তহবিল
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধি
পুঁজিবাজারে ব্যাংক বিনিয়োগের ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ সিদ্ধান্তে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে শেয়ারবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ডিবিএ থেকে পাঠানো এক বার্তায় সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সাইফুল বলেন, পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে তফসিলি ব্যাংকের বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ করে ডিবিএর পক্ষ থেকে গত ২৮ জানুয়ারী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। গভর্নর ডিবিএ'র সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে এই বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। এ সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজার আগের থেকে আরও চাঙ্গা হবে।
এই তহবিলের যথাযথ ব্যবহার ও বিনিয়োগ বাজারের তারল্য প্রবাহ বৃ্দ্ধিতে সহায়তা করবে এবং দৈনিক শেয়ার লেনদেনে গতি এনে বাজারকে ইতিবাচক ধারায় নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করে ডিবিএ।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানে চলছে পুঁজিবাজারের প্রথমার্ধ
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, "গভর্নর পুঁজিবাজারের প্রতি সর্বদা সুদৃষ্টি রাখবেন এবং এর উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।"
এছাড়াও, ডিবিএর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, ডিএসইসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ডিবিএ।
২৬ দিন আগে
ভূমিকম্প: মিয়ানমারে তহবিল সংগ্রহে ‘সিংহ নাচ’
মিয়ানমারে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ইয়াঙ্গুনের ব্যস্ততম চায়না টাউনের প্রাণকেন্দ্রে ‘সিংহ নাচ’ পরিবেশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করছেন দেশটির তরুণরা।
ফেং ই ড্রাগন ও লায়ন ড্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের ৩০ জনেরও বেশি তরুণের একটি দল চলতি মাসের ৩ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত অভিনব এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন বলে জানান তারা। ওই তরুনরা বলেন, অনেক পথচারীই তাদের নাচে আকৃষ্ট হয়েছেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দলটি মিয়ানমারেরে মুদ্রায় ৫ মিলিয়ন কিয়াট (প্রায় ২ হাজার ৩৮০ মার্কিন ডলার) সংগ্রহ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ভূমিকম্পের পর ৮৯ আফটারশক অনুভূত
ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দলটির সদস্যরা বলেন, সংগৃহীত অর্থ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মান্দালয় ও সাগাইং শহরে বাসিন্দাদের সহায়তায় ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
লায়ন ড্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য মিয়ো মং মং মিন্ট (৩৫) বলেন, ‘তহবিল সংগ্রহ ও জরিপ শেষে বাসিন্দাদের সরাসরি সহায়তা করতে আমরা সেখানে যাবো। তাদের কি ধরনের সহায়তা প্রয়োজন বা কোনটি আগে প্রয়োজন সেটি জানতে আগেই একটি জরিপ করেছি আমরা।’
ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের এই অর্থ দিয়ে সহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনের পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে বলে জানান মিয়ো।
অ্যাসোসিয়েশনের আরেক সদস্য বলেন, ‘এভাবে তহবিল সংগ্রহ করা মোটেই সহজ কাজ নয়। বিশেষত রোদের মধ্যে সিংহ নাচের পোশাক পরে নাচ করা বেশ কঠিন। তবে আমরা এতে অভ্যস্ত।’
২৬ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল নিশ্চিতে সবকিছু করবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগণের দুর্ভোগ এড়াতে প্রয়োজনীয় তহবিল নিশ্চিতে সংস্থাটি সম্ভাব্য সবকিছু করবে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের বালুখালী-১৮ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে, এটি (সংকট) এড়াতে আমরা সবকিছু করব এবং তহবিল প্রাপ্তির ব্যাপারে আমাদের সহায়তা করতে পারে—এমন সব দেশের সঙ্গে আমি কথা বলে যাব।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের কথা ভুলে যাবে—এটা মেনে নেওয়া যায় না মন্তব্য করে তিনি জানান, (রোহিঙ্গাদের বিষয়ে) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি সোচ্চার হয়ে কথা বলবেন।
গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জরুরি-ভিত্তিতে আরও সহায়তা প্রয়োজন। (শরণার্থী শিবিরে) এই জনগোষ্ঠীর মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করার জন্য এই সহায়তার খুবই প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: সবার টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘকে পাশে পাবে বাংলাদেশ: গুতেরেস
