সরিষা
ঠাকুরগাঁওয়ে সরিষার আবাদ বেশি হওয়ায় মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌয়ালরা
ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সরিষা ফুলের হলুদ আভা। সে যেন অপরূপ দৃশ্য! চোখ মেললেই মন জুড়িয়ে যায় মাঠজুড়ে হলুদ গালিচায়।
সরিষার রূপ আর গন্ধে মাতোয়ারা চারিধার। মৌমাছি, প্রজাপতির অবিরাম খেলা গ্রামীণ জনপদকে আরও মুগ্ধ করে তুলেছে। এই সরিষা খেতগুলোতে যেমন রয়েছে চাষিদের পদচারণা, তেমনি মধু সংগ্রহে মেতে উঠেছেন মৌয়ালরা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলায় এবার সরিষার আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর বেশি।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে। বাজারে সরিষার তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরিষার আবাদ বেড়েছে।’
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ঝালকাঠিতে বেড়েছে সরিষা চাষ
রানিশংকৈল কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে রানিশংকৈল উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৮৯০ হেক্টর বেশি।
এখন অনেক জায়গায় চলছে মধু সংগ্রহ। সরেজমিনে দেখা গেছে, মৌচাষিরা সাধারণত পছন্দের একটি সরিষা খেতের পাশে খোলা জায়গায় চাক ভরা বাক্স ফেলে রাখেন। একেকটি বাক্সে ৮-১০টি মোম দিয়ে তৈরি মৌচাকের ফ্রেম রাখা হয়।
প্রতিটি বাক্সের ভেতরে রাখা হয় রানি মৌমাছি। ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। বাক্সে একটি রানি মৌমাছি রাখা হয় ৷ রানি মৌমাছির কারণে ওই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে থাকে। চাকের বাক্সের মাঝখানের নিচে ছিদ্র করে রাখা হয়। সে পথ দিয়ে মৌমাছিরা আসা-যাওয়া করতে থাকে।
রানিশংকৈল উপজেলার গোগর এলাকার মৌচাষি নজরুল ইসলাম জানান, সরিষা খেতে মধু চাষ খুবই লাভজনক। এতে কৃষক ও মধু চাষি— দু’পক্ষই লাভবান হন৷ বাক্সের ভেতরের চাকগুলো মধুতে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ছয় থেকে সাত দিন। এরপর মধু চাষিরা বাক্স খুলে চাকের ফ্রেম থেকে মেশিনের মাধ্যমে মধু বের করে নেন। ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে মৌমাছির ব্যাপক পরাগায়নে সরিষার বাড়তি ফলন পান কৃষক, আর মৌচাষিরা পান মধু।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ১৫১.৩৮ কোটি টাকার সরিষার ফলনের প্রত্যাশা চাষিদের
১০ মাস আগে
ফরিদপুরে ১৫১.৩৮ কোটি টাকার সরিষার ফলনের প্রত্যাশা চাষিদের
বতর্মানে সরিষার তেলে চাহিদা বেড়ে যাওয়া আর স্বল্প খরচে ও অল্প সময়ে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষিকের আগ্রহ বেড়েছে সরিষা চাষে। এছাড়া সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবে দেশে উৎপাদিত সরিষার তেলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া বেড়েছে আবাদ। এ কারণে গত বছরের তুলনায় কয়েক হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ করেছে ফরিদপুরের কৃষকেরা।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশীয় বাজারের ভোজ্য তেলের দর বৃদ্ধিতে এবার ফরিদপুরে বেড়েছে ফরিদপুরে সরিষার চাষ। রবি মৌসুমের ফসল হিসেবে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে সরিষা চাষে। জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাঠেই এবার আবাদ বেড়েছে সরিষার।
সার, ওষুধ, পানি ও অল্প পরিচর্যায় এবং সরকারি প্রণোদনা পাওয়ায় দিন দিন সরিষা আবাদে ঝুকছে চাষিরা। জেলার নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর, গোলডাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাঠে অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে সরিষা ফুল।
সরেজমিনে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, গাছ দুই থেকে চার ফুট পর্যন্ত বড় হয়ে উঠেছে। হলুদ ফুলে ফুলে ভড়ে উঠেছে মাঠ। বাতাসে দোল খাচ্ছে ফুলে ভরা সরিষার গাছ।
আরও পড়ুন: খুলনায় সরিষার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা
১১ মাস আগে
খুলনায় সরিষার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা
খুলনায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা ফুটেছে। চলতি মওসুমে খুলনায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ করেছেন চাষিরা।
এ মওসুমে ২৮৯ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেড়েছে। ৯ উপজেলার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বেড়ে ওঠা ফসল আর ফুল দেখে অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রণোদনা পাওয়ার পাশাপাশি গত বছর সরিষা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এবার কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও প্রত্যেক সরিষা চাষি অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ সংকট: বুড়িগঙ্গার নিকটবর্তী স্থানীয়দের পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্প গ্রহণ
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে জেলায় এক হাজার ৯৫৪ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুর মেট্রো এলাকায় ১৪ হেক্টর, লবণচরায় ৭ হেক্টর, রূপসা উপজেলায় ৩০৫ হেক্টর, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২৫০ হেক্টর, দিঘলিয়া উপজেলায় ১২০ হেক্টর, ফুলতলা উপজেলায় ১৮০ হেক্টর, ডুমুরিয়া উপজেলায় ৪২০ হেক্টর, তেরখাদা উপজেলায় ১৬০ হেক্টর, দাকোপ উপজেলায় ২৮ হেক্টর, পাইকগাছা উপজেলায় ২৬০ হেক্টর ও কয়রা উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
গত বছর খুলনায় এক হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়।
এদিকে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে জেলার এক হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের জন্য ১৩ হাজার ৬০০ জন চাষিকে বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করেছে কৃষি বিভাগ। দৌলতপুর মেট্রো এলাকার ৫০ জন, লবণচরা মেট্রোর ৫০ জন, রূপসা উপজেলার দুই হাজার জন, বটিয়াঘাটার এক হাজার ৮০০ জন, দিঘলিয়ার এক হাজান ২০০ জন, ফুলতলার এক হাজার ৪০০ জন, ডুমুরিয়ার দুই হাজার ৩০০ জন, তেরখাদার এক হাজার ২০০ জন, দাকোপের ৩০০ জন, পাইকগাছার এক হাজার ৮০০ জন ও কয়রার এক হাজার ৫০০ জন চাষির প্রত্যেককে এক কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: চাকরির পেছনে না ছুটে কমলা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে কুড়িগ্রামের যুবক
১১ মাস আগে
ভোলায় সরিষা আবাদে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক
কৃষি কাজ করেই চলে মো. তাজুল ইসলামের সংসার। তিনি এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। তার দিগন্তজোড়া সরিষাখেতে দুলছে থোকায় থোকায় সরিষা। আর কিছুদিন পরই খেতের সরিষা ঘরে তুলবেন তিনি।
কৃষি বিভাগ থেকে সরকারিভাবে দুই কেজি বীজ পেয়েছেন এবং আরও দুই কেজি কিনে এ বছর দেড় একর জমিতে অগ্রহায়ণ মাসে সরিষা আবাদ করেন।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ
এতে তার প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তার আশা বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এমন প্রত্যাশার কথাই জানিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার হাজির হাট বুড়ি মসজিদ সংলগ্ন এলাকার কৃষক মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, গত বছর সরিষা আবাদ করে খুব অল্প সময়ে তার ৩৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। তাই এ বছর আবারও সরিষার আবাদ করেছেন। আগামী বছর তিনি আশা করছেন দুই একর জমিতে আবাদ করবেন। তার মতো এলাকার আবদুল খালেকসহ বহু কৃষক সরিষার আবাদ করেছেন। কাঁচা সরিষা ফুলের মন জুড়ানো দৃশ্যে যেমন হাসি ফুটেছিল কৃষকের মুখে, তেমনি ভালো ফলন আসায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এখন সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষি বিভাগের মতে, ভোলা জেলার সাত উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সয়াবিন তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর জেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে ১০ হাজার দুইশ’কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মৌসুমে ভোলা জেলায় পাঁচ হাজার আট শত হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়। আর উৎপাদন হয়েছিল আট হাজার ১২০ মেট্রিকটন।
লাভজনক ফসল হওয়ায় এ বছর প্রায় ২৮ হাজার কৃষক সরিষা আবাদ করেছে। এ বছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ হাজার আটশ’হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৬৭ হেক্টর জমিতে।
কৃষকরা জানায়, ভোলা জেলায় সাধারণত বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৬, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা সরিষা-৯, বিনা সরিষা-৪ জাতের আবাদ বেশি করা হয়।
আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি সময়ে চাষ হওয়া সরিষা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। সরিষার পাতা থেকে সৃষ্ট জৈব সার ধানের পুষ্টি জোগান দেয়। বীজ রোপণের পর থেকে সর্বোচ্চ ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে সরিষার বাম্পার ফলন
প্রথম দিকে আগাছা পরিষ্কারের কাজ ছাড়া তেমন পরিশ্রমও হয় না সরিষা চাষে। তাই স্বল্প সময়ে চাষ সম্ভব বলে অনেক চাষিই সরিষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ভোলার পূর্ব ইলিশার গুপ্ত মুন্সি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পারভেজ মিজি তার সরিষা খেতে শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তিনি জানান, তিনি গত ৮/১০ বছর ধরে সরিষা আবাদ করছেন। এ বছর ৬ গন্ডা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। পাঁচ মণ সরিষা হয়েছে। তিনি ১৮ হাজার টাকায় বিক্রিও করেছেন। তার ১০/১২ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
১ বছর আগে
বিশ্বনাথে সরিষার বাম্পার ফলন
সিলেটের বিশ্বনাথে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বিভিন্ন প্রকার সবজির পাশাপাশি এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে বহুগুণ। রোগ-বালাই না থাকায় অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকেছে সরিষা চাষে।
এবার উপজেলায় সরিষার হলুদ ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে মাঠের পর মাঠ।
ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর মৌমাছির গুঞ্জন এখন সর্বত্র। অপরূপ এ দৃশ্য দেখে কৃষকদের মুখেও হাসির ঝিলিক। মনে হয় তারা তাদের জমিতে সোনা ছড়িয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সরিষার বাম্পার ফলন
এবার উপজেলায় সরিষার আবাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে হচ্ছে না এ সরিষার চাষ। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়- দশঘর, রামপাশা, খাজাঞ্চী ও দৌলতপুর এলাকায় কিছুটা চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে অলংকারী ইউনিয়নে।
ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে মূলত তাদের এ সরিষা চাষ। এবার ফসলি জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন হবে মনে করছেন কৃষকরা। তারা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। আশা করছেন এবার প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা পাঁচ থেকে ছয় মণ উৎপাদন হবে।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি।
এ কারণে সরিষা আবাদে এখানকার কৃষকরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা পেলে তারা আরও বেশি করে সরিষা চাষ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের কৃষকদের।
সরেজমিনে উপজেলার সরিষা চাষি জমসিদ মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক সার, বীজ ও পরামর্শ পেয়ে প্রথমবারের মতো সরিষা চাষ করছি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র ধর জানান, তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে এ বছর সরিষা চাষ সম্প্রসারণে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এবারে উপজেলায় ৪২২ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে যা অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরর চেয়ে বেশি।
কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে সার বীজও প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন
হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ, সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক
১ বছর আগে
মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন
মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাকা সরিষা ঘরে তোলা নিয়ে এখানকার চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।
জানা গেছে, বাজারে ভোজ্যতেলের অতিরিক্ত দাম থাকার কারণে জেলার চাষিরা এবার সরিষা আবাদের প্রতি ঝুঁকে পরে। যে কারণে গত বছরের চেয়ে এবার দুই হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূএে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৩ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে।
সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের ব্লক সুপার ভাইজার ইয়াছমিন (৩২) জানান, এই ইউনিয়নের লক্ষিগঞ্জ গ্রামের মেরজন খালাসি (৪৮), শাহাদত খা (৫০), মোকতার মোল্লা (৪৫), হালিম মোল্লা (৬৩), বারেক কাজি (৬৪), মিজান কাজি (৪৫), কালাম কাজি (৫০), নুর ইসলাম ফকির (৭০), বাবুল মুন্সি (৫০) ও আনু হাওলাদার (৩৫) এর সরিষা আবাদ ভাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
এছাড়া এলাকায় চলতি মৌসুমে অসংখ্য কৃষক সরিষা আবাদ করেছে।
এদিকে সরিষা চাষি মেরজন খালাসি জানান, বর্তমান মাদারীপুর পুরান বাজারে প্রতিমণ সরিষা তিন হাজার ৩০০ টাকা থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এক বিঘা (৬৩ শতাংশ) জমিতে ১২/ ১৩ মন সরিষা উৎপাদন হয়। এতে ৮/৯ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।
কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুরের চারটি উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ
১ বছর আগে
সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। দেশে ৫০ ভাগ তেল উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রথম বছরেই এবার সারা দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যেই আমরা বছরে ভোজ্যতেল আমদানিতে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারব।
