লোটে শেরিং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসা চতুর্থ বিশ্ব নেতা।
সফরসঙ্গীসহ তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে শেরিংকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে লোটে শেরিংকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে।
এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়।
বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান, সেখানে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করার পাশপাশি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মতি যাদুঘর পরিদর্শন করে সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বিকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন লোটে শেরিং।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সুবিধার জন্য নেপালের সাথে পিটিএ চান প্রধানমন্ত্রী
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক হবে। পরে তাদের নেতৃত্বে হবে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
আলোচনার পরে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন লোটে শেরিং। পরে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক সফরে ঢাকায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চায় নেপাল