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারে শান্তি পুনর্প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকারকে সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবকিছু করা জরুরি।’
এদিন কক্সবাজারে উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন গুতেরেস।
এর আগে, আজ (শুক্রবার) বিকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দরের একটি প্রকল্প উদ্বোধন এবং খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। এরপর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে সঙ্গে নিয়ে উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সবশেষে সন্ধ্যায় একসঙ্গে ঢাকায় ফেরার কথা তাদের।
৫২ দিন আগে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বাড়ায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ ব্যয়বহুল হচ্ছে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে অপ্রয়োজনীয় ঋণ দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণের সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ইডিএফ হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল যা রপ্তানি খাতকে সময় অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় সহায়তা করে। এখন এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে রপ্তানিকারকদের দিতে হবে প্রায় ৭ শতাংশ সুদ। আগে সুদের হার ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, সিকিউরড ওভারনাইট ফিনান্সিং রেট (এসওএফআর) এর সঙ্গে মার্জিন হিসাবে দেড় শতাংশ যোগ করে ইডিএফ সুদ নির্ধারণ করা হবে।
বর্তমানে এসওএফআর পদ্ধতিতে সুদের হার ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এর সঙ্গে ১ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ হলে সুদের হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আগের সুদের হার ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ। সে অনুযায়ী সুদের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অনুমোদিত ডিলারদের (এডি) কাছ থেকে ৩ শতাংশ সিকিউরড চার্জ এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এডি ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ হারে সুদ আদায় করছিল।
আর এখন নতুন নিয়ম অনুযায়ী এডি গ্রাহকের কাছ থেকে এসওএফআর হারের সঙ্গে ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অতিরিক্ত ১ দশমিক ৫০ শতাংশ এসওএফআর হারে সুদ আদায় করবে। তবে এসওএফআর হার যেহেতু পরিবর্তনশীল, তাই ইডিএফ ঋণ নির্ভর করবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ওপর।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
২৪৪ দিন আগে
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল যোগানের বিকল্প নেই: মিউনিখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব, সমষ্টিগত পদক্ষেপ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যাপ্ত তহবিল যোগানের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তহবিলের যোগান ক্রমেই কমে আসছে। কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও সহনশীলতা অর্জনে এ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।’
জার্মানির মিউনিখে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় বার্ষিক আন্তুর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠক হিসেবে আয়োজিত 'কারণ ও প্রভাব: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্বিমুখী লড়াই' শীর্ষক ফোরামে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কার্বন নিঃসরণে নগণ্যতম (বৈশ্বিক নিঃসরণের শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ) দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বোচ্চ হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোর অন্যতম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবেও চিহ্নিত। 'মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান' এ ক্ষেত্রে একটি শীর্ষ পরিকল্পনা।’
আরও পড়ুন: মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে মনোযোগের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে প্রধানমন্ত্রী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক উদ্যোগের কথা জানান এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি, দেশের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, উত্তরাঞ্চলে খরা, দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সারাদেশে বন্যার প্রকোপ মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ বাংলাদেশের নীতি এবং কর্মসূচি তুলে ধরেন।
ফোরামে নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরিম, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ মন্ত্রী মরিয়ম বিনতে মোহাম্মদ সাইদ আলমেইরি প্রমুখ আলোচকরা বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: অর্থনীতির উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি বহুমুখীকরণে গুরুত্বারোপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৪৪৩ দিন আগে
