খালাস
৪ মামলায় খালাস পেয়েছেন ইসলামিক বক্তা মাদানী
রাজধানীর পৃথক চার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় খালাস পেয়েছেন আলোচিত ইসলামিক বক্তা (শিশুবক্তা) রফিকুল ইসলাম মাদানী।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মাদনীর আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী বলেন, এসব মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসায় এবং পূর্বের দেওয়া সাক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় আমরা আদালতে তার খালাস চেয়ে আবেদন করি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে এসব মিথ্যা মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত
এদিকে খালাস পাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, মামলার ঘানি টানা কষ্টকর। আমার বিরুদ্ধে মোট ৭টি মামলার মধ্যে শেখ হাসিনার পতনের পর বুধবার চার মামলায় খালাস পেলাম। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় তার সবগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞ, তিনি বলেছেন আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সব ভুয়া। তাই আদালতে চলা সবগুলো মামলা থেকে আমাকে খালাস দিয়েছেন। আমি অনেক খুশি এবং দোয়া করি এ দেশের প্রত্যেক আলেম যেন মিথ্যা সকল মামলা থেকে মুক্তি পান।
জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলামসহ ৫ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ এর সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।
২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বছরের ৭ এপ্রিল নেত্রকোণা থেকে মাদানীকে আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো হাজী সেলিমকে
২ সপ্তাহ আগে
৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন বাবর
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর বাবরকে ৫ বছর ও ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
সাজার রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর আপিল করেন বাবর। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রায় দেওয়া হলো।
বাবরের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এ কে এম ফজলুল হক।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘হাইকোর্ট বাবরের করা আপিল মঞ্জুর ও বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে রায় দিয়েছেন। ফলে তিনি সাজা থেকে খালাস পেলেন। তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি মামলা রয়েছে। তাই তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।’
২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাবরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ১৬ জুলাই দুদক বাবরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০৮ সালের ১২ আগস্ট অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ৪ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
৪ সপ্তাহ আগে
মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক-ফখরুলসহ ৫ জন
পাঁচ বছর আগে আওয়ামী লীগ নিয়ে মানহানির অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
একইসঙ্গে এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক আরাফাতুল রাকিব এ আদেশ দেন। তারেক রহমানের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রবিবার এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। তবে দীর্ঘদিন কোনো সাক্ষী আসেনি। এজন্য আসামিপক্ষে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত ২৪৭ ধারায় তাদের মামলা থেকে খালাস দেন। এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে চাকরির সন্ধানে এসে মিয়ানমারের নাগরিক আটক
১ মাস আগে
৫ মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়াসহ মানহানিসংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত ৪টি এবং তোফাজ্জল হোসেনের আদালত একটি মামলা খারিজ করে তাকে খালাসের আদেশ দেন।
এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মামলা থেকে খালাসের আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ
এদিন মামলাগুলো শুনানির জন্য ছিল। তবে মামলার বাদীরা আদালতে হাজির হননি। কয়েকটি মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী মারা গেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকী মানহানির মামলা করেন।
এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির স্থায়ী কমেটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকী আরেকটি মামলা করেন।
একই বছরের ৩ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানি ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এবি সিদ্দিকী আরও একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর সচল খালেদা জিয়ার সব ব্যাংক হিসাব
২ মাস আগে
হাইকোর্টে খালাস পেলেন ‘ভূমির কুতুব’
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (২৯ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর একক বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: অফিস আদালত খুললেও ঢাকা এখনো ছুটির মেজাজে
এর আগে ওই মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন কুতুব উদ্দিন আহমেদ। আপিলের শুনানি শেষে ২৩ মে রায়ের জন্য বুধবার আজকের দিন ঠিক করেন আদালত।
আদালতে কুতুব উদ্দিনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট কুতুব উদ্দিনকে খালাস দিয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
এ মামলায় ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কুতুব উদ্দিন আহমেদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২২ সালের ১৬ মার্চ নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে কুতুবের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল গুলশান থানায় কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তার শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে বরাদ্দ করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আদালতের
