পেট্রোবাংলা
পেট্রোবাংলা ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে আরও ৩টি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে চায়
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা আমদানি করা গ্যাস পুনরায় গ্যাসীকরণের জন্য বর্তমানে চালু থাকা দুটির পাশাপাশি আরও তিনটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জেনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, প্রস্তাবিত তিনটি নতুন এলএনজি টার্মিনাল পায়রা, মহেশখালী এবং মাতারবাড়িতে স্থাপন করা হবে যার মোট রিগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা হবে দুই হাজার থেকে তিন হাজার এমএমসিএফ/ডি।
জেনেন্দ্র জানান যে তিনটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হবে, তার মধ্যে দুটি ভাসমান হবে- যা ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) নামে পরিচিত, আর একটি হবে ভূমিভিত্তিক টার্মিনাল।
আরও পড়ুন: এলএনজি আমদানিতে জিডিএফ থেকে ২০০০ কোটি টাকা পাবে পেট্রোবাংলা
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, তিনটি এলএনজি টার্মিনালই দেশি-বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে প্রাপ্ত অযাচিত অফারগুলোর ভিত্তিতে স্থাপন করা হবে।
দু’টি ভাসমান স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট ২০১৮ সাল থেকে চালু রয়েছে। যার মধ্যে একটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে ইউএসএ এর এক্সেলরেট এনার্জি প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং একই এলাকায় একই ক্ষমতার আরেকটি সামিট গ্রুপ স্থাপন করেছিল।
স্থাপিত তিনটি টার্মিনালের মধ্যে এক্সেলরেট এনার্জি পায়রা অঞ্চলের জন্য একটি অফার দিয়েছে এবং সামিট গ্রুপ মহেশখালীর জন্য একটি অফার দিয়েছে। পেট্রোবাংলা মাতারবাড়ি এলাকার জন্য ১২টি প্রতিষ্ঠানকে তালিকাবদ্ধ করেছে।
পায়রা এবং মহেশখালীর প্রতিটি এফএসআরইউর ৫০০ থেকে এক হাজার এমএমসিএফ/ডি গ্যাস পুনরায় গ্যাসীকরণ করার ক্ষমতা থাকবে।
সম্প্রতি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আলোচনা দ্রুত এগিয়ে চলছে... আমরা পায়রা এবং মহেশখালী টার্মিনালের জন্য মেয়াদী চুক্তিপত্র প্রস্তুত করেছি এবং অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহে সহায়তার আশ্বাস সৌদি আরবের
পেট্রোবাংলা মাতারবাড়ি ভূমিভিত্তিক টার্মিনালের জন্য জমির আসল মালিক বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছ থেকে একটি অনাপত্তি সনদ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
জেনেন্দ্র বলেন, ‘আমরা একবার এনওসি পেয়ে গেলে আমাদের দল এবং পরামর্শদাতা মাতারবাড়ি টার্মিনালের জন্য ফার্ম নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’ মাতারবাড়ি ভূমি-ভিত্তিক টার্মিনালের প্রাথমিক ক্ষমতা থেকে সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প থাকবে।
তিনি অবশ্য বলেন, সরকার যদি এখন টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন দেয়, তাহলে এগুলো স্থাপন ও অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে।
তিনি নতুন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য পেট্রোবাংলার পদক্ষেপকে ন্যায্যতা দিয়ে বলেছেন যে দেশে গ্যাস সরবরাহের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে এবং এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ছয় হাজার ৫০০ এমএমসিএফ/ডি-তে পৌঁছাবে যা বর্তমান চাহিদা ৪০০০ এমএমসিএফ/ডি সরবরাহের বিপরীতে ৩০০০ এমএমসিএফ/ডি।
এই পদক্ষেপ না নিলে দেশে গ্যাস সরবরাহে আরও ঘাটতি দেখা দেবে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: এলএনজি আমদানি স্থগিত সত্ত্বেও সরবরাহকারী সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের
দেশব্যাপী গ্যাস সংকট চললেও থেমে নেই সিলেটে নতুন অনুসন্ধানের কাজ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন গ্যাসের উৎস অনুসন্ধানে সরকার যথেষ্ট কাজ করেনি এমন সমালোচনার মধ্যেও পেট্রোবাংলা সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের অধীনে বিয়ানীবাজার এবং এর পার্শ্ববর্তী বড়লেখা ও কানাইঘাট উপজেলায় অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার বলেন, নতুন গ্যাসের উৎস অনুসন্ধানের আশায় নতুন কূপ খননের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এলাকায় অনুসন্ধান কাজের অংশ হিসেবে ভূকম্পন (সিসমিক) জরিপ চলছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আরও প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে আমরা বুঝতে পারব নতুন এলাকায় গ্যাসের মজুদ আছে কি না। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের দিকে যাব।’
তিনি বলেন, তিনটি উপজেলার ১৯১ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান কাজ পরিচালনার জন্য চায়না পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ইজিপি ইন্টারন্যাশনালকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যে প্রকল্পের ২৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে খনন করবে চীনের ‘সিনোপেক’
ঢাকায় পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলেন, নতুন কূপ খননের উদ্যোগটি ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল সময়কালে মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও কূপ খনন করার কাজ সরকারের পরিকল্পনার অংশ, যা গ্যাস সংকটের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎস থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে পারে।
পেট্রোবাংলার পরিসংখ্যান দেখায় যে দেশে বর্তমানে প্রতিদিন ৪০০ কোটি ঘনফুটের বেশি চাহিদার বিপরীতে প্রায় ২৬৪ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়।
বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন বলছে, সারাদেশে তাদের কারখানায় গ্যাস সরবরাহ না হওয়ায় তাদের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আরেকটি উন্নয়নে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের একটি পরিত্যক্ত কূপের (কূপ-১) পুনরায় খনন কাজ শুরু করেছে।
এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই কেন্দ্রে দুইটি কূপ রয়েছে। ১৯৯৯ সালে কূপ-১ এর গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে তা বন্ধ করা হয়। ২০১৬ সালের শুরুতে আবার সেই কূপ থেকে উৎপাদন শুরু হয় এবং সেই বছরের শেষের দিকে আবারও বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: খালি হাতে ফিরিনি, তেল-গ্যাসের নিশ্চয়তা বড় অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
মিজানুর রহমান জানান, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীনে আরও তিনটি কূপ খনন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০২৫ সালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ১৬ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুট বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন যে ২০১৫ সাল থেকে স্থানীয় গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে উৎপাদন ও সরবরাহ হ্রাস পাচ্ছে এবং নতুন অনুসন্ধানের কাজ না করা হলে ভবিষ্যতে এই হ্রাস অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের আওতায় আসছে সিলেট
এলএনজি আমদানিতে জিডিএফ থেকে ২০০০ কোটি টাকা পাবে পেট্রোবাংলা
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) থেকে পেট্রোবাংলাকে ২০০০ কোটি টাকা দিতে অনুমতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ইউএনবির পাওয়া একটি অফিসিয়াল আদেশের অনুলিপি থেকে জানা যায়, জ্বালানি বিভাগের প্রস্তাব অনুসারে অর্থ মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলাকে ঋণ হিসেবে এই তহবিল সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেট্রোবাংলার তীব্র তহবিল সংকটের প্রেক্ষাপটে অর্থ মন্ত্রণালয় এই অনুমোদন দিয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এলএনজির দাম ১০ মার্কিন ডলার এর কম থেকে বেড়ে ৩৯ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সহসভাপতি এম শামসুল আলম বলেন, এ থেকে বোঝা যায় যে সরকার জ্বালানি খাত নিয়ন্ত্রণে গুরুতর সংকটে রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে: জ্বালানি বিভাগ
দাম বৃদ্ধির কারণে সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগ আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে কোনো এলএনজি আমদানি না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
তাই গ্যাস-চালিত কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস করতে হবে, যার কারণে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো পরিকল্পিত লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছে।
পেট্রোবাংলা এখনও দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে ওমান ও কাতার থেকে এলএনজি আমদানি অব্যাহত রেখেছে। সেখানে মূল্য নির্ধারিত রয়েছে, তবে বিভিন্ন শর্তে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
এখন পেট্রোবাংলা আবার নতুন তহবিল ব্যবহার করে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা শুরু করবে, নাকি দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহকারীদের কাছ থেকে গ্যাস আমদানিতে এই তহবিল ব্যবহার করবে; তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) আদেশে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) তৈরি করা হয়েছিল। এটির মাধ্যমে দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে এ তহবিল তৈরির জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্যাস বিলের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অনুমতি পায় পেট্রোবাংলা।
এই ধরনের তহবিলের সব টাকা জ্বালানি বিভাগের খরচ করার কথা। কিন্তু পেট্রোবাংলা কয়েকটি ভিন্ন খাতে এই তহবিল ব্যবহার করে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশে সরকারি কোষাগারে বেশ কিছু টাকা জমা রাখে।
বর্তমান ব্যবস্থা অনুযায়ী জ্বালানি বিভাগ বা পেট্রোবাংলা কোনো কাজে তহবিল ব্যবহার করতে চাইলে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।
তবে বিইআরসি জ্বালানি বিভাগের এই ধরনের তহবিল পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
বিইআরসি জুন মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলাকে তার দুটি মূল তহবিলে- জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল (ইএসএফ) এবং গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) মোট ১২ হাজার ২২৭ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়।
জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের সর্বশেষ নির্দেশিকায় এ নির্দেশ দেয়া হয়। যা বিইআরসি অর্ডার নং-২০২২/৭ নামে ২৭ জুন বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হয় এবং একই দিনে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এটি আপলোড করা হয়।
বিইআরসির রায় অনুসারে, পেট্রোবাংলাকে ইএসএফ তহবিলে ৯ হাজার ২২৭ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা এবং জিডিএফ তহবিলে তিন হাজার কোটি টাকা সুদসহ ফেরত দিতে হবে। কারণ ইতোপূর্বে এই পরিমাণ অর্থ সংস্থাটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেছিল।
তবে পেট্রোবাংলাকে কখন টাকা ফেরত দিতে হবে সে বিষয়ে রায়ে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।
রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে গত ২১ মার্চ গ্যাসের দামের ওপর গণশুনানির ফলোআপ হিসেবে এই আদেশ দেয়া হয়। যেখানে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সহ বিভিন্ন ভোক্তা অধিকার গ্রুপ ইএসএফ এবং জিডিএফ তহবিলকে ভোক্তাদের অর্থ বলে অভিহিত করেছে। কারণ ভোক্তারা তাদের বিলের অতিরিক্ত এ টাকা গ্যাস ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে দিয়ে থাকে।
ক্যাব এবং অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠীগুলো মূল তহবিলে অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য এবং ভোক্তাদের প্রতিনিধিদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা একটি স্বচ্ছ উপায়ের মাধ্যমে শুধুমাত্র গ্যাস ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও গ্যাস সেক্টরের নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে এর ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বিইআরসি’র কাছে অনুরোধ করেছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সাশ্রয়ে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী
কারখানায় মঙ্গলবার থেকে দিনে ৪ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে
শিল্প-কারখানায় মঙ্গলবার থেকে ১৫ দিনের জন্য প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
সোমবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা এই নির্দেশনা জারি করে বলেছে, পবিত্র রমজান মাসে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এ আদেশ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে পুনরায় পূর্ণ উৎপাদন শুরু
সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর ভিজিল্যান্স টিম বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে।
এর আগে আবাসিক এলাকার গ্রাহক ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের সুবিধার্থে পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল পেট্রোবাংলা।
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন পুনরায় শুরু
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে দুটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন পুনরায় শুরু হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং শেভরন বাংলাদেশ উভয়ই গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহের মাত্রার উন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেভরন গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস উৎপাদন প্রতিদিন এক হাজার ১০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি)বৃদ্ধি পেয়েছে যা প্রক্রিয়াকালীন অবস্থায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ৮০০ এমএমসিএফডির কম ছিল।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদনের প্রকৃত ক্ষমতা এক হাজার ২০০ এর বিপরীতে এক হাজার ১০০ তে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস সরবরাহে ঘাটতিতে গ্রাহকদের ভোগান্তি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমরা ধীরে ধীরে সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে জরুরি মেরামতের কাজের কারণে বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে।
এই সংকটকালীন সময়ে ধৈর্যের জন্য মন্ত্রণালয় তাদের গ্যাস গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, শেভরন বাংলাদেশ একটি পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টকে পূর্ণ ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি করছে। প্ল্যান্টে ক্ষতিগ্রস্ত প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন এবং মাঠের চারটি কূপে ইতোমধ্যেই পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়েছে।
