অ্যাপ
পবিত্র রমজানে কোরআন তেলাওয়াত শোনার ১০ মোবাইল অ্যাপ
সিয়াম সাধনার মাসে প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত শোনার মাধ্যমে প্রতিটি মুহূর্তে ইবাদতে মশগুল থাকা সম্ভব। রমজানের মাহাত্ম্য অর্জনের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা যেতে পারে স্মার্টফোনে কুরআন তেলাওয়াত শোনার মাধ্যমে। অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্যই রয়েছে দারুণ কিছু অ্যাপ— যেগুলো এই ইবাদতের জন্য সহায়ক হতে পারে। চলুন, স্মার্টফোনে কোরআন তেলাওয়াত শোনার শীর্ষ-রেটিংপ্রাপ্ত অ্যাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
রমজানে যে ১০টি মোবাইল অ্যাপ হতে পারে কোরআন তেলাওয়াত শোনার উৎকৃষ্ট উপায়
.
কোরআন মাজিদ (Quran Majeed - القران الكريم / Quran Majeed - Ramadan 2025)
গুগল প্লে স্টোরে ৪.৬-স্টার এবং অ্যাপেল অ্যাপ স্টোরে ৪.৮-স্টার রেটিংপ্রাপ্ত এই অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাকডাটা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করা গেলেও প্রিমিয়াম ফিচারগুলোর জন্য ন্যূনতম ৮০ টাকা খরচ করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য অ্যাপটির সাইজ ৮৩ এমবি (মেগাবাইট) এবং অ্যাপেল ডিভাইস বা আইওএস-এর জন্য ১১০.৭ এমবি।
‘Quran Majeed - Ramadan 2025’-এ আছে আব্দুর রাহমান আল-সুদাইসের মতো বিখ্যাত সব ক্বারিদের তেলাওয়াত। দেশ-বিদেশের নানান ধরণের ভাষার পাশাপাশি পুরো ইন্টারফেসটি বাংলাতে এবং অফলাইনে চালানো যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.pakdata.QuranMajeed
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/quran-majeed-ramadan-2025/id365557665
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
আল কোরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড) | Al Quran (Tafsir and By Word)
গ্রীন্টেক অ্যাপ্স ফাউন্ডেশনের সরবরাহ করা এই সেবাটি কেবল শোনার জন্য নয়, কোরআন অধ্যয়নের জন্যও উপযোগী। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য জায়গা নিবে মাত্র ৪১ এমবি এবং আইওএস ডিভাইসের জন্য ২৬.২ এমবি।
সম্পূর্ণ ফ্রি অ্যাপটিতে আছে তাফসির ইবনে কাসির, তাজবীদ এবং বিভিন্ন ক্বারিদের তেলাওয়াতের অডিও— যেগুলো একাধিক ভাষায় অনুবাদকৃত। এর মধ্যে বাংলাও আছে।
‘Al Quran (Tafsir and By Word)’-এর গুগল প্লে স্টোরে সংগৃহীত রেটিং ৪.৮-স্টার এবং অ্যাপেল অ্যাপ স্টোরে ৪.৯-স্টার।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.greentech.quran&hl=en
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/al-quran-tafsir-by-word/id1437038111
আরো পড়ুন: ছোটদের বাংলা ভাষা শেখার ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
তার্তিল - মেমোরাইজ কোরআন (Tarteel ترتيل - Memorize Quran)
পবিত্র কোরআনভিত্তিক অ্যাপ তার্তিলের বিশেষ দিক হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সুরা সঠিক পদ্ধতি অনুসারে মুখস্ত করার জন্য এটি ব্যবহারকারীর উচ্চারণ শুনে তা যাচাই করতে পারে। এই কারণে অ্যাপটি তার্তিল এআই নামেও পরিচিত।
অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে জায়গা থাকতে হবে ন্যূনতম ১৬৩ এমবি। আর আইফোন ব্যবহারকারিদের প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ২৩৩.২ এমবি স্টোরেজ। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তার্তিল ইনকরপোরেশন উদ্ভাবনী অ্যাপটিকে ফ্রিতে ডাউনলোডের সুযোগ দিচ্ছে।
এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোরে ‘Tarteel ترتيل - Memorize Quran’-এর রেটিং ৪.৭-স্টার, আর অ্যাপেলের অ্যাপ স্টোরে ৪.৮-স্টার।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.mmmoussa.iqra&hl=en
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/tarteel-%D8%AA%D8%B1%D8%AA%D9%8A%D9%84-ai-quran/id1391009396
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
মুসলিম প্রো: কোরআন আযান নামাজ / Muslim Pro: Prayer Times Qibla
অডিও তেলাওয়াত, নামাজের ওয়াক্তের নোটিফিকেশন, এবং কিবলার দিকনির্দেশ ফিচারের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি অ্যাপ ‘Muslim Pro: Prayer Times Qibla’। বিটসমিডিয়া পিটিই লিমিটেডের তৈরি অ্যাপটিতে আরও রয়েছে বঙ্গানুবাদের সুবিধা।
এখন পর্যন্ত আইফোন ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে অ্যাপের প্রাপ্ত রেটিং ৪.৭-স্টার এবং অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা দিয়েছে ৪.২ স্টার।
বিনামূল্যে ডাউনলোডের জন্য সরবরাহকৃত অ্যাপটির সাইজ আইফোনের জন্য ৩৯৭.৮ এমবি এবং অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ৬৫ এমবি।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.bitsmedia.android.muslimpro&hl=en
