মাছ
ভরা মৌসুমেও খুলনার বাজারে দেখা মিলছে না ইলিশের, দামও চড়া
খুলনা, ৩০ আগস্ট (ইউএনবি)- ইলিশের ভরা মৌসুমেও খুলনা বাজারে নেই ইলিশ। দুই-একটা মিললেও তার দাম বেশ চড়া। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছের আড়তে ইলিশ মাছ নেই। যদি পাওয়া যায়ও দাম অনেক বেশি হওয়ায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
খুলনার বিভিন্ন মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ বাজারে ইলিশ মাছ নেই। আর যা আছে তার দাম অনেক চড়া। খুলনা ইলিশ ঘাট বলে পরিচিত ৪ নম্বর ঘাট এলাকায় ইলিশ ব্যবসায়ীদের কাছেও ইলিশের মজুদ খুবই কম।
৪ নম্বর ঘাট এলাকার সর্ববৃহৎ ইলিশ ব্যবসায়ী আবু সাঈদ। চার পুরুষ ধরে ইলিশ ব্যবসা করেন তিনি। আবু সাঈদ বলেন, ‘এবারের মতো ইলিশের আকাল আর কখনো হয় নাই। আগে যেখানে তার ভাণ্ডারে প্রতিদিন সাগর ও বরিশাল এলাকা থেকে ২ থেকে ৩শ মণ ইলিশ আসত। এবার সেখানে ৩ থেকে ৪ মণের মতো ইলিশ আসছে। আর যেগুলো আসছে সেগুলোর ইলিশের সাইজ ছোট, আবার দামও বেশি।’
নগরীর সন্ধ্যা বাজার এলাকায় দেখা যায় দাম বেড়েছে ইলিশ মাছের। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ইলিশের দাম ১৫০০ থেকে ১৬৫০ টাকা। ১ কেজি ২০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ইলিশের কেজি ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনার কাঁচাবাজারে দাম বেড়েছে সবজি-মাছের, কমেছে মাংসের
গল্লামারী বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আফজাল বলেন, ‘আগের তুলনায় দাম একটু বাড়তি। মূলত আড়তে নেই ইলিশ মাছ। এখন নদ-নদী-সাগরে যদি জেলেরা ইলিশ মাছ না পেয়ে থাকে তাহলে দাম বাড়তি থাকবে। গেল ১ সপ্তাহ আগেও মাছের দাম কিছুটা কম ছিল।’
বাজারে মাছ কিনতে আসা লিপি বলেন, ‘আমি এসেছিলাম কিছু ইলিশ মাছ কিনতে কিন্তু যে দাম তাতে ইলিশ মাছ কেনা সম্ভব না। এখনতো বাজারে কোনো সিন্ডিকেট নেই বা দেশের বাহিরে কোনো মাছ রপ্তানি হচ্ছে না। তারপরও দাম বেশি।’
খুলনা নিরালায় বাজার করতে আসা মনোজ বলেন, ‘এবছর ছেলে-মেয়েদের ইলিশ খাওয়াতে পারি নাই। শুধু বাজারের এমাথা থেকে ওমাথা ঘুরছি।’
বরিশালের বড় গভীর নদ-নদীগুলোতে চর পড়ে যাওয়া ইলিশ মাছ কম আসছে বলে জানান খুলনার রূপসা বাজারের আড়তদার নয়ন।
খুলনা মৎস্য অধিদপ্তর জেলা কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, এবছর বৃষ্টিপাত হলেও যে পরিমাণ মাছ আসার কথা, ঠিক সেই পরিমাণ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। নদীর গভীরতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত কম থাকাসহ মাছ ধরতে না পারা মাছের স্বল্পতার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ সংকট, বিপাকে জেলেরা
২ মাস আগে
রাতে মাছ ধরতে গিয়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নে রাতে মাছ ধরতে গিয়ে শাহাদাত হোসেন সাধু নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার রাতে ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘপুর গ্রামের বেপারী বাড়ির কাছে ডাকাতিয়া নদীর কামতা স্লুইস গেট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের অটোরিকশার ধাক্কায় শিশু নিহত
শাহাদাত হোসেন সাধু উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাঘপুর গ্রামের মৃত শহীদুল্লাহর ছেলে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, রবিবার রাতে শাহাদাত ও তার ভাই তাজুল ইসলাম বেপারি ওই এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভাই তাজুর ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। এতে তাজুল আহত থাকলেও শাহাদাতরে জ্ঞান ছিল না। তবে তার কান থেকে অনবরত রক্ত ঝড়ছিল। তাকে দ্রুত ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু দত্ত বলেন, সোমবার সকালে শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে শাহাদাত মারা গেছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: মাটিভর্তি ট্রাক্টরের চাপায় শিশু নিহত
মানিকগঞ্জে কাভার্ডভ্যান ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ২
৫ মাস আগে
জেলের জালে ধরা পড়ল ৩০ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ!
