ভাতা
গাজীপুরে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রিন্স জ্যাকের্ড সোয়েটার লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বুধবার (২১ জুন) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরের টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার ওই কারখানাটির প্রায় সাড়ে ৭শ’ শ্রমিকের মধ্যে ৫০ জন শ্রমিকের এপ্রিল মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ বকেয়া রাখে কারখানার মালিকপক্ষ।
গত মে মাস আবারও কারখানা সকল শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রাখেন তারা।
মঙ্গলবার (২০ জুন) শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও কারখানার মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করেনি। ওই দিন শ্রমিকরা দিনভর বেতন-ভাতার জন্য অপেক্ষা করে বিকালে বিক্ষোভ করে চলে যান।
বুধবার (২১ জুন) সকালে কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় এসে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়।
এসময় পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়কে উঠতে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের পরিদর্শক মো. ওসমান গণি জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেছিল। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ওভারটাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ
মারধর ও ছাঁটাইয়ের অভিযোগে বরিশালে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
১ বছর আগে
শতভাগ ভাতা বিতরণে সক্ষম নগদ: সমাজসেবা ডিজি
ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ সরকারি ভাতা বিতরণে শতভাগ সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম। সমাজসেবা অধিদপ্তরের দায়িত্বে থাকা সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার ৭৫ শতাংশই বিতরণ হয় ‘নগদ’-এর মাধ্যমে, যা খুবই সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার নগদের জনসংযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক লিংকন মো. লুৎফরজামান সরকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তর বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতা বিতরণ করে থাকে। মূলত সমাজের প্রান্তিক মানুষ এই ভাতা পেয়ে থাকেন। প্রান্তিক এই মানুষদের ডিজিটাল সেবার আওতায় আনায় সন্তুষ্টির কথা জানান সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করেছি, যারা সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষ, সবচেয়ে অল্প শিক্ষিত মানুষ। এদের একটা বড় অংশ মোবাইলও ঠিকমত ব্যবহার করতে পারেন না; কাজ করতে করতে হাতের আঙুল এতটাই শক্ত হয়ে গেছে যে, মোবাইলের বাটন চাপতেও পারেন না। ওটিপি বা পিন কী, তারা এটা বোঝেন না। এই মানুষদের কাছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পৌঁছানোটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা এই কাজ করতে পেরেছি। এই চ্যালেঞ্জ জয় করতে ‘নগদ’ অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে।”
আরও পড়ুন: করোনা চলাকালীন এমএফএস সেক্টর আর্থিক লেনদেনের নেতৃত্ব দিয়েছে: নগদের এমডি
ভাতা বিতরণের ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো। ভূপ্রাকৃতিক সেই চ্যালেঞ্জ জয় করতে ‘নগদ’ যে তৎপরতা দেখিয়েছে তা প্রসংশার দাবি রাখে বলে মনে করেন শেখ রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন,“এমন এলাকাগুলোয় ভাতা বিতরণ ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের। পটুয়াখালীর রাঙাবালির কথা বলবো। আমাদের ভাতা বিতরণের একটা অংশ ছিল গ্রীষ্মকালে। সমুদ্র তখন উত্তাল, ভয়ঙ্কর ঢেউ। রাঙাবালি বা কুতুবদিয়ায় ওই সময়ে ‘নগদ’-এর কর্মীরা ওই উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে রাঙাবালির লোকজনকে অ্যাকাউন্ট করিয়েছেন। এটা প্রশংসার দাবি রাখে।”
শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, “এই প্রকল্পের সিংহভাগ (৭৫ শতাংশ) অর্থ নগদ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। নগদ-এর ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত ডায়নামিক, দূরদর্শী এবং যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে তারা লোকবল বৃদ্ধি করে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং দ্রুততার সঙ্গে ৬০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছেন। অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে তারা এটা করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমার নিজেরও বিশ্বাস ছিল না যে, তারা এত অল্প সময়ের মধ্যে ৬০ লাখ মানুষের অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পারবে। এবারের ভাতা বিতরণে আমরা ‘নগদ’ সম্পর্কে কোনো অভিযোগ পাইনি। কোথাও কেউ বলেনি বা কোনো সংবাদপত্রেও রিপোর্ট আসেনি। আমাদের রিপোর্টও বলছে, তারা খুব স্বচ্ছভাবে ভাতা বিতরণ করছে।”
শেখ রফিকুল ইসলাম মনে করেন, দায়িত্ব দিলে ‘নগদ’ সরকারের সব ভাতাই শতভাগ বিতরণের সক্ষমতা রাখে।
তিনি বলেন, ভাতা বিতরণের পর ‘নগদ’ এ বিষয়ে পরিষ্কার একটা রিপোর্ট দেয়। পরে সমাজসেবা অধিদপ্তর সেটি যাচাই বাছাই করে।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা দেখেছি, নগদ-এর ভাতা বিতরণ প্রক্রিয়া খুবই স্বচ্ছ এবং ত্রুটি নেই বললেই চলে। যেটুকু ত্রুটি আছে, তা মূলত টেকনিক্যাল।”
আরও পড়ুন: লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ‘নগদ’ এর মধ্যে চুক্তি সই
‘বাংলাদেশকে ক্যাশলেস দেশে পরিণত করছে ‘নগদ’’
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর ভাতা বিতরণ শুরু করেন। পরে চলতি বছর মার্চে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চুক্তি আবারো নবায়ণ করে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর ভাতাসহ অন্যান্য সকল সরকারি ভাতা, উপবৃত্তি, অনুদানসহ নগদ এ পর্যন্ত ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিতরণ করেছে। এর মাধ্যমে সরকারি ভাতা বিতরণ প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হয়েছে।
২ বছর আগে
সরকার হাতে হাতে ভাতা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সরকার ভাতাভোগীদের হাতে হাতে ভাতা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এখন সকল ভাতাভোগী ঘরে বসে ভাতা পাচ্ছে।মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সরাসরি উপকারভোগীর কাছে পাঠানোর লক্ষ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও বিকাশ এবং নগদের মধ্যে সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা ও বিকাশ এবং নগদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটা বহাল রয়েছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সকল নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রদত্ত ভাতাসমূহ নির্বিঘ্ন করতে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে ডাটাবেজ প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে।মন্ত্রী আরও বলেন, জিটুপি পদ্ধতিতে প্রায় এক কোটি ভাতাভোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা পাচ্ছেন। সম্পাদিত চুক্তির ফলে ভাতাভোগীরা আরও সহজভাবে ভাতার অর্থ পাবেন।এর আগে বিকাশ ও নগদের পক্ষে নির্বাহীরা ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা দেশের সম্পদে পরিণত হতে চলছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
আজকের প্রবীণরাই দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
২ বছর আগে
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো সোনালী ব্যাংক
বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের পরিবর্তে এখন থেকে প্রক্রিয়া করবে সোনালী ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ভাতা বিতরণ নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে।
আজ শনিবার এর অংশ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বিতরণ সহজীকরণের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের এক অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধানসহ সোনালী ব্যাংকের সকল শাখার ব্যবস্থাপকসহ প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা ভার্চ্যুয়ালভাবে যুক্ত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল সেক্টরের মত বীর মুক্তিযোদ্ধারাও ডিজিটাল সেবার আওতায় এসেছেন। ইতোমধ্যে জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রাপ্তি নির্ঝঞ্ঝাট ও সহজ হয়েছে। সম্মানি ভাতাভোগীদের প্রায় সকল ব্যাংক হিসাব সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় পরিচালনা করা হয় বিধায় একাউন্টে সরাসরি টাকা যাবে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বিতরণ প্রক্রিয়ায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আর যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