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/muslim-pro-prayer-times-qibla/id388389451?platform=iphone
আরো পড়ুন: নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
আয়াত - কোরআন অ্যাপ (Ayah - Quran App)
আইওএস সমর্থিত ডিভাইসে ১৮৮.৯ এমবি এবং অ্যান্ড্রয়েডে ১৪৫ এমবি সাইজের এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে আয়াত অ্যাপ। এতে আছে একাধিক ক্বারির কণ্ঠে সবগুলো সুরার অডিও প্লেব্যাক, বঙ্গানুবাদ এবং তাফসির। আয়াত শোনার সময় বুকমার্ক করার ফিচারটির মাধ্যমে পরবর্তীতে কতটুকু শোনা হয়েছে তা বোঝা যায়।
অ্যাপল অ্যাপ এবং গুগল প্লে উভয় স্টোরে ‘Ayah - Quran App’-এর রেটিং ৪.৮-স্টার। সহজাত ইন্টারফেসের এই ডিজিটাল পণ্যটি স্টোরগুলো থেকে বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.ayah
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/ayah-quran-app/id706037876?platform=iphone
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
ইসলাম৩৬০: কোরআন, হাদিস, ক্বিবলা (Islam360: Quran, Hadith, Qibla)
জাহিদ হোসেন চিহ্পা এবং ইসলাম৩৬০ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট নির্মিত এই অ্যাপটি সব ধরণের ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য ফ্রি। ডাউনলোড সাইজ অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ১৮০ এমবি এবং আইফোনের জন্য ৬১১.৬ এমবি।
অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে ‘Islam360: Quran, Hadith, Qibla’-এর অর্জিত রেটিং ৪.৯-স্টার আর অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের কাছে ৪.৮-স্টার। এতে একাধিক ভাষায় অনুবাদ, বিভিন্ন ক্বারিদের তেলাওয়াত, নামাজের ওয়াক্ত ও কিবলা দিকনির্দেশনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাদিস সংকলন। এর কার্যকারিতার আরও একটি দিক হলো এর বুকমার্কিং এবং সার্চ ফিচার।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islam360
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/islam360-quran-hadith-qibla/id1006098149
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
এমপিথ্রি কোরআন (MP3 Quran القرآن الكريم)
অফলাইনে ইন্টারনেটের সাহায্য ছাড়াই ব্যবহারযোগ্য অ্যাপগুলোর মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়। সহজ ইন্টার্ফেসের আওতায় এখানে উন্মুক্ত রয়েছে কোরআনের সবকটি সুরার অডিও লাইব্রেরি। এই সংগ্রহশালাকে সমৃদ্ধ করেছে বিশ্বজুড়ে খ্যাতিমান সব ক্বারিদের কণ্ঠ। এছাড়াও রয়েছে সার্চ, বুকমার্ক, ও স্লিপ টাইমারের ফিচার।
সম্পূর্ণ ফ্রি অ্যাপ ‘MP3 Quran القرآن الكريم’ সংরক্ষণের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে জায়গা থাকতে হবে ৪৬ এমবি এবং আইফোনে ১৫৪.৭ এমবি। ডিভাইস নির্বিশেষে সব ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিকে ৪.৮-স্টার রেটিং দিয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=my.smartech.mp3quran
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/mp3quran/id533029431
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
আব্দুর রাহমান আল-সুদাইস - ফুল (Abdul Rahman Al-Sudais - Full)
বিশ্ববরেণ্য ক্বারি মক্কার পবিত্র মাসজিদুল হারামের ইমাম শেখ আবদুর রাহমান আল-সুদাইস। তার তেলাওয়াতকৃত সম্পূর্ণ কোরআনকে একীভূত করা হয়েছে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।
শুধু অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে লাফ্জ অ্যাপ্স। ১২০ এমবির এই অ্যাপটি ইন্টারনেটের সংযোগ ছাড়াই চালানো যায়। এর ব্যাকগ্রাউন্ড প্লে ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফোনের অন্যান্য অ্যাপ চালানোর সময়েও তেলাওয়াত শুনতে পারেন।
রিভিউদাতাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ‘Abdul Rahman Al-Sudais - Full’ অ্যাপ ৪.৮-স্টার রেটিং অর্জন করেছে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=rooh.apps.naaz.com.quran.al.sudais.offline
আরও পড়ুন: অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই
ফুল কোরআন শরীফ অফলাইন অ্যাপ (Full Quran Sharif Offline App)
অফলাইনে কোরআন পড়া ও শোনার জন্য আরও একটি কার্যকরি অ্যাপ ‘Full Quran Sharif Offline App’। কেবল অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্রযোজ্য ৪৯ এমবি সাইজের অ্যাপটি বানিয়েছে ডিকশনারী ওয়ার্ল্ড১১। ইতোমধ্যে ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোডযোগ্য এই অ্যাপের সংগ্রহ ৪.৫-স্টার রেটিং।
