গ্রাহক পর্যায়ের গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার দেয়া প্রস্তাবের কঠোর বিরোধিতা করেছেন ভোক্তা, নাগরিক, ব্যবসা ও পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্বকারী পক্ষগুলো।
সোমবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে শুরু হওয়া গণশুনানিতে তারা এ বিরোধিতা করেন। পেট্রোবাংলাসহ আট প্রতিষ্ঠানের গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর দেয়া প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এ গণশুনানির আয়োজন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। শুনানি চলবে বুধবার পর্যন্ত।
ভোক্তা অধিকার পক্ষগুলো বলছে, এই মুহূর্তে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অন্যায্য হবে। কেননা করোনার মহামারি কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ৩ দিনের গণশুনানি শুরু সোমবার
বিইআরসি’র চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিভিন্ন গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে তথ্য একে-অপরের সঙ্গে মিলছে না।
তিনি বলেন, একটি কেন্দ্রীয় তথ্য ব্যবস্থা থাকতে হবে যেখান থেকে গ্যাস খাতের যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
পেট্রোবাংলার দেয়া তথ্য জনগণকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম আরও বাড়লে জনগণের জন্য বড় চাপ হবে: জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা
শুনানির প্রথম দিনে পেট্রোবাংলা ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা সকালে ও দুপুরে পৃথকভাবে দুটি অধিবেশনে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি এবং অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সংস্থাটির বার্ষিক ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৬৫ হাজার ২২৫ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা। ফলে গড়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বর্তমান ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করতে হবে।
বিইআরসির কারিগরি দল পেট্রোবাংলার দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাটির ব্যয় মেটানোর পরেও উদ্বৃত্ত হিসেবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার অব্যবহৃত তহবিল রয়েছে।