং তারপর আরেকটি ১৩ কিলোমিটারের পাতাল রেল- এই দুই প্রকল্প চলমান এবং জনস্বার্থেও দরকার। এতে বিদেশি তহবিলও আছে।’
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার প্রকল্পতে জাইকা সম্মতি দিয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। যশোর-খুলনা প্রকল্পকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঐতিহ্যগত দুর্নীতি বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভালো কাজের জন্য পুরস্কার, খারাপ কাজের জন্য তিরস্কার- দুটিই প্রয়োজন। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ প্রধান কর্মকর্তা, আমরা যদি সৎ থাকি, তাহলে দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ নেই। দুর্নীতির জন্য আমাদের যে মূল্য দিতে হয়, সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক, দুঃখজনকও বটে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কমিশন, পার্সেন্টেজ এক সময় এখানে নিয়ম হিসেবে চালু ছিল। এখানে পদোন্নতি ও ট্রান্সফার নিয়ে অনেক কথা ছিল। এসব চর্চা বন্ধ করা হয়েছে।’
বিআরটিএ এবং সড়ক ও মহাসড়ক কোনো ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভুয়া সাংবাদিকের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: সেতুমন্ত্রী
ঢাকা অচল করতে আসলে বিএনপিকে অচল করে দেবে ঢাকাবাসী: সেতুমন্ত্রী
৪ মাস আগে
স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নতুন অর্থবছরের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে অনুমোদিত বাজেট স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার(১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে বাজেট বাস্তবায়নে সবাই অত্যন্ত সতর্কতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মনোযোগী হয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘তিনি(প্রধানমন্ত্রী) সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’
রবিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়।
এছাড়া পদ্মা সেতু অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি (পিএলসি) গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
পদ্মা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে।
বোর্ডের অর্গানোগ্রাম ঠিক করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেতু বিভাগ ও অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে কোম্পানির ১৪ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে।
বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুর টোল সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে। বিদেশি কোম্পানিগুলোকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রস্তাবিত কোম্পানি দায়িত্ব নেবে।
এছাড়া মাদারীপুরের শিবচরে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি অ্যাক্ট, ২০১৪ -এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইসিটি বিভাগ 'শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি' নামে এটি স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত আইনটি উত্থাপন করলেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনুরোধ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তার নাম ব্যবহারের অনুমতি দেননি।
তিনি বলেন, ইনস্টিটিউটের মূল উদ্দেশ্য আইসিটি সম্পর্কিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রশিক্ষণ পরিচালনা।
মন্ত্রিসভা কিছু পর্যবেক্ষণসহ রপ্তানি নীতি ২০২৪-২০২৭ খসড়াও অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব সম্প্রদায় সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে : প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
‘জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৮৭৬ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৮৭৬ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার (১ জুন) সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত ‘ক্লাইমেট ফাইন্যান্স এক্সেস অ্যান্ড মোবিলাইজেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) ২০৫০ সালের মধ্যে অভিযোজনের জন্য ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। এছাড়াও, জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) বাস্তবায়নের জন্য ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) ও বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২ হাজার ১০০ জন্য চিহ্নিত অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য ৪৭১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এলক্ষ্যে উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করেছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন শুধু একটি পরিবেশগত বিষয় নয়; এটি একটি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক বিষয় যা আমাদের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। জলবায়ু অর্থায়ন সংগ্রহ আমাদের নিম্ন-কার্বন, জলবায়ু-সহনশীল অর্থনীতিতে রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল ও উদ্ভাবনী অর্থায়ন ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে এবং জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার কার্যকর করার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
সাবের হোসেন আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোর নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু কর্মে সহায়তা করার। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো সম্মান করতে এবং পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা করার আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, একই সময়ে, আমাদের সবুজ বন্ড, জলবায়ু বিমা ও পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের মতো উদ্ভাবনী অর্থায়নের উৎসগুলোও অন্বেষণ করতে হবে। আসুন আমরা প্রয়োজনীয় সম্পদ সংগ্রহ করতে, রূপান্তরমূলক কর্ম বাস্তবায়ন করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ভালো, নিরাপদ ও টেকসই বিশ্ব গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, সুইডেনের দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতার উপপ্রধান নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও উন্নয়ন পরিচালক ম্যাট ক্যানেল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
৫ মাস আগে
নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর
সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪ অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে এবং কর্মপন্থা নির্ধারণে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
একই সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়কে আধুনিক, যুগোপযোগী ও গতিশীল হিসেবে গড়ে তুলতে কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাজারের কোনো এনার্জি ড্রিংকে মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি: শিল্পমন্ত্রী
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনাসমূহ ও চলমান প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী এ সময় সততা, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও টিমওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা ছিলেন।
