ময়লা
একসময়ের প্রমত্তা নড়াই নদী এখন শুধুই ময়লার ভাগাড়
রাজধানীর রামপুরা সেতু ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনের মাঝ দিয়ে পুব দিকে ত্রিমোহিনীর দিকে চলে গেছে প্রশস্ত একটি সড়ক। সড়কের বাঁ পাশের ফুটপাত দিয়ে হাঁটা দিলে আচমকা উৎকট দুর্গন্ধ এসে নাকের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এখানে সিটি করপোরেশনের একটি ময়লা ভাগাড় রয়েছে। কোনোরকম নাক-মুখ চেপে সামনে এগোলে সবার আগে চোখে পড়বে একটি মরা নদী। হরেক গাছগাছালিতে ভরা নদীটির তীর কংক্রিকেটের বেড়া দিয়ে ঘেরা।
নদী হলেও আসলে সেটিকে সরু খাল বা জলরেখা বলা চলে। সেই খালের তীরেই ছোট্ট একটি সাইনবোর্ডে লেখা ‘নড়াই নদী’। সাইনবোর্ড না দেখলে যে কেউ মরা খালই ভাববে নদীটিকে। নদীর তীর ধরেই এগিয়ে গেছে সড়কটি। নদীর একপাশে বনশ্রী এলাকা, অপরপাশে আফতাবনগর।
ফুটপাত দিয়ে আরও কিছুদূর গেলে বনশ্রীর ‘সি’ ব্লকের মাথায় আরেকটি ময়লার উন্মুক্ত ভাগাড় দেখা যাবে। বাসাবাড়ি থেকে ময়লা এনে সিটি করপোরেশনের লোকজন এখানে ফেলছে। পরে ময়লার গাড়িতে করে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র।
আরও পড়ুন: শুকিয়ে যাচ্ছে দেশের ৮১ নদী, পরিবেশগত সংকটের শঙ্কা
রবিবার (৬ এপ্রিল) সকালে নদীতীর ধরে মাইলখানেক হাঁটার পর রামপুরা সেতু থেকে মেরাদিয়া বাজার পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের এমন তিনটি ভাগাড় চোখে পড়েছে। কেবল তা-ই নয়, ময়লা-আবর্জনায় ঢাকা পড়েছে নদীতীরের পুরোটা। কোথাও কোথাও আবার আগুন দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে সেই ময়লা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বনশ্রীর আইডিয়ালের পাশেই একটি বহুতল কনডোমিনিয়াম (আবাসিক ভবন) নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানের ইট-বালুর বস্তা নদীতীরে ফেলা হচ্ছে। আরেকটু হাঁটলে চোখে পড়ে, ফরাজি হাসপাতালের সামনে নদী দখল করে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।
মেরাদিয়া হাট এলাকায় নদীতীর দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে উঠেছে। সিটি করপোরেশনের আরও একটি ভাগাড় রয়েছে এখানে। নদীর তীরে খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে আশপাশের বাসিন্দাদের অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
নদীর বনশ্রী অংশে ময়লার ভাগাড় হলেও অপরপাশের আফতাবনগর অংশে তীর দখল করে গড়ে উঠেছে উঁচু উঁচু ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও হাসপাতাল। কোনো কোনো ভবন নদীর ভেতরে ঢুকে গেছে। সড়ক সম্প্রসারণের নামেও নদীর জায়গা দখল করে ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে।
২৬০ দিন আগে
কোনাপাড়ায় বন্ধ হলো দূষণকারী সব কারখানা
কোনাপাড়ার ময়লার ভাগাড় ও সামাদনগরে গত তিনদিন ধরে অভিযান চালিয়ে সব বায়ুদূষণকারী ব্যাটারি কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট।
রবিবার (৩০ মার্চ) রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা, মান্ডা, গ্রীন সিটির পেছন অংশ, সামাদনগর, শরীফপুর, ময়লা রাস্তা মোড় ও কোনাপাড়ায় এসব অভিযান পরিচালন করা হয়।
এ সময় এসব এলাকায় থাকা ঢালাই লোহার কারখানাগুলোও বন্ধ পাওয়া গেছে। অভিযানে গ্রীন মডেল টাউনের আশপাশের এলাকাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এ সময় কোনাপাড়া এলাকার মোবাইল কোর্টের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও অভিযানে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ, টহল পুলিশ ও লাইন পুলিশও।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ
২৭১ দিন আগে
শরীয়তপুর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ময়লা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পৌরবাসী
