মনোনয়নপত্র
৭ জানুয়ারির নির্বাচন: ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ১৯৮৫টি গৃহীত
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেশের ৩০০টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মোট ১৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ এবং ৭৩১টি বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাদেশে দাখিলকৃত ২৭১৬টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে মোট ১৯৮৫টি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৭৩১টি বাতিল করা হয়েছে।’
গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মাহবুবর রহমান বলেন, ৭৩১টি মনোনয়নপত্রের অধিকাংশই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছে- স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে অমিল, ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
আরও পড়ুন: নওগাঁর ৬ আসনে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল ২২ জন
মনোনয়নপত্র প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার থেকে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণের জন্য শহরের নির্বাচন ভবনে ১০টি বুথ স্থাপন করেছে।
৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করা হবে।
আপিলগুলো ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষ্পত্তি করা হবে। ইসি দিনে প্রায় ১০০টি আপিল শুনবে এবং নিষ্পত্তি করবে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং রিটার্নিং অফিসাররা ১৮ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বিতরণ করবেন।
প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত (ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগে) নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারবেন। যা কোনো বিরতি ছাড়াই ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৪৭ জন ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির
খুলনার ৬ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ
১১ মাস আগে
খুলনার ৬ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ
খুলনায় আরও ছয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার তিনটি আসনের ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
তিনি জানান, এই তিন আসনে ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং একজনের অপেক্ষামাণ।
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে সোমবার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার
তিনি আরও জানান, এ তিনটি আসনে ২০ প্রার্থীর মধ্যে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর একজনের মনোনয়নপত্র অপেক্ষমাণ। ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, খুলবার ছয়টি আসনে জমা দেওয়া ৫৩ জনের মনোনয়নপত্র দুই দিন যাচাই-বাছাই শেষে ২৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর একজনের ফলাফল অপেক্ষমাণ।
তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
এর আগে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) (খুলনা- ৪, ৫ ও ৬) তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। ফলে দুই দিনের যাচাই-বাছাইয়ে খুলনার ছয়টি আসনে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলো।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-১ আসনের তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাকের পার্টির মো. আজিজুর রহমান; সমর্থনকারীদের জাল সই এবং প্রার্থী হিসেবে ঘোষণাপত্রে সই না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় এবং নিজ আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আবেদ আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
খুলনা-২ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিদায়েতুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর গণতন্ত্রী পার্টির মো. মতিয়ার রহমানের মনোনয়নপত্রটি অপেক্ষমাণ।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-৩ আসনের দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে সমর্থনকারীদের জাল সই থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইজার আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান
জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ
১১ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। আজ বিকাল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল।
আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন প্রার্থীরা।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেই অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি (রবিবার) ভোট গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ ও নিষ্পত্তি আগামী ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত (ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত) নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ৪২ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানকে নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ
১১ মাস আগে
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রতিমন্ত্রী জাকির ও তার ছেলে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
মঙ্গলবার জাকির ও তার ছেলে সাফায়াত বিন জাকির রৌমারী উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ২ দিন পর মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন জাকির।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৯টি আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দিয়েছে আ.লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন বিপ্লব হাসান পলাশ।
রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিপ্লব হাসান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এবং জাকির ও তার ছেলে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় তা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার শামিল।’
কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দিন জানান, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে প্রতিমন্ত্রীসহ ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন: নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন কিনেছেন যেসব তারকা
আ. লীগের ৬৯ জন সংসদ সদস্য এবার মনোনয়ন পাননি
১১ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তার পক্ষে বকুল মিয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন একরামুজ্জামান। আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, ২ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাশফুল রেস্তোরাঁর সামনে সরকারি কাজে বাধাদান ও বিস্ফোরক আইনে ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রূপন নাথ।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত: রিজভী
সরকারি কাজে বাধা দান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্যকে আহত করার অভিযোগে করা এ মামলায় একরামুজ্জামানকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আইনজীবী আদালতে তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় ঘটনার তারিখ ২ নভেম্বর উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ ২ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দেন। এর প্রমাণপত্রসহ অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালত সব কিছু বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের এ মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবরে মহাসমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, কারাগারে মৃত্যু
একরামুজ্জামান বলেন, ‘আমি জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এ মুহূর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সব কিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।’
তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কাউসার আহমেদ বলেন, বিকালের দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ একরামুজ্জামানের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হয়। তার পক্ষে মো. বকুল মিয়া নামে একজন মনোনয়নপত্রটি সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা ধরে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করবে ইসি: বিএনপি
১১ মাস আগে
শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ
আগামী শনিবার থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার গভর্নিং কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে বুধবার (১৫ নভেম্বর) ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কেউ বাধা দিতে পারবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে।
এদিকে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সব বিভাগের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিজেরাই বা প্রার্থীদের যোগ্য প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কোনো অতিরিক্ত জনসমাবেশ ছাড়াই আবেদনপত্র সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য প্রার্থীকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর, যেখানে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
জাতির উদ্দেশে টেলিভিশন ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।
আরও পড়ুন: এখন সংলাপের আর সুযোগ নেই: কাদের
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে ৭৪ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
যশোরের বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে চারজনসহ মোট ৭৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
রবিবার (১৮ জুন) বিকাল ৪টা ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল। আগামী ১৭ জুলাই এই পৌর নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ জানান, মেয়র পদে চারজনের পাশাপাশি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৩ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন- বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন, বেনাপোল পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মিলন এবং যুক্তিযাদ্ধা প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসন উজ্জ্বল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
আগামীকাল ১৯ জুন মনোনয়ন যাচাই-বাছাই, ২৫ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ জুন প্রতিকবরাদ্দ এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জুলাই।
এ নির্বাচনে বেনাপোল পৌরসভায় ৩০ হাজার ৩ শত ৮৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ৪ মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৩
বরিশাল সিটি নির্বাচন: ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৬
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ৪ মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৩
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে জাকের পার্টির প্রার্থীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনজন মেয়র প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।
ফলে কেসিসি নির্বাচনে বৈধ তিন মেয়র প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল এবং জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
বাতিল চার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মধ্যে এস এম শফিকুর রহমান, আল আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম তাদের ৩০০ ভোটারের সমর্থনকারীদের সমর্থনে তথ্য ভুল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আয়কর রিটার্ন দাখিল, রশিদ ও প্রত্যয়নপত্র জমা না দেওয়ায় জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সলর পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই চলছে। যাচাই বাছাই শেষ হলে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা দিবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
গত ১৬ মে খুলনা নির্বাচন কার্যালয়ে সাত মেয়র প্রার্থীসহ সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সলর পদে মোট ১৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে। আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন।ি
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: বিএনপি নেতা কায়সারের বাড়িতে হামলা, নির্বাচনে অংশ না নিতে হুমকি
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাত প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কেসিসি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ মঙ্গলবার (১৬ মে)।
জেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, কেসিসি নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৯৫ জন প্রার্থী।
মেয়র পদে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র এস এম মুশফিকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আগুয়ান-৭১ এর আবদুল্লাহ চৌধুরী ও সাম্যবাদী দলের সাবেক নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম।
এছাড়া নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৪৯ জন প্রার্থী। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৯ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন: কেসিসি ভোট: মেয়র পদে ৭ জনসহ ২২২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় প্রার্থীসহ ৫ জনকে আসতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকে সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের কথা বলা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
কেসিসি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। আগামী ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।
৩১টি ওয়ার্ডের অধীনে মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ (৫ দশমিক ৩৫ লাখ) ভোটার ১২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: করোনায় বন্ধ থাকা কেসিসির উন্নয়ন প্রকল্প ফের শুরু
কেসিসির নবনির্বাচিত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ
১ বছর আগে
সাবেক জিসিসি মেয়র জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল চ্যালেঞ্জে করা রিট খারিজ হাইকোর্টের
আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে সাবেক জিসিসি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব-উল-আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন পর্যন্ত ঋণখেলাপি বলে আবেদনটি খারিজ করে দেন, যা তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে।
রিটকারীর পক্ষে ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গাজীপুরের রিটার্নিং অফিসার (আরও) ফরিদুল ইসলাম ‘ঋণ খেলাপি’ হওয়ায় প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করার এক সপ্তাহ পরে রিট আবেদনটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন: প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জাহাঙ্গীরের রিট
৪ মে জাহাঙ্গীর মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেন; ওই আপিল একই দিনে খারিজ হয়ে যায়।
খারিজ হওয়ার পর জাহাঙ্গীর বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান।
৩০ এপ্রিল প্রাথমিক যাচাই-বাছাইকালে জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল করা হয় এবং তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, জাহাঙ্গীর একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জামিনদার ছিলেন। তাকে সংগঠনসহ ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা হয়েছে।
সাবেক মেয়র ও তার আইনজীবী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ঋণ পরিশোধের নথি জমা দিলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই-বাছাইয়ের সময় তার মনোনয়ন বাতিল করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল, মায়েরটি বৈধ ঘোষণা
জাহাঙ্গীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
১ বছর আগে