অবমাননা
কলকাতায় ড. ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো-জাতীয় পতাকার অবমাননার নিন্দা বাংলাদেশের
ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে উগ্রবাদী বিক্ষোভে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসকনের সাম্প্রতিক আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন নজরুলের
বাংলাদেশ সরকার যেকোনো ধরনের সহিংস কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছে এবং ভারত সরকারকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশন এবং ভারতে বাংলাদেশের অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনের পাশাপাশি এর কূটনীতিক এবং অ-কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের সামনে 'বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ' নামের কলকাতার একটি হিন্দু সংগঠনের আয়োজনে সহিংস বিক্ষোভে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
আরও পড়ুন: ইসকন ইস্যুতে দেশি বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল সমাবেশ ও বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সীমানায় পৌঁছে যায়।
তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ্য করে।
যদিও এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবে ডেপুটি হাইকমিশনের সকল সদস্য নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় মিডিয়ার ভুল প্রচারণার বিরুদ্ধে সত্য দিয়ে লড়াই করুন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
৩ সপ্তাহ আগে
সিলেটে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে বদরুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন ২ নম্বর পূর্ব ইসলামপুর ইউপিস্থ ভাটরাই গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বদরুল ইসলাম (২৮) কোম্পানীগঞ্জের ভাটরাই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার
জানা গেছে, বদরুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে পবিত্র কোরআন শরীফ নিয়ে কটূক্তি করায় ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার পক্ষে তৈমুরনগর গ্রামের মরহুম আব্দুল মালেকের ছেলে মো. লিটন মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এদিকে, কোরআন শরিফকে নিয়ে কটূক্তির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, কোরআন শরীফ নিয়ে কটূক্তি করায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং এ নিয়ে যাতে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
২ মাস আগে
নির্বাচন নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের নির্বাচন নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বর্ণনা দিতে গিয়ে ফখরুলের ‘অপভাষার ব্যবহার’ উল্লেখ করে কাদের বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব কীভাবে এমন অবমাননাকর মন্তব্য করতে পারেন? তিনি কি গাজীপুর,বরিশাল, খুলনা ও কক্সবাজারের নির্বাচন দেখেননি?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুলের মন্তব্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা।
তিনি বলেন, ‘এটি কি সম্প্রতি ঘোষিত মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধের অধীনে পড়েনা?’
আরও পড়ুন: সরকার কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবে না: কাদের
বিএনপির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে যারা কথা বলছে তারা এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? এটা কি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা নয়?
কাদের দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ফখরুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপিকে একটি ‘হাটুভাঙ্গা দল’ বলে অভিহিত করেছিলেন; কারণ তারা বারবার আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে।
কাদের বলেন, ‘আমাদের হাঁটু ভাঙ্গা হয়নি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপির হাটুর কাঁপুনিও শুরু হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা রাজনীতির নামে বড় বড় দাবি ও মিথ্যাচার করে, তারা বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে যাতে বাংলাদেশ আরও সমস্যায় পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আজ, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিদেশেও খেলা চলছে। ষড়যন্ত্র চলছে। তারা ক্ষমতায় না থাকলেও কোটি কোটি টাকা ব্যবহার করে লবিস্ট নিয়োগের টাকা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে মর্মে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ছয়জন কংগ্রেসম্যান চিঠি পাঠিয়েছেন। দেশ আমাদের, কিন্তু মাথাব্যথা তাদের।’
আরও পড়ুন: জাতীয় উন্নয়নকে বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করুন: আ. লীগ নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিলেও নীতি পরিবর্তন করেনি আ. লীগ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
হাইকোর্টের রায় নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: কাদের
