অ্যাপ
বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস ৩২ লাখ ছাড়িয়েছে
ঘরে বসেই কাগজপত্র ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই বিকাশ অ্যাপ থেকেই আইডিএলসি ফাইন্যান্স, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকে ৩২ লাখের বেশি ডিপিএস খুলেছেন বিকাশ গ্রাহকরা।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও দেশের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেওয়া যৌথ সেবায় আস্থা রেখেই গত তিন বছরে বিকাশ অ্যাপে এই সাপ্তাহিক এবং মাসিক ডিপিএসগুলো খোলা হয়েছে। এরইমধ্যে যে সকল গ্রাহকের ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। তাদের ৯৬ শতাংশই আবার বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। গ্রাহকের সঞ্চয়ের মানসিকতা যেমন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে সুদৃঢ় করছে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিকাশের যৌথ উদ্যোগে সঞ্চয়কে সার্বজনীন করার এই প্রয়াসকে উদযাপন ও সামনে এগিয়ে নিতে রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে অংশীজনদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিকাশ।
দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশে শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্সে মাসিক ডিপিএস দিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রা শুরু হয় বিকাশের ডিজিটাল সেভিংস সেবার। এরপর পর্যায়ক্রমে যুক্ত হয় বাকি চারটি ব্যাংকের ডিপিএস। আর বিকাশ অ্যাপে সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবা চালু হয় ২০২৪ সালের প্রথম দিকে।
সাধারণ ডিপিএসের পাশাপাশি যে গ্রাহকরা ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক সঞ্চয়ে আগ্রহী, তাদের জন্য আনা হয় সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সেবা।
পারস্পরিক সহযোগিতা ও সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আরও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে কীভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
এই বিশেষ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের বলাকা এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জে বিকাশ পেমেন্টের সুযোগ
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন আইডিএলসি ফাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামাল উদ্দিন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেখ মোহাম্মদ মারুফ, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহসান জামান চৌধুরী এবং বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, এখন কোনো ঝামেলা ছাড়াই ডিপিএসের টাকা গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে চলে আসছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট, পেমেন্টেকে আরও কার্যকরী করে তুলতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। বিকাশও এই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখছে।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামাল উদ্দিন বলেন, বিকাশেরর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এত দ্রুত আমরা ১২ লাখ গ্রাহক পেয়েছি যা এর আগে কখনও হয়নি। সঞ্চয়ের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যে এত আগ্রহ তা বিকাশের সঙ্গে আসার আগে আমরা বুঝিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বন্যার্তরা তাদের সেভিংসের টাকা তুলে প্রয়োজন পূরণ করেছেন। তারা যখন ভালো অবস্থানে এসেছেন, নতুন করে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা শুরু করেছেন আবার।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কোলাবোরেশন, কো-ক্রিয়েশন ছাড়া ভবিষ্যৎ অচল। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকের পক্ষে একা পৌঁছানো ব্যয়সাপেক্ষ। এমএফএস এই ব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছে। আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভূমিকা রাখছে এই ধরনের পার্টনারশিপগুলো।
ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, দেশে ফাইন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম উন্নত করতে সবারই কিছু দায়িত্ব আছে। আর এই সেবাগুলো সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়ম-নীতি, পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক, সাইবার সিকিউরিটির মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফ থেকে আসা দরকার। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে জনগণকে ভরসার জায়গায় আনার জন্য সরকারের উৎসাহ ও প্রণোদনাও প্রয়োজন।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, বিকাশ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর জন্য ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তন করে দিয়েছে। ব্যাংক-এমএফএস কোলাবোরেশনের মাধ্যমে দেশের সব প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। সিটি ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং সেবার মত বিকাশ অ্যাপে সিটি ব্যাংকের যে ইসলামিক সেভিংস আছে তা শরিয়াহ্ উপদেষ্টা বোর্ডের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে শরিয়াহ্-ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে গ্রাহকদের জন্য আনা হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, অন্য অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে তুলনা করলে দেখা যায় সঞ্চয়ের হার এখনও বেশ কম, যার অর্থ হচ্ছে এই খাতে আরও কাজ করার সুযোগ আছে। নানা প্রয়োজনে ব্যক্তি যখন সঞ্চয় করেন তখন দেশের অর্থনীতির জন্যও তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেভিংস যত বেশি হবে, সেটা চ্যানেল করে ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ব্যবসায় ব্যবহার করতে পারবে। বিনিয়োগ যে শুধু বিদেশ থেকে আসবে তা নয়, আমাদের দেশীয় বিনিয়োগ আমাদের নিজেদের সঞ্চয় থেকেই হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিকাশেরর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, সমৃদ্ধি শুরু হয় সঞ্চয় থেকে। যেদিন প্রথম এক টাকা সঞ্চয় হয়, সেদিনই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুরু হয়। বিকাশ অ্যাপে সেভিংসেরর সৌন্দর্যই এখানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি সহায়তা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সঙ্গে অংশীজন হিসেবে কাজ করছে যে ব্যাংকগুলো তাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ছাড়া বিকাশেরর পক্ষে এখানে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিকাশ অ্যাপে চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মাসিক ও সাপ্তাহিক ডিপিএস খুলতে পারছেন গ্রাহকরা।
প্রতিষ্ঠান ও ডিপিএসেরর ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমাতে পারছেন গ্রাহকরা। নতুন ডিপিএস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’আইকনে ট্যাপ করে কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করে যেকোনো গ্রাহক যেকোনো সময় ডিপিএস খুলতে পারছেন।
আর মেয়াদ পূর্তিতে ক্যাশ আউটের খরচ ছাড়াই মূল অর্থ মুনাফাসহ তুলতে পারছেন গ্রাহক।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিকাশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
২ সপ্তাহ আগে
ডিএনসিসির অ্যাপে মিলবে দাফন ও পুরোনো কবরের তথ্য
কোটির উপরে জনসংখ্যার এই ঢাকায় আবাসন একটি বড় সমস্যা। অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় একটুকরো ফাঁকা জায়গা মেলা ভার। নগরবাসী যেখানে একটু দম ফেলে হাটাহাটি করবেন বা একটু জিরিয়ে নেবেন, সেরকম খোলা জায়গার পরিমাণও দিন দিন কমছে। সেখানে জীবনের শেষ যাত্রায় স্থায়ী সাড়ে ৩ হাত জায়গা পাওয়া অসম্ভব।
তবে রাজধানীর দু’টি সিটি করপোরেশন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কবর সংরক্ষণের সুযোগ রেখেছে। কিন্তু অর্থের বিবেচনায় অধিকাংশ সাধারণ মানুষ সে সুযোগ নিতে পারবেন না। প্রশ্ন জাগতেই পারে- তাহলে এত সংখ্যক মৃত্যু-দাফন তথা কবর ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশন কী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে?
নির্দিষ্ট সময় পর পুরোনো কবরেই নতুন করব দেওয়া হয়। আরেকটি প্রশ্ন জাগতে পারে- পুরোনো কবরেই যদি নতুন কবর দেওয়া হয়, তাহলে স্বজনরা কাছের মানুষের কবর খুঁজে পান কীভাবে? অথবা যাদের কবর দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাদের সিটি করপোরেশন সেবা কীভাবে দেয়?
এর সমাধান মিলবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সহযোগিতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) 'কবর ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে'।
যে মাধ্যমে সেবা নেওয়া যাবে
ডিএনসিসি আপাতত ৬টি কবরস্থানকে এই সিস্টেমের আওতায় এনেছে। সেগুলো হলো- বনানী, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী, রায়ের বাজার, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর এবং উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মুঠোফোন অ্যাপ্লিকেশনে (অ্যাপ) খুব সহজেই জানা যাবে কোথায় কবরের স্থান ফাঁকা আছে, পূর্বের কবর কোথায় অবস্থিত, করা যাবে নতুন কবরের জন্য নিবন্ধন। এছাড়া এ সংক্রান্ত নানা তথ্য রয়েছে অ্যাপটিতে। পর্যায়ক্রমে অ্যাপটির মাধ্যমেই পাওয়া যাবে দাফনের সনদ।
১ বছর আগে
ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপ চালু করল ইউএনডিপি
বাংলাদেশে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) মঙ্গলবার ‘ইউএনডিপিবিডি ই-লাইব্রেরি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। যাতে যেকোনো হাতে বহনযোগ্য ডিভাইসে এক জায়গায় সব ডিজিটাল রিসোর্সে তাৎক্ষণিক অ্যাক্সেস করা যায়।
ইউএনডিপি অনুসারে বর্তমানে এটিতে প্রায় ২০০টি ই-বুক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিন: ডিএসসিসি মেয়র
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, ‘আমাদের জীবনের এমন কোনো দিক নেই যা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়নি।বাংলাদেশে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছি শুধুমাত্র আমাদের অনেক প্রোগ্রাম ডেলিভার করার জন্যই নয় বরং আমাদের অংশীদারদের এবং যে সম্প্রদায়গুলোতে আমরা কাজ করি তাদের কাছে আমাদের অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলতে। এই ই-লাইব্রেরি এমন একটি উদ্যোগ যা ছাত্র, শিক্ষক এবং গবেষকসহ সকলের জন্য বিস্তৃত সম্পদ সরবরাহ করে।’
বর্তমানে, ইউএনডিপি ই-লাইব্রেরি অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যায় এবং শিগগিরই এটি অ্যাপল স্টোরে পাওয়া যাবে। ডিজিটাল লাইব্রেরি ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীদের একবার সাইন আপ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
১ বছর আগে
দারাজ অ্যাপে বিপিএল দেখেছেন ১০ লাখ দর্শক
দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল-২৩) লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দুর্দান্ত সূচনা করেছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ দর্শক দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ক্রিকেট লীগ উপভোগ করছেন দারাজ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে।
এছাড়া বিপিএল ম্যাচ বিনামূল্যে উপভোগ করার পাশাপাশি, দারাজ ব্যবহারকারীরা বিপিএল মৌসুমে তাদের কেনাকাটায় আকর্ষণীয় অফার ও ছাড় পাচ্ছেন।
এদিকে বিপিএলে খেলার উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। ফ্রি লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কারণে দারাজ অ্যাপে সামনের ম্যাচগুলোয় দর্শকের সংখ্যা আরও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এছাড়া আগ্রহী যে কেউ তাদের মোবাইল ফোনে দারাজ অ্যাপের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে ম্যাচ উপভোগ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন: অফুরান উল্লাসে ৮ বছরে দারাজ
১ বছর আগে
‘সুরক্ষা’ অ্যাপের পাঁচ প্রকৌশলীকে সম্মানিত করল আইইবি
করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে একটি উল্লেখযোগ্য প্লাটফরম হচ্ছে ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ। এই অ্যাপ নির্মাণের মাধ্যমে আইসিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৫ প্রকৌশলীকে সম্মাননা স্মারক দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)।
এই পাঁচজন হলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার এবং সুরক্ষা কোর টিম মেম্বার প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ, প্রকৌশলী মো. গোলাম মাহবুব, প্রকৌশলী এ. এস. এম. হোসনে মোবারক, প্রকৌশলী আবুল্লাহ আল রহমান এবং প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ বিন ছালাম।
