মামুনুল হক
গাছের শিকড়ে পানি ঢেলে ডাল ছেঁটে লাভ হবে না: মামুনুল হক
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, গাছের শিকড়ে পানি ঢেলে উপরে ডাল ছেঁটে কোনো লাভ হবে না। ডাল ছেঁটে পুরো গাছের ছায়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব না।
তিনি বলেন, আপনারা যা চাচ্ছেন তা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। শুধুমাত্র বৃক্ষের ডাল ছাঁটলে হবে না, পুরো গাছটা উপড়ে ফেলতে হবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নীলার মাঠে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংবিধানে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন ও নীতিমালা করার যে উন্মুক্ত সুযোগ(ওপেন স্পেস) তা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিচারিক দক্ষতা নৈতিক বাধ্যবাধকতা, শুধু প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়: প্রধান বিচারপতি
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় সংবিধান থেকে পাচারকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা নামক কুফরি মতবাদ দিল্লিতে পাঠাতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে বাতিল করে ঈমানের ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে।
মামুনুল এসময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আলেম সমাজ ভাড়াটিয়া না, এদেশের মাটি রক্তের বিনিময়ে কিনেছে আলেম সমাজ। তাই কেউ রক্ত চক্ষু দেখালে তা উপরে ফেলা হবে।
এসময় তিনি আওয়ামী লীগের এমন করুন পরিণতির কারণ হিসাবে বলেন, আলেম সমাজকে কখনও দাম দেয়নি আওয়ামী লীগ। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসলে এটা মাথায় রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
২ সপ্তাহ আগে
জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বাংলাদেশের মানুষকে পরাজিত করতে পারবে না: মামুনুল হক
ভারতের সাম্রাজ্যবাদীর বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার, আলেম সমাজ ও সব রাজনৈতিক দলসহ সারা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে যত বড় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হোক না কেন বাংলাদেশের মানুষকে পরাজিত করতে পারবে না বলে জানান মামুনুল হক।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) নওগাঁর আমতলী মোড় জামে মসজিদ এলাকায় তাফসিরুল কোরআন ও শানে রিসালাত সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে: যুবদল সভাপতি
মামনুল হক বলেন, ভারতের সাম্রাজ্যবাদের সূচনা হয়েছিল ১৯৭২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে। এজন্য এই সরকারকে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সংবিধান বাতিল করতে হবে। তাহলে ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে যাবে। আর কোনো দিন তারা বাংলাদেশের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস পাবে না।
সংবিধান সংস্কারে যে যার মতো করে মতামত দিচ্ছে উল্লেখ্য করে মামুনুল হক বলেন, আমরা তৌহিদি জনতার পক্ষে স্পষ্ট মতামত দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন থাকবে না। যদি কোরআন সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন থাকে তাহলে সেই আইনকে প্রতিহত করার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন হলেও আলেম সমাজ প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ভারত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. খন্দকার মোশাররফ
২ সপ্তাহ আগে
৫ আগষ্টের বিপ্লব ইসলামী বিপ্লবের পূর্বাভাস: মামুনুল হক
৫ আগস্টে বিপ্লবের অন্যতম শক্তি হলো বাংলার তৌহিদী জনতা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।
তিনি বলেন, ‘এই বিপ্লব শিরকের বিরুদ্ধে বিপ্লব। এটাকে এখনই ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব বলতে চাচ্ছি না। তবে আমি অবশ্যই এতটুকু বলব এই বিপ্লব ইসলামী বিপ্লবের পূর্বাভাস।’
সোমবার (২৪ নভেম্বর) কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জেলা কওমী মাদরাসা পরিষদের মহাসম্মেলনে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি নসরুল্লাহ
তিনি বলেন, ‘সূর্য উদয়ের কিছুক্ষণ পূর্বে যেমন সুবহে সাদিকের উদয় ঘটে, সুবহে সাদিকের আলো দিয়ে যেমন বোঝা যায়- সূর্যের উদয় সন্নিকটে, তেমনি ৫ আগস্টের বিপ্লব বাংলার প্রতিটি মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, এদেশের মানুষ ইসলামী বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
মামুনুল হক আরও বলেন, ‘বাংলার মাটিতে অনিবার্য বিপ্লব হবে ইসলামী বিপ্লব। বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। এছাড়া এদেশে শাসনতন্ত্র হবে ইসলামের শাসনতন্ত্র, সংবিধান হবে আল কোরআনের সংবিধান এবং রাজনীতি হবে খেলাফতের রাজনীতি।’
সংবিধান সংস্কারের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে, কোরআন-সুন্নাহর আইনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কোনো আইন, কোনো নীতিমালা কার্যকর হবে না। এই ব্যবস্থা নতুন প্রবর্তিত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
৩ সপ্তাহ আগে
ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে ধর্ষণের মামলায় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম।
রায় ঘোষণার সময় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মাওলানা হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাই করে তাকে নির্দোষ সাব্যস্ত করা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের নামে মামলা হয়।ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সেময় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
১ মাস আগে
হেফাজত নেতা মামুনুলের ২ মামলায় জামিন আপিল বিভাগে বহাল
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগে দায়ের করা দু’টি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ আর রায়হান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
পরে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় তিন বছর থেকে জেলে আছেন মামুনুল হক। এ দু’টি মামলায় আজ পর্যন্ত পুলিশ অভিযোগ পত্র দাখিল করেননি। ফলে তিনি জামিন পেতে পারেন। পরে আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখেছেন।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ লোকজন।
পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় খবর পেয়ে হেফাজত ও মাদরাসার ছাত্ররা ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। পরে হেফাজতের নেতা–কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান নেতা-কর্মীরা।