দুই বিএনপি নেতার কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে এটিকে আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দায়িত্বহীন বক্তব্য দেশের মানুষকে হতাশ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘নির্দেশিত রায়’ বলে অভিহিত করে তার বক্তব্য আদালত অবমাননার সমতুল্য।
আরও পড়ুন: সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে চায়: কাদের
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কখা বলেন।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, এই শাস্তি বিএনপির দুই নেতার ক্রমাগত দুষ্ট রাজনীতির ফল। বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কারণ তারা (বিএনপি-জামায়াত নেতারা) হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে জড়িত ছিল।
বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে রায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো যোগসূত্র নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং নিম্ন আদালত অভিযোগ হিসেবে রায় দেয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার পৃথক দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
আদালত টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড, আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন।
২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালত আমানকে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আ.লীগকে বিদেশিদের কাছে আগ্রাসী হিসেবে তুলে ধরতে চায় বিএনপি: কাদের
১ বছর আগে
হেগ শহরে উগ্র ডানপন্থী নেতার পবিত্র কুরআন অবমাননার নিন্দা বাংলাদেশের
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে উগ্র ডানপন্থী এক কর্মীর পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধ ও ধর্মীয় প্রতীককে অবমাননার যে কোনো কর্মকাণ্ড প্রত্যাখ্যান করেছে।
সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত উস্কানি ও ইসলামবিদ্বেষ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: কুরআন অবমাননা: ইকবালসহ ৪ জন আরও ৫ দিনের রিমান্ডে
কুমিল্লায় কুরআন অবমাননা: ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
১ বছর আগে
আদালত অবমাননা আইন বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
আদালত অবমাননা আইন-২০১৩ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে তা অবৈধ ও বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রায় ৯ বছর আগে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের দেয়া ওই রায়ের ৩৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আদালত অবমাননা আইন-২০১৩ পাস হয়। ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননার আইন রহিত করে ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশিত হয়।
পরে একই বছরের ২৫ মার্চ নতুন আইনের ৪, ৫, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৩(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী রিট আবেদন করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আইনের ৪ ধারায় নির্দোষ প্রকাশনা বা বিতরণ অবমাননা নয়, ৫ ধারায় পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ আদালত অবমাননা নয়, ৬ ধারায় অধস্তন আদালতের সভাপতিত্বকারী বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত অবমাননা নয়, ৭ ধারায় কিছু ক্ষেত্র ছাড়া বিচারকের খাসকামরায় বা রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রক্রিয়া-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ আদালত অবমাননা নয় বলে আইনে ব্যাখ্যাসহ বলা হয়েছে।
আইনের ৯ ধারায় আদালত অবমাননার পরিধি বিস্তৃত না হওয়া অর্থাৎ এই আইনে শাস্তিযোগ্য নয় এমন কোনও কাজ আদালত অবমাননা বলে গণ্য হবে না।
আরও পড়ুন : আদালতের ব্যতিক্রমী সাজায় আসামি এখন জনপ্রতিনিধি!
আইনের ১০ ধারায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কথা বলা হয়।
১০(১) ধারায় বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রচলিত আইন, বিধিমালা, সরকারি নীতিমালা, পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, স্মারক ইত্যাদি যথাযথভাবে অনুসরণ করে জনস্বার্থে ও সরল বিশ্বাসে কাজ করলে তা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে না।
১০(২) ধারায় বলা হয়, উপধারা(১)-এর অধীনে করা কাজের বিষয়ে আদালতের আদেশ-নির্দেশ যথাযথ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন বা প্রতিপালন করা অসম্ভব হলে তার জন্য আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা যাবে না।
আর আইনের১৩(২) ধারায় বলা হয়, আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তি হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আপিলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে এবং আদালত তাতে সন্তুষ্ট হলে তাকে ক্ষমা করে দণ্ড মাফ বা কমাতে পারবেন।
বুধবার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত রায়ে বলেছেন, যে উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নিয়ে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে মনে হয় নির্দিষ্ট একটি গ্রুপকে আদালত অবমাননার দায় থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য প্রনয়ন করা হয়েছে।
