খালাস
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ জন খালাস
চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ মামলায় ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) প্রধান পরেশ বড়ুয়ার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিমকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) জেটিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র জব্দ করার পর ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় পরদিন কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইনে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। আর বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেকটি মামলায় ৫২ জন আসামি করা হয়।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অস্ত্র মামলায় দুই ধারায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়া, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিমসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালান সংক্রান্ত অভিযোগগুলো আনা হয়েছিল।
এদের মধ্যে ২০১৬ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন বাবর
৪ দিন আগে
পৃথক মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা আমান ও গিয়াস উদ্দিন মামুন
চাঁদাবাজির মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।
এছাড়া অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা তাদের পৃথক আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আমানের আবেদনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী নাজমুল হুদা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তারেক ভূঁইয়া। আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পূর্ব আগানগরের রফিকুল আলম নামে এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগে আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুনের এক ঘটনায় ২০০৫ সালে দুই পর্বে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ আমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচার শেষে ২০০৮ সালের ৮ মে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন আমান। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়,বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডের একটি ঠিকাদারি কোম্পানির বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন। ওই কোম্পানি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান। কিন্তু ২০০৩ সালে কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ওই কাজের বিপরীতে তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। এরপর শাহজাদ আলী ২০০৪ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা করেন।
এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। এছাড়া ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা ৪৪ হাজার ৬১০ দশমিক শূন্য ৮ ব্রিটিশ স্টালিং (বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা) বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। সেই আপিলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেন হাইকোর্ট।
২ সপ্তাহ আগে
দুদকের মামলা থেকে খালাস খন্দকার মোশাররফ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
হয়রানির উদ্দেশ্যেই এই মামলা করা হয়েছিল বলে রায় ঘোষণার পর জানান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ সব আসামি খালাস
এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী বলেন, ‘অবৈধ সম্পদের মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি।’
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। মামলার পর ওই বছরের নভেম্বরে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
৩ সপ্তাহ আগে
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ৬ বছরে প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন খালেদা জিয়া
একই মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে দেওয়া নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
অজ্ঞাত উৎস থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তহবিল সংগ্রহের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
৩ সপ্তাহ আগে
বেনাপোলে কম শুল্কে আরও ২ লাখের বেশি ডিম খালাস
ভারত থেকে আমদানি করা আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিমের চালান খালাস দিয়েছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
কম শুল্কের ডিমের চালানটি বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ডিমের চালানটি প্রবেশ করে।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ডিমের চালানটি খালাস নিয়েছে।
এদিকে ডিমের এই চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করতে কাগজপত্র দাখিল করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ শতাংশ শুল্কের সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। প্রতিটি ডিম পাইকারি বাজারে ৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আরও ২৩২০০০ ডিম আমদানি
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ডিমের চালান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন কাস্টমস থেকে খালাস নিয়েছেন। আগে প্রতিটি ডিমে ১ টাকা ৮৩ পয়সা শুল্ক দিতে হত। এখন ৭৬ পয়সা শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে।
এছাড়া এখন থেকে আমদানি করা নতুন চালানের প্রতিটি ডিম ৯ টাকার মধ্যে পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে হবে বলে বন্দর সূত্রে জানা যায়।
বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ বাড়াতে গত মাসের ১৭ অক্টোবর শুল্ক কমানোর একটি আদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এই নির্দেশনায় গত ২০ অক্টোবর থেকে বেনাপোল কাস্টমসে ডিমের চালান ছাড় করানো হচ্ছে। এদিকে, ডিম আমদানি বাড়ার ফলে বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা দরে প্রতি হালি ডিম কিনতে পারছে ক্রেতারা।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে আজ ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৯০ পিস ডিম আমদানি হয়েছে। একটি মাত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব ডিম আমদানি করেছে। সরকারের তরফ থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান এখনও ডিম আমদানি করেনি।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সলিউশনের স্বত্ত্বাধিকারীর প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, সরকার নির্ধারিত কম শুল্কে বন্দর থেকে ডিম খালাস নিচ্ছি। এখন থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৫ শতাংশ শুল্কে ডিম খালাস দিচ্ছেন। এখন দাম আগের চেয়ে ৪-৫ টাকা কম। প্রতিটি ডিম বাজারে ৯ টাকার মধ্যে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজির বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে এক ট্রাক ডিম বন্দরে প্রবেশ করে। যা আমদানিকারক বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে খালাস নিয়েছেন। আমদানিকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ শুল্কায়নে চালান খালাস দেওয়া হয়েছে।
