সিসি ক্যামেরা
চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠোনে সহিংসতা ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম আল আজাদ, পরিদর্শক আবু জিহাদ খান, উপপরিদর্শক মেফাউল হাসানসহ আরও অনেক ছিলেন।
আরও পড়ুন: জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
জেলা পুলিশ জানায়, শহরের পুলিশ অফিস মেইনগেট, সিভিল সার্জন বাংলো, জেলা জজ সাহেবের বাংলো, শহীদ হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনে, পৌরসভার মোড়, টাউন ফুটবল মাঠ এলাকা, রেলস্টেশন, টিঅ্যান্ডটি মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, প্রেস ক্লাব মোড়, ডিসি অফিসের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোট ৫০টি হাই রেজুলেশন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরাগুলো পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, শহরের চুরি, ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। জেলা শহরের সরকারি স্থাপনাসমূহ ও কেপিআইগুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে ১২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিসি ক্যামেরা দ্বারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হাতে খড়ি শুরু হয়। কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে ২০১৮ সালে এগুলো অকেজো হয়ে যায়। এবার চুয়াডাঙ্গায় ৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল নজরদারি শুরু হলো।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় সিলেটের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি: সিইসি
১০ মাস আগে
সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জামাদি। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সরঞ্জামাদি বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
ইতোমধ্যে সিসিকের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, এরই মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: নিরাপত্তা রক্ষায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন
সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলেও, বৈরি আবহাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে জানান তিনি।
ফয়সল কাদের আরও জানান, ভোটের দিন সকাল ৮টা থেকে টানা ৪টা পর্যন্ত ভোট হবে ইভিএমে এবং কেন্দ্রে ভোট পরিস্থিতি এবারও সিসি ক্যামেরায় তদারকি করবে কমিশন।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
তিনি জানান, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনে পাঁচ স্তরের মধ্যে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নগরীর আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ শুরুর কথা থাকলেও প্রবল বৃষ্টির কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়। কেন্দ্রে নির্বাচনের সরঞ্জাম নিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, সিলেট সিটির নির্বাচনে মেয়র পদে ৮জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরা।
মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান ফয়সল কাদের।
তিনি জানান, সিটিতে ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার (২১ জুন) সিসিক নির্বাচনে বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডসহ ৪২টি ওয়ার্ডে ১৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।এবার ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই বিএনপির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় সিলেটের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি: সিইসি
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকল ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন, আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে সব কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো। কোন ভোটার যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে না পারেন তাহলে আপনারা চিৎকার করে দিবেন। আমরা সেখান থেকে বসে ব্যবস্থা নিব।
শনিবার (১০ জুন) সকালে নগরের মেন্দিবাগস্থ জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে সিলেট সিটিতে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সিইসি’র