আদালত আরও বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ১০৮ অনুসারে যেকোনও নাগরিক আদালতের রায় অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত শাস্তি দিতে পারেন এবং অনুচ্ছেদ ১১২ অনুসারে রাষ্ট্রের সকল কর্তৃপক্ষ, নির্বাহী এবং বিচার বিভাগীয় ব্যক্তিগণ সুপ্রিম কোর্টের কাজে সাহায্য করবে।
সংবিধানে উক্ত নির্দেশনা থাকা স্বত্বে আদালত অবমাননা আইনের উল্লেখিত ধারাসমূহ সংবিধানের উক্ত নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
এছাড়া সংবিধানে আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান এবং একই প্রতিকার পাওয়ার বিধান থাকলেও উক্ত ধারাগুলো বিশেষ ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিয়েছে।
এসব কারণে আদালত অবমাননা আইনের ওই ধারাগুলো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বৈষম্যমূলক।
রায়ে আদালত আরও বলেন, ২০১৩ সালের আইনে উল্লেখিত মূল ধারাগুলো না থাকলে আইনের অন্যান্য বিষয়গুলো অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়।
সে কারণে ‘আদালত অবমাননার আইন-২০১৩’ সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
রায়ে আদালত ‘১৯২৬ সালের আদালত অবমাননার আইন’ পুনর্বহাল করেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
'হত্যার ষড়যন্ত্র': আদালতে সাক্ষ্য দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
২ বছর আগে
জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা': মমতার বিরুদ্ধে সমন জারি
দেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘অবমাননা’ মামলায় মুম্বাইয়ের একটি আদালত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন৷
বুধবার ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক নেতার দায়ের করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে এই সমন জারি করা হয়েছে।
আদালত বলেছে, মমতার বিরুদ্ধে ‘ জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার’ প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিচারক বলেন, যদিও অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তবুও তিনি তার সরকারি দায়িত্ব পালন করেননি (মুম্বাইতে অনুষ্ঠান চলাকালীন)। তাই, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম চালাতে কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখার্জী হাসপাতালে
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন’ মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ভারত ভাগ্য বিধাতা’ গানের অংশ । ‘প্রিভেনশন অব ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট, ১৯৭১’-এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে, পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
যদিও এ বিষয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সময় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হলে মমতা ব্যানার্জি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াননি বলে আদালতে অভিযোগ জানান বিজেপির এক নেতা।
আরও পড়ুন: ভারতে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭, দগ্ধ ১৫
সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ভারতের
২ বছর আগে
সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
আদালতের আদেশ অমান্য করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ অমান্য করে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার একটি পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করায় এ রুল জারি করা হয়েছে।
রবিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সিইসি, ইসি সচিব, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বায়েজীদ আলম এবং ছাইনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রতন কান্তি শীলকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নেই: সিইসি
এ বিষয়ে আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কুমরা ইউনিয়নের নির্বাচনের সাধারণ মেম্বার প্রার্থী আহমেদ কবির আট ভোটে পরাজিত হন। কেন্দ্রে ঘোষিত ফলাফল ও ভোটার হিসাবে গরমিল থাকায় ভোট পুনরায় গণনা বা পুনর্র্নিবাচন ও ইস্যু করা ব্যালট পেপারের সঠিক হিসাব নির্ণয়ের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর গত ২ ডিসেম্বর আবেদন দেন আহম্মদ কবির। এতে ফল না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। শুনানি নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট আবেদনটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ও আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওয়ার্ডটির ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেন। গত ২৩ ডিসেম্বর ওই ওয়ার্ডের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। তবে সিইসির কাছে আহম্মদ কবিরের করা আবেদনটি নিষ্পত্তি করা হয়নি, যা আদালত অবমাননার শামিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সিইসিসহ পাঁচ কর্মকর্তার প্রতি আদালত অবমাননার ওই রুল দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে যে যুক্তি দেখালেন সিইসি