৫ মাস আগে
পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি আমদানি করা ৯০ টন পেঁয়াজ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ৯০ টন পেঁয়াজ পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি। ফলে অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে।
গত ৫ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে করে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি)। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি পেঁয়াজের চালানটি। ফলে পেঁয়াজগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ নিরীক্ষক কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে চার দিন আগে আসে। গাড়িতে ৯০ টন পেঁয়াজ রয়েছে।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার সন্তোস মণ্ডল বলেন, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে এসে বসে আছি। পেঁয়াজগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কেউ আনলোড করতে আসছে না। কবে নাগাদ খালাস হবে সেটাও জানতে পারছি না, খালাসের জন্য কোনো আমদানিকারকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। পণ্য চালানটি খালাসের দায়িত্বে আছে কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজ নামে একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত পাঁচ দিন আগে থেকে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়ে বন্দরে পড়ে আছে। পেঁয়াজের চালান খালাস না হওয়ায় তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
১১ মাস আগে
ফিলিপাইনের নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা কর ফাঁকির মামলায় খালাস
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া রেসা মঙ্গলবার চূড়ান্ত কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেয়েছেন, যদিও তিনি এখনও দু’টি অবশিষ্ট আইনি মামলার মুখোমুখি রয়েছেন।
রেসা ও তার অনলাইন সংবাদ সংস্থা র্যাপলারের বিরুদ্ধে ৫টি কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হলেও গত জানুয়ারিতে একটি আদালত এর মধ্য থেকে ৪টি অভিযোগ থেকে খালাস দেন। অন্য একটি আদালত পঞ্চম অভিযোগের শুনানি করে মঙ্গলবার তাকে খালাস দেন।
আদালত প্রাঙ্গনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সত্যের জয়, ন্যায়বিচারের জয়।’
রেসা ও রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতোভ তাদের সংবাদ সংস্থাগুলোর অস্তিত্বের জন্য লড়াই করে এবং তাদের বন্ধ করার সরকারি প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রচেষ্টার জন্য ২০২১ সালের নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন।
তিনি বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কারণ র্যাপলার অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে দুতার্তে'র নৃশংস অভিযানের সমালোচনা করেছিলেন, যার ফলে হাজার হাজার ক্ষুদ্র মাদক সন্দেহভাজন নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ-শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার পথ হলো শিক্ষা: জাতিসংঘ মহাসচিব
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই অভিযানকে মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছেন।
র্যাপলার করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দুতার্তে'র সমালোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘায়িত লকডাউন, যা দারিদ্র্যকে আরও গভীর করে তোলে, দেশের অন্যতম খারাপ মন্দা সৃষ্টি করে এবং সরকারি চিকিৎসা কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিপাইনের নতুন নেতা ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অধীনে ‘ভয় দূর করা’ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যিনি ১৯৮৬ সালে সেনা-সমর্থিত ‘জনশক্তি’ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের নামপুত্র।
রেসা এখনও অনলাইন মানহানির দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করছেন, যখন র্যাপলার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের জারি করা একটি বন্ধের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে। এই খালাস এখন বিচার ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার, রাজনৈতিক হয়রানি সত্ত্বেও, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ সত্ত্বেও আদালতে আত্মসমর্পণ করার আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করেছে। এটি দেখায় যে আদালত ব্যবস্থা কাজ করে এবং আমরা আশা করি বাকি অভিযোগগুলো খারিজ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
১ বছর আগে
ধর্ষণ মামলা: ৬২ বছরে আসামি, ৮৫ বছরে খালাস
‘আমি যখন মামলার আসামি হই, তখন আমার বয়স ছিল ৬২ বছর। মনে মনে ভাবতাম আসামি হয়েই হয়তো মরতে হবে। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যে মৃত্যুর আগেই আমাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।’
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল হবিগঞ্জ-১ এর রায়ে খালাস পেয়ে আইনজীবীর কক্ষে বসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কথাগুলো বলছিলেন প্রায় ৮৪ বছরের বৃদ্ধ দরছ মিয়া।
বিচারক সুদীপ্ত দাশ ধর্ষণ মামলার দায় থেকে তাকে বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ-হত্যা: দিহানের জামিন আবেদন খারিজ
তিনি বলেন, ‘কবরে যাওযার বয়সে এসে ধর্ষণের মতো একটা খারাপ মামলায় জড়িয়ে পড়ায় ছেলে মেয়ে নাতি নাতনীদের কাছে নিজেকে খুব ছোট মনে হতো।’
দরছ মিয়ার বাড়ি বাহুবলের পুটিজুরী ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুর গ্রামে। পেশায় কৃষক।