ইভিএম প্রসঙ্গে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম নিয়ে অনেকেই অনেক কথাই বলেন। এটার কিন্তু পরীক্ষা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এর ভেতরে জ্বিন-ভূত-প্রেত থাকে বলেও অনেকে বলেছেন। কিন্তু আমরা এই রকম কোনো কিছু পাইনি। অনেক উজা-ঝাঁড়ফুক করেও কিছুই পাইনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আচরণবিধির অভিযোগ এলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।
পলিথিনে মোড়ানো ব্যানার-পোষ্টার নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা এতো নিষ্ঠুর হতে পারবো না। এটা নিয়ে আইন আছে। পুলিশ চাইলে পলিথিনে মোড়ানো ব্যানার-পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলতে পারে।
আর এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই জিনিসটা করা যাবে না।
প্রচারণায় ব্যাপারে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভবিষ্যতে প্রচারণার ধরন পাল্টে যেতে পারে। এটা সময়ের প্রয়োজনে হয়ে যাবে। তথ্যপ্রযুক্তি এতে যোগ হবে। প্রার্থীরা ফেসবুকে প্রচারণা চালাবে। এটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে আগামীতে কিভাবে প্রচারণার ধরন আনা যায়।
নির্বাচনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে মোট ৮ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম দলীয় প্রতীক (গোলাপফুল), স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) এবং মো. শাহজাহান মিয়া (বাস গাড়ি), মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।
আর কাউন্সিলর পদে ৩৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। আগে ২৭ ওয়ার্ড নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন থাকলেও বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ড নেয়ে সিসিকে এখন মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটর রয়েছেন ৬ জন।
আরও পড়ুন: সিইসি’র সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: সিইসি
১ বছর আগে
সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে আগের চেয়ে অনেক বেশি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলেছে।
ভোটারদের কম উপস্থিতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে আমরা দেখতাম। ভোটার কম আসাতে সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই কমিশনের।
কারণ ভোট দেয়াটা ভোটারদের অধিকার। এছাড়া সংশিষ্ট কর্মকর্তারাও যে যার দায়িত্ব পালন করেছে।
ভোটার কম আসার কারণ হিসাবে অবশ্য শৈত্যপ্রবাহ এবং প্রচন্ড শীতকে দায়ী করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে সিসিটিভি ক্যামেরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে কাজী আউয়াল বলেন, আজ অব্দি তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রতিটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাদের কাজে আমরা সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ থেকে যে কাজ করা যায় তারা সে উদহারণ তৈরি করেছে। আজকের নির্বাচনে তাই করেছে। এছাড়া ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থা তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করেনি।
তদন্তে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের পাঁচ উপপরিদর্শক (এসআই), ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কন্ট্রোল রুম থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
আসনটিতে মোট ১৭টি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৫টি। ভোটকক্ষ রয়েছে ৯৫২টি। মোট এক হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
গাইবান্ধার এ আসনে মোট ৩২টি চরাঞ্চল রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব ভোটকেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্র প্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
১ বছর আগে
গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগালে তো আর গোপন থাকে না: তথ্যমন্ত্রী
গাইবান্ধায় ভোটের সময় ভোট কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘গোপন কক্ষ, গোপন কক্ষই। সেখানে মানুষ গোপনে ভোট দেবে। কিন্তু সেখানে যদি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয় তাহলে তো সেটা গোপন থাকে না। এটা সাধারণ মানুষ ও আইনজ্ঞদের অভিমত।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির চট্টগ্রামের সমাবেশের চেয়ে জব্বারের বলি খেলায় বেশি ভিড় হয়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি এটা দেখে ও অন্যদের দেখায় তাহলে সেটা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো যেতে পারে। কিন্ত সেটা গোপন কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এতে ভোটারের ভোটার হিসেবে অধিকার লংঘন হয় বলে আইনজ্ঞরা বলছেন। আমি বলছি না আইনজ্ঞরা বলছেন। এটি সবার অভিমত।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতে পারে তবে কে কোথায় ভোট দিচ্ছে সেটা দেখলে কি সেটা গোপন থাকলো?’ কে কোথায় ভোট দিচ্ছে যদি আপনারা বসে দেখেন তাহলে প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে।