৩০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে: সিইসি
২ বছর আগে
ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
আদালতের আদেশ পালন না করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বর্তমান উপচার্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের করা আদালত অবমাননার আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (০৩ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে আদালতের আদেশ পালন না করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার ও সাবেক রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি আইনজীবী মো. আছরারুল হক সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. আছরারুল হক।
আরও পড়ুন: রংপুরে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ
আইনজীবীরা জানান, ২০০৬ সালের মে মাসে মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষককের পদোন্নতি দেয়া হয়। পদোন্নতি না পেয়ে ওই বিভাগের এক শিক্ষক আয়েষা মাহমুদ হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে ২০০৬ সালের মে মাস থেকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়রিটিসহ যে সুযোগ সুবিধা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি ওই তিন শিক্ষকের পদোন্নতির আদেশ বাতিল করা হয়।
এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আপিল করে। আপিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন, আয়েষা মাহমুদকে সিনিয়রিটিসহ ২০০৬ সাল থেকে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকি তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল থাকলেও আয়েষা মাহমুদের কোনো ক্ষতি হবে না। এরপর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল রায় দেন। হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আয়েষা মাহমুদ নিয়ে হাইকোর্টে রায় বহাল রাখেন।
আইনজীবী আছারারুল হক বলেন, আদালতের আদেশের পরেও ঢাবি কর্তৃপক্ষ টেকনিক্যালি আয়েষা মাহমুদকে সিনিয়রিটি হিসেবে দুই নাম্বারে রাখলেন। কিন্তু সিনিয়রিটি হিসেবে এক নাম্বারে দেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সিনিয়রিটি হিসেবে এক নাম্বারে থাকা ওই তিন শিক্ষকের একজন চেয়ারম্যান হয়েছেন। তাই তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন। আদালত আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।
আরও পড়ুন:ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
প্রতারণার মামলা: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
৩ বছর আগে
তালাকনামায় আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পাঠানো তালাক নোটিশ দেওয়ার সময় স্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর কথাবার্তা লেখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তালাক নোটিশের নির্ধারিত ফরম কেন তৈরি করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
সম্প্রতি এক নারীর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ে-তালাক ডিজিটালাইজেশন করতে হাইকোর্টের রুল
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়, নিবন্ধন অধিদপ্তরসহ তিন জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত কোনো ফরম নেই। কাজীরা একটি ফরম তৈরি করে তালাক দেওয়া কাজ চালাচ্ছেন। যেই ফরমে নারী সম্পর্কে অবমাননাকর কথাবার্তা লেখা হচ্ছে, যা আপত্তিকর। সে কারণেই বাদী এ রিটটি দায়ের করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন রাজধানীর বড় মগবাজার এলাকার প্রবাসী রাখী কে জামান। তিনি বর্তমানে কানাডার উইন্ডসর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে তিন তালাক এখন অপরাধ
আবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে রাকিব মুক্তাদির জোয়ারদারের সাথে বিয়ে হয় রাখী কে জামানের। পরে ২০১৭ সালের অক্টোবরে রাখীকে তালাক নোটিশ পাঠান রাকিব মুক্তাদির জোয়ারদার।
ওই নোটিশের একাংশে বলা হয়, ‘স্ত্রী, স্বামীর অবাধ্য– যাহা শরিয়তের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাহার উক্ত চাল-চলন পরিবর্তন করার জন্য আমি নিজেই বহুবার চেষ্টা করিয়াছি। কিন্তু অদ্যবধি তাহার কোনও পরিবর্তন সাধিত হয় নাই। ’
এ ধরনের শব্দ নারীর প্রতি অবমাননাকর, অমানবিক, অযৌক্তিক ও অবৈধ উল্লেখ করে গত ২ জুন হাইকোর্টে রিট করেন রাখী।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে তালাকের পর শ্যালিকাকে জোরপূবর্ক ‘ধর্ষণ’
পরে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, নোটিশে এ ধরনের শব্দের ব্যবহার একজন নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর। পরবর্তীতে বিয়ে করার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো নানা ধরনের জটিলতার মুখে পড়তে হয়।
রিটে বলা হয়, মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ এবং মুসলিম বিয়ে এবং তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী এ ধরনের শব্দের ব্যবহার স্পষ্টভাবে নারীর মানবাধিকার ও তার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। একই সঙ্গে সংবিধানের ২৭, ২৮ এবং ৩২ অনুচ্ছেদেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
৩ বছর আগে