সিলেটের ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ। মাছটি ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) উপজেলার শেরপুরে কুশিয়ারা নদীতে এক জেলের জালে ৩০ কেজি ওজনের এই বাঘাইড় মাছটি ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: সুরমায় ধরা পড়লো ১০০ কেজি ওজনের বাঘাইড়!
পরে শুক্রবার রাতে সেই জেলের কাছ থেকে মাছটি কিনেন উপজেলার গোয়ালাবাজারে নিয়ে যান মাছ ব্যবসায়ী আনু মিয়া।
মাছ ব্যবসায়ী আনু মিয়া বলেন, এই বিশাল আকৃতির বাঘাইড় মাছটি দেখার জন্য গোয়ালাবাজারের দোকানে ভিড় জমে উঠে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতেই এক প্রবাসীর কাছে বাঘাইড় মাছটি ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সাগর তীরে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন ও বিপুল পরিমাণ মাছ
পদ্মায় জেলেদের জালে ধরা পড়ল ৩৫ কেজির বাগাড় মাছ
১০ মাস আগে
সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছ-মাংসের দাম বেশি
সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলু ছাড়া শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারে মাংস ও মাছের দাম ছিল চড়া।
সবজির দাম কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী হারুন অর রশীদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সবজিসহ সব পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মৌসুমের এই সময়ে আলু, টমেটো ও গাজরের দাম সাধারণত প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। কিন্তু মান ভেদে এসব জিনিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজির মধ্যে।
এই অতিরিক্ত দাম অবসরপ্রাপ্ত এবং নির্দিষ্ট আয়ের গোষ্ঠীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমালে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনছে।
তবে শুক্রবার কারওয়ান বাজারে শীতকালীন সবজির প্রায় সবগুলোই বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সূর্যমুখী ফুলে আকৃষ্ট হচ্ছেন মানুষ
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে অসন্তোষ রয়ে গেছে মাছ ও মাংসের বাজারে। ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং সোনালি মুরগি (পাকিস্তানি জাতের) ৩২০-৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে অনেক স্থানে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখন সর্বত্র ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ডজন বাদামি ডিম (মুরগি) ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, সাদা ডিম ৫-১০ টাকা কম। হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং দেশি গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি ডজন ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও শরীয়তপুরে অস্বাভাবিক সবজির দাম
কয়েক মাস আগের তুলনায় এখন মাছের দাম বেশি। তবে তেলাপিয়া, পাঙ্গাস ও কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য মাছের মধ্যে আড়াই কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ (চাষের) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল ও ইলিশ মাছ কেজিতে ৬০০ টাকার নিচে নয়।
কারওয়ান বাজারে কোরাল, বোয়াল, নদীর পাঙ্গাসের মতো বড় সাইজের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১১০০ টাকায়।
দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তার অফিস থেকে অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ ও আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
শফিকুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন জেলার হিমাগার পরিদর্শন করে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ পেয়েছেন, যদিও দাম বাড়তি ছিল।
পেঁয়াজ ও আলুর উচ্চমূল্য অব্যাহত থাকলে সরকার এসব পণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাংলাদেশে ভোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।
খামারের ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চাষের মাছ দেশের লাখ লাখ দরিদ্রের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস।
নাজের বলেন, এ ধরনের সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী তাদের প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও লালমনিরহাটে সবজির দাম আকাশচুম্বী
১০ মাস আগে
এক বাঘাইড় মাছের দাম দেড় লাখ
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পইলের মাছের মেলা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ উঠেছে মেলায়।
তবে আব্দুল খালেকের বাঘাইড় মাছটিই মেলার প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠেছে। ৫০ থেকে ৬০ কেজি ওজনের বৃহৎ এ মাছটি দাম চাওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৮ হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত
বিক্রেতা আব্দুল খালেক জানান, পইল মাছের মেলায় বিক্রির জন্য সুরমা নদী থেকে তিনি এই বিশাল বাঘাইড় মাছটি সংগ্রহ করেছেন। মাছটি তরতাজা ও খেতে ভালো লাগবে। দেড় লাখ টাকা চাইলেও এক লাখ হলেও তিনি মাছটি বিক্রি করবেন।