১ মাস আগে
৪ মামলায় খালাস পেয়েছেন ইসলামিক বক্তা মাদানী
রাজধানীর পৃথক চার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় খালাস পেয়েছেন আলোচিত ইসলামিক বক্তা (শিশুবক্তা) রফিকুল ইসলাম মাদানী।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মাদনীর আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী বলেন, এসব মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসায় এবং পূর্বের দেওয়া সাক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় আমরা আদালতে তার খালাস চেয়ে আবেদন করি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে এসব মিথ্যা মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত
এদিকে খালাস পাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, মামলার ঘানি টানা কষ্টকর। আমার বিরুদ্ধে মোট ৭টি মামলার মধ্যে শেখ হাসিনার পতনের পর বুধবার চার মামলায় খালাস পেলাম। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় তার সবগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞ, তিনি বলেছেন আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সব ভুয়া। তাই আদালতে চলা সবগুলো মামলা থেকে আমাকে খালাস দিয়েছেন। আমি অনেক খুশি এবং দোয়া করি এ দেশের প্রত্যেক আলেম যেন মিথ্যা সকল মামলা থেকে মুক্তি পান।
জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলামসহ ৫ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ এর সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।
২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বছরের ৭ এপ্রিল নেত্রকোণা থেকে মাদানীকে আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো হাজী সেলিমকে
১ মাস আগে
৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন বাবর
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর বাবরকে ৫ বছর ও ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
সাজার রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর আপিল করেন বাবর। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রায় দেওয়া হলো।
বাবরের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এ কে এম ফজলুল হক।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘হাইকোর্ট বাবরের করা আপিল মঞ্জুর ও বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে রায় দিয়েছেন। ফলে তিনি সাজা থেকে খালাস পেলেন। তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি মামলা রয়েছে। তাই তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।’
২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাবরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ১৬ জুলাই দুদক বাবরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০৮ সালের ১২ আগস্ট অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ৪ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
১ মাস আগে
মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক-ফখরুলসহ ৫ জন
পাঁচ বছর আগে আওয়ামী লীগ নিয়ে মানহানির অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
একইসঙ্গে এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক আরাফাতুল রাকিব এ আদেশ দেন। তারেক রহমানের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রবিবার এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। তবে দীর্ঘদিন কোনো সাক্ষী আসেনি। এজন্য আসামিপক্ষে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত ২৪৭ ধারায় তাদের মামলা থেকে খালাস দেন। এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে চাকরির সন্ধানে এসে মিয়ানমারের নাগরিক আটক
২ মাস আগে
৫ মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়াসহ মানহানিসংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত ৪টি এবং তোফাজ্জল হোসেনের আদালত একটি মামলা খারিজ করে তাকে খালাসের আদেশ দেন।
এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মামলা থেকে খালাসের আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ
এদিন মামলাগুলো শুনানির জন্য ছিল। তবে মামলার বাদীরা আদালতে হাজির হননি। কয়েকটি মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী মারা গেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকী মানহানির মামলা করেন।
এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির স্থায়ী কমেটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকী আরেকটি মামলা করেন।
একই বছরের ৩ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানি ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এবি সিদ্দিকী আরও একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর সচল খালেদা জিয়ার সব ব্যাংক হিসাব
৩ মাস আগে
হাইকোর্টে খালাস পেলেন ‘ভূমির কুতুব’
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (২৯ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর একক বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: অফিস আদালত খুললেও ঢাকা এখনো ছুটির মেজাজে
এর আগে ওই মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন কুতুব উদ্দিন আহমেদ। আপিলের শুনানি শেষে ২৩ মে রায়ের জন্য বুধবার আজকের দিন ঠিক করেন আদালত।
আদালতে কুতুব উদ্দিনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট কুতুব উদ্দিনকে খালাস দিয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
এ মামলায় ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কুতুব উদ্দিন আহমেদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২২ সালের ১৬ মার্চ নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে কুতুবের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল গুলশান থানায় কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তার শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে বরাদ্দ করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আদালতের
৬ মাস আগে