শরীয়তপুর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ময়লা। তাছাড়া ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই পানি। পানি সরবরাহ বিভাগ জানিয়েছে, বহু বছরের পুরনো পাইপ লাইনে পানি সরবরাহের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।
এছাড়া ময়লা পানি ব্যবহারে চর্ম ও পেটে পিড়ার মতো কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: নৌকা গ্রাম: শরীয়তপুরের ৩০ পরিবারের জীবিকা চলে নৌকা তৈরি করে
শরীয়তপুর পৌরসভা সূত্র জানায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি গভীর নলকূপ চালু আছে। তুলাসার, আংগারিয়া, আটং, প্রেমতলা ও কোতোয়াল বাড়ির রাস্তার পাইপ লাইনে পানির সঙ্গে ময়লা আসে। মাঝে মধ্যে পাইপ লাইন ওয়াশ করা হয়। বহুদিনের পুরানো পাইপ লাইন পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রকল্প চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। পৌরসভার রাস্তা সংস্কার হলে পাইপ লাইন রিপ্লেসমেন্ট করা হবে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুই বেলা পানি সরবরাহ করে থাকে পৌরসভার পানি সরবরাহ বিভাগ। প্রায় এক লাখ মানুষ এই পানি ব্যবহার করে থাকে।
প্রতিনিয়ত পানির সঙ্গে শ্যাওলা ও লাল বর্ণের আয়রন জাতীয় ময়লা আসে। যে সকল পরিবার এই পানির ওপর নির্ভরশীল তাদের সকল কাজেই এই ময়লা পানি ব্যবহার করতে হয়।
তুলাসার এলাকার আব্দুল মজিদ, আঙ্গারিয়া এলাকার মুন্নি আক্তার ও নিরালা এলাকার আমিন জানায়, পানির সঙ্গে ময়লা আসে। কিছু ময়লা ছাকনি দিয়ে পরিস্কার করা যায়। পানির সঙ্গে মিশে কিছু ময়লা আসে তা ছাকনিতেও পরিস্কার করা যায় না। এই পানিতে গোসল করে তাদের চুলকানির মতো চর্মরোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া এই পানিতে রান্না করা খাবার খেয়েও অনেকের পেটের অসুখ হচ্ছে।
শরীয়তপুর পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখার প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পানির সঙ্গে ময়লা যায় এমন অভিযোগ সকল এলাকা থেকেই পাওয়া যায়। পাইপ লাইনের শেষের দিকে এই সমস্যা বেশী হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝে মাঝে কোতোয়াল বাড়ির পাইপ লাইন পরিস্কার করা হয়।
এছাড়া বটতলার নলকূপটি ১৯৮৯ সালে স্থাপন করা হয়েছে। এই নলকূপের পাইপ লাইনের ওপরে রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় পাইপ রিপ্লেসমেন্ট সম্ভব হয়নি।
তাছাড়া পাইপ লাইনে বাহিরের ময়লা প্রবেশের সুযোগ নাই। পাইপ লাইনে সৃষ্ট ময়লা পানির সঙ্গে যায়। এই ময়লায় তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার কথা না।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবুল মোহাম্মদ শাহ পরান বলেন, ময়লা পানির ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ময়লা পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করা যেতে পারে। তা নাহলে চর্ম রোগ পেটের পিড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে মৎসখাতে সোনালি সম্ভাবনার হাতছানি
পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে পরিবহন খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রত্যাশা
১০৯২ দিন আগে
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রোল মডেল যশোর ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যন্ত্রের মাধ্যমে সার ও বায়োগ্যাসে রূপান্তর করার মাধ্যমে যশোর সদর পৌরসভার ঝুমঝুমপুর ময়লার স্তুপ সারা দেশের জন্য রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
২১৮৫ দিন আগে
বাজারের ময়লা-আর্বজনায় ভরাট হচ্ছে কপোতাক্ষ নদ
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী কপোতাক্ষ নদ ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
২২১১ দিন আগে