অনলাইনে পরিচালিত অন্যান্য অ্যাপগুলোর মতো এতেও আছে বিখ্যাত সব ক্বারিদের তেলাওয়াত, একাধিক ভাষায় অনুবাদ, সার্চিং ও বুকমার্কিং ফিচার।
অ্যান্ড্রয়েড:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.fullquransharif.quranpak.translation.qibladirection&hl=en&gl=US
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
ইজি কোরআন এমপিথ্রি অডিও অফলাইন (Easy Quran Mp3 Audio Offline)
অফলাইন কোরআন শোনার এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি সংক্ষেপে ইজি কোরআন নামেও পরিচিত। মুসলিম ওয়ার্ল্ডঅ্যাপ নির্মিত অ্যাপটি এর সহজ ইন্টারফেসের জন্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। ব্যবহারকারীদের পর্যালোচনায় মাত্র ৪২ এমবির অ্যাপটি ৪.৫-স্টার রেটিং পেয়েছে।
‘Easy Quran Mp3 Audio Offline’ অ্যাপ শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের জন্য এবং তা বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যায়। এটি একদম পৃথক আয়াত পর্যন্ত সার্চ করার সুবিধা দেয়। একই সঙ্গে বারবার শোনার জন্য অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় বেশ সহজভাবে একই আয়াতের পুনরাবৃত্তি করা যায়।
অ্যান্ড্রয়েড:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.muslimappassistant.Islampro.qiblafinder.quranprayerdua
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
পরিশিষ্ট
কোরআন তেলাওয়াত শোনার এই ১০টি মোবাইল অ্যাপ হচ্ছে সর্বাধিক ব্যবহৃত এবং স্টোরগুলোতে সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত। তন্মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে ‘ইসলাম৩৬০’ এবং ‘আল কোরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড)’, ডিভাইস ভেদে যেগুলোর রেটিং ৪.৮ থেকে ৪.৯। ‘আয়াত’, ‘এমপিথ্রি কোরআন’, এবং ‘আব্দুর রাহমান আল-সুদাইস - ফুল’ অ্যাপগুলোর প্রত্যেকটির অর্জন ৪.৮। ৪.৭ থেকে ৪.৮-এ রয়েছে ‘তার্তিল’, ৪.৬ থেকে ৪.৮-এ ‘কোরআন মাজিদ’, এবং ৪.২ থেকে ৪.৭-এ ‘মুসলিম প্রো’। সর্বনিম্ন ৪.৫ রেটিং সংগ্রহে থাকা অ্যাপ দুটি হচ্ছে ‘ফুল কুরআন শরীফ অফলাইন’ এবং ‘ইজি কুরআন এমপিথ্রি অডিও অফলাইন’।
এই ডিজিটাল সেবাগুলোর যেকোনোটি হতে পারে পুরো রমজান মাসে রোযাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলার উৎকৃষ্ট উপায়।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
২৪ দিন আগে
ছোটদের বাংলা ভাষা শেখার ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
বর্তমান প্রজন্মের শৈশব কেটেছে বিকশিত প্রযুক্তির সান্নিধ্যে। সেই ধারাবাহিকতায় এখন শিশুদেরও সময় কাটছে ট্যাবলেট ও স্মার্টফোনের সংস্পর্শে। তাই ই-বুক, ভিডিও ও গেমের মাধ্যমে প্রথম হাতেখড়ি এখন আর অবাক ব্যাপার নয়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শিশুদের বাংলা বর্ণমালা ও শব্দ শেখাটাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব। ইতোমধ্যে অ্যাপেল ও অ্যান্ড্রয়ডের ফোনগুলোতে বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে, যেগুলোর শুধুমাত্র শিশুদের সহজপাঠের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। চলুন, সেগুলোর মধ্য থেকে বাংলা ভাষা শেখার সেরা ১০টি ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
শিশুদের জন্য বিনামূল্যে বাংলা ভাষা শেখার সেরা ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
বাংলা ভাষা শেখার জন্য শিশুদের উপযোগী গুগল প্লে-স্টোরের ১০টি জনপ্রিয় অ্যাপস
কিন্ডারগার্টেন-শিশু শিক্ষা (Kindergarten - শিশু শিক্ষা)
গুগল প্লে-স্টোরে কানেক্টেড সফ্টওয়্যার্স লিমিটেডের তৈরি এই অ্যাপটির রেটিং ৪.৫। ৩১ মেগাবাইট (এমবি) সাইজের ‘Kindergarten - শিশু শিক্ষা’ অ্যাপে বাংলা অক্ষরের পাশাপাশি সংখ্যা, ঋতু, মাস ও দিনের নামও শেখানো হয়।
সুন্দর সব ছবির পাশে স্পষ্ট বর্ণে পড়া যায় প্রাণী, পাখি, মাছ, নদী, ফল, ও ফুলের নাম। মজার কিছু গেমের মধ্য দিয়ে সাজানো ছোট ছোট যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগের অংক। এছাড়া আরও কিছু আকর্ষণীয় গেম রয়েছে পারিবারিক সম্পর্কের নাম ও নতুন নতুন শব্দ নিয়ে।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও এখানে ইংরেজি ও আরবী বর্ণমালা শেখারও ব্যবস্থা রয়েছে।ডাউনলোড লিংক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.connected.kindergarten
হাতেখড়ি-বাংলা অ্যালফাবেট (Hatekhori - Bangla Alphabet)
অফলাইনে ব্যবহারের ফিচার বিশিষ্ট এই অ্যাপটির জন্য প্রয়োজন বেশ বড় জায়গা; ৭৩ এমবি। এখন পর্যন্ত ৪.৪ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি বানিয়েছে সূর্যমুখী লিমিটেড। এর বিশেষত্ব হচ্ছে অক্ষর চেনার সঙ্গে সঙ্গে এখানে শব্দ গঠন ও বানানও শেখা যায়। আঙ্গুল দিয়ে স্ক্রিনের গায়ে লেখার ব্যবস্থা থাকায় এটি লিখন প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