পেট্রোবাংলা ও তিতাস গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহে এখনও ঘাটতি থাকায় পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে।
কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি চিহ্নিত হওয়ার পর ৩ এপ্রিল (রবিবার) থেকে গ্যাস সরবারহ কমে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫ জেলার মানুষ উদ্বিগ্ন
রমজানে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ
সারাদেশে রমজান মাসে সিএনজি স্টেশন প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।
বুধবার (৩০ মার্চ) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজানের শুরু থেকে দেশের সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টার পরিবর্তে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: রমজানে অফিস ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে পবিত্র রমাজন মাসে সিএনজি স্টেশন বন্ধের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর পেট্রোবাংলার সর্বশেষ এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে, সাময়িক এ অসুবিধার জন্য পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে ‘আন্তরিক দুঃখ’ প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে সশরীরে ক্লাস চলবে স্কুল-কলেজে: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব: গণশুনানিতে তোপের মুখে পেট্রোবাংলা
গ্রাহক পর্যায়ের গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার দেয়া প্রস্তাবের কঠোর বিরোধিতা করেছেন ভোক্তা, নাগরিক, ব্যবসা ও পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্বকারী পক্ষগুলো।
সোমবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে শুরু হওয়া গণশুনানিতে তারা এ বিরোধিতা করেন। পেট্রোবাংলাসহ আট প্রতিষ্ঠানের গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর দেয়া প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এ গণশুনানির আয়োজন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। শুনানি চলবে বুধবার পর্যন্ত।
ভোক্তা অধিকার পক্ষগুলো বলছে, এই মুহূর্তে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অন্যায্য হবে। কেননা করোনার মহামারি কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ৩ দিনের গণশুনানি শুরু সোমবার
বিইআরসি’র চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিভিন্ন গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে তথ্য একে-অপরের সঙ্গে মিলছে না।
তিনি বলেন, একটি কেন্দ্রীয় তথ্য ব্যবস্থা থাকতে হবে যেখান থেকে গ্যাস খাতের যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
পেট্রোবাংলার দেয়া তথ্য জনগণকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম আরও বাড়লে জনগণের জন্য বড় চাপ হবে: জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা
শুনানির প্রথম দিনে পেট্রোবাংলা ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা সকালে ও দুপুরে পৃথকভাবে দুটি অধিবেশনে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি এবং অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সংস্থাটির বার্ষিক ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৬৫ হাজার ২২৫ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা। ফলে গড়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বর্তমান ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করতে হবে।
বিইআরসির কারিগরি দল পেট্রোবাংলার দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাটির ব্যয় মেটানোর পরেও উদ্বৃত্ত হিসেবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার অব্যবহৃত তহবিল রয়েছে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ৩ দিনের গণশুনানি শুরু সোমবার
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ৩ দিনের গণশুনানি সোমবার শুরু হবে।
গ্যাস সেক্টরের স্টেকহোল্ডারদের যুক্তি শোনার জন্য ২১-২৪ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
তফসিল অনুযায়ী পেট্রোবাংলা অ্যান্ড গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) প্রস্তাবের ওপর শুনানি ২১ মার্চ, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির ২২ মার্চ, তিতাস গ্যাস ও বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির ২৩ মার্চ জালালাবাদ গ্যাস ও কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির শুনানি ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম আরও বাড়লে জনগণের জন্য বড় চাপ হবে: জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা
২৫ জানুয়ারি জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের কাছে খুচরা পর্যায়ে গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রান্সমিশন কোম্পানি এবং অন্যান্য ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তাদের চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা দেয়।