তাঁর পাঁচ ছেলে চার মেয়ে। আছে ১২ জন নাতি নাতনী।
১৯৯৯ সালে ১৮ জুলাই আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা হয় তিনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। মামলাটি করেন একই গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী লতিফা বিবি।
ওই মামলায় অপর দুই আসামি হলেন-দরছ মিয়ার খালাতো ভাই মঙ্গলকাপন গ্রামের বুলু মিয়া এবং একই গ্রামের জনৈক ইমান উল্লা (৩৫)।
মামলার ঘটনার সময় ১৯৩৭ সালে জন্ম নেয়া দরছ মিয়ার বয়স ছিল ৬২ বছর।
দরছ মিয়া বলেন, লতিফার স্বামী রাজা মিয়া তার এক কন্যাকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। বিয়ে মেনে না নেযায় রাজা মিয়া আমার বিরুদ্ধে এর আগে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্থা করে। পরবর্তীতে তার কন্যা স্বামীর সংসার থেকে চলে আসে। রাজা মিয়া পেশায় একজন গাছচোর ও জুয়ারী ছিল।
তিনি বলেন, গ্রামের কতিপয় অসৎ লোকের সহযোগিতায় রাজা মিয়ার বর্তমান স্ত্রী লতিফা বিবি বাদী হয়ে ১৯৯৯ সালের ২১ জুলাই আদালতে ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইনে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ওই বছরের ১৮ জুলাই রাতে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে দরছ মিয়া, বুলু মিয়া ও ইমান আলী তাকে ধরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
২০০১ সালের ২৪ জানুয়ারি পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। মামলা চলাবস্থায় গত দুই বছর আগে আসামি বুলু মিয়া মারা যান।
দরছ মিয়া জানান, প্রায় ২৪ বছর আইনী লড়াইয়ে ১০/১২ একর জমি বিক্রি করতে হয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বাদী লতিফা বিবি ভাল নেই। এখন স্বামী হত্যা মামলায় ছেলে জুয়েলকে নিয়ে নিজেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নাটোরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে রেলের ১৫টি বগি
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে পদ্মা সেতুর জন্য চীন থেকে আনা রেলের ১৫টি বগি ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। বন্দরের ১২ নম্বর জেটিতে রবিবার এ সকল বগিগুলোর খালাস কার্যক্রম চলে।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও ৮৫টি বগি ধারাবাহিকভাবে আসবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা হয় সাতটি। এর আগে শনিবার খালাস হয় আটটি ওয়াগন।
জাহাজ থেকে এসব ওয়াগন জেটিতে রেল ট্র্যাকে নামানো হয়। এরপর ইঞ্জিন লাগিয়ে বন্দর থেকে খালাস করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘টয়ো ওয়ার্ল্ড’ দু’দিন আগে চীন থেকে ১৫টি বগি নিয়ে প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। শনিবার থেকে শুরু হয় এসব পণ্য খালাস কার্যক্রম।
ক্রেনের সহায়তায় বগিগুলো জেটিতে নামানোর পর বিশেষ ওয়াগনে করে সিজিপিওয়াই ইয়ার্ডে নেয়া হচ্ছে।
সেখান থেকে যন্ত্রপাতি ফিটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে ঢাকার সৈয়দপুর রেল কারখানায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, জাহাজ ‘টয়ো ওয়ার্ল্ড’ নামে জাহাজে করে চীন থেকে আনা ১৫টি বগি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। খালাসের কাজও শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
১ বছর আগে
মানহানির মামলা থেকে খালাস পেলেন ইউএনবি’র চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
মানহানির একটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন সংবাদ সংস্থা ইউএনবি’র চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাঠক ডট নিউজ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিল্পীসহ চারজন।
শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার এক গৃহবধূর পক্ষে পাঠক ডট নিউজসহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের জেরে সীতাকুণ্ডের নূরুল আলমের করা মানহানির মামলা রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে খারিজ করে দিয়ে মামলা থেকে চারজনকে আব্যাহতি দেন চট্টগ্রাম বিচারিক হাকিম আদালত ১ম এর বিচারক বেগম জিহান সানজিদা।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন
সাংবাদিকদের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী মানবাধিকার নেতা অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান বলেন, মামলাটি মূলত সাংবাদিকদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছিল। যে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে সে মোতাবেক আইনের ধারা অনুসরণ করা হয়নি। আমরা বিজ্ঞ আদালতে তা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। আদালত আমাদের আবেদন আমলে নিয়ে মামলাটি খালাস করে দেন।
তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা বা আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রেস কাউন্সিল রয়েছে। মানুষ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ না করে শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য সিভিল আদালতে মামলা করে। এটি একটি খারাপ নজির।
খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- ‘উইমেন ভয়েস বিডি ডট কম এর সম্পাদক সৈয়দা সাজিয়া আরফিন ও সাংবাদিক সৈয়দা ফাতেমাতুজ জোহরা ও নির্যাতিতা গৃহবধূ ফারজানা আক্তার।
সাংবাদিকদের পক্ষে আদালতে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট এ, এম জিয়া হাবীব আহসান, অ্যাডভোকেট এ এই এম জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট এম হাসান আলী, অ্যাডভোকেট মো. বদরুল হাসান, অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমানসহ অসংখ্য আইনজীবী।
আরও পড়ুন: ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত চলবে: আপিল বিভাগ
পাবনায় বিএনপির ১৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে