অনশন
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের প্রতীকী অনশন
তিন দফা দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’- এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতীক অনশন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মচারীরা। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
দাবিগুলো হলো- চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিতকরণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টায় অনশনস্থলে এসে আন্দোলকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কর্মচারি পরিষদের সভাপতি ও আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাদেক আহমদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি পরিষদের সভাপতি সুরুজ মিয়া।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মৌন মিছিল
এসময় তাদের সঙ্গে শাবিপ্রবি কর্মচারি পরিষদ ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত জানান, তিন দফার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাকা দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মানবপ্রাচীর
১ বছর আগে
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৬ ঘণ্টার অনশন
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীতে ছয় ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
সোমবার (২৪ জুলাই) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ বিরোধী দলের এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন দলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বেলা ১১টায় প্রায় দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, যৌবনে মাতৃভূমির মুক্তির জন্য লড়াই করা বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং এক দফা আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে সরকারের পতনের দাবিতে এখানে দিনব্যাপী অনশন শুরু করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও এ সরকার গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে এবং মানুষের কণ্ঠস্বরকে দমন করেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। পাকিস্তানিরা আমাদের অধিকার দিতে চায়নি। সেই অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি।’
বিকাল ৫টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান মুক্তিযোদ্ধাদের অনশন ভাঙতে পানি পান করান।
এর আগে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান ‘দখলকারী’ সরকার গণতন্ত্র ও জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকার হরণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার স্বপ্নকে নস্যাৎ করেছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা চাইনি জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্রবিহীন এই বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দেশ ও জনগণের দুর্ভোগ ও উন্নয়ন নিয়ে ন্যূনতম মাথা ঘামাচ্ছেন না বলে ব্যাপক দুর্নীতি, লুটপাট ও বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের অভাবে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তাদের দল বর্তমান ‘অগণতান্ত্রিক’ ও ‘অবৈধ’ সরকারকে উৎখাত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেমেছে।
আরও পড়ুন: সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার আবেদন
চট্টগ্রামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ: ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় ডিসির আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন আন্দোলনকারীরা
আগামী দুই মাসের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনশন ভেঙেছেন আন্দোলনকারীরা।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুমকে পানি ও শরবত পান করিয়ে অনশনকারীদের অনশন ভাঙান জেলা প্রশাসক। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন জোয়ার্দ্দারকে শরবত ও পানি পান করান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান, জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসসহ সরকারি কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ জোয়ার্দ্দার, সদর উপজেলার সদস্য সচিব শাহাজান আলী ও সদস্য জান্টু মিয়সহ উপস্থিত সবাই তাদের অনশন ভাঙেন।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুম বলেন, জেলা প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আমরা আমরণ অনশন থেকে সরে এসেছি। নিজ হাতে পানি পান করিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছেন। তবে তারা দুই মাস সময় নিয়েছেন। এর মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২১ সেপ্টম্বর থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: চাকরি নিয়ে ‘প্রতারণা’: অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ রেখে এলাকাবাসীর অনশন
এর আগে অনশন চলাকালে বুধবার (১৯ জুলাই) তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। আনদোলনকারীরা চিকিৎসা শেষে শরীরে স্যালাইন দিয়ে অনশন চালিয়ে যান। এরপর আজ তারা ঊর্ধ্বতনদের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, শুধু এই জেলায় নয়, এই রকম নতুন স্থাপনা দেশের অনেক স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে। এসব জেলায় একই সঙ্গে কার্যক্রম শুরু হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, আমি দুইবার চিঠি দিয়েছি সংশ্লিষ্ট বিভাগে। সেখান থেকে জানানো হয়েছিল নতুন অর্থবছরে বিষয়টি দেখবেন।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা পর্যালোচনা করেছি তাদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই সকাল থেকে সদর হাসপাতাল চত্বরে আমরণ অনশন শুরু করেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: গণরুম বিলুপ্তির দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীর অনশন
১ বছর আগে
চাকরি নিয়ে ‘প্রতারণা’: অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ রেখে এলাকাবাসীর অনশন
