দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতি বছরের ন্যায় আজও ব্যাপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটিকে স্মরণ করছে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ যুদ্ধের পর আজ শক্রমুক্ত হয় হিলি
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা প্রথমে লাকসাম জংশন ও দৌলতগঞ্জ বাজার দখলে নিয়ে লাকসাম সিগারেট ফ্যাক্টরিতে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে। আর এখান থেকেই চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা নিয়ন্ত্রণ করত।
মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর বিভিন্ন কমান্ড ৮ ডিসেম্বর লাকসামে অবস্থানরত দখলদার পাক বাহিনীর ওপর আক্রমণ শুরু করে। পরবর্তীতে মিত্র বাহিনী লাকসাম জংশন ও সিগারেট ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন অবস্থানের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে পাক সেনাদের তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে। দুই দিন ধরে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ
এরপর পাক বাহিনী লাকসাম থেকে পশ্চিম দিকে মুদাফরগঞ্জ হয়ে চাঁদপুরের দিকে পালাতে থাকে। পালানোর সময় মিত্র বাহিনী চুনাতী গ্রামে এবং মুক্তিবাহিনী শ্রীয়াং ও বাংলাইশে পাক বাহিনীকে মুখোমুখি আক্রমণ করে। এ আক্রমণে পাক বাহিনীর অসংখ্য প্রাণহানিসহ অনেক সেনা বন্দী হয়। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর ভোরে যৌথবাহিনী লাকসামকে শত্রুমুক্ত বলে ঘোষণা করে।