আইইবি'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শনিবার সন্ধ্যায় আইইবি কাউন্সিল হলে (নতুন ভবনের ২য় তলা) সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের ভাইস-চেয়ারম্যান (প্রশাসন এন্ড এসএনডব্লিউ) প্রকৌশলী মো. মুসলিম উদ্দিন এবং আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের ভাইস-চেয়ারম্যান (একাডেমিক ও এইচআরডি) প্রকৌশলী হাবিব আহমদ হালিম (মুরাদ)।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার।
আরও পড়ুন: ৫২টি জটিল রোগে আর্থিক সুরক্ষা দিতে মেটলাইফ বাংলাদেশের নতুন স্বাস্থ্য বীমা
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য-সচিব ও কাউন্সিল সদস্য আইইবি, ঢাকা কেন্দ্র প্রকৌশলী তানভীর মাহমুদুল হাসান।
আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই সুরক্ষা অ্যাপ তৈরি করে দেশের অর্থ যেমন তারা বাঁচিয়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে মানুষের ভোগান্তিও অনেকটা লাঘব করেছেন। সংবর্ধিত প্রকৌশলীরা দেশের সম্পদ বলে তিনি উল্লেখ করেন। একই সাথে তাদেরকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদেরকে এই অ্যাপ তৈরির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার করোনা দুর্যোগ মোকাবিলার আইসিটি ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সংবর্ধিত প্রকৌশলীদের তিনি সম্মুখ সারীর যোদ্ধা বলে অভিহিত করেন। বিপুল জনগোষ্টীকে সুরক্ষা অ্যাপের আওতায় এনে সুশৃঙ্খলভাবে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে যুগান্তকারী সিস্টেম উদ্ভাবন করায় তাদের প্রতি সম্মান ও ধন্যবাদ জানান। এটি শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি'র জন্য।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য-সচিব ও কাউন্সিল সদস্য, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্র প্রকৌশলী তানভীর মাহমুদুল হাসান বলেন, সুরক্ষা অ্যাপ তৈরি করা আইসিটি সেক্টরের জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ ও অর্জন। এটা
কম্পিউটার প্রকৌশলীদের কারিগরী দক্ষতা ও অবদানের ফসল। কিন্তু দেশে পেশাগতভাবে কম্পিউটার প্রকৌশলীরা সব থেকে অবহেলিত
একই সাথে তিনি অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বিসিএস চাকরিতে আইসিটি ক্যাডার তৈরির জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় কাজ করছে অপো
৩ বছর আগে
ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে লাইকি
স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করার জনপ্রিয় অ্যাপ লাইকি সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের জন্য সুস্থ বিনোদনের পরিবেশ তৈরিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে নতুন ক্যাম্পেইন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপত্তিকর কন্টেন্ট মুছে ফেলা এবং আপত্তিজনক বিষয় ছড়িয়ে দেয়া হয় এমন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের লাইকি কমিউনিটি নীতিমালা সম্পর্কে জানাতে কনটেন্ট নির্মাতা ও সেলিব্রেটিদের কাছে ভিডিও তৈরির এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লাইকি যে ইতিবাচক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিচ্ছে সে সম্পর্কে অবহিত করতে লাইকি সম্প্রতি ‘#ভালোরজন্যজানো’ শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে অনেক জনপ্রিয় সেলিব্রেটি ও ইনফ্লুয়েন্সাররা নিরাপদ ও সুস্থ ধারার অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য কনটেন্ট পোস্ট করার নিয়ম ও সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ওপর ভিডিও তৈরি করেন। এদের মধ্যে ছিলেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, জনপ্রিয় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি, অভিনেত্রী তানহা তাসনিয়া, টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক এবং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি কনসালটেন্ট রিজভী আরেফিন।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ঢাকা নর্থ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যম বা সমাজে প্রচলিত যোগাযোগের যে কোনও মাধ্যমের প্রভাব কেমন তা নির্ভর করে ব্যবহারকারীরা এটি কিভাবে ব্যবহার করছেন সেটার ওপর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজের জন্য ইতিবাচক প্রভাব রাখার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে এবং মানুষকে জানাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং সময়োচিত এই ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে আনন্দিত। লাইকি কেবল বিনোদনের জন্য নয়, মানুষ চাইলে এ প্ল্যাটফর্ম শিক্ষার উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এতে অনেক শিক্ষা বিষয়ক কন্টেন্ট ও কন্টেন্ট নির্মাতা রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ‘উপায়ে’ কর্মীদের বেতন দেবে ফ্যালকন গ্রুপ