পঞ্চগড় সদরে চাকরির জন্য দেয়া টাকা ফেরতসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রতারকের বাড়িতে লাশ রেখে অনশন করছে এলাকাবাসী। তবে অভিযুক্তসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া দাখিল মাদরাসার তৎকালীন সভাপতি হোটেল ব্যবসায়ী জুলফিকার আলম প্রধান দুই বছর আগে মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে জাকিরুল ইসলামের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধানের কাছে থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা নেন। দুই মাস আগে জুলফিকারের সভাপতির সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে টাকা ফেরত দিতে চাপ দেয় জাকিরুলের পরিবার। কিন্তু তিনি কালক্ষেপন করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে এক দম্পতি
২৫ দিন আগে জাকিরুলের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধান আবারও জুলফিকারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে উল্টো তাকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে নিজের বাড়ি গিয়েই তিনি স্ট্রোক করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর গত ৭ আগস্ট দবিরুল আবারও স্ট্রোক করলে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দবিরুলের লাশ জুলফিকারের বাড়িতে রেখে অনশন শুরু করেন।
এই বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের বাসায় গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পাওয়া গেল বিরল প্রজাতির রেড কোরাল কুকরি সাপ
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, লাশ রেখে অনশনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গভীর রাতে উভয়পক্ষ বসে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেয়া সাপেক্ষে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।
২ বছর আগে
শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, তখন শিক্ষকদের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল যে, খবরদার! তোমরা এটা করতে পারবা না। একজন শিক্ষকও সেটা করেননি। একজন শিক্ষকের এরকম মেরুদণ্ডহীন হওয়ার কোনো কারণ নাই।’
আরও পড়ুন: অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরাশিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের সমস্ত তরুণ প্রজন্ম তোমাদের পেছনে। সমস্ত মানুষজন তোমাদের পেছনে। তোমরা সুস্থ হও। উদাহরণ তৈরি করো। যে উদাহরণ বাংলাদেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুসরণ করবে।’শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ‘দানব’ বলেছেন। সেই ‘দানবের’ কাছে আপনারা শিক্ষার্থীদের রেখে যাচ্ছেন। এই বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘শুনেন, ছাত্রদেরকে আন্ডারএস্টিমেট করবেন না। কে, কাকে, কার কাছে রেখে যাচ্ছি, সেটা সময়েই বলে দেবে।’উপাচার্যের অপসারণ সংক্রান্ত দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার যখন দাবিদাওয়া মেনে নেবেন বলেছেন, তখন দাবির মধ্যে এই দাবিটাও তো পড়ে। কিন্তু সরকারেরও তো নিজস্ব টেকনিক্যাল ব্যাপার থাকে, রাজনৈতিক ব্যাপার থাকে, সেটার জন্য তাদের হয়তো একটা প্রসেস থাকে। গোপালগঞ্জের ভাইস চ্যান্সেলরকে তারা একভাবে সরিয়েছে, অন্য ভাইস চ্যান্সেলরকে অন্যভাবে সরিয়েছে। কাজেই সেটা তাদের ব্যাপার। আমার প্রাইমারি কনসার্ন ছিল, ওদেরকে অনশন থেকে বের করতে পারি কিনা।’আন্দোলনে বহিরাগতদের কোনো ইন্ধন ছিল বা আছে কিনা, এরকম এক প্রশ্নের জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, আমি দেখেছি যে, এরা সাধারণ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে কোনো উচ্চভিলাষ নাই। পুলিশ ওদের গায়ে এরকম নির্মমভাবে হাত তুলেছে, কাজেই ওদের মনের ভেতর একটা ক্ষোভ হয়েছে, সংঘত কারণেই। সেজন্যই তারা এই আন্দোলনটা করছে। এর মধ্যে বিন্দুমাত্র বাড়াবাড়ি নাই, অহেতুক কোনো দাবি নাই। ওদের দাবি শতভাগ যৌক্তিক দাবি।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপিউপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি তিন বছর আগে যখন নাকি অবসরে চলে যাই, তখন একটা চিঠি লিখে উনাকে দিয়ে যাই। সেই চিঠিতে আমি বলে দিয়েছিলাম অনেকগুলো। আমি সেখানে লিখেছিলাম স্পষ্ট করে, আপনি যদি এগুলো না করেন, ছাত্রদের এখন যে ক্ষোভ আছে, তা বিক্ষোভে রূপ নেবে। একদম অক্ষরে অক্ষরে আমার কথাটা ফলেছে।’‘মুক্তবুদ্ধির চর্চা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’ অভিহিত করে শিক্ষার্থীরা একে ‘তালেবানি সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটা তো অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার যে, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কাজগুলো বন্ধ হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রেংথ ছিল, আমাদের এমন কোনো সংগঠন নাই যেটা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল না। সেটা যখন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, তখনই বোঝা গেছে, এই মানুষটা আর যাই হোক, উনি একাডেমি বুঝেন না।’শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে বুধবার ভোর চারটায় ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।এর অংশ হিসেবে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) অনশন শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
২ বছর আগে
অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন। বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল পানি খাইয়ে তাদের অনশন ভাঙান। টানা সাতদিন ধরে অনশন করছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।এর আগে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ক্যাম্পাসে আসেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক। আন্দোলনরত ২৬ জন শিক্ষার্থীকে মুখে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙানো হয়।বুধবার ভোর ৪টার দিকে ড. জাফর ইকবাল দম্পতি ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপিক্যাম্পাসে এসে তারা শিক্ষার্থীদের বলেন, আজ উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমার বাসায় আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, যে দাবি তোমাদের, সেটা পূরণ হবে। তোমাদের ওসিলায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক হবে।গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে আন্দোলনে।গত ১৬ জানুয়ারি বিকালে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
আরও পড়ুন: ‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
২ বছর আগে
শাবিপ্রবির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের প্রতীকী অনশন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক প্রতীকী অনশন করেছে।
দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অপরাজেয় বাংলার সামনে শিক্ষকরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
প্রতীকী অনশনে অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ ও সাঈদ ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কামরুল হাসান।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি বসতে চান শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান, ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের কাজী মারুফুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিরাজ মাহবুব, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলি শেহরীন ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষকরাও ধর্মঘটে যোগ দেন।
ধর্মঘটে ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরও যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নয়, আলোচনা হবে সিলেটে: শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
২ বছর আগে
শাবিপ্রবি: উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না শিক্ষার্থীরা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীদের অনশন ষষ্ঠ দিনের মতো চলছে। রবিবার বিকালে নতুন করে এই কর্মসূচিতে আরও চার শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭-এ।
এদিকে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসবভন ঘেরাও করে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় উপাচার্যের বাসভবন, গেস্টহাউজ, শিক্ষক ডরমিটরি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ডরমিটরিতে থাকা শিক্ষকদের পাশাপাশি গেস্টহাউজে থাকা করোনা ল্যাবে কাজ করা ভলান্টিয়াররাও সমস্যা পড়েছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনের সামনে মানব-শেকল তৈরি করেছেন। তারা জানিয়েছেন, পুলিশ ব্যতিত কাউকে উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে সাত শিক্ষার্থীকে ক্যানোলার মাধ্যমে লিকুইড স্যালাইন ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্টারি দেয়া হচ্ছে। বাকি ১২ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পানিসহ কোনো ধরনের তরল খাদ্য গ্রহণ করছেন না। যার ফলে অনেকেই নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন। তবে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কেউ অনশন ভাঙবেন না।
আরও পড়ুন: সরকারকে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান শিক্ষক সমিতির
২ বছর আগে
অনশনরত অবস্থাতেও আলোচনায় বসতে পারেন শিক্ষার্থীরা: শিক্ষামন্ত্রী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা অনশন থেকে সরে এসে আলোচনায় বসুক। তারা চাইলে অনশনরত অবস্থাতেও আলোচনায় বসতে পারেন। আলোচনাই একমাত্র সমস্যা সমাধানের উপায়।’
শাবিপ্রবির চলমান সংকট নিরসনে শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে শাবিপ্রবির শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় দ্বার খোলা রয়েছে। তারা যখন চাইবেন তখন ই আলোচনা হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে পারিবারিক কাজের কারণে যেতে পারছি না। তবে প্রয়োজন হলে আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে যেতে পারেন।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যখনই বসতে চায় তখনই যাবে প্রতিনিধি দল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন সেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। তখন বলেছি আলোচনার মাধ্যমে সব সমাধান করা যায়। তারা বললো আমরা আজকেই আসতে চাই। আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে জানাচ্ছি কারা কারা আসছি। কিন্তু তারা জানিয়েছে অনশনরত বন্ধুদের রেখে তারা আসতে চায় না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শাবিতে পুলিশি আচরণ (অ্যাকশন) দুঃখজনক। কিন্তু শিক্ষকদেরও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। দুটোই অনভিপ্রেত।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: অনশনের চতুর্থ দিনে ১৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে, বাকিরাও অসুস্থ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ ও শাবিপ্রবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী সাহার নেতৃত্বে পাঁচ শিক্ষক এসময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের দশম দিনেও অনশন চালিয়ে যাচ্ছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।
২ বছর আগে
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। শিক্ষার্থীরা চাইলে তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি আছেন। যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান চান বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের মধ্যস্থতায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অনশনরত ১০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে, মধ্যরাতে মশাল মিছিল
এ দিকে ডা. দীপু মনির আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে আলাপ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আজকের মধ্যেই তারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত জানাবেন।
তবে শিক্ষার্থীরা তাদের অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের যারা অনশনে আছেন তাদের একটাই কথা ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙবেন না।’
এর আগে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
এ দিকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে ছাত্রদলের সমাবেশ
আমরণ অনশনে বসলেন শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী
২ বছর আগে