জলবায়ু তহবিলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের সঙ্গে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পরিবেশমন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
এসময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে দ্রুততম সময়ে বরাদ্দ আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। প্রাপ্ত বরাদ্দ যাতে প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করা হবে। জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে এর সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সত্যিকারের টেকসই উন্নয়ন পরিবেশের উন্নয়ন ছাড়া সম্ভব নয়। তাই পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের নীতি ও আদর্শগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, এ বারের নির্বাচনি ইশতেহারে পরিবেশের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, সাবের হোসেন চৌধুরী মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে পরিবেশমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে ১৯৯৯ সালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
৪৭৯ দিন আগে
বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি তহবিল নিয়ে আশার সঞ্চার
বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে নবগঠিত ক্ষয়ক্ষতি তহবিল আশার আলো দেখাচ্ছে। সম্মেলনের প্রথম দিনেই কার্যকর করা এই তহবিলে অর্থায়নে আশানুরূপ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে এই তহবিলে ৭০০ মিলিয়ন বা ৭০ কোটি ডলার জমা পড়েছে। যদিও চাহিদার তুলনায় এটি অত্যন্ত নগন্য। তারপরও গঠনের পর থেকে উন্নত দেশগুলো একে একে এগিয়ে আসছে এই তহবিলে অর্থায়নের ক্ষেত্রে। যা বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
নতুন আশা তৈরি করলেও এই তহবিল থেকে অর্থ পেতে বাংলাদেশের আরও অন্তত আট মাস সময় লাগবে। কারণ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এই তহবিল ব্যবহারের মতো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও দক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। এজন্য জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকে এই তহবিলের অর্থ ব্যবহারের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের বিষয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করছে। এই সমীক্ষা শেষ হলে জানা যাবে, বাংলাদেশে কোনে খাতে কী পরিমাণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। সেটি নিরুপনের পর বাংলাদেশ নবগঠিত ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে অর্থ পাওয়ার আবেদন করতে পারবে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও এলডিসি গ্রুপের লস অ্যান্ড ড্যামেজ সমন্বয়কারী এম হাফিজুল ইসলাম খান ইউএনবিকে বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের কার্যক্রম শুরু হতে আরও ৮ মাস সময় দরকার হবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রথম সভায় বসবে এই তহবিল পরিচালনায় গঠিত পরিচালনা পরিষদ। আর এই পরিষদই ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রস্তুতির অভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহার করতে পারছে না। তাই শুরু থেকে ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ পাওয়ার জন্য দক্ষ জনবল ও কাঠামো তৈরির কাজ শুরু করতে হবে। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম শেষে গত বছর মিশরের রাজধানী শার্ম আল শেখে ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনে ঐতিহসিক ক্ষয়ক্ষতি তহবিল গঠন করা হয়। ফলে অর্থবিহীন এই তহবিলকে কার্যকর করা ছিল একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু এবারের ২৮তম জলবায়ু সম্মেলনের প্রথম দিনেই এই কঠিন কাজটি সহজ করে দেয় আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত কপ২৮ সভাপতির তহবিল দেওয়ার ঘোষণা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী ইউএনবিকে বলেন, কপ২৮ সম্মেলনের সভাপতি আয়োজক দেশের পরিবেশমন্ত্রী সুলতান আল জাবের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়ে এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রস্তাব করেন। প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে ঐতিহাসিক এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রাস্তব অনুমোদন করেন। ফলে অন্য দেশগুলোও এই তহবিলে অর্থায়নে এগিয়ে আসে।
এ পর্যন্ত এই তহবিলে ৭০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ জমা পড়েছে। আরব আমিরাতের ১০ কোটি ডলার ছাড়াও জার্মানি ১০ কোটি ডলার, ইতালি ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ফ্রান্স ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ ১৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্র ১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলন : শুক্রবার শুরু হচ্ছে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক
এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া এই তহবিলে কোনো অর্থ না দিলেও তারা আবার জলবায়ু অর্থায়নে ফিরে এসেছে। দেশটির সাবেক সরকার জলবায়ু অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়াকে প্রত্যাহার করে নিলেও বর্তমান সরকার শুক্রবার প্যাসিফিক দেশগুলোর জন্য ১৫ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। তবে এই অর্থ এখনও প্রত্যাশার চাইতে অনেক কম। ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত দশেগুলোর প্রয়োজন ১০০ বিলিয়ন থেকে ৫৮০ বিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় অর্থ প্রাপ্তি চাহিদার মাত্র দশমিক ২ শতাংশ।
মির্জা শওকত আরও বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলগুলো যেসব দেশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে ফান্ড পরিচালনায় বিশ্বব্যাংককে একসেস দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা খুব একটা সন্তুষ্ট না হলেও সবাই রাজি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক আগামী ৪ বছর ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করবে।
২৫ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হবে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে তহবিল নিয়ে আলোচনা করবে।
তিনি বলেন, অ্যাডাপটেশন ফান্ড দিগুন করার বিষয়ে এই কপে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বারোপ করেছে। তবে ন্যাশানাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যানের (ন্যাপ) ড্রাফট টেক্সট অ্যাডাপট করতে পারিনি। একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা এই টেক্সটটা দিয়ে কাজ করব আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসে জার্মানির বন সেশনে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
এছাড়াও আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ জনসংখ্যা জলবায়ু সহনশীল করার লক্ষ্যমাত্রা। আরলি ওয়ার্নিংয়ের মাধ্যমে কত শতাংশ জনসংখ্যা আনা হবে, সেটি চূড়ান্ত হয়নি। তবে কপ৩০ এ গিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান মির্জা শওকত আলী।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিনুল হক ইউএনবিকে বলেন, তহবিলে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে তা অতি নগন্য। আবার এই অর্থ উন্নত দেশগুলো কবে দেবে তার সময়সীমা সংক্রান্ত কোনো রূপরেখা নির্ধারণ করেনি।
তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কারণে ধনী দেশগুলো বিপদাপন্ন দেশগুলোর জন্য বিশেষায়িত অভিযোজন তহবিলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ দিচ্ছে না। চলতি কপে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ২১ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ কম। অভিযোজন তহবিলে অর্থ বরাদ্দ না বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বিপদ আরও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অর্থনীতি জিম্মি: ব্যবসায়ী নেতারা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বের উপকূলীয় অঞ্চলের দেশগুলো তাদের আর্থিক ও অ-আর্থিক ক্ষতির জন্য এই তহবিল থেকে অর্থ ব্যবহার করতে পারবে।
৫১৩ দিন আগে
ব্রিকস তহবিল পেতে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিল-২০২৩ সংসদে পাস
ব্রিকস-এর ঋণদানকারী শাখা থেকে তহবিল গ্রহণ করতে সংসদে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিল-২০২৩ পাস হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলের উদ্দেশ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) নামে একটি বহুজাতিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত ব্রিকস জোট।
বর্তমানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরসহ মোট আটটি দেশ এর সদস্য।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া নিয়ে আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্র সচিব
ব্যাংকের আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্ট অনুসারে, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সম্পর্কিত চুক্তিটি অনুমোদন করা প্রয়োজন।
নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া।
ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে পেইড-ইন-শেয়ার ১০ বিলিয়ন ডলার এবং কলযোগ্য শেয়ার ৪০ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের মোট শেয়ার ৯ হাজার ৪২০ এবং সাবস্ক্রিপশনের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন হিসাবে ৯৪২ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ ১৮৮ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (আনুমানিক ২ হাজার ৮১ কোটি ৮২ লাখ টাকা), যা সাতটি কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়ায় বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভালো ধারণা পেয়েছেন: প্রধানমন্ত্রী