মেলায় আসা ক্রেতাদের আগ্রহ শেষ পর্যন্ত মাছটি কত দিয়ে বিক্রি হয়।
শাহজাহান মিয়া নামে অপর বিক্রেতা জানান, তিনি ২৬ কেজি ওজনের একটি কাতলাসহ বেশ বড় বড় মাছ নিয়ে মেলায় এসেছেন। বড় কাতলাটির দাম তিনি চাইছেন ৬০ হাজার টাকা। ৪০ হাজার টাকা পেলে তিনি সেটি বিক্রি করে দেবেন।
জিলু মিয়া নামে আরও এক মাছ বিক্রেতা বলেন, এখনও কেনা বেচা তেমন হয়নি তবে রাতের বেলায় বাড়বে।
যুক্তরাজ্য থেকে আসা সদর উপজেলার আলাপুর গ্রামের কামাল আহমেদ মাছের মূল্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মেলার সময় প্রতি বছর দেশে আসি। আমরা তো মাছ কিনতে এসেছি। মূল্য বেশি হাঁকা হচ্ছে। যে কারণে অনেক মাছ অবিক্রিত থেকে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশীয় মাছের প্রজাতি সংরক্ষণে সহায়তা দিতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
এদিকে সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই হবিগঞ্জের সদর উপজেলার পইল গ্রামের মাঠে ক্রেতা-বিক্রেতারা ভিড় জমিয়েছেন। প্রায় ২৫০ মৎস্য বিক্রেতার পাশাপাশি হাজার হাজার ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা মেলায় ভিড় জমিয়েছেন। এবারের মেলায় বোয়াল ও আইড় মাছ সবচেয়ে বেশি উঠেছে।
এছাড়াও বাঘাইড়, রুই, কাতল, চিতল, গজার, গ্রাস কার্প, মৃগেল, সিলভার কার্প, ব্রিগেড, পোয়া, টেংরা, পুটি, শিং, কই, শোল, বাইম, চাপিলা, চান্দা, কাকিয়াসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে।
মাছের মেলা ঘিরে কৃষি, গৃহস্থালি, ভোগ্যপণ্য, আখ ও শিশুদের খেলনা ছিল উল্লেখযোগ্য। তাই মেলায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের ব্যাপক সমাগম দেখা গেছে। এ মেলা নিজেদের ঐতিহ্য হিসেবে ধারণ করেন পইল গ্রামসহ এর আশপাশের লোকজন।
আরও পড়ুন: মাছের আঁশ: রপ্তানি বৈচিত্র্যে আশা জাগানো নতুন পণ্য
পইল গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি শেখ মহরম আলী বলেন, এই মেলা মানেই মিলনমেলা। এ মেলা ঐতিহাসিক। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে এই মেলায় দেশ-বিদেশ থেকে বড় বড় মাছ আসে। এলাকাবাসী এই মেলায় আনন্দ করেন। এই উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। যে কারণে এই কয়দিন আমরা আনন্দের সঙ্গে কাটাই।
এ ব্যাপারে পইল বাজার কমিটির সভাপতি ও পইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঈনুল হক আরিফ জানান, পইল মাছের মেলা আমাদের জন্য ঐতিহ্যের একটি মেলা। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বাগ্মী নেতা বিপিন চন্দ্র পালের জন্মভূমি পইল গ্রামে প্রতি বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে মাছের ঘেরে মিলল ৮ ফুট কুমির
১০ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিননাথ দাস (৩৫) নামে এক মাছ ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত তিননাথ দাস আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর কান্দাপাড়া গ্রামের পিছন দাসের ছেলে। তিনি লালপুর বাজারের একজন মাছ ব্যবসায়ী।
এর আগে, ভোর ৫টার দিকে কান্দাপাড়া এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারির ছুরিকাঘাতে তিনি আহত হন।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার ভোরে তিননাথ দাস বাড়ি থেকে লালপুর বাজারে মৎস্য আড়তে যাওয়ার সময় কান্দাপাড়া সৎসঙ্গ আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় একদল ছিনতাইকারী তার উপর আক্রমণ করে। এসময় ছিনতাইকারিরা তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা প্রায় এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠান।
আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তরুণ কান্তি দাস জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। ঘটনার তদন্তসহ জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহীতে ২ পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে ২ অভিযুক্ত ছিনতাই
১০ মাস আগে
বাগেরহাটে ঘের থেকে মাছ চাষির লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে এক চাষির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সদর উপজেলার রাকালগাছি ইউনিয়নের সুনগর এলাকায় নিজ মাছের ঘের থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
নিহত সালাম হাওলাদার (৫৭) ফকিরহাট উপজেলার আট্টাকি গ্রামের মৃত ছায়েদ আলী হাওলাদারের ছেলে।
তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি।
নিহতের স্বজনরা জানায়, সালাম হাওলাদার সুনগর এলাকার আবেদ হাওলাদারের জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে খাবার শেষে ঘের পাহারার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন সালাম হাওলাদার। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি না ফেরায় তার স্বজনরা ঘেরে যান। দরজা ভেঙে খাটের নিচে সালাম হাওলাদারের লাশ দেখতে পান তারা।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো করেছে।
তিনি আরও জানান, এঘটায় থানায় অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে রাজমিস্ত্রির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
