১৯৭১ সাল
১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বললেন সালমান এফ রহমান
সম্পর্ক উন্নয়নে ১৯৭১ সালে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
পবিত্র হজ পালনের সময় সৌদি আরবের মদিনায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকে এ কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
সোমবার (৩ জুলাই) এক টুইটে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে মসজিদে নববীতে একটি আনন্দঘন সাক্ষাৎ হয়েছে। আমার ১২ বছর বয়সে আমাদের শেষ দেখা হয়েছিল। এই সাক্ষাতে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর আহ্বান সালমান এফ রহমানের
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি তাকে বলেছি, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি করতে ১৯৭১ সালে যা ঘটেছিল তার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন। আমরা পবিত্র নগরীতে মুসলিম উম্মাহ’র কল্যাণ কামনা করেছি।’
অন্য এক টুইটে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তার মক্কা, মিনা ও মদিনায় ‘ভালো আলাপ’ হয়েছে।’
টুইটে সালমান এফ রহমানকে বাল্যবন্ধু হিসেবে অভিহিত করে আরিফ আলভি বলেন, ‘দুই বন্ধুর এই সাক্ষাৎ হয়েছে ৬০ বছর পর।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
১ বছর আগে
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে নিরস্ত্র মানুষের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত গণহত্যাকে স্মরণ করে শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
ঐদিনে পাকিস্তান সামরিক জান্তার কুখ্যাত অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এ নিহত সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে দূতাবাস এক কর্মসূচির আয়োজন করে।
মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সকালে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কমার্স) মো. সেলিম রেজা এবং মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: জাপানে গণহত্যা দিবস পালন
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহিদের মহান আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে।
তিনি ২৫ মার্চের গণহত্যাকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেন এবং উল্লেখ করেন যে সেদিন নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি জান্তার পরিকল্পিত গণহত্যায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারান এবং ব্যাপক ধ্বংসলীলা সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবস পালিত হবে শনিবার
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলার পর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানের পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার যাত্রায় যোগ দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মিনিস্টার (ইকোনমিক) মো. মেহেদী হাসানও আলোচনায় অংশ নেন এবং ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে ঐদিনে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংসতার বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।
কর্মসূচি পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিল্টন।
আরও পড়ুন: দেশে গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে আজ
১ বছর আগে
পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যেসব দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা স্বীকার করছে তাদের এটাও স্বীকার করতে হবে যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই এই দেশগুলোর কাছে এ বিষয়টি উত্থাপন করব।
সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘রিকগনিশন অব বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১’- শীর্ষক সেমিনার শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু জাতিসংঘে ইতোমধ্যে একটি গণহত্যা দিবস রয়েছে, তাই দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বসম্প্রদায় ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে জাতিসংঘের গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না।
বিষয়টিকে জটিল আখ্যায়িত করে শাহরিয়ার আশা প্রকাশ করেন, সরকারিভাবে সেসব দেশের স্বীকৃতি না পেলেও বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জনগণের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাবে।
সরকার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার জন্য জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য তার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে, যা বিশ্বের অন্যতম জঘন্য অপরাধ।
আওয়ামী লীগ সরকার ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
২০১৭ সালের ২০ মার্চ প্রস্তাবটি করা হয়েছিল।
এর আগে একই বছরের ১১ মার্চ সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে দিবসটি পালনের প্রস্তাব পাস হয়।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে সংসদে উত্থাপিত হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার হিসেবে ছিল।
সরকারের প্রচেষ্টা জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কারণ জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যার অপরাধের শিকার এবং এই অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক স্মরণ ও মর্যাদা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সরকার সর্বোচ্চ সংখ্যক দেশের কাছ থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি চায়।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল, কিন্তু দ্রুতই গণহত্যার বিষয়টি বিস্মৃত হয়ে যায়।
২৫শে মার্চকে 'গণহত্যা দিবস' হিসেবে পালন করা হবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের জন্য জাতির চিরন্তন স্মারক এবং এটা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
২৫ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে অপারেশন সার্চ লাইট নামে গণহত্যার নির্দেশ দিয়ে গোপনে পাকিস্তানে যান।
সেই রাত থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং তাদের স্থানীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী পরবর্তী ৯ মাসে সারা দেশে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না সৌদি আরব: শাহরিয়ার
১ বছর আগে
১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানকে প্রথমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ চায় পাকিস্তান ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জন্য ‘আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাক।’
তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার’কে বলেছেন,‘আপনাদেরকে প্রথমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে ... যদি প্রথমে এটি (প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া) করা হয়, তাহলে আমি আপনাদের হয়ে যুক্তি দিতে পারি। তা না হলে এটা আমার জন্য খুব কঠিন হবে। আমি তা করতে পারি না। এটা শুদ্ধ ও সহজ কথা।’
রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার সঙ্গে বৈঠকে যেসব বিষয়ে কথা বলেছেন তা জানিয়ে এ কথা বলেন।
মোমেন বলেন,পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়; কিন্তু বাংলাদেশ মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া হলো পাকিস্তানের প্রথম কাজ।
এর আগে শনিবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন হিনা রব্বানী।
মোমেন শ্রীলঙ্কার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে সফর করেন। এখানে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, পাকিস্তানের প্রতিমন্ত্রী তার অনুরোধের সরাসরি কোনও জবাব দেননি, তবে তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো ইস্যু থাকলে তা অবশ্যই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কাজ দিয়ে শুরু করতে হবে।
তিনি বাণিজ্য সম্পর্ক মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণ করতে পাকিস্তানের প্রতিমন্ত্রীকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
এছাড়া শনিবার মোমেন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে কলম্বোর গল ফেস গ্রিন-এ যৌথ বাহিনীর কুচকাওয়াজ, ফ্লাই-বাই এবং প্যারাসুট প্রদর্শনর সমন্বয়ে আয়োজিত ‘স্বাধীনতা প্যারেডে’ অংশ নেন।
আরও পড়ুন: প্রমোদতরি ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’: ষাট গম্বুজ মসজিদ পরিদর্শনে ২৫ বিদেশি পর্যটক
এসময় ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালীধরনও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
তারা আসন্ন দ্বিপক্ষীয় সফর এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর জোর দেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মন্ত্রীরা বাংলাদেশের অব্যাহত অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রশংসা করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় মোমেন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন- ভারত, নেপাল, ভুটান ,পাকিস্তান ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কমনওয়েলথের মহাসচিব এবং সফররত বিভিন্ন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মানে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে ধার দেয়া টাকা ফেরত পেতে পারে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি স্মরণ করছে কৃতী সন্তানদের
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বুদ্ধিজীবীদের সম্মান জানাতে বাংলাদেশ পালন করছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী মিরপুরে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মাটির কৃতী সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিবেদনের অংশ হিসেবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
১৪ ডিসেম্বরের ট্র্যাজেডি স্মরণে সরকার বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের
সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও সাধারণ মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহত মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের অনেক খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী ও শিক্ষককে সারাদেশ থেকে বাড়ি হতে টেনে-হিঁচড়ে, চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- ডা.আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ড. ফজলে রাব্বী, সৈয়দ নাজমুল হক, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন,অধ্যাপক আনোয়ার পাশা,অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড.আবুল খায়ের,ড.মুর্তজা, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একাত্তরের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা
দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
১ বছর আগে
লাকসাম মুক্ত দিবস আজ
আজ ১১ ডিসেম্বর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট ও সদর দক্ষিণের একাংশ) মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে লাকসাম হাইস্কুল মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির আহমেদ ভুঁইয়ার স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধারা।
৩ বছর আগে