বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক
সীমান্তে উত্তেজনা: বাংলদেশের প্রতিবাদ সত্ত্বেও পুশ-ইন অব্যাহত
‘বাংলাদেশি’ ট্যাগ দিয়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে শিশু, নারী-পুরুষদের ঠেলে দিচ্ছে (পুশ-ইন) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ নিয়ে প্রতিবেশী এই দুই দেশের অভিন্ন সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
বিএসএফের পুশ-ইন করা মানুষের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও পরিচয় না জানাও অনেকে রয়েছেন। বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও জনসম্পৃক্ততায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানো হলেও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রামগড় সীমান্ত দিয়ে এক পরিবারকে পুশ-ইন করল বিএসএফ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সূত্র জানায়, শুধু বৃহস্পতিবারই (২২ মে) একশর বেশি মানুষ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে। পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, ফেনী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ির সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
সরকারি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ থেকে ১৫ মের মধ্যে ভারতে থেকে অন্তত তিন শতাধিক মানুষকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়েছে।
বিজিবি ও সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মতে, ভারতের দিক থেকে ‘পুশ-ইন’ কিংবা ‘পুশ-ইনের চেষ্টা’ ক্রমেই বাড়ছে। এ ছাড়া সীমান্তে চলাচলের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএসএফ, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে বলে জানা যায়।
অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত ও বাংলাদেশ আইনি কাঠামোর পাশাপাশি চুক্তি করলেও সেসব উপেক্ষা করেই পুশ-ইন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন এবং দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পরিপন্থী।
বিএসএফের পুশ-ইনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, কিছু বাংলা ভাষাভাষী ব্যক্তিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর পর আটক করেছে বিজিবি। তারা কোনো পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট দেখাতে পারেননি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করছেন যে তারা এর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিলেন।
আইজিপি জানান, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা তাদের পরিচয় যাচাইয়ের পর পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আটকদের মধ্যে অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের চোখ বেঁধে দূরবর্তী অঞ্চল থেকে এনে নির্জন সীমান্ত এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়েছে।
বিজিবি তাদের আটক করে পরিচয় জানতে ও যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গত বুধবার (২১ মে) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং নির্ধারিত পদ্ধতির বাইরে যাতে কিছু না ঘটে, তার জন্য ঢাকার পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে।
নির্ধারিত কার্যপ্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা (ভারত) তাদের অবস্থান কিছুটা জানিয়েছে, আমরাও আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি যে এটা সঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় পুশ-ইন: শিশুসহ আটক ৭
উপদেষ্টা জানান, ভারত একটি তালিকা দিয়েছে, যা বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যাচাই করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হলো, প্রত্যেকটি ঘটনা পৃথকভাবে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রকৃত বাংলাদেশি হিসেবে প্রমাণ থাকলেই কেবল তাদের গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, যেকোনো প্রত্যাবাসনই কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।
১৯৫ দিন আগে
পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য অযৌক্তিক: ভারত
ওয়াকফ আইন ঘিরে সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের দেওয়া বক্তব্য ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ভারতের বক্তব্য, অনভিপ্রেত মন্তব্য না দিয়ে বাংলাদেশ বরং নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দিক।
গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এ কথা বলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে তিনি এই বিবৃতিটি প্রকাশ করেছেন।
জয়সোয়াল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য করা হয়েছে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নিপীড়ন নিয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা টানার বিষয়টি প্রায় প্রকাশ্য ও কপট অপচেষ্টা। সংখ্যালঘু নির্যাতনে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এখনো সেখানে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘অযৌক্তিক মন্তব্য এবং ভালোর বেশ না ধরে নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দিলে বাংলাদেশ আরও ভালো করবে।’