প্রি-স্কুল বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ট সহজ করে তৈরি করায় তারা নিমেষেই নতুন শব্দ বলতে ও লিখতে শুরু করে। এই মৌলিক দক্ষতা অর্জনে সহায়ক হওয়ায় ‘Hatekhori (Bangla Alphabet)’ বাচ্চাদের পাশাপাশি অভিভাবকদের কাছেও এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ডাউনলোড লিংক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.sm.banglaalphabet&hl=en&gl=us
আরো পড়ুন:
বাংলা অ্যালফাবেট-শিশু শিক্ষা (Bangla Alphabet - শিশু শিক্ষা)
স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ, ধারাপাত, ও ছড়া শেখার জন্য আদর্শ এই অ্যাপের নির্মাতা বাইনারি সফ্টওয়্যার। এর ৩০ এমবি জায়গার মধ্যে একীভূত করা হয়েছে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার বিচিত্র উপাদান।
প্রতিটি বর্ণের উচ্চারণের জন্য এতে আছে কার্টুন ছবি ও মজার অডিও। সহজবোধ্যভাবে স্থান সঙ্কুলান হয়েছে মানবদেহের পরিচিতি, পশুপাখির নাম ও জাতীয় দিবসের মতো সাধারণ জ্ঞানের। কুইজ বা প্রশ্নোত্তর ধারা ক্রমান্বয়ে শিশুর শেখাকে অদম্য উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনায় পরিণত করে।
সাবলীল ইন্টারফেস এবং বিভিন্ন ফাংশনগুলোর কার্যকারিতার বিচারে রিভিউদাতাদের কাছ থেকে ‘Bangla Alphabet-শিশু শিক্ষা’ অ্যাপটি ৪.৪ রেটিং অর্জন করেছে।
ডাউনলোড লিংক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.binary.banglaalphabet&hl=en
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
বর্ণমালা-অ্যালফাবেট লার্নিং (বর্ণমালা - Alphabet Learning)
বাংলা ও ইংরেজি বর্ণমালা এবং গণনা শেখার জন্য এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। ২৭ এমবির এই অ্যাপটি তৈরি করেছে ড্রিম জার্নি। বাংলা-ইংরেজি উভয় ভাষাতে বর্ণ চেনার পাশাপাশি আছে ছবির মাধ্যমে বাক্য গঠনের অনুশীলনের সুবিধা। আরও আছে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যা গণনা, রঙ ও ঋতুর নাম, এবং ৭ দিন ও ১২ মাসের নাম। এগুলোর প্রতিটির সঙ্গে রয়েছে স্পষ্ট অডিও। এমনকি সহজ ভাবে চিঠি লেখার অনুশীলনেরও ব্যবস্থা আছে। ব্যবহারকারিদের পর্যালোচনায় ‘বর্ণমালা - Alphabet Learning’ অ্যাপটির বর্তমান রেটিং ৪.৩।
ডাউনলোড লিংক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.dreamjourney.bornomala&hl=en-US
কিডস লার্ন বাংলা অ্যালফাবেট (Kids Learn Bangla Alphabet)
বাংলা লেখায় দক্ষতা অর্জনের আরও একটি নির্ভরযোগ্য উপায় এই ডিজিটাল মাধ্যমটি। এতে আঙুলকে চকের মতো করে অক্ষরের উপর হাত ঘুরানো যায় এবং ডাস্টারের মতো তা আবার মুছে ফেলা যায়।
টপঅফস্টেক সফ্টওয়্যার লিমিটেডের এই পরিষেবাটিতে প্রতিটি বর্ণের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক ৪টি ছবি, শব্দ ও অডিও দেওয়া থাকে। শিশুরা আনন্দের সঙ্গে বর্ণ দিয়ে ছবি ও ছবি দিয়ে বর্ণ খোঁজার খেলায় মেতে ওঠে।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
এখানে ধারাপাত এবং ছোট ছোট গাণিতিক হিসেব নিকেষ শেখারও ব্যবস্থা আছে। মানবদেহের পরিচিতি, পরিবেশ শিক্ষা (পাখি, পোকামাকড়, জীবজন্তু)-এর সঙ্গে স্থান পেয়েছে স্মৃতিশক্তি বিকাশের দারুণ কিছু গেম।
এর নজরকাড়া অ্যানিমেশন এবং সহজাত ইন্টারফেসের কারণে অ্যাপটির সঙ্গে নিমেষেই প্রি-স্কুল বাচ্চারা অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। রিভিউদাতাদের নিকট থেকে ৪.২ রেটিং প্রাপ্ত ‘Kids Learn Bangla Alphabet’ অ্যাপের সাইজ ৩০ এমবি।
ডাউনলোড লিংক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tos.bnalphabet&hl=en
৩৩ দিন আগে
কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
ট্রাফিক জ্যাম বা যানজট; যা ঢাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা মোকাবিলা করতে প্রতিদিন প্রতিটি কাজেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব; নষ্ট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কর্মঘণ্টা। উৎপাদনশীলতার এই চরম বিপর্যয় দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের জীবনধারাকে আবদ্ধ করে রেখেছে নগরবাসীকে। তুলনামূলকভাবে কম যানজটপূর্ণ রাস্তাগুলো এড়ানো সম্ভব হলে, উদ্দেশ্য গন্তব্যে যেতে অনেকটা সময় বাঁচানো যাবে। তাই প্রয়োজন রাস্তাঘাটে জ্যামের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত থাকা। চলুন, ঢাকার কোন রাস্তায় কেমন ট্রাফিক জ্যাম রয়েছে, তা খুঁজে দেখার কার্যকর উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
ঢাকার যানজট পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার ৬টি কার্যকরি উপায়
.