আরও পড়ুনঃ যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফল মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রীমুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী তার বক্তব্যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আন্তরিকতার সাথে সেবা দেয়ার জন্য সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনুরোধ জানান।
অনলাইন প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মতিয়ার রহমান এবং সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ যুনাইদ।
৩ বছর আগে
দরজা বন্ধ রেখে মাগুরায় সমাজসেবা অফিসের কার্যক্রম
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার সমাজসেবা অফিস ভেতর থেকে বন্ধ রেখে অফিস কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, ভাতার টাকা না পেয়ে অফিসের সামনে ভিড় করেছেন অসহায় ভাতাভোগীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার পরও ভাতার টাকা না পেয়ে অফিসের সামনে ভিড় করেছেন অসহায় ভাতাভোগীরা। অনেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভাতার টাকা পাননি।
আরও পড়ুন: জীবিত থেকেও সরকারের কাছে মৃত হওয়ায় ভাতা বন্ধ
সামনে ঈদ। অফিস ভেতর থেকে আটকানো। কারও থেকে ভাল কোনও পরামর্শ পাচ্ছেন না অফিসের সামনে অপেক্ষমান মানুষেরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফিসারদের মোটা অঙ্কের বেতন আছে। এই অসহায় বয়ষ্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী লোকগুলো যে ভাতা পায় তাই দিয়েই তাদের খাবার ও ওষুধ খরচ মেটান। ভাতার টাকা না পেয়ে বাইরে বসে কান্নাকাটি করছেন অনেকেই। ভাতার টাকার কুলকিনারা করতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে এসেছেন ভু্ক্তভোগীরা। অথচ অফিসের লোকজন দরজা আটকে ভেতরে বসে অফিস করছেন।
এ ব্যাপারে অফিস সহকারী মুক্তার হোসেন বলেন, ‘লোকজন অফিসের ভেতর চলে আসে। তাই করোনার ভয়ে ভেতর থেকে আটকিয়ে অফিসের কাজ চলছে।’
আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ২০ হাজার টাকা
ঘটনার বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে আলাপ করলে, তিনি অবিলম্বে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
৩ বছর আগে
জুনের মধ্যেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ভাতা পাবেন শতভাগ ভাতাভোগী: মন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ মে (ইউএনবি)-এ বছর জুনের মধ্যেই শতভাগ ভাতাভোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘এ বছর জুন মাসের মধ্যেই শতভাগ ভাতাভোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা পাবেন। একজন ভাতাভোগীও যাতে বাদ না পড়ে সেলক্ষ্যে করোনা মহামারিকালীন চলমান বিধি নিষেধের মধ্যেও ভাতা কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশন ও মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার কাজ চলমান রয়েছে।’
রবিবার রাজধানীর মিন্টু রোড়ের সরকারি বাসভবনে সমাজসেবা অধিদপ্তর বাস্তবায়িত ক্যাশ ট্রান্সফার মডার্নাইজেশন (সিটিএম) প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের সকল জেলা ও উপজেলাসহ মাঠ পর্যায়ের সমাজসেবা কার্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নুরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ডিজিটাল বিপ্লব চলছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে গেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবামূহকে শতভাগ ডিজিটাল করনের কাজ চলমান রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৬৩৪টি সমাজসেবা কার্যালয়ে আধুনিক কম্পিউটার সমাগ্রী প্রদানের মাধ্যমে সেবা প্রদান আরো গতিশীল হবে।