গতকাল (বৃহস্পতিবার) মুর্শিদাবাদের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর চেষ্টার প্রতিবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যেকোনো চেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। বাংলাদেশ সরকার মুসলিমদের ওপর হামলা এবং তাঁদের জানমালের নিরাপত্তাহানির ঘটনার নিন্দা জানায়।’
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের সহিংসতা: বাংলাদেশের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ঢাকার
২৩০ দিন আগে
কোভিশিল্ডের রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় কোভ্যাক্সিন প্রদানে আগ্রহী দোরাইস্বামী
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী উচ্চ দেশীয় চাহিদার মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় ভারত থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আরও একটি বিকল্প রয়েছে বলে তার আয়োজকদের মনে করিয়ে দিতে আগ্রহী।
হাইকমিশনার বলেছেন, সেরাম থেকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন ছাড়াও তারা ক্রমাগত কোভ্যাক্সিন রপ্তানির জন্য যে বিকল্প প্রস্তাব করে আসছিল তা কেবল বাংলাদেশে পরীক্ষার জন্য নয়, বরং এখানে নিজস্ব ব্যয়ে সহ-উত্পাদনের জন্যও প্রস্তাব করেছিল।
কোভ্যাক্সিন ভারতের 'স্বদেশজাত ভ্যাকসিন' এর ব্র্যান্ড নাম। ভারতীয় কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির (এনআইভি) সহযোগিতায় হায়দরাবাদ ভিত্তিক ভারত বায়োটেক দ্বারা ভারতের মাটিতে উৎপাদিত এই ভ্যাকসিন।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর বাণিজ্য, সংযোগ ব্যবস্থা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে ধারণ করে: দোরাইস্বামী
দোরাইস্বামী পুনরায় উল্লেখ করেন, কোভ্যাক্সিনের জন্য সহ-উত্পাদনের প্রস্তাবও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা যে কোনটি বেছে নিতে পারে। তারা চাইলে দুটোই অর্ডার করতে পারেন।
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে 'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: ভবিষ্যতের সম্ভাবনা' শীর্ষক একটি আলোচনা সভার বক্তব্যে বলেন, 'বাংলাদেশ সকল বিকল্প বেছে নিতে পারে। এটি কিছু বাছাই করতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত, কোনও ভারতীয় সিদ্ধান্ত নয়।'
প্রখ্যাত পণ্ডিত-কূটনীতিক এবং সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটি কসমস গ্রুপের দাতব্য সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজন করে। কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন।
এটি ছিল কসমস ফাউন্ডেশনের রাষ্ট্রদূত বক্তৃতা সিরিজের সর্বশেষ সিরিজ, যেখানে বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্রদূতরা যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে তার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাথে অংশ নেয়ার আগে ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের মূল বক্তব্য দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম, অধ্যাপক সি. রাজা মোহন, অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী, ড. দেবপ্রিয়া ভট্টাচার্য, মেজর জেনারেল (অব.) আ. ন. ম মুনিরুজ্জামান, ড. ফাহমিদা খাতুন, ব্রিগেডিয়ার মো. জেনারেল (অব.) শাহেদুল আনাম খান এবং রাষ্ট্রদূত (অব.) কৃষ্ণন শ্রীনীবাসন সীমান্তের উভয় দিক থেকে টানা আলোচনাকারীদের প্যানেল হিসাবে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ব্র্যান্ড নামে বিক্রিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। এটি জানুয়ারি থেকে শুরু করে ছয় মাসের জন্য তিন কোটি ডোজ সরবরাহের জন্য স্থানীয় ফার্মা জায়ান্ট বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সাথে একটি চুক্তি করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কসমসের ভার্চুয়াল সভা বৃহস্পতিবার
ভারতে বর্তমান উচ্চ চাহিদা থাকায় ভ্যাকসিনের বাকি ডোজের সরবরাহ স্থগিত রয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ কোভিশিল্ডের ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে। সামগ্রিকভাবে, যে কোনও দেশে ভারত পাঠানো সর্বাধিক পরিমাণ হলো ১ কোটি ৩ লাখ ডোজ।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, সেরাম ইন্সটিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বিষয়ে বেক্সিমকোর মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তি করেছে। 'এটি ভারত সরকারের সুবিধাজনক কোন চুক্তি নয়।'
আইসিডিডিআর, বি এবং ভারত বায়োটেক ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য চুক্তি সম্পাদন করে, তবে মূল ট্রায়াল এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
কোভ্যাক্সিন কোভিশিল্ডের তুলনায় ৮০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
দু'দেশের সম্পর্কের অবস্থা মূল্যায়ন এবং এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে যে চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলো রয়েছে তা শনাক্ত করার জন্য অনলাইন এই আলোচনা সভাটি কসমস গ্রুপের দাতব্য সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজন করে।
হাইকমিশনার বলেন, তারা যুক্তরাজ্যসহ আইনি ও বাণিজ্যিকভাবে বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ, প্রতিবেশীদের এবং অন্যান্য দেশেও তাদের ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: জরুরি মেডিকেল সহায়তা দিয়ে ভারতের পাশে বাংলাদেশ
ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, এই মুহূর্তে ভারতে বড় একটি সংকট চলছে।