গুগল ম্যাপস
ব্যস্ততম শহুরে রাস্তায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি গুগল ম্যাপস (Google Maps)। ওয়েব ও মোবাইল উভয় ভার্সন থাকা এই অ্যাপটিতে রয়েছে তাৎক্ষণিক ট্রাফিক মনিটরিংয়ের সুবিধা। এটি স্মার্টফোনের অবস্থানসহ অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করে সময়ের সাথে রাস্তার পরিস্থিতি হালনাগাদ করতে পারে।
প্রাপ্ত ফলাফল বিভিন্ন রঙে অঙ্কিত সংকেতের মাধ্যমে দেখানো হয়। যেমন ফাঁকা রাস্তার জন্য সবুজ, মাঝারি ব্যস্ত রাস্তা হলুদ এবং জ্যাম-এ পরিপূর্ণ রাস্তার জন্য লাল রঙ। শুধু তাই নয়, অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা একই সঙ্গে বিকল্প রাস্তারও খোঁজ পেয়ে যান, যা তাদের তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
এছাড়া বন্ধ বা নির্মাণাধীন রাস্তার ব্যাপারেও যাত্রীদের আগাম সতর্কবাণী দেয় এই ডিজিটাল মানচিত্র। এখানে আরও রয়েছে লোকেশন সংরক্ষণ করে রাখা এবং ব্যবহারের ইতিহাস পর্যালোচনা করে পথ বাতলে দেওয়ার সুবিধা।
নতুনভাবে সংযুক্ত ভয়েস-নির্দেশিত নেভিগেশনের দৌলতে যাত্রী বা চালকের মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকানোর দরকার পড়ে না। এতে তিনি নিরাপত্তার জন্য সামনে ও আশেপাশের রাস্তার উপর মনোযোগ রাখতে পারেন।
ওয়েজ
গুগল ম্যাপসের মতো ওয়েজ (Waze) সফ্টওয়্যারটিও রিয়েল-টাইম ট্রাফিক আপডেট দিতে পারে। কোনো পথ অতিক্রম করতে একটি গাড়ির কতটা সময় লাগছে, তার উপর নির্ভর করে এই সেবাটি রিপোর্ট তৈরি করে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত এলাকা এড়িয়ে সম্ভাব্য একাধিক পথ প্রস্তাব করে। ফাঁকা রাস্তাগুলোর মধ্যে কোনটিতে কত সময় ও ন্যূনতম কতটা ট্রাফিক পড়বে, তারও একটি তুলনামূলক তথ্য দেয়। এই বিশ্লেষণ ক্রমাগত চলতে থাকে, বিধায় রাস্তাগুলোর ট্রাফিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফলাফলও পরিবর্তিত হয়। উপরন্তু, সফ্টওয়্যারটির সামগ্রিক পরিসরে স্ক্যানিং ক্ষমতা বন্ধ রাস্তার ব্যাপারেও চালককে আগাম সতর্ক করে।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রাইড-শেয়ারিং মোবাইল অ্যাপ
তাৎক্ষণিক ট্রাফিক ট্র্যাকিং এবং ভালো বিকল্প পথের পরামর্শের সুবিধা রাইড-শেয়ারিং অ্যাপগুলোতেও আছে। এটি কাজে লাগিয়ে চালকেরা নিজের এবং যাত্রী উভয়েরই যাতায়াতের সময় বাঁচাতে পারেন। রাইড অর্ডারের পর চালকের যাত্রীর লোকেশনে আসতে এবং রওনা হওয়ার পর গন্তব্যে পৌঁছতে কত সময় লাগবে, তা উল্লেখ করা থাকে।
ভ্রমণের সময় প্রতিবার রাস্তা বদলের সঙ্গে সঙ্গে নতুন রাস্তায় গন্তব্যে পৌঁছানোর নতুন সময়ও নির্দিষ্ট হয়ে যায়। এটি চালক ও যাত্রীকে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেয়। ইতোমধ্যে রাজধানী ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলজুড়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া উবার ও পাঠাও উভয় অ্যাপে এই ফিচারগুলো বিদ্যমান। এমনকি বিভিন্ন পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এ থেকে উপকৃত হচ্ছে। এই ব্যবস্থার রূপরেখায় শুধু যে সমস্যা সমাধান হচ্ছে তা নয়, যুগপৎভাবে সমূহ সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে।
এফএম রেডিও চ্যানেল
অডিও সেবায় প্রযুক্তি অনেকটা পথ এগিয়ে গেলেও, এফএম রেডিও চ্যানেলগুলো এখনও ট্রাফিকের তথ্য পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। রেডিও টুডে (৮৯.৬ এফএম)-এর নিয়মিত ট্রাফিক আপডেটে সরাসরি যানবাহনের ভিড় এবং রোড-ব্লক পরিস্থিতিগুলোর বিশদ জানা যায়। পিক আওয়ারে সম্প্রচার করা হয়, বলে তা ভ্রমণরত যাত্রীদের জন্য যথেষ্ট সহায়ক হয়। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার তার ঐতিহ্য বজায় রেখে এখনও যানজটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বিস্তারিত কভারেজসহ আপডেট দিয়ে থাকে। স্মার্টফোন চেক না করেই চলন্ত অবস্থায় টিউন করার সুবিধা থাকায় ড্রাইভারদের জন্য বেশ তাৎপর্যবহুল এই মাধ্যম।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
৬৩ দিন আগে
বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস ৩২ লাখ ছাড়িয়েছে
ঘরে বসেই কাগজপত্র ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই বিকাশ অ্যাপ থেকেই আইডিএলসি ফাইন্যান্স, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকে ৩২ লাখের বেশি ডিপিএস খুলেছেন বিকাশ গ্রাহকরা।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও দেশের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেওয়া যৌথ সেবায় আস্থা রেখেই গত তিন বছরে বিকাশ অ্যাপে এই সাপ্তাহিক এবং মাসিক ডিপিএসগুলো খোলা হয়েছে। এরইমধ্যে যে সকল গ্রাহকের ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। তাদের ৯৬ শতাংশই আবার বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। গ্রাহকের সঞ্চয়ের মানসিকতা যেমন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে সুদৃঢ় করছে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিকাশের যৌথ উদ্যোগে সঞ্চয়কে সার্বজনীন করার এই প্রয়াসকে উদযাপন ও সামনে এগিয়ে নিতে রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে অংশীজনদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিকাশ।
দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশে শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্সে মাসিক ডিপিএস দিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রা শুরু হয় বিকাশের ডিজিটাল সেভিংস সেবার। এরপর পর্যায়ক্রমে যুক্ত হয় বাকি চারটি ব্যাংকের ডিপিএস। আর বিকাশ অ্যাপে সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবা চালু হয় ২০২৪ সালের প্রথম দিকে।
সাধারণ ডিপিএসের পাশাপাশি যে গ্রাহকরা ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক সঞ্চয়ে আগ্রহী, তাদের জন্য আনা হয় সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সেবা।
পারস্পরিক সহযোগিতা ও সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আরও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে কীভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
এই বিশেষ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের বলাকা এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জে বিকাশ পেমেন্টের সুযোগ