বেনাপোলে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১১ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণে বাগেরহাটের সুন্দরবনের দুবলার চরে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। পচে যাওয়া ওই সব শুঁটকি মাছ থেকে এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
নষ্ট হয়ে যাওয়া মাছের পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার কুইন্টাল। এসব মাছ সাগরে ফেলে দিতে হবে বলে জানান দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন আহম্মেদ।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি শুক্রবার দুপুরে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। এর প্রভাবে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় সুন্দরবনের বিভিন্ন চড়ে বৃষ্টি ঝরতে থাকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব এলাকায় ভারী বর্ষণ হয়। ঝড়ো বাতাস এবং বৃষ্টিপাতের কারণে সুন্দরবনের শেলার চর, নারিকেলবাড়িয়া, মাঝেরকেল্লা ও আলোরকোলে শুঁটকির জন্য শুকানো এবং কাচা অবস্থায় প্রায় ৬০ হাজার কুইন্টাল মাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ওইসব মাছ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বাগেরহাটের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। এ সময়ে সুন্দরবন উপকূল এবং সাগর মোহনায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেইসঙ্গে দমকা বাতাস বয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: শুঁটকির মৌসুম শুরু হওয়ায় দুবলার চরে জড়ো হতে পারেন ১০ হাজার জেলে
১ বছর আগে
পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটেই বিক্রি দেড় কোটি টাকার মাছ
দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী ও সাগরে আবারও মাছ ধরা শুরু হয়েছে। এতে জেলেদের মাঝে যেমন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে, তেমনি বাড়ছে সরকারের রাজস্ব আদায়।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিষেধাজ্ঞা শেষে চার দিনেই শুধু ৫০ হাজার ৯৯০ কেজি মাছ বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র বুধবার (৮ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাথরঘাটা বিএফডিসির বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি জানান, ইলিশ রক্ষায় সাগরসহ সব নদ-নদীতে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার থেকে সোমবার চার দিনে পাথরঘাটা বিএফডিসিতে মোট ৫০ হাজার ৯৯০ কেজি মাছ কেনা-বেচা হয়।
তিনি আরও জানান, ইলিশ রক্ষায় সাগরসহ সব নদ-নদীতে মাছ ধরার ২২ দিনের মধ্যে ইলিশই বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার ২৩৯ কেজি ও অন্যান্য মাছ ৩৫ হাজার ৭১৫ কেজি। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৫৭ লাখ ৯ হাজার টাকা। এতে সরকারের ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৫ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
পাথরঘাটা পদ্মা এলাকার জেলে হানিফ শিকদার বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগর ও নদীতে মাছ ধরা শুরু করলেও অন্যান্য মাছের তুলনায় এখনো কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরতে পারিনি।
১ বছর আগে
গোয়ালন্দে সাড়ে ৫ লাখ টাকার চায়না জাল ধ্বংস, ৫ জেলেকে জরিমানা
গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ চায়না দুয়ারি, ঘন বেড় জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকারের জন্য পাঁচ জেলেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সাড়ে ৫ লাখ টাকার ধ্বংস করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মা নদীর কুশাহাটা, অন্তরমোড়সহ বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, বুধবার অভিযান চালিয়ে মাছ শিকারের জন্য অবৈধভাবে পেতে রাখা ৫০টি চায়না দুয়ারি, একটি বড় ঘন বেড় জাল, একটি ১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ২৫ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ জব্দ করা হয়। পরে দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাটে জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা মাছগুলো একটি এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। ধ্বংস করা জালগুলোর আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে এক বাঘাইর বিক্রি হলো অর্ধলাখ টাকায়
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, বুধবার সকাল থেকে আমরা পদ্মা নদীতে অবৈধ চায়না দুয়ারী, কারেন্ট জাল ধ্বংসে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে আগুনে পোড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জন জেলেকে ২ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি এই চায়না দুয়ারি জাল। এ জালে সব ধরনের মাছ ও জলজ প্রাণী ধরা পড়ে। অবৈধ এই জাল ব্যবহারের ফলে মাছ ও জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
তিনি আরও বলেন, এসব জাল ব্যবহারের ফলে খাল, বিলের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। তাই মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে অভিযান: ৪ হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
১ বছর আগে