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর 'ইনস্ট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশন' সইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকটির সদস্য পদ লাভ করে। এনডিবির আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্টের (এওএ) ৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সম্পর্কিত চুক্তিটি অনুমোদন করা প্রয়োজন।
উক্ত অনুমোদন অনুযায়ী এবং অন্যান্য বহুজাতিক ব্যাংকের মতো এনডিবিকে তার লক্ষ্য ও কার্যক্রম অর্জনের জন্য মর্যাদা, স্থিতি, সুবিধা ও কর/ভ্যাট থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
আইবিআরডি ও আইএমএফের জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা আদেশ-১৯৭২, এডিবির জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আদেশ- ১৯৭৩, আইডিবির জন্য ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অ্যাক্ট-১৯৭৫ এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন অ্যাক্ট-২০১৫ এবং সম্প্রতি এআইআইবির জন্য এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক অ্যাক্ট-২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আইন, ২০২৩ প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে আনসার ব্যাটালিয়ন বিল, ২০২৩ উত্থাপন
৫৫১ দিন আগে
বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ৮৫৮ মিলিয়ন ডলার তহবিল পাচ্ছে
বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংক বুধবার জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রবৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করতে মোট ৮৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দুটি অর্থায়ন চুক্তি সই করেছে।
একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুষ্টি, উদ্যোক্তা এবং সহনশীলতার জন্য কৃষি ও গ্রামীণ রূপান্তরের জন্য ৫০০ মিলিয়ন কর্মসূচি (পিএআরটিএনইআর) বাংলাদেশের কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় শস্য বৈচিত্র্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু সহনশীলতা প্রসারের মাধ্যমে কৃষি খাতকে বৈচিত্রময় করতে সহায়তা করবে।
কর্মসূচিটি অভ্যন্তরীণ ব্যবহারে অধিকতর দক্ষতা, কৃষির ভাল উৎপাদন এবং চাপ-সহনশীল এবং পুষ্টি-ঘন জাতগুলোর প্রসারের মাধ্যমে টেকসই এবং পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
৩৫৮ মিলিয়ন ডলারের সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প- যা বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ডেডিকেটেড সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প যা দেশটিকে সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং নির্বাচিত উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ মহাসড়ক ও জেলা সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহত হ্রাসে সহায়তা করবে৷
দুটি জাতীয় মহাসড়ক-এন-৪ (গাজীপুর-এলেঙ্গা) এবং এন-৬ (নাটোর থেকে নবাবগঞ্জ)-এ প্রকল্পটি উন্নত প্রকৌশল নকশা, প্রতীক ও চিহ্নিতকরণ, পথচারীদের সুবিধা, গতি প্রয়োগ এবং জরুরি তত্ত্বাবধানসহ ব্যাপক সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালনা করবে।
এটি ট্র্যাফিক পুলিশ এবং হাইওয়ে টহলের সক্ষমতা আধুনিকীকরণে সহায়তা করবে দ্রুত গতি পরিচালনা এবং ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা ব্যবহারকারীদের আচরণ প্রতিরোধ করতে।
দুর্ঘটনা পরবর্তী ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এটি বিনা খরচের নম্বরের মাধ্যমে একটি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা স্থাপন করবে এবং দুটি জাতীয় মহাসড়কের সংশ্লিষ্ট নির্বাচিত জেলা হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আপগ্রেড করা জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি করেছে। চ্যালেঞ্জের নতুন সীমানা, যেমন ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানায়। বিশ্বব্যাংক টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ প্রবৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর চিত্রকর্ম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