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন আইডিএলসি ফাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামাল উদ্দিন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেখ মোহাম্মদ মারুফ, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহসান জামান চৌধুরী এবং বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, এখন কোনো ঝামেলা ছাড়াই ডিপিএসের টাকা গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে চলে আসছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট, পেমেন্টেকে আরও কার্যকরী করে তুলতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। বিকাশও এই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখছে।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামাল উদ্দিন বলেন, বিকাশেরর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এত দ্রুত আমরা ১২ লাখ গ্রাহক পেয়েছি যা এর আগে কখনও হয়নি। সঞ্চয়ের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যে এত আগ্রহ তা বিকাশের সঙ্গে আসার আগে আমরা বুঝিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বন্যার্তরা তাদের সেভিংসের টাকা তুলে প্রয়োজন পূরণ করেছেন। তারা যখন ভালো অবস্থানে এসেছেন, নতুন করে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা শুরু করেছেন আবার।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কোলাবোরেশন, কো-ক্রিয়েশন ছাড়া ভবিষ্যৎ অচল। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকের পক্ষে একা পৌঁছানো ব্যয়সাপেক্ষ। এমএফএস এই ব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছে। আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভূমিকা রাখছে এই ধরনের পার্টনারশিপগুলো।
ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, দেশে ফাইন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম উন্নত করতে সবারই কিছু দায়িত্ব আছে। আর এই সেবাগুলো সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়ম-নীতি, পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক, সাইবার সিকিউরিটির মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফ থেকে আসা দরকার। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে জনগণকে ভরসার জায়গায় আনার জন্য সরকারের উৎসাহ ও প্রণোদনাও প্রয়োজন।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, বিকাশ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর জন্য ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তন করে দিয়েছে। ব্যাংক-এমএফএস কোলাবোরেশনের মাধ্যমে দেশের সব প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। সিটি ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং সেবার মত বিকাশ অ্যাপে সিটি ব্যাংকের যে ইসলামিক সেভিংস আছে তা শরিয়াহ্ উপদেষ্টা বোর্ডের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে শরিয়াহ্-ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে গ্রাহকদের জন্য আনা হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, অন্য অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে তুলনা করলে দেখা যায় সঞ্চয়ের হার এখনও বেশ কম, যার অর্থ হচ্ছে এই খাতে আরও কাজ করার সুযোগ আছে। নানা প্রয়োজনে ব্যক্তি যখন সঞ্চয় করেন তখন দেশের অর্থনীতির জন্যও তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেভিংস যত বেশি হবে, সেটা চ্যানেল করে ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ব্যবসায় ব্যবহার করতে পারবে। বিনিয়োগ যে শুধু বিদেশ থেকে আসবে তা নয়, আমাদের দেশীয় বিনিয়োগ আমাদের নিজেদের সঞ্চয় থেকেই হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিকাশেরর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, সমৃদ্ধি শুরু হয় সঞ্চয় থেকে। যেদিন প্রথম এক টাকা সঞ্চয় হয়, সেদিনই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুরু হয়। বিকাশ অ্যাপে সেভিংসেরর সৌন্দর্যই এখানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি সহায়তা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সঙ্গে অংশীজন হিসেবে কাজ করছে যে ব্যাংকগুলো তাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ছাড়া বিকাশেরর পক্ষে এখানে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিকাশ অ্যাপে চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মাসিক ও সাপ্তাহিক ডিপিএস খুলতে পারছেন গ্রাহকরা।
প্রতিষ্ঠান ও ডিপিএসেরর ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমাতে পারছেন গ্রাহকরা। নতুন ডিপিএস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’আইকনে ট্যাপ করে কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করে যেকোনো গ্রাহক যেকোনো সময় ডিপিএস খুলতে পারছেন।
আর মেয়াদ পূর্তিতে ক্যাশ আউটের খরচ ছাড়াই মূল অর্থ মুনাফাসহ তুলতে পারছেন গ্রাহক।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিকাশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
১১২ দিন আগে
ডিএনসিসির অ্যাপে মিলবে দাফন ও পুরোনো কবরের তথ্য
কোটির উপরে জনসংখ্যার এই ঢাকায় আবাসন একটি বড় সমস্যা। অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় একটুকরো ফাঁকা জায়গা মেলা ভার। নগরবাসী যেখানে একটু দম ফেলে হাটাহাটি করবেন বা একটু জিরিয়ে নেবেন, সেরকম খোলা জায়গার পরিমাণও দিন দিন কমছে। সেখানে জীবনের শেষ যাত্রায় স্থায়ী সাড়ে ৩ হাত জায়গা পাওয়া অসম্ভব।
তবে রাজধানীর দু’টি সিটি করপোরেশন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কবর সংরক্ষণের সুযোগ রেখেছে। কিন্তু অর্থের বিবেচনায় অধিকাংশ সাধারণ মানুষ সে সুযোগ নিতে পারবেন না। প্রশ্ন জাগতেই পারে- তাহলে এত সংখ্যক মৃত্যু-দাফন তথা কবর ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশন কী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে?
নির্দিষ্ট সময় পর পুরোনো কবরেই নতুন করব দেওয়া হয়। আরেকটি প্রশ্ন জাগতে পারে- পুরোনো কবরেই যদি নতুন কবর দেওয়া হয়, তাহলে স্বজনরা কাছের মানুষের কবর খুঁজে পান কীভাবে? অথবা যাদের কবর দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাদের সিটি করপোরেশন সেবা কীভাবে দেয়?