এছাড়াও পেট্রোবাংলা ও বাল্ক পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জানিয়েছে তারা।
গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরদের প্রস্তাব অনুযায়ী, একটি ডাবল বার্নারের মাসিক গ্যাসের দাম বর্তমান ৯৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ২১০০ টাকা হবে এবং সিঙ্গেল বার্নারের দাম বর্তমান ৯২৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০০০ টাকা হবে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি ২১ থেকে ২৪ মার্চ
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকবে
সারাদেশে সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) ফিলিং স্টেশনগুলো প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ থেকে ১০টার পরিবর্তে সন্ধ্যা ৬ থেকে ১১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার পেট্রোবাংলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১ মার্চ (মঙ্গলবার) থেকে নতুন সময়সূচি কার্যকর হবে।
সরকারী সূত্র অনুসারে, বর্তমান গ্যাস সংকটের কারণে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হাইড্রোকার্বন করপোরেশন সিএনজি স্টেশনগুলোকে তাদের অপারেশনাল সময় এক ঘন্টা বাড়িয়ে নতুন নির্দেশ জারি করতে বাধ্য হয়েছে।
গ্যাস সঙ্কট মোকাবিলায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সিএনজি পাম্প মালিকদের প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা পাম্প বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার।
জ্বালানি শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, দেশে প্রায় ২০ শতাংশ গ্যাস উচ্চ মূল্যে আমদানি করতে হবে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল: ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ৪ কোম্পানি
জ্বালানি শিল্প সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধ বিশ্ব বাজারে আরও অস্থিরতা তৈরি করেছে। যার ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিএনজি পাম্পগুলিতে সরবরাহ কমানোর জন্য এই ধরনের ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।’
এদিকে, বাংলাদেশ সিএনজি স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেন, পেট্রোবাংলা গত মাসে এক বৈঠকে তাদের আশ্বস্ত করেছিল যে, পাম্প বন্ধের নতুন নির্দেশনা কতদিন কার্যকর থাকবে সে বিষয়ে তারা একটি নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করবে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু পেট্রোবাংলার নতুন নোটিশে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই এবং এই নতুন নোটিশ দেখে আমরা হতাশ।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে গ্যাস চুরির দায়ে ফিলিং স্টেশনে লাখ টাকা জরিমানা, ৪ জনকে সাজা
পেট্রোবাংলার নতুন চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান
প্রত্যাখ্যানের পরও ফের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
এক সপ্তাহের মধ্যে ফের দ্বিতীয় বারের মতো খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো। মঙ্গলবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে এ প্রস্তাব দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
এছাড়া তাদের প্রধান গ্যাস সরবরাহকারী পেট্রোবাংলাও পৃথকভাবে বাল্ক পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি ছয়টি বিতরণ ও একটি সঞ্চালন কোম্পনি একই ধরনের প্রস্তাব দিলে তা ‘কারিগরি ত্রুটির’ কথা বলে প্রত্যাখ্যান করে বিইআরসি।
তবে বাল্ক পর্যায়ে পেট্রোবাংলা কত টাকা মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বিইআরসি যদি বিতরণকারীদের প্রস্তাব গ্রহণ করে তাহলে রান্নার জন্য দুই চুলার সংযোগে ব্যয় ৯৭৫ টাকা থেকে বেড়ে দুই হাজার ১০০ টাকা এবং এক চুলার ব্যয় ৯২৫ টাকা থেকে বেড়ে দুই হাজার টাকা হবে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার: বিএনপি
বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ইউএনবিকে বলেন, ‘মঙ্গলবারের মধ্যে আমরা পেট্রোবাংলাসহ আটটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রস্তাব পেয়েছি।’
তবে তিনি জানান, পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে কিছু প্রয়োজনীয় নথি নেই যা প্রতিষ্ঠানটি দুই একদিনের মধ্যে দিবে।
তিনি বলেন, ‘যদি সব প্রয়োজনীয় নথি বৈধ ও গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়। তবে কমিশন প্রস্তাবগুলো বিশদভাবে যাচাই করার জন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠন করবে এবং কারিগরি কমিটির ফলাফলসহ তাদের প্রস্তাবগুলো গণশুনানির জন্য রাখা হবে।’
কর্মকর্তা সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী পেট্রোবাংলা ও এর সাতটি সহযোগী সংস্থা বাল্ক ও খুচরা পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত ৩০
নাজিরাবাজারে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ: আহত ৩