সেই সাথে তিনি দলে বিভক্তি দেখা দেয়ায়, দলীয় নেতাদের তরুণ এবং নারীদের সমন্বয়ে তৃণমূলকে সংগঠিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ড. কামাল বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র কার্যকর করতে হবে। গণতন্ত্র কেবল বইয়ের পাতায় থাকা উচিত নয়। মানুষদের অধিকার ভোগ করার সুযোগ তৈরি করা উচিত।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, মানুষ যদি তাদের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয় তাহলে তারা তাদের অধিকারগুলো কার্যকরভাবে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।
গণফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে পারি, তাহলে আমরা দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্যগুলোকে বাস্তবে রূপান্তর করতে সক্ষম হব।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রত্যেক জেলায় দলকে সংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘দলে তরুণদের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন এবং দলের পক্ষে সারা দেশে জনসভা করুন। গণফোরামের নীতি ও আদর্শ জনগণের সামনে উপস্থাপন করুন।’
তিনি বলেন, ‘দলের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। এ সদস্য শুধু নামকা ওয়াস্তে চাঁদা নেয়ার জন্য নয়, যাদের সদস্য করা হবে তাদের সত্যিকার অর্থে পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা দেখেছি, জেলায় জেলায় নেতারা বলেছেন, অনেক মানুষ আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসছেন গণফোরামের সদস্য হওয়ার জন্য। এটা খুব ভালো লক্ষণ।’
পরে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির এ সভায় মোস্তফা মহসিন মন্টু ও অধ্যাপক আবু সাইয়িদসহ আটজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
সভায় আগামী ১২ ডিসেম্বর দলের জাতীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।
বিভিন্ন জেলা থেকে আগত গণফোরামের প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সভায় বক্তব্য দেন।