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের ব্যপারে টয়া বলেন, “আমি অনেকদিন ধরেই লাইকিতে সক্রিয়। ফলোয়ারদেরকে আনন্দিত করবে এমন মজাদার, আনন্দদায়ক ও বিনোদনমূলক অনেক দিক আমি এই প্ল্যাটফর্মে খুঁজে পেয়েছি। আমরা মানুষকে উপভোগ্য এবং দায়িত্বশীল উপায়ে লাইকিসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করার ব্যাপারে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ নারী
গত কয়েক মাস ধরে লাইকি আপত্তিকর কন্টেন্ট ফিল্টার করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, এর ব্যবহারকারীদেরও সৃজনশীল ভিডিও তৈরি করতে উৎসাহিত করেছে, যেনো এর মাধ্যমে অন্যরা তাদের মেধার বিকাশে অনুপ্রেরণা পায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে লাইকি তাদের রাজস্ব উদ্ভাবনে এবং প্ল্যাটফর্ম থেকে আপত্তিকর ও অবৈধ কন্টেন্ট মুছে ফেলতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে পুন:বিনিয়োগ করে আসছে। যথাযথ নিয়ম মেনে রিপোর্ট করা কন্টেন্টগুলোর ব্যপারে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি নির্দিষ্ট টিম নিরলস কাজ করছে। আপত্তিকর কন্টেন্ট মুছে ফেলতে লাইকি কঠোর নীতিমালা মেনে চলে। এ কারণেই লাইকি যখনই অশ্লীল, বর্ণবাদ, ধর্মান্ধতা, ফ্যাসিজম, কাউকে বুলি করে বা ঘৃণামূলক বক্তৃতাকে উত্সাহিত করে এমন কোনো কন্টেন্ট খুঁজে পায়, তখনই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এমনকি ব্যবহারকারীরাও [email protected]– এ অনাকাঙ্ক্ষিত ভিডিওতে রিপোর্ট করে প্ল্যাটফর্মের পরিবেশ সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারেন। এছাড়াও, লাইকিতে জালিয়াতির তথ্য, অশ্লীল লিঙ্ক, জুয়া এবং অন্যান্য সময়ে নেতিবাচক ক্রিয়াকলাপ রিয়েল-টাইমে তদারকি করার জন্য একটি কমপ্লিট সিকিউরিটি মেকানিজম রয়েছে।
বাংলাদেশে লাইকির হেড অব অপারেশনস জয় বলেন, “প্রথমেই, আমরা প্রত্যেককে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই, যা তাদের সুপ্ত প্রতিভা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের বিকাশে সহায়তা করবে। আমাদের নীতি এবং নৈতিকতার মানদণ্ড থেকে বিচ্যুত হয় এমন কোনও কিছুই লাইকি’তে উৎসাহিত করা হয় না। এই বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে মোট ৪২ হাজার ৭৫১ টি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং প্রতি মাসে প্রায় ৮৭ লাখ ভিডিও বিভিন্ন ধরণের পেনাল্টির সম্মুখীন হয়। সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নীতি লঙ্ঘন হয় এমন যেকোনো ক্ষেত্রে লাইকি সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে কাজ করার মানসিকতা পোষণ করে।’
৩ বছর আগে
সুপ্রিম কোর্টের মামলার তথ্য জানতে নতুন অ্যাপ চালু
সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলার দৈনন্দিন কার্যতালিকা ও ফলাফলসহ তথ্যাদি জানাতে ‘সুপ্রিম কোর্ট কজলিস্ট অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে।
৪ বছর আগে
পাবজি মোবাইলের ইরাঙ্গেল ২.০ ভার্সন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দেবে
প্লেয়ারদের সর্বাধিক বাস্তবসম্মত ও অসাধারণ গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা দিতে ইরাঙ্গেল মানচিত্রে পাবজি মোবাইল ভার্সন ২.০ নিয়ে আসা হয়েছে।
৪ বছর আগে
অ্যাপের মাধ্যমে ২২ উপজেলার বোরো সংগ্রহ
আমনের পর এবার বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে ২২ উপজেলার কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
৪ বছর আগে
হোয়াটসঅ্যাপে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন ৭ ভুল
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে খুব সহজেই আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি। বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় মেসেঞ্জার অ্যাপলিকেশন (অ্যাপ) ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ।
৪ বছর আগে