এরপর একই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর, রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুরসহ বেশ কিছু অভিযোগে পৃথক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দু’টি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত বছরের ৯ মে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জের সোনাগাঁও থানায় করা দুই মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ মে এই দুই মামলায় জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপর বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগ দু’টি মামলায় তার জামিন বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
১০ মাস আগে
দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
২০২১ সালে ঢাকার পল্টন থানায় করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৪ জুন) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এক জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘এ দুই মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষে আদালত জামিন দিতে চাননি। তখন তার আইনজীবী আবেদন দু’টি ফেরতের আবেদন জানান। তখন আদালত আবেদন দু’টি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর পল্টন থানা ২০২১ সালের এপ্রিলে দু’টি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছিল।
পরে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটার থানায় একটি, মোহাম্মদপুর থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক
১ বছর আগে
আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা তিনটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
এর আগে গত ৩ মে ঢাকার পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা আরও পাঁচটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। তবে আরও মামলা থাকায় তিনি আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না।
তার বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। গতকাল তিনটিসহ মোট ২০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
মামুনুলের কারামুক্তির জন্য আরও ২১টি মামলায় জামিন প্রয়োজন।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।
২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছিল।
পরে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি, মোহাম্মদপুর থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
১ বছর আগে
৫ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের অভিযোগের করা পৃথক পাঁচটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এসব মামলার মধ্যে চারটি রাজধানীর পল্টন থানায় এবং একটি মামলা চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা। মামলা গুলো ২০২১ সালে দায়ের করা হয়। তার পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এই জামিন দেন। আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
পরে হেলাল উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আগে ১২টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আজ পাঁচটি জামিন পেলেন। মামুনুল হকের কারামুক্তির জন্য বাকি ২৪টি মামলায় জামিন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটার থানায় ১টি, মোহাম্মদ থানায় ১টি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ
১ বছর আগে
ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় এক নারীর করা ধর্ষণ মামলায় আরও দুইজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্য প্রদানকারিরা হলেন-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এজাজুল হক ও মামলার বাদি জান্নাত আরা ঝর্ণার বাড়িওয়ালা মোশারফ হোসেন।
এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামি মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে আনা হয়। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে হেফাজতের নেতাকর্মীরা এসে জড়ো হতে থাকেন। পরে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পুনরায় মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা নামের এক নারী।
আরও পড়ুন: মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: আদালতে সাক্ষ্য দিলেন রিসোর্টের তিনজন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটির অ্যাডভোকেট রকিব উদ্দিন জানান, এই মামলায় এখন পর্যন্ত বাদি এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিশজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত আগামী ৬ জুন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক সাক্ষী আদালতে বলেছেন যে মামুনুল হক বাদি জান্নাত আরা ঝর্ণাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। বাদি নিজেই তা স্বীকার করে অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে আসামি মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নয়ন বলেন, যে দুজন সাক্ষী দিয়েছে তাদের জবানবন্দিতে কারও কথার সঙ্গে ঘটনার মিল নেই।
ন্যায়বিচার পেলে মামুনুল হক খালাস পাবে বলে তিনি দাবি করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল নয়টায় কঠোর নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সেই সাথে আদালতপাড়া জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ
ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
১ বছর আগে
ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ এর আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান এই মামলার অভিযোগ গঠন করেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল জেলার সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। ওই মামলায় গ্রেপ্তার মামুনুল হককে বুধবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে এদিন সকাল ১০টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। ঘটনার খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুরসহ স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা।
সেদিন রিসোর্টে মামুনুল জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ঘটনার প্রায় এক মাস পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ঝর্ণা।
আরও পড়ুন:মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর’ ধর্ষণ মামলা
মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী নিখোঁজ; পল্টন থানায় জিডি
মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা ডিবি হেফাজতে
৩ বছর আগে