এর সমাধান মিলবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সহযোগিতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) 'কবর ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে'।
যে মাধ্যমে সেবা নেওয়া যাবে
ডিএনসিসি আপাতত ৬টি কবরস্থানকে এই সিস্টেমের আওতায় এনেছে। সেগুলো হলো- বনানী, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী, রায়ের বাজার, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর এবং উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মুঠোফোন অ্যাপ্লিকেশনে (অ্যাপ) খুব সহজেই জানা যাবে কোথায় কবরের স্থান ফাঁকা আছে, পূর্বের কবর কোথায় অবস্থিত, করা যাবে নতুন কবরের জন্য নিবন্ধন। এছাড়া এ সংক্রান্ত নানা তথ্য রয়েছে অ্যাপটিতে। পর্যায়ক্রমে অ্যাপটির মাধ্যমেই পাওয়া যাবে দাফনের সনদ।
৫৭১ দিন আগে
ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপ চালু করল ইউএনডিপি
বাংলাদেশে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) মঙ্গলবার ‘ইউএনডিপিবিডি ই-লাইব্রেরি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। যাতে যেকোনো হাতে বহনযোগ্য ডিভাইসে এক জায়গায় সব ডিজিটাল রিসোর্সে তাৎক্ষণিক অ্যাক্সেস করা যায়।
ইউএনডিপি অনুসারে বর্তমানে এটিতে প্রায় ২০০টি ই-বুক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিন: ডিএসসিসি মেয়র
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, ‘আমাদের জীবনের এমন কোনো দিক নেই যা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়নি।বাংলাদেশে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছি শুধুমাত্র আমাদের অনেক প্রোগ্রাম ডেলিভার করার জন্যই নয় বরং আমাদের অংশীদারদের এবং যে সম্প্রদায়গুলোতে আমরা কাজ করি তাদের কাছে আমাদের অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলতে। এই ই-লাইব্রেরি এমন একটি উদ্যোগ যা ছাত্র, শিক্ষক এবং গবেষকসহ সকলের জন্য বিস্তৃত সম্পদ সরবরাহ করে।’
বর্তমানে, ইউএনডিপি ই-লাইব্রেরি অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যায় এবং শিগগিরই এটি অ্যাপল স্টোরে পাওয়া যাবে। ডিজিটাল লাইব্রেরি ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীদের একবার সাইন আপ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
৭১৪ দিন আগে
দারাজ অ্যাপে বিপিএল দেখেছেন ১০ লাখ দর্শক
দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল-২৩) লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দুর্দান্ত সূচনা করেছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ দর্শক দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ক্রিকেট লীগ উপভোগ করছেন দারাজ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে।
এছাড়া বিপিএল ম্যাচ বিনামূল্যে উপভোগ করার পাশাপাশি, দারাজ ব্যবহারকারীরা বিপিএল মৌসুমে তাদের কেনাকাটায় আকর্ষণীয় অফার ও ছাড় পাচ্ছেন।
এদিকে বিপিএলে খেলার উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। ফ্রি লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কারণে দারাজ অ্যাপে সামনের ম্যাচগুলোয় দর্শকের সংখ্যা আরও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এছাড়া আগ্রহী যে কেউ তাদের মোবাইল ফোনে দারাজ অ্যাপের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে ম্যাচ উপভোগ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন: অফুরান উল্লাসে ৮ বছরে দারাজ
৭৯৭ দিন আগে
‘সুরক্ষা’ অ্যাপের পাঁচ প্রকৌশলীকে সম্মানিত করল আইইবি
করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে একটি উল্লেখযোগ্য প্লাটফরম হচ্ছে ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ। এই অ্যাপ নির্মাণের মাধ্যমে আইসিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৫ প্রকৌশলীকে সম্মাননা স্মারক দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)।
এই পাঁচজন হলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার এবং সুরক্ষা কোর টিম মেম্বার প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ, প্রকৌশলী মো. গোলাম মাহবুব, প্রকৌশলী এ. এস. এম. হোসনে মোবারক, প্রকৌশলী আবুল্লাহ আল রহমান এবং প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ বিন ছালাম।
আইইবি'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শনিবার সন্ধ্যায় আইইবি কাউন্সিল হলে (নতুন ভবনের ২য় তলা) সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের ভাইস-চেয়ারম্যান (প্রশাসন এন্ড এসএনডব্লিউ) প্রকৌশলী মো. মুসলিম উদ্দিন এবং আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের ভাইস-চেয়ারম্যান (একাডেমিক ও এইচআরডি) প্রকৌশলী হাবিব আহমদ হালিম (মুরাদ)।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার।
আরও পড়ুন: ৫২টি জটিল রোগে আর্থিক সুরক্ষা দিতে মেটলাইফ বাংলাদেশের নতুন স্বাস্থ্য বীমা
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য-সচিব ও কাউন্সিল সদস্য আইইবি, ঢাকা কেন্দ্র প্রকৌশলী তানভীর মাহমুদুল হাসান।
আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই সুরক্ষা অ্যাপ তৈরি করে দেশের অর্থ যেমন তারা বাঁচিয়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে মানুষের ভোগান্তিও অনেকটা লাঘব করেছেন। সংবর্ধিত প্রকৌশলীরা দেশের সম্পদ বলে তিনি উল্লেখ করেন। একই সাথে তাদেরকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদেরকে এই অ্যাপ তৈরির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার করোনা দুর্যোগ মোকাবিলার আইসিটি ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সংবর্ধিত প্রকৌশলীদের তিনি সম্মুখ সারীর যোদ্ধা বলে অভিহিত করেন। বিপুল জনগোষ্টীকে সুরক্ষা অ্যাপের আওতায় এনে সুশৃঙ্খলভাবে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে যুগান্তকারী সিস্টেম উদ্ভাবন করায় তাদের প্রতি সম্মান ও ধন্যবাদ জানান। এটি শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি'র জন্য।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য-সচিব ও কাউন্সিল সদস্য, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্র প্রকৌশলী তানভীর মাহমুদুল হাসান বলেন, সুরক্ষা অ্যাপ তৈরি করা আইসিটি সেক্টরের জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ ও অর্জন। এটা