তিনি বলেন, 'আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন সহজলভ্য করতে এবং ভ্যাকসিনের উত্পাদন বাড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমরা কেবল আমাদের জনসংখ্যাকেই সরবরাহের সক্ষমতা অর্জন করতে নয়, বরং যারা এখন ভ্যাকসিনের প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না তবে সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের সরবরাহ করতে চাই।'
ভারত তার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে এবং একই সাথে পুনেতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াতে এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ভ্যাকসিন নির্মাতাদের দ্বারা তৈরি করা আরও বেশি ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ভারতীয় সংস্থাগুলোর চুক্তির আওতায় বাধ্যবাধকতা পূরণ করার চেষ্টা করছে।
১৬৭৯ দিন আগে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কসমসের ভার্চুয়াল সভা বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশে ও ভারতের বর্তমান সম্পর্ক, ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে এক অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কসমস ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় এই আলোচন সভা শুরু হবে এবং সম্পূর্ণ আলোচনাটি কসমস ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচার করা হবে।
‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: ভবিষ্যৎ ভাবনা’ বিষয়ক আলোচনায় মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
আলোচনায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেবেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান।
কসমস ফাউন্ডেশন অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের আয়োজন করে আসছে। এসকল আলোচন সভায় আমন্ত্রিত রাষ্ট্রদূত এবং বিশেষজ্ঞ অতিথিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও বৈদেশিক সম্পর্ক ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে নিয়ে গ্যালারি কসমসের আয়োজিত দুই মাসব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী সমাপ্ত
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার শনিবার
এবারের আলোচনায় বাংলাদেশ ও ভারতের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আমন্ত্রিত আলোচকদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ. করিম, অধ্যাপক সি. রাজা মোহন, অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মেজর জেনারেল (অব.) আ. ন. ম মুনিরুজ্জামান, ড. ফাহমিদা খাতুন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহেদুল আনাম খান এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত কৃষ্ণান শ্রীনিভাসান।
বৃহস্পতিবার সম্প্রচারের পর হতে যেকোনও সময় যেকোনও জায়গা হতে কসমস ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে আলোচনার ভিডিওটি দেখা যাবে।
গত এক যুগ সময় ধরে বাংলাদেশ এবং ভারত সত্যিকার এক সুসম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে, যা পাঠ্যপুস্তকে উল্লেখ্য প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্কে সাথে তুলনা যোগ্য।
বাংলাদেশ এবং ভারতের সুসম্পর্ক নিহিত আছে দু’দেশের অভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মাঝে, যা কখনোই মুছে ফেলা যাবে না। আর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অসামান্য সাহায্যে মাধ্যমে এই সম্পর্ক চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে।
আরও পড়ুন: কসমস সেন্টারে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রদর্শনী দেখলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
এছাড়া বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তির অনুষ্ঠানে সবচেয়ে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর দুই দেশের মধ্যকার সুসম্পর্কে চলমান স্বর্ণযুগের ই প্রতিচ্ছবি।
বাংলাদেশে আসন্ন উন্নয়নের পথে দেশের নীতিগত ও সামাজিক দিক নিয়ে আলোকিত ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন সময়েই আলোচনা সভার আয়োজন করে আসছে কসমস গ্রুপের প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন।
১৬৮১ দিন আগে
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করতে পারে: এফবিসিসিআই
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা সম্ভব বলে শনিবার আশা প্রকাশ করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
১৮৬৭ দিন আগে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অতীতের চেয়ে অনেক ভালো: হাইকমিশনার ইমরান
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক অতীতের চেয়ে এখন অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।
১৮৬৮ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির সাথে রিভা গাঙ্গুলী দাসের বিদায়ী সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস রবিবার বঙ্গভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।
১৮৯৪ দিন আগে
যৌথ নদী কমিশনের সভা সমঝোতার মাধ্যমে পিছিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) সভা আরো ভালো প্রস্তুতির জন্য সমঝোতার মাধ্যমে পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
২১৭৮ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদি, প্রণব ও সোনিয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
২১৯০ দিন আগে