এছাড়াও অন্তত ১০টি পোর্টালে দেখেছি। সিসি ক্যামেরা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। যেখানে সমস্যা হয়েছে, সেখানে ভোট বন্ধ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ প্রমাণ করে কমিশনের সিদ্ধান্ত সবার ঊর্ধ্বে: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পূজা মণ্ডপে স্থায়ীভাবে আনসার সদস্যরা পাহারায় থাকবেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে সিসি টিভি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এসব পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূজা মণ্ডপের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী; এটা পুলিশ হতে পারে, হতে পারে আনসার, যেখানে যেটা প্রয়োজন সেখানে সেই ভাবে ব্যবস্থা করা হবে।
রবিবার সচিবালয়ে আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হবে। এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ৩২ হাজার ১৬৮টি। আমি অনুরোধ করেছি, এটা যেন আর না বাড়ে। যদি কমে আমাদের জন্য সুবিধা। তবে তারা (পূজা উদযাপন কমিটি)জানিয়েছেন দুই-চারটা কমাতে-বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, আমরা বলে দিয়েছি, প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে যেন তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকেন। স্বেচ্ছ্বাসেবক নিশ্চিত চেনার জন্য তাদের বাহুতে যাতে আর্ম ব্যান্ড থাকে। পুলিশ যাতে দেখে নিশ্চিত হতে পারে যে তারা (স্বেচ্ছাসেবক) সেখানে আছেন।
মন্ত্রী বলেন, গত বছর কোভিডের জন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ পুলিশ রেখেছিলাম। এবার আমরা বলছি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে আনসার বাহিনী স্থায়ীভাবে থাকবে। তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পূজা উদযাপনকারীরা সমস্ত মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক রাখবেন। তাদের আর্ম ব্যান্ড থাকবে, যাতে আমরা নিশ্চিত হতে পারি কারা স্বেচ্ছাসেবক। সে জন্য আর্ম ব্যান্ড পরার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গত বছর কুমিল্লার একটি পূজা মণ্ডপে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রেক্ষিতে এ বছর পূজা উপলক্ষে বিশেষ কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি মনে করি কোন পূজামণ্ডপে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নেবো।
তিনি আরও বলেন, ‘বড় বড় পূজা মণ্ডপে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী টহলে থাকবে। পূজা মণ্ডপে আসা নারী ও শিশু দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নারী ও শিশুদের উত্ত্যক্তকরণ, ইভটিজিং, মাদক সেবন রোধে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার রোধে পূজা উদযাপন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে। যে কোনো ইমারজেন্সিতে ৯৯৯ জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূজা মণ্ডপকে কেন্দ্র করে; বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার নবাবপুরসহ সারাদেশে যেন যানজট সৃষ্টি না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার ও গুজব রোধে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। এই ধরনের অপচেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থার মুখোমুখি হবে।
তিনি বলেন, প্রতি মণ্ডপে পুরুষ-নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমন পথ রাখতে হবে। পুলিশ সদর দপ্তর বিভাগীয় জেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নাম্বার পূজা উদযাপন কমিটি এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে থাকবে। আজান ও নামাজের সময় মসজিদের পার্শ্ববর্তী মণ্ডপগুলোতে পূজা চলাকালীন এবং বিসর্জনের সময় যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পূজা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুয়া ও মাদক সেবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পূজা মণ্ডপে অগ্নি নির্বাপকসহ যে কোন দুর্ঘটনা রোধে ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত থাকবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব চলাকালে ঢাকাসহ সারাদেশে বিসর্জনের সময় ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ডুবুরি থাকবে। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত পূজা মণ্ডপে কোস্টগার্ড নিরাপত্তা প্রদান করবে, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের সঙ্গে থাকবে। দুষ্কৃতিকারীদের অশুভ তৎপরতারোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় থাকবে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে এমআরপি পুনরায় চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ পুলিশ, সংস্থা ও জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সকলের সমন্বয় প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে শিক্ষার আলোকবর্তিকা
শিশুদের শিক্ষার জন্য বই-পুস্তক ও শিক্ষাগুরুর পাশাপাশি কোন পরিবেশে তারা পড়াশোনা করছে সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার সার্বজনীন প্ল্যাটফর্মটি হওয়া উচিত মুক্তমনা ও আনন্দপূর্ণ। জীবনের এই প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ পরবর্তীতে যে কোন উচ্চ শিক্ষার জন্য মেধা ও মননের ভিতটা মজবুত করে। ঠিক তেমনি এক অভাবনীয় আদর্শের নাম চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সাধ্যের মত যতটুকু সম্ভব ততটুকু দিয়ে যে একটা স্কুলকেও দৃষ্টিনন্দন করে তোলা যায়, তা এই বিদ্যালয়টিকে না দেখলে বিঃশ্বাস হয়না। চলুন, এই অসাধারণ স্থাপনশৈলীতে সমৃদ্ধ এই স্কুলটি নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের নয়নাভিরাম বিদ্যাপীঠ
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের শান্ত গ্রাম চরভিটায় গড়ে ওঠা ব্যতিক্রমধর্মী এক বিদ্যাপীঠ ‘চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। শহরের পিচঢালা পথ ছাড়িয়ে চরভিটার আঁকাবাঁকা পথ ধরে এগোলে ভারতের সীমান্তের প্রায় দুই কিলোমিটার আগেই দেখা মেলে কারুকার্যমন্ডিত প্রাচীর ঘেরা এই বিদ্যাপীঠের। রঙ-বেরঙের প্রচ্ছদের ভবন সমৃদ্ধ খোলামেলা জায়গাটি সূর্যের আলোয় যেমন ঝলমলিয়ে ওঠে, রাতের ল্যাম্পশেডের আলোয় ঠিক তেমনি পরিণত হয় এক নিভৃত নিসর্গে।
এর নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে প্রায়ই এখানে ভীড় করেন অনেক দর্শনার্থী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত রবিবার
ছাত্র-ছাত্রীদের বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র
এখানে শিশুদের বিনোদনের জন্য বানানো হয়েছে শিশুপার্ক ও ছোট্ট চিড়িয়াখানা। খেলার মাঠ, দোলনা, গরুর গাড়ি আর পুকুরের নৌকা প্রতিদিনি মুখর হয়ে থাকে শিশুদের কোলাহলে। দেয়ালগুলো পরিপূর্ণ স্বাধীনতার মহান পুরুষদের প্রতিকৃতি, কবি সাহিত্যিকদের উক্তি এবং বিভিন্ন প্রাণীর ছবিতে। ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ ও বৃত্তাকার আকৃতি দেয়া হয়েছে ফুলের গাছগুলোতে।
মিনি চিড়িয়াখানায় রঙবেরঙের ফুল গাছের মাঝে ঊঁকি দেয় হাতি, ঘোড়া, হরিণ, জিরাফ, বক, ও ময়ূরের নিষ্প্রাণ চাহনীগুলো। আরও দেখা যায় খরগোশ, টার্কি, টিয়া, ঘুঘু, তিতির, কবুতর, রাজহাঁস, পাতিহাঁস ও চিনাহাঁস।
খড়-বাঁশের ঘর থেকে পূর্ণাঙ্গ স্কুলে পরিণত হওয়ার গল্প
২০০০ সালে বকুয়ার বহরমপুর বাজারে ছিলো এরফান আলীর চা-নাশতার দোকান। পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিনে দু-তিনবার করে তিনি চা দিয়ে আসতেন। উচ্চ-মাধ্যমিক পাস করা এরফানের স্বপ্ন ছিলো শিক্ষক হওয়ার। ২০০১ সালে ছেলের স্বপ্নের কথা শুনে নিজের জমির ৩৩ শতাংশ জায়গা পরিষ্কার করে খড়-বাঁশের তিনটি স্কুলঘর উঠান বাবা নুরুল ইসলাম। গোড়াপত্তন হলেও সেটাকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া ছিলো বেশ দুষ্কর।
২০০৮ সালে স্নাতক পাসের পর ২০১১ সালে তার দায়িত্ব নেন এরফান আলী। সে বছরই পাঠদানের অনুমতি পেয়ে যায় বিদ্যালয়টি।
আরও পড়ুন: ঢাবি কর্তৃপক্ষকে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
প্রথমে বিনা বেতনে পড়ানোর জন্য কোন শিক্ষক না পেয়ে এরফান আলী তার স্ত্রী ও তিন বোনকে নিয়ে নিজেই বাচ্চাদের পড়াতে লেগে যান। গ্রামের এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরে ঘুরে তারা ছাত্র-ছাত্রী যোগাড় করতেন।
২০১৩ সাল নাগাদ স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫০-এ দাড়ালো, কিন্তু তাদের মধ্যে নিয়মিত ছিলো ৫০ থেকে ৬০ জন। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা যেন ঝড়ে না যায়, সেজন্যে ২০১৪ সালে শুরু করা হয় দুপুরে খাওয়ার কার্যক্রম।
