খালাস
দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন ফালু
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালু।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রবিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এই রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘ফালুর বিরুদ্ধে করা মামলার কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন।’
বিচারক আরও বলেন, ‘ফালুর যদি অবৈধ সম্পদ থাকে, সেটা তো অবরুদ্ধ করতে হতো। সেটাও তো করা হয়নি। সুতরাং এ মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়া হলো।’
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমদ আলী সালামি রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় স্ত্রীসহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ফালু। রায়ের পর হাসিমুখে নেতাকর্মীদের অভিনন্দন গ্রহণ করেন তিনি। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি বিএনপির এই নেতা।
২০০৭ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থানায় সাবেক সংসদ সদস্য ফালু ও তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: মডেল মেঘনার আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্টের রুল
এরপর ফালু ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। যেকারণে দীর্ঘদিন এ মামলার বিচারকাজ বন্ধ থাকে।
পরে হাইকোর্ট ফালুর স্ত্রীর মামলা গ্রহণ করে তাকে অব্যাহতি দেন। তবে তার আবেদন খারিজ করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২৭ অগাস্ট মামলাটির অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুদকের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পেয়ে ২০০৭ সালের ১ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন ফালু। মামলার তদন্তে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পায় দুদক।
২০০৪ সালে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন ফালু। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। এরপরে আওয়ামী লীগ সরকার থাকার সময় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
৪ দিন আগে
আরেক মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
বসুন্ধরা গ্রুপের তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সাব্বির আহমেদ হত্যা মামলার আসামিদের বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহেরের আদালত এ রায় দেন।
খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন-বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম ও তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান, আবু সুফিয়ান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সহকারি সচিব (এপিএস) মিয়া নুরুদ্দিন অপু।
এদিন আবু সুফিয়ান, কাজী সলিমুল হক কামাল আদালতে হাজির ছিলেন। জামিনে থাকা অপর আসামিদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আলহাজ বোরহান উদ্দিন খালাসের তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক, বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক ও বাবর।
৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই হত্যা রহস্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা গ্রহণ করেন।
এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হাওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের পিএস অপুকে বুঝিয়ে দেন। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন।
বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে দেন। ওই বছরের ১৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২৮ দিন আগে
অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে বাবরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৮ মে বাবরের গুলশানের বাসার শোয়ার ঘর থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করার অভিযোগে একই বছরের ৩ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
বিচার শেষে একই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর নয় নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে ২০০৭ সালেই আপিল করেন। এ মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। এই রুল নিষ্পত্তি করে আজ হাইকোর্ট তার সাজা বাতিল করে রায় দেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে প্রায় ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির এই নেতা।
এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। সেসব মামলা থেকে খালাস ও জামিনের পর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
২৯ দিন আগে
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
প্রায় ১১ বছর আগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১০ মার্চ) বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আফজাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তারেক রহমানবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর, ঘৃণ্য এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
পাবলিক প্রসিকিউটর ও যশোর বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, প্রথমে মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে গেলেও পরে তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেকের
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে আইন অনুসারে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা কেবল তখনই দায়ের করা যেতে পারে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধের সময় রাষ্ট্রে কোনো সরকারি পদে থাকেন। যেহেতু শেখ মুজিবুর রহমান তখন সরকারি কোনো পদে ছিলেন না, সেহেতু মামলাটি অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
এর আগে মামলাটি খারিজ চেয়ে করা একটি আবেদন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু রিভিশন শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালত তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করে মামলাটি খারিজ করে দেন।
৩৮ দিন আগে
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা বহাল রয়েছে আপিল বিভাগেও।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৩ মার্চ) জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ৩ মার্চ
এদিন আপিলের শুনানির জন্য ২ মার্চ ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
এর আগে, ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ শুনানি হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এরপর কারান্তরীণ অবস্থায়ই ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর ও ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার নাশকতা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। তবে এরই মাঝে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন জানায়। পরে কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রাখে সরকার।
গত ৩ নভেম্বর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান। এ কারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চেয়েছি।
৪৫ দিন আগে
ফারুক হত্যাকাণ্ড: ২ জনের যাবজ্জীবন, খান পরিবারের সবাই খালাস
টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও এক বছর করে বিনাশ্রাম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাসহ খান তার পরিবারের সবাই এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন— টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিসিক তারুটিয়া গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে কবির হোসেন কবির ও শহরের দক্ষিণ কলেজপাড়ার মো. রমজান ড্রাইভারের ছেলে মোহাম্মদ আলী। তারা দুজনেই পলাতক রয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন— সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, বাবু ওরফে দাঁতভাঙ্গা বাবু, আলমগীর হোসেন চান, নাসির উদ্দিন নুরু, ছানোয়ার হোসেন ছানু, মাসুদুর রহমান ও ফরিদ আহাম্মেদ।
রায় ঘোষণার সময় মুক্তি, দাঁতভাঙ্গা বাবু ও নাসির উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সহিদুর রহমান খান মুক্তি অন্য একটি মামলায় জেলহাজতে থাকায় এই মামলায় মুক্তি মিললেও রায় ঘোষণার পর আবার তাকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইদুর রহমান স্বপন বলেন, এ মামলায় ২৭ জন সাক্ষি আদালতে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জেরা করেন। এরপর বিজ্ঞ আদালত দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ জনকে খালাস দিয়েছেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার তিনদিন পর ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারীসহ দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২০১৪ সালের অগাস্টে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী খান পরিবারের চার ভাই আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাকন ও সানিয়াত খান বাপ্পার নাম উঠে আসে। তখনই তারা আত্মগোপনে চলে যান।
একপর্যায়ে আমানুর রহমান খান রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিন বছর পর জামিনে মুক্ত হন। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আবার আত্মগোপনে চলে যান। এছাড়া তার অপর দুই ভাই কাকন ও বাপ্পা ২০১৪ সাল থেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল ডিবির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে দুই আসামি আনিছুর রহমান ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ সমির কারাগারে মারা যান। মামলা চলাকালে বাদী নাহার আহমেদেরও মৃত্যু হয়।
৭৪ দিন আগে
১১ বছর পর খালাস পেলেন সিলেট বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী
দীর্ঘ ১১ বছর পর বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন সিলেট বিয়ানীবাজার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৬১ জন নেতাকর্মী।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক এই মামলা থেকে তাদের খালাস ঘোষণা করে রায় দেন।
খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল, শিশুবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল খান, প্রচার সম্পাদক ফয়েজ আহমদ, জেলা যুবদল নেতা আবুল কালাম, পৌর যুবদল নেতা জানে আলম ও ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিনসহ ৬১ জন নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ জন খালাস
বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন জানান, ২০১৫ সালে বিয়ানীবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, এ মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম খান। মামলার সকল আসামি কারাবরণ করেছেন বলেও জানান তিনি।
১০১ দিন আগে
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ জন খালাস
চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ মামলায় ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) প্রধান পরেশ বড়ুয়ার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিমকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) জেটিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র জব্দ করার পর ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় পরদিন কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইনে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। আর বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেকটি মামলায় ৫২ জন আসামি করা হয়।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অস্ত্র মামলায় দুই ধারায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়া, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিমসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালান সংক্রান্ত অভিযোগগুলো আনা হয়েছিল।
এদের মধ্যে ২০১৬ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন বাবর
১২০ দিন আগে
পৃথক মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা আমান ও গিয়াস উদ্দিন মামুন
চাঁদাবাজির মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।
এছাড়া অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা তাদের পৃথক আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আমানের আবেদনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী নাজমুল হুদা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তারেক ভূঁইয়া। আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পূর্ব আগানগরের রফিকুল আলম নামে এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগে আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুনের এক ঘটনায় ২০০৫ সালে দুই পর্বে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ আমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচার শেষে ২০০৮ সালের ৮ মে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন আমান। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়,বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডের একটি ঠিকাদারি কোম্পানির বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন। ওই কোম্পানি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান। কিন্তু ২০০৩ সালে কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ওই কাজের বিপরীতে তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। এরপর শাহজাদ আলী ২০০৪ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা করেন।
এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। এছাড়া ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা ৪৪ হাজার ৬১০ দশমিক শূন্য ৮ ব্রিটিশ স্টালিং (বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা) বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। সেই আপিলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেন হাইকোর্ট।
১৩৩ দিন আগে
দুদকের মামলা থেকে খালাস খন্দকার মোশাররফ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
হয়রানির উদ্দেশ্যেই এই মামলা করা হয়েছিল বলে রায় ঘোষণার পর জানান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ সব আসামি খালাস
এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী বলেন, ‘অবৈধ সম্পদের মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি।’
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। মামলার পর ওই বছরের নভেম্বরে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
১৩৭ দিন আগে