আগামী দুই মাসের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনশন ভেঙেছেন আন্দোলনকারীরা।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুমকে পানি ও শরবত পান করিয়ে অনশনকারীদের অনশন ভাঙান জেলা প্রশাসক। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন জোয়ার্দ্দারকে শরবত ও পানি পান করান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান, জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসসহ সরকারি কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ জোয়ার্দ্দার, সদর উপজেলার সদস্য সচিব শাহাজান আলী ও সদস্য জান্টু মিয়সহ উপস্থিত সবাই তাদের অনশন ভাঙেন।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুম বলেন, জেলা প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আমরা আমরণ অনশন থেকে সরে এসেছি। নিজ হাতে পানি পান করিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছেন। তবে তারা দুই মাস সময় নিয়েছেন। এর মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২১ সেপ্টম্বর থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: চাকরি নিয়ে ‘প্রতারণা’: অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ রেখে এলাকাবাসীর অনশন
এর আগে অনশন চলাকালে বুধবার (১৯ জুলাই) তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। আনদোলনকারীরা চিকিৎসা শেষে শরীরে স্যালাইন দিয়ে অনশন চালিয়ে যান। এরপর আজ তারা ঊর্ধ্বতনদের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, শুধু এই জেলায় নয়, এই রকম নতুন স্থাপনা দেশের অনেক স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে। এসব জেলায় একই সঙ্গে কার্যক্রম শুরু হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, আমি দুইবার চিঠি দিয়েছি সংশ্লিষ্ট বিভাগে। সেখান থেকে জানানো হয়েছিল নতুন অর্থবছরে বিষয়টি দেখবেন।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা পর্যালোচনা করেছি তাদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই সকাল থেকে সদর হাসপাতাল চত্বরে আমরণ অনশন শুরু করেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের নেতা-কর্মীরা।