শিল্প সচিব বলেন, সবাই কম-বেশি আনন্দের মধ্যে দিয়ে এবারের ঈদ উদযাপন করেছে। তাছাড়া এবারের ঈদ যাত্রা বেশ নির্বিঘ্ন ছিল। সাধারণ জনগণকে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।
জাকিয়া সুলতানা বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিবেশ অত্যন্ত চমৎকার। এটি একটি পরিবারের মতো। এরকম পরিবেশ সাধারণত অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ে দেখা যায় না।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এর আলোকে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত "কর্মপরিকল্পনা ২০২৪-২০২৮" শীর্ষক পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম, পাশে আছি: শিল্পমন্ত্রী
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযানের ঘোষণা শিল্পমন্ত্রীর
৭ মাস আগে
মুসলিমদের বাদ রেখেই নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা ভারতের
ভারতে মুসলিমদের বাদ রেখেই ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের জন্য বিধি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন মোদি সরকার।
সোমবার (১১ মার্চ) আসন্ন ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে তৃতীয় মেয়াদে দেশটির ক্ষমতায় যাওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দু, পার্সি, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই আইনে মুসলমানদের বাদ দেওয়া হয়েছে, যারা উল্লেখিত তিনটি দেশেই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আইনটি ভারতের সংসদে ২০১৯ সালে অনুমোদিত হলেও রাজধানী নয়াদিল্লিসহ অন্যান্য স্থানে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মোদি সরকার এর বাস্তবায়ন আটকে দেয়। সেসময় কয়েকদিনের চলা সংঘর্ষে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হয়।
২০১৯ সালে দেশব্যাপী বিক্ষোভগুলো সব ধর্মের অনুসারীদের দৃষ্টিগোচর হয়। সে সময় তারা বলেছিল, আইনটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি হিসেবে ভারতের ভিত্তিকে দুর্বল করে। মুসলমানরা বিশেষত উদ্বিগ্ন ছিল, সরকার তাদের কোণঠাসা করার জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধকের সঙ্গে আইনটি ব্যবহার করতে পারে।
অবৈধভাবে ভারতে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত ও নির্মূল করতে মোদি সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হচ্ছে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)। নিবন্ধনটি কেবল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি দেশব্যাপী অনুরূপ নাগরিকত্ব যাচাইকরণ কর্মসূচি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
মোদির সরকার ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইনকে মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে বহাল রেখেছে। তাদের যুক্তি, এই আইন শুধু নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এটি ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক টুইট বার্তায় বলেন, 'এই নিয়মের আওতায় এখন থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুরা আমাদের দেশের নাগরিকত্ব পাবেন।’
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টি এই ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে, 'নির্বাচনের মেরুকরণের জন্যই এর ঠিক আগের সময়টিতে এটি ঘোষণা স্পটতই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে এই আইনটিকে 'বৈষম্যমূলক' বলে উল্লেখ করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘এটি সমতাভিত্তিক সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী।’
এতে আরও বলা হয়, আইনটি 'ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে বৈধতা দেয়' এবং 'এর কাঠামো ও উদ্দেশ্য বর্জনীয়'।
আরও পড়ুন: নোম্যান্সল্যান্ডে যৌথভাবে বাংলাদেশ-ভারতের ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন
১৪০ কোটিরও বেশি মানুষের দেশ ভারতে ২০ কোটি মুসলমান রয়েছে, যারা বড় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী। তারা ভারতের প্রায় প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ২০১৪ সালে মোদির দল প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা ধারাবাহিক হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, মুসলিমবিরোধী সহিংসতার বিষয়ে মোদির স্পষ্ট নীরবতা তার কিছু চরমপন্থী সমর্থককে উৎসাহিত করেছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
মোদি এমন একটি ফর্মুলায় ক্রমান্বয়ে ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলেছেন যা ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, তিনি উত্তর অযোধ্যায় একটি মসজিদকে ধ্বংস করে সেখানে রাম মন্দির উদ্বোধন করেন। যা তার দলের দীর্ঘদিনের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন।
বেশিরভাগ জরিপ বলছে, আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে মোদি আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
৮ মাস আগে
তারেকের বিরুদ্ধে রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব্ সবই করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব যথা সময়ে সরকার সবই করবে।
তিনি বলেন, 'প্রত্যেক দণ্ডিত ব্যক্তির রায় কার্যকর নিশ্চিত করতে চায় আমাদের সরকার। তারেক রহমানের ইস্যুতে সরকার উপযুক্ত সময়ে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আদালতের রায় বাস্তবায়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
আদালতের রায় কার্যকর করতে সরকার বিএনপির দণ্ডিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, তবে সবকিছুই নির্ভর করছে যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত বছর ওয়াশিংটনে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘তিনি সেখানে (যুক্তরাজ্য) আছেন। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে ফিরিয়ে এনে তাদের সাজা কার্যকর করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তবে এখন বিষয়টি পুরোপুরি ব্রিটিশ সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তারা কি তাকে সেখানে রাখবে নাকি শাস্তি কার্যকর করতে দেবে? এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের ওপর নির্ভর করছে।’
তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, অস্ত্র চোরাচালান, দুর্নীতি ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারিবারিক পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে অনেকে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, এই প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি ।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলন: ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার ডাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি স্বীকার করেন, যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করছেন এমন অনেকে আছেন।
৯ মাস আগে
জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ বাস্তবায়নে এনজিওর ভূমিকা শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত
যুবদের ক্ষমতায়ন ও জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ বাস্তবায়নে এনজিওদের ভূমিকা শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর হল রুমে রূপান্তরের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যুবদের ক্ষমতায়নের মূল সূত্র হলো নিজের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি যুবদের ক্ষমতায়ন, অংশগ্রহণ ও চেতনায় সমৃদ্ধ করে যুব অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে মূল উন্নয়ন ধারায় অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
সভায় বিশেষ অতিথি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, যুব পলিসি তৈরি ও পাঠ্য পুস্তুকে নতুন কার্যক্রম তৈরি করার সময় যুবদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এতে করে তাদের শেখার আগ্রত বিকশিত হবে।
তিনি আরও বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে প্রান্তিক যুবারা অনেক পিছিয়ে আছে। যুবদের বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যম তৈরি করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম বলেন, তরুণদের বেশি বেশি সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে হবে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক প্রিয়সিন্ধু তালুকদার বলেন, আইসিটি, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর একত্রে কাজ করলে যুবদের চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি হবে যাতে যুবরা ক্ষমতায়িত হবে।
আরও উপস্থিত ছিলেন- এনজিও বিষয়ক পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে: ধর্মমন্ত্রী
মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
১০ মাস আগে
'স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ' বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত: প্রণয় ভার্মা
ভারতের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ততার বাড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নতুন মেয়াদে দুই দেশ তাদের অংশীদারিত্বে "অধিক গতিশীলতার" দিকে নজর রাখছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, 'আমরা কানেক্টিভিটি ইস্যুগুলো নিয়ে অনেক গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত প্রণয় ভার্মার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে চালু হওয়া মার্কিন ডলারকে উপেক্ষা করে রুপি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ঐতিহাসিক আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য নিষ্পত্তি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কীভাবে এর সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করা যায় এবং সবার কাছে পৌঁছানো যায় তা আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি তা করা যায়, তাহলে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার ওপর দুই দেশের নির্ভরতা কমে আসবে।’
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। উভয় পক্ষ সীমান্ত হাট নিয়েও আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে: প্রণয় ভার্মা
ড. হাছান মাহমুদ গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের কাজ শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে।
তিনি ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধানের উপরও জোর দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন এবং এর কার্যকর সম্প্রসারণের জন্য আরও অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপন মূল্যবোধের সর্বজনীনতা পুনর্ব্যক্ত করে: প্রণয় ভার্মা
কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা এ নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেননি, বরং বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ নিয়ে কথা বলেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রথম দ্বিপাক্ষিক ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা জানান। তবে সফরের তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলেন জানান। পরিকল্পিত সফরের লক্ষ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। এছাড়া আগামী ১৭ জানুয়ারি উগান্ডায় বহুপাক্ষিক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মাহমুদের।
তিনি উগান্ডার কাম্পালায় ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কাছে যোগ হলো ভারতের উপহার: প্রণয় ভার্মা
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের নতুন মেয়াদে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বে আরও গতি অর্জন করবে এবং জাতীয় উন্নয়নে আরও জোরালো অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, 'সামগ্রিকভাবে আমি মনে করি, আমরা খুবই আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী, এই সরকারের নতুন মেয়াদে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরও বেশি গতিশীল হবে। উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় উন্নয়নে আরও জোরালোভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, তারা সবসময় বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত অভিন্ন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পরিচালিত একটি 'স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ' সমাজের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তা করতে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করতে ভারত সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন অংশীদারিত্বে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে ঢাকা ও দিল্লির সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা: প্রণয় ভার্মা
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক 'খুবই ভালো' হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রণয় ভার্মা। কূটনীতিক বলেন, দুই দেশের জন্য 'অত্যন্ত ইতিবাচক এজেন্ডা' এগিয়ে নিতে তিনি আগামী দিনগুলোতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রত্যাশায় রয়েছেন তিনি।
যদিও এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল, হাইকমিশনার বলেছিলেন যে তারা সম্পর্কের বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে এবং আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।’
তিনি বলেন, গত এক দশকে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সম্পর্ক কীভাবে 'অভূতপূর্ব গতি ও প্রবৃদ্ধি' অর্জন করেছে এবং কীভাবে এটি জনকেন্দ্রিক সম্পর্কে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রণয় ভার্মা দম্পতি
উভয় পক্ষ সম্পর্কের সাম্প্রতিক কিছু অগ্রগতি ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব কীভাবে দুই দেশের জনগণকে উপকৃত করছে এবং কীভাবে এই সহযোগিতা উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা নিয়েও আলোচনা করেছে।
হাইকমিশনার ২০২৩ সালে অনেক ইতিবাচক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। সে সময় দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি পাইপলাইন, দুটি রেলপ্রকল্প, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমসহ বড় বড় প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে আগাম পণ্য ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
এক্স (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা একটি বার্তায় তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও গভীর করার জন্য কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।
১০ মাস আগে