আরও পড়ুন: গুনগত মান ঠিক রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জিটুপি পদ্ধতিতে ভাতাভোগীদের মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা বিতরণের যে নির্দেশনা দিয়েছেন যে কোন মূল্যে তা চলতি অর্থবছরের মধ্যে শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে।
কোন ভুয়া বা দ্বৈত ভাতাভোগী যাতে ভাতা না পায় সে লক্ষে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) খুরশীদ আলম চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ কর্মসূচিকে ডিজিটালাইজেশনের লক্ষে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় ক্যাশ ট্রান্সফার মডার্নাইজেশন(সিটিএম) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
৩ বছর আগে
সিলেটে ভাতা নিতে এসে ভোগান্তিতে প্রবীণরা
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় ‘বয়স্ক ভাতা’প্রাপ্তিতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন দু’শতাধিক প্রবীণ।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ও লকডাউনের মধ্যে সকাল-সন্ধ্যা অপেক্ষা করেও ভাতা পাচ্ছেন না তারা। সংশ্লিষ্টদের অপব্যবস্থাপনার কারণে দিনের পর দিন ধর্না দিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান বয়স্ক এসব নারী-পুরুষ।
বুধবার সরেজমিন উপজেলা সদরের ডিজিটাল ডাক ঘরের ‘ব্যাংক এশিয়ার’ এজেন্ট শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, ডাক ঘরের সামনে ভাতা নিতে আসা বয়স্ক নারী-পুরুষের ভিড়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাতার জন্যে সকাল থেকেই ওখানে অবস্থান নিয়েছেন তারা। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও, কাউকে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। অনেকেই আবার মাস্কও পরেননি। দীর্ঘ অপেক্ষায় ক্লান্ত তারা। কখনও দাঁড়িয়ে, কখনও বসে বার্ধক্যের শরীর নিয়ে চরম বিরক্তির সময় কাটছিল তাদের।
আরও পড়ুন: জীবনযুদ্ধে হার না মানা প্রতিবন্ধী মাজহারুল, অনেক ঘুরেও পাননি সরকারি ভাতা
অনেকে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন। সময় তখন সাড়ে ১১টা হলেও তখনও অনুপস্থিত, ডাক ঘরের উদ্যোক্তা ও ভাতা প্রদানকারী কর্তা কৃপেশ দেবনাথ।
কথা হয় ভাতাভোগী রাজনগর গ্রামের ৬৫ বছর বয়সি মছব্বির আলীর সাথে।
তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের বাইরে আসা উচিত নয়। আমরা গরীব মানুষ, তাই ঝুঁকি নিয়ে এসেও নিরাশ হয়ে ফিরে যাই বার বার। লকডাউনের মধ্যে এ নিয়ে চারদিন এসেছি। উদ্যোক্তা (কৃপেশ দেবনাথ) প্রতিবারই ল্যাপটপে সমস্যা বলে ফিরিয়ে দেন। আর প্রতিদিন অল্প কয়েক জনকে ভাতা দিয়েই চলে যান তিনি।
মুফতির গাঁও গ্রামের ৮০ বছর বয়সি আমরুজা বেগম বলেন, আমাকে প্রথমে একটি ‘বিশেষ টোকেন’ দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ভাতা নিতে বলা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকে গেলে তারা আবার ব্যাংক এশিয়ায় পুনরায় আমাকে পাঠান। অসুস্থ শরীর নিয়ে কয়দিন ধরে আমি এভাবেই ঘুরছি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার করার প্রস্তাব
ভাতা প্রদানকারী ডিজিটাল ডাক ঘরের উদ্যোক্তা ও ব্যাংক এশিয়ার এজেন্টের পরিচালক কৃপেশ দেবনাথ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়নে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট রয়েছে, সবাই ঠিক মতো সেবা দিচ্ছে না। ভাতা প্রদান কার্যক্রম সবাই অব্যাহত রাখলে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো না। উপজেলা পর্যায়ে সার্ভিস দেয়ার জন্যই লকডাউনের মধ্যেও আমি সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। মাঝে মধ্যে সার্ভার সমস্যার কারণে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, ‘বিষয়টি আমি দেখছি।’
কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই যাতে প্রবীণরা ভাতা পান সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
৩ বছর আগে
জীবনযুদ্ধে হার না মানা প্রতিবন্ধী মাজহারুল, অনেক ঘুরেও পাননি সরকারি ভাতা
মাজহারুল ইসলামের (৩০) জন্ম থেকেই দু হাত, দু পা আঁকাবাঁকা। সমাজের সবাই কেমন যেন তুচ্ছ করে তাকায়। ছোটবেলা থেকেই মনটা বিধ্বস্ত। কিভাবে চলবে জীবন! কে ভালোবাসবে!
জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে বসে বসে মোবাইল সার্ভিসিং কাজকে বেছে নিয়েছেন জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী এই মাজহারুল ইসলাম। বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ও নিজের আগ্রহে শিখেছেন মোবাইল মেরামতের কাজ। এরপর ধার-দেনা করে মোবাইল সাভির্সিংয়ের দোকান দিলেন বাড়ির আঙ্গিনাতেই, অভয়পাড়া রাস্তার পা্শে। তার নিজ নামেই রাখা হয়েছে দোকানের নাম ‘মাজহারুল মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার’।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী ও চাকরিদাতাদের সেতুবন্ধনে কাজ করবে ‘ইমপোরিয়া’: প্রতিমন্ত্রী পলক
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের (৫ নং ওয়ার্ড) অভয়পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান মোল্লার ছোট ছেলে মাজহারুল। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। স্থানীয় অভয়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর সংসারের হাল ধরেছেন। বাবা-মায়ের কথায় ২০১৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সংসার ছেড়ে চলে যান তার স্ত্রী। গত বছর মারা যান তার বাবা।
দুঃখ করে বললেন, দীর্ঘদিন একটি প্রতিবন্ধী ভাতার বইয়ের জন্য এলাকার মেম্বর,ও চেয়ারম্যানের অফিসে ঘোরাঘুরি করেও তা ভাগ্যে জুটেনি মাজহারুলের। আশা ছেড়ে দেন মাজহারুল ইসলাম। পরে মা ও বড় ভাইয়ের উপদেশে সিদ্ধান্ত নেন কারো কাছে হাত না পেতে নিজ উদ্যোগে কিছু করার। এলাকায় এক বড় ভাইয়ের দোকানে মোবাইল সার্ভিসিং, মোবাইল রিচার্জ ও ইলেক্ট্রনিক্সের যাবতীয় খুঁটিনাটি কাজ শেখেন। পরে নিজেই বাড়ির কাছে ছোট্ট একটি দোকান দিয়েছেন। এতেই ধীরে ধীরে তিনি হয়ে যান মোটামুটি স্বাবলম্বী। প্রতিদিন প্রায় ৩০০-৪০০ টাকার মতো আয় করেন তিনি। পরিবারের কাজেই খরচ করতে হয়। তার এই আঁকাবাঁকা হাতগুলোই এখন রুটি রোজগারের ও পরিবারের একমাত্র চালিকাশক্তি।
আরও পড়ুন: ট্রেনে নারী-শিশু-প্রতিবন্ধীদের জন্য আসন বরাদ্দে হাইকোর্টের রুল
মাজহারুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালে একটা প্রতিবন্ধীর কার্ড পেয়েছেন বটে কিন্তু কোনো ভাতার বই আজও পাননি।
স্থানীয় মেম্বর ইউনুস অফিসের ঝামেলার কথা বলে ভাতার বইয়ের জন্য যেতে বললেন উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে।
নিজের কাজ করার ইচ্ছাশক্তি থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত যন্ত্রাংশ ও অর্থাভাবে এগিয়ে যেতে পারছেন না মাজহারুল। তাই সরকারি কিংবা বেসরকারি একটু সহায়তা পেলে তিনি দোকানটির কর্মপরিধি বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘুরে দাঁড়াতে পারতেন আর মেয়ে, মা ও বোনকে নিয়ে মোটামুটিভাবে চলতে পারতেন।
মাজহারুল বলেন, ‘প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও সংসার করার স্বপ্ন দেখি, কিন্তু কিছুই সম্ভব হচ্ছে না। শুধু আমার চার বছরের মেয়েটা আমায় ভালোবাসে। বিয়ে করলেও বউ আমাকে ছেড়ে চলে যায় আড়াই বছর পরে। রেখে যায় ছোট্ট এ মেয়েটাকে।’
আরও পড়ুন: ভিক্ষা নয়, কাজ করেই জীবন বদলাতে চান প্রতিবন্ধী রহিম
মাজহারুল ইসলামের মা নিলুফা বেগম (৫৬) বলেন, ‘সরকার যদি আমার অসহায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করতেন তাহলে ছোট্ট দোকানটিতে কিছু মালামাল তুলে কোনোভাবে বাকি জীবন পার করে দিতে পারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে পুতুল তো দেশের প্রতিবন্ধীদের জন্য অনেক কাজ করছেন, দেশও এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা এর কোনো ফল এখনো পাচ্ছি না। কবে পাবো আশায় আছি।’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে কচুয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মদ আকতারুদ্দীন প্রভাত ইউএনবিকে বলেন, ‘মাজহারুল ইসলাম অফিসে এসে দেখা করলে আমরা তাকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়ার জন্য কাযর্কর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
৩ বছর আগে
নিজের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজের প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিতরণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
৪ বছর আগে
মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বচ্ছল থাকাটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার: হাইকোর্ট
মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বচ্ছল থাকাটা রাষ্ট্রের জন্য ‘লজ্জার’ আখ্যায়িত করে আদালত বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তাদের জন্য করুণা নয়, এটা তাদের অধিকার।
৫ বছর আগে