ডা. লোটে শেরিং
ভুটানে ফিরে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইনে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীরা
ঢাকা থেকে ভুটানে ফিরে বৃহস্পতিবার ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন শুরু করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ও তার সফর সঙ্গীরা।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, বিমানবন্দরে পার্কিং করা গাড়িতে থাকা কোয়ারেন্টাইন সুবিধায় তিনি গন্তব্যে পৌঁছান।
প্রতিনিধিদলকেও কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার জন্য সেখানে গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়।
আগামী ২১ দিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সব সরকারি কাজ এবং অনুষ্ঠানাদি ভার্চুয়ালি পরিচালিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভুটানের রাজার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার পাশে বসে বাংলাদেশের গল্প শুনতে এসেছি: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সফরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আবদুল মোমেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশের ভুটান সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
৩ বছর আগে
হাসিনার পাশে বসে বাংলাদেশের গল্প শুনতে এসেছি: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসে বাংলাদেশের গল্প শোনার জন্য সফরে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গল্প শোনার জন্য এখানে এসেছি, আমি আরও বেশি গর্বিত, কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা এবং আমার কাছে মাতৃসুলভ ব্যক্তিত্ব।’
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার অষ্টম দিনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
লোটে শেরিং বলেন, ঠিক ৫০ বছর আগে একটি দেশ অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে জন্ম নিলেও এটি এখন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে এগিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পিটিএ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং এমন একটি দেশের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি, যেটার জন্য তিনি পুরো জীবন ব্যয় করেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, অন্যকে বলার মত একটি গল্প প্রত্যেক মানুষ ও জাতির অবশ্যই থাকা উচিত। বিশ্বের সব মানুষকে বলার মত একটি চমৎকার গল্প বাংলাদেশকে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান কেবল বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের মানুষের উদ্দীপনা জাগ্রত করতে পারে। বিশেষ করে এমন সময়ে যখন করোনাভাইরাস মহামারি অনেক মূলবান প্রাণ নিয়ে গেছে এবং লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছে।’
বিপুল জনসংখ্যা নিয়েও শেখ হাসিনা ও তার সরকার যেভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করেছে তার প্রশংসার করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সুবিধার জন্য নেপালের সাথে পিটিএ চান প্রধানমন্ত্রী
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শান্তিপূর্ণ, প্রগতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশের জন্য তার যে চেতনা, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আমি সম্মান জানাতে এসেছি শেখ হাসিনার প্রতি, যিনি তার বাবার সোনার বাংলা স্বপ্ন ধারণ করে কাজ করে চলেছেন।
বক্তব্য শুরুর আগে বাংলাদেশের সাথে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিজের দেশের একটি স্মারক ডাকটিকেট শেখ হাসিনার তুলে দেন লোটে শেরিং।
৩ বছর আগে
পিটিএ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
ভুটানের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষ করে বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশের নৌপথের সুবিধা কাজে লাগানোর বিষয়েও তারা একমত হয়েছে বলে প্রেস সচিব জানান।
আরও পড়ুন: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে চায় ভুটান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বেশি বন্দর নির্মাণের ওপর জোর দেন। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য তিনি এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক গঠনের কথা বলেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং তার দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে এককালীন ফুলটার্ম ভিসা এবং মাল্টিপল এন্ট্রি সুবিধা দেয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে একমত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভুটানকে আইসিটি সেক্টরে বিশেষ করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহে সহযোগিতা করবে।
উভয় নেতা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ফোরামে একসাথে কাজ করার বিষয়েও একমত হন।
বৈঠকের আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪৫ মিনিট একান্তে আলাপ করেন।
বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী ডা. শেরিং ভুটানের রাজা ও জনগণের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের জন্য ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভুটান আমাদের কাছে বিশেষ কিছু’।
আরও পড়ুন: ভুটানের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে ঢাকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিকালে বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন লোটে শেরিং। পরে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেবেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একেএম শহিদুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল এবং চিফ প্রটোকল অফিসার দাসো উগিয়েন গংফেল উপস্থিত ছিলেন।
শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করে বাংলদেশ। এটাই কোনো দেশের সাথে বাংলাদেশের প্রথম পিটিএ চুক্তি।
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি মঙ্গলবার শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
ঢাকায় আসার পরই তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শেরিং দর্শকদের বইয়ে স্বাক্ষর করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের স্বীকৃতি প্রদানের ৫০তম বার্ষিকী।
আরও পড়ুন:ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এর আগে সফরসঙ্গীসহ তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে শেরিংকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
লোটে শেরিং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসা চতুর্থ বিশ্ব নেতা।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে লোটে শেরিংকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে।
এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে চায় ভুটান
বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক হবে। পরে তাদের নেতৃত্বে হবে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
আলোচনার পরে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন লোটে শেরিং। পরে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুত্র মতে, ২০১৮ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী ডা. শেরিংয়ের এটি দ্বিতীয় সফর ঢাকায়।
আরও পড়ুন:ভুটানের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে ঢাকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
ভুটানের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই রবিবার
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া ভুটানের সাথে এ বছরের একই দিন রবিবার শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই করবে বাংলাদেশ।
৪ বছর আগে