‘জলবায়ু-সহনশীল কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানো এবং শত শত এবং হাজার হাজার কৃষকের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি অকাল মৃত্যুর কারণে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে জনগণ ও অর্থনীতিকে রক্ষা করার মাধ্যমে দেশকে টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে থাকতে প্রতিবন্ধী, এবং সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্য করার জন্য এই দুটি প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ হবে।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেছেন, ‘এই দুটি প্রকল্প ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের দেশের দৃষ্টিভঙ্গিতে অবদান রাখবে।’ ‘আমাদের জাতীয় কৃষি নীতি পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং নতুন সড়ক পরিবহন আইন সড়ক নিরাপত্তার ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, কৃষকদের ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তার সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং মানুষের জীবনের দুঃখজনক ক্ষতি হ্রাস করে, এই দুটি প্রকল্প টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
চুক্তিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে যথাক্রমে শরিফা খান ও আবদুলায়ে সেক সই করেন।
তহবিলটি বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন(আইডিএ) থেকে এসেছে এবং পাঁচ বছরের অতিরিক্ত সময়সহ ৩০ বছরের মেয়াদ রয়েছে। পিএআরটিএনইআর প্রকল্পটি ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) থেকে ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নও পাবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের বৃহত্তম চলমান আইডিএ কর্মসূচি রয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য প্রথম উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে একটি ছিল এবং স্বাধীনতার পর থেকে দেশটিকে সুদমুক্ত প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার অনুদান এবং ছাড়পত্র প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পদ্ধতি থেকে শিক্ষা নিতে পারে অনেক দেশ: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট
৬৯৮ দিন আগে
আসুন গর্ব করে ঘোষণা করি, আমরা নারীবাদী: গুতেরেস
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ২০২৬ সালের মধ্যে নারী অধিকার সংগঠন এবং আন্দোলনে তহবিল ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে সরকারগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন।
শনিবার নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
এতে তিনি আরও বলেন, ‘আসুন আমরা নারীর অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিই এবং আওয়াজ তুলি। আসুন সাহসের সঙ্গে ঘোষণা করি, আমরা নারীবাদী।’
আরও পড়ুন: পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
গুতেরেস বলেছেন, প্রতি ১১ মিনিটে একজন নারী বা মেয়ে জীবনসঙ্গী বা পরিবারের সদস্য দ্বারা হত্যা শিকার হন। আমরা জানি যে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনৈতিক অস্থিরতা পর্যন্ত অন্যান্য চাপগুলো অনিবার্যভাবে আরও বেশি শারীরিক এবং মৌখিক নির্যাতনের দিকে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, নারী ও মেয়েরা যৌন হয়রানি, ছবির অপব্যবহার এবং অনলাইন সহিংসতার শিকার হয়।
জাতিসংঘের প্রধান বলেছেন, ‘এই বৈষম্য, সহিংসতা এবং অপব্যবহার একটি বড় মূল্য দিয়ে আসছে মানবজাতির অর্ধেক অংশ। এটি জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী এবং মেয়েদের অংশগ্রহণকে সীমিত করে। তাদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে এবং আমাদের বিশ্বের প্রয়োজন সমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বৃদ্ধিকে বাধা দেয়।’
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে রূপান্তরমূলক পদক্ষেপের যা নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করে।
গুতেরেস বলেছেন, এর অর্থ হল সরকারগুলো এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ডিজাইন, অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন করছে। ‘এর অর্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি পর্যায়ে তৃণমূল এবং সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলোকে সম্পৃক্ত করা।’
এর অর্থ নিশ্চিত করা যে আইনগুলো প্রয়োগ করা হয় এবং সম্মান করা হয়। যাতে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা তাদের ন্যায়বিচারের অধিকার এবং সমর্থন সমুন্নত দেখতে পান।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, এর অর্থ হল এমন গণ প্রচারাভিযানকে সমর্থন করা যা পিতৃতান্ত্রিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে এবং দৈন্যতা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে।’
এই বছরের থিম হিসেবে – ‘একত্রিত হয়: নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে সক্রিয়তা’ - আমাদের মনে করিয়ে দেয়। এর অর্থ হল বিশ্বজুড়ে পরিবর্তনের জন্য আহ্বানকারী কর্মীদের সঙ্গে দাঁড়ানো যারা সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়াদের সমর্থন করছে।’
আরও পড়ুন: তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের শোক
বিশ্বে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ ঘটছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
৮৯১ দিন আগে