কম্পিউটার প্রকৌশলীদের কারিগরী দক্ষতা ও অবদানের ফসল। কিন্তু দেশে পেশাগতভাবে কম্পিউটার প্রকৌশলীরা সব থেকে অবহেলিত
একই সাথে তিনি অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বিসিএস চাকরিতে আইসিটি ক্যাডার তৈরির জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় কাজ করছে অপো
১২২০ দিন আগে
ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে লাইকি
স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করার জনপ্রিয় অ্যাপ লাইকি সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের জন্য সুস্থ বিনোদনের পরিবেশ তৈরিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে নতুন ক্যাম্পেইন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপত্তিকর কন্টেন্ট মুছে ফেলা এবং আপত্তিজনক বিষয় ছড়িয়ে দেয়া হয় এমন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের লাইকি কমিউনিটি নীতিমালা সম্পর্কে জানাতে কনটেন্ট নির্মাতা ও সেলিব্রেটিদের কাছে ভিডিও তৈরির এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লাইকি যে ইতিবাচক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিচ্ছে সে সম্পর্কে অবহিত করতে লাইকি সম্প্রতি ‘#ভালোরজন্যজানো’ শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে অনেক জনপ্রিয় সেলিব্রেটি ও ইনফ্লুয়েন্সাররা নিরাপদ ও সুস্থ ধারার অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য কনটেন্ট পোস্ট করার নিয়ম ও সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ওপর ভিডিও তৈরি করেন। এদের মধ্যে ছিলেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, জনপ্রিয় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি, অভিনেত্রী তানহা তাসনিয়া, টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক এবং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি কনসালটেন্ট রিজভী আরেফিন।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ঢাকা নর্থ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যম বা সমাজে প্রচলিত যোগাযোগের যে কোনও মাধ্যমের প্রভাব কেমন তা নির্ভর করে ব্যবহারকারীরা এটি কিভাবে ব্যবহার করছেন সেটার ওপর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজের জন্য ইতিবাচক প্রভাব রাখার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে এবং মানুষকে জানাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং সময়োচিত এই ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে আনন্দিত। লাইকি কেবল বিনোদনের জন্য নয়, মানুষ চাইলে এ প্ল্যাটফর্ম শিক্ষার উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এতে অনেক শিক্ষা বিষয়ক কন্টেন্ট ও কন্টেন্ট নির্মাতা রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ‘উপায়ে’ কর্মীদের বেতন দেবে ফ্যালকন গ্রুপ
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের ব্যপারে টয়া বলেন, “আমি অনেকদিন ধরেই লাইকিতে সক্রিয়। ফলোয়ারদেরকে আনন্দিত করবে এমন মজাদার, আনন্দদায়ক ও বিনোদনমূলক অনেক দিক আমি এই প্ল্যাটফর্মে খুঁজে পেয়েছি। আমরা মানুষকে উপভোগ্য এবং দায়িত্বশীল উপায়ে লাইকিসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করার ব্যাপারে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ নারী
গত কয়েক মাস ধরে লাইকি আপত্তিকর কন্টেন্ট ফিল্টার করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, এর ব্যবহারকারীদেরও সৃজনশীল ভিডিও তৈরি করতে উৎসাহিত করেছে, যেনো এর মাধ্যমে অন্যরা তাদের মেধার বিকাশে অনুপ্রেরণা পায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে লাইকি তাদের রাজস্ব উদ্ভাবনে এবং প্ল্যাটফর্ম থেকে আপত্তিকর ও অবৈধ কন্টেন্ট মুছে ফেলতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে পুন:বিনিয়োগ করে আসছে। যথাযথ নিয়ম মেনে রিপোর্ট করা কন্টেন্টগুলোর ব্যপারে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি নির্দিষ্ট টিম নিরলস কাজ করছে। আপত্তিকর কন্টেন্ট মুছে ফেলতে লাইকি কঠোর নীতিমালা মেনে চলে। এ কারণেই লাইকি যখনই অশ্লীল, বর্ণবাদ, ধর্মান্ধতা, ফ্যাসিজম, কাউকে বুলি করে বা ঘৃণামূলক বক্তৃতাকে উত্সাহিত করে এমন কোনো কন্টেন্ট খুঁজে পায়, তখনই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এমনকি ব্যবহারকারীরাও feedback@likee.video– এ অনাকাঙ্ক্ষিত ভিডিওতে রিপোর্ট করে প্ল্যাটফর্মের পরিবেশ সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারেন। এছাড়াও, লাইকিতে জালিয়াতির তথ্য, অশ্লীল লিঙ্ক, জুয়া এবং অন্যান্য সময়ে নেতিবাচক ক্রিয়াকলাপ রিয়েল-টাইমে তদারকি করার জন্য একটি কমপ্লিট সিকিউরিটি মেকানিজম রয়েছে।
বাংলাদেশে লাইকির হেড অব অপারেশনস জয় বলেন, “প্রথমেই, আমরা প্রত্যেককে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই, যা তাদের সুপ্ত প্রতিভা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের বিকাশে সহায়তা করবে। আমাদের নীতি এবং নৈতিকতার মানদণ্ড থেকে বিচ্যুত হয় এমন কোনও কিছুই লাইকি’তে উৎসাহিত করা হয় না। এই বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে মোট ৪২ হাজার ৭৫১ টি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং প্রতি মাসে প্রায় ৮৭ লাখ ভিডিও বিভিন্ন ধরণের পেনাল্টির সম্মুখীন হয়। সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নীতি লঙ্ঘন হয় এমন যেকোনো ক্ষেত্রে লাইকি সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে কাজ করার মানসিকতা পোষণ করে।’
১৩৬৬ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্টের মামলার তথ্য জানতে নতুন অ্যাপ চালু
সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলার দৈনন্দিন কার্যতালিকা ও ফলাফলসহ তথ্যাদি জানাতে ‘সুপ্রিম কোর্ট কজলিস্ট অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে।
১৬১৮ দিন আগে