স্কুল ভবনের পাশের পুকুরে মাছ ও হাঁস চাষ, ভবনের চারপাশে পেঁপে চাষ করে সপ্তাহের দুই দিন দুপুরের খাবার চালিয়ে যান এরফান আলী। এই কৃষি কাজে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও সাহায্য করেছে। এরপরেও দুপুরের খাবার চালানোটা যখন প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিলো, তখনি মুষ্টির চাল দিয়ে উদ্যোগটাকে চালু রাখলেন বাচ্চাদের অভিভাবকরা।
সাধারণত ডে মিলের জন্য প্রতি মাসে খরচ পড়তো ৩০ থেকে ৩৩ হাজার টাকা। তাই একটা নির্ভরযোগ্য স্থায়ী আয়ের খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিলো। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম নিজের এক বিঘা জমি ও ছয় বিঘার একটি পুকুর সাময়িকভাবে বিদ্যালয়ের ব্যবহারের জন্য দান করেন। এছাড়া খাবার তৈরির জন্য প্রতি মাসের প্রয়োজনীয় লবণ ও তেলও সরবরাহ করেন তিনি।
এছাড়াও সে সময়ে বকুয়ার চেয়ারম্যান আবু তাহের ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি মো. কলিমউদ্দিন সহ গ্রামের আরও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে এলেন মিড ডে মিল-এর সাহায্যার্থে।
আরও পড়ুন: ফ্লাই ডাইনিং: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাংলাদেশের প্রথম ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট
ছাত্র-শিক্ষকের যৌথ প্রচেষ্টায় চলতে থাকলো পুকুরে হাঁস আর দুই বিঘা জমিতে সবজি চাষ। এ থেকে উপার্জিত টাকার পুরোটাই জমা হত মিড ডে মিলের তহবিলে।
ফলশ্রুতিতে ক্লাসে নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৫ শতাংশে। ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর স্কুলটি সে সময়ের প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান লাভ করে।
চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সার্বিক অবকাঠামো
স্কুল কাঠামোর অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখে পেরিয়ে গেছে দশটি বছর। একদম শুরুর দিকে এলাকাবাসীর সহায়তায় বিদ্যালয়ের চারপাশ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিলো প্রাচীর। পরবর্তীতে স্কুলের নিজ অর্থায়নে দ্বিতল ভবনের ছাদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কম্পিউটার ল্যাব। স্কুল ভবনের উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে হাঁস-মুরগির খামার ও বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব লাইব্রেরি। পশ্চিম পাশে বানানো হয়েছে সিসি ক্যামেরাযুক্ত কন্ট্রোল রুম, মসজিদ, মাছ চাষের পুকুর ও সততা ক্যান্টিন। ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আছে পৃথক পৃথক স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট।
২০১৬ সালে স্কুলটির জাতীয়করণের ঘোষণার পর সরকারের পক্ষ থেকে এককালীন অনুদান পাওয়ায় বিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নের কাজ আরও গতিশীল হয়।
২০২০ সালে স্কুলটিতে চার তলা ফাউন্ডেশনের উপর চার কক্ষের একটি নতুন ভবন তৈরী করা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৪২০ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা সাতজন। স্কুলের একদম শুরু থেকে সবার প্রিয় শিক্ষক এরফান আলী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দশটি প্রাচীন মসজিদ: দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
২ বছর আগে
হাজিগঞ্জে মন্দিরে হামলার দায় স্বীকার মাদরাসা প্রভাষকের
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত ১৩ অক্টোবর পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মাদরাসার প্রভাষক কামালউদ্দিন আব্বাসী।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ কামালউদ্দিনকে আদালতে এই জবানবন্দি দেন তিনি। আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
কামালউদ্দিনের বাড়ি উপজেলার টামটা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আনা হয়েছে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেনকে
গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে জানা যায়, কামালউদ্দিন জামায়াতের রাজনীতির সাথে সক্রিয়।
ঘটনার সময় পূজামণ্ডপ ও মন্দিরের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, এই আব্বাসীর নেতৃত্বেই হামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে রাত ৮টার পর হাজীগঞ্জ বাজার মন্দিরে হামলা করে একদল বিক্ষুব্ধ দুর্বৃত্ত। ওই ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীদের সাথে সংর্ঘষ হয়।এতে ঘটনাস্থলে তিনজনসহ মোট পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
হাজিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা (ওসি)হারুনুর রশিদ ইউএনবিকে জানান, এ ঘটনায় পরে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্ত মণ্ডপের লোকজন আটটি মামলা করেন। এসব মামলার জ্ঞাত ও অজ্ঞাত প্রায় আড়াই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
তিনি আরও জানান, এদের মধ্যে আজ পর্যন্ত কামালউদ্দিন আব্বাসীসহ ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, হাজীগঞ্জের ঘটনার আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
বেনাপোল স্থলবন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু
বেনাপোল স্থলবন্দরে অবশেষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার কাজ শুরু হয়েছে। বন্দর স্থাপনের ৪৮ বছর পর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।
১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরো বন্দর এলাকায় ৩৭৫টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও সিসি ক্যামেরা স্থাপনে খুশি ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: লকডাউন: বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, সিসি ক্যামেরা যেমন বন্দরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তেমনি পণ্য আমদানি থেকে শুরু করে খালাস পর্যন্ত বাণিজ্যক কার্যক্রম পুরোটা বন্দরের নজরদারিতে থাকবে।
বন্দর সূত্র জানায়, ১৯৭২ সালের শুরুর দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু। দেশের স্থলপথে যে বাণিজ্য হয় তার ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে বেনাপোল কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনেক আগেই সিসি ক্যামেরার আওতায় আসলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরটি এতোদিন সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল না। এতে বন্দর থেকে পণ্য চুরি, মাদক পাচার, রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড, চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের হাতে বন্দরের নিরাপত্তা কর্মী হত্যাসহ নানান অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে আসছিল। এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ থাকলেও কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে এতোদিন সীমাবদ্ধ ছিল সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও খোলা ছিল বেনাপোল কাস্টম হাউস
বন্দরের বাইপাস সড়ক, পণ্যগার, ভারতীয় ট্রাক ও চ্যাচিস টার্মিনাল, আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল, ঢাকা-কলকাতা মহাসড়কসহ বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বসছে ৩৭৫টি আধুনিক মানের সিসি ক্যামেরা। প্রথম পর্যায়ে মাটির নিচ দিয়ে ক্যাবল সংযোগ ও প্লার নির্মাণের কাজ চলছে। স্মার্ট টেকনোলজি নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তদারকিতে কাজ চলছে।
পণ্য বহনকারী ট্রাক চালক বাবু মিয়া জানান, চোরের উৎপাতে বন্দরে ট্রাক রেখে দুশ্চিন্তায় ঘুম হতো না। ট্রাকের ব্যাটারি, চাকা ও মালামাল চুরি হতো। এখন সিসি ক্যামেনা স্থাপনে সে ভীতি থেকে রক্ষা হবে।
বেনাপোলের আমদানিকারক আব্দুল লতিফ জানান, বন্দর থেকে আমদানি পণ্য চুরি হয়ে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ীরা এ পথে আমদানি বন্ধ করেছেন। ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আগে থেকে সিসি ক্যামেরা থাকলে এমন চুরি হতো না।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক
বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে ৪০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি সিসি ক্যামেরার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এতে বন্দরে পণ্য চুরিসহ নানান অব্যবস্থাপনা রোধ ও আমদানি পণ্যের নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ব্যবসাযীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বন্দরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর। এখন তা স্থাপনের কাজ চলছে। সিসি ক্যামেরা যেমন বন্দরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তেমনি পণ্য আমদানি থেকে শুরু করে খালাস পর্যন্ত বাণিজ্যক কার্যক্রম পুরোটা বন্দরের নজরদারিতে থাকবে।
৩ বছর আগে
ভাসানচরে উৎসুক জনতা যেতে পারবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রয়োজন ছাড়া কোনো উৎসুক জনতা ভাসানচরে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
৩ বছর আগে