রবিবার সকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার তুলসীডাঙ্গায় সরিষার মাঠ পরিদর্শন ও সরিষা চাষীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, শুধু সরিষার আবাদ বৃদ্ধিই নয়, এর সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে মৌচাষ ও মধুর উৎপাদন।
তিনি বলেন, অন্যদিকে আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে পতিত জমিতে সরিষার আবাদ হওয়ায় ধানের উৎপাদন কমছে না, একইসঙ্গে কৃষকেরা অতিরিক্ত ফসল হিসেবে এই সরিষা পেয়ে লাভবান হচ্ছেন।
সরিষা চাষীরা যাতে সরিষার ভালো দাম পান, এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতে অন্য মন্ত্রীদের কৃষিমন্ত্রীর চিঠি
পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতে অন্য মন্ত্রীদের কৃষিমন্ত্রীর চিঠি
১ বছর আগে
সরিষার ফলন ও দাম পেয়ে খুশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা
চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ ভাল দামে সরিষা বিক্রিও হচ্ছে। তাই উৎপাদিত সরিষার ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, খেত থেকে ফসল ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত চাষিরা। কোথাও চলছে সরিষার গাছকাটা আবার কোথাও চলছে মাড়াইয়ের কাজ।
চাষিরা জানান, এবার অনুকূল আবহাওয়া ও রোগ বালাইয়ের তেমন উপদ্রব না থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি গড়ে সাত মণ করে ফলন পাওয়া গেছে। আর এবার শুরু থেকেই সরিষার বাজার দর ভালো রয়েছে। ফলে সরিষা আবাদ করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।
সদর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার চাষি মোশাররফ হোসেন জানান, এবার তিনি তিন বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছিলেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো পেয়েছেন। প্রথম দিকেই দুই হাজার আটশ টাকা মণ দরে তিনি সরিষা বিক্রি করেছে। পরে দর আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে ভাগ্য ফিরছে যশোরের কৃষকের
নাচোল উপজেলার নেজামপুর এলাকার চাষি আলমগীর জানান, বৃষ্টিতে কিছু নষ্ট করেছিল যার কারণে ফলন একটু কম হয়েছে। বিঘা প্রতি ৬ মণ ফলেছে। দর তিন হাজার পাঁচশ টাকা মণ পেয়েছেন। খরচ বাদ দিয়ে তার ছয় হাজার টাকা লাভ হয়েছে বলে জানান তিনি।
একই উপজেলার ঘিয়ন এলাকার চাষি আবদুস সামাদ জানান, দুই বছর আগে সরিষার দর তেমন ছিল না। ১২শ থেকে ১৩শ টাকা মণ দর ছিল। কিন্তু গত বছর থেকে সরিষার দর বেড়েছে। গতবার তিনি আড়াই বিঘায় সরিষার আবাদ করেছিলেন। দর ভালো পাওয়ায় এবার তিনি চার বিঘা জমিতে সরিষা করেছেন।
২ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ, মৌ চাষিরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত
সিরাজগঞ্জের মাঠে মাঠে এখন সরিষা ফুলের হলুদের সমারোহ। মৌমাছির গুঞ্জনে প্রকৃতি যেন নতুন সাজে সেজেছে। এবার জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করা হয়েছে। একই সঙ্গে মৌমাছির ফুলের বাগানে বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে মধু চাষিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলার ৯ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৫৪ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন জাতের সরিষার মধ্যে রয়েছে বারি ০৯, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, বিনা ০৯, টোরি ০৭ ও স্থানীয় সরিষা। এর মধ্যে বারি ০৯ ও ১৪ বেশি চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সরিষার বাম্পার ফলন
স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকেরা এ লাভজনক সরিষা চাষাবাদ করেছে। তবে এই সরিষা চাষাবাদ জেলার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, বেলকুচি ও কামারখন্দ উপজেলার কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি করেছে।
জেলায় এবার ৬৬ হাজার ২১৫ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
২ বছর আগে
হলুদের সমারোহে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন
খুলনার ডুমুরিয়ায় সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত ফসলের মাঠ। দিগন্ত জোড়া হলুদের সমারোহ। আর হলুদের এ সমারোহে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।
এ বছর উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের টিপনা, রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বিল ডাকাতিয়া ও আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া ও চুকনগর মাঠে সরিষা চাষ করা হয়েছে। আর এসব এলাকা ঘুরে দেখে গেছে এমন দৃশ্য।
কৃষকরা জানান, সরিষা খুবই লাভজনক একটা চাষ। অতি অল্প সময়ে ও অল্প পুঁজিতে কৃষকরা লাভবান হয়। তাই অধিকাংশ কৃষক এখন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
আব্দুল হালিম নামে এক কৃষক জানান, দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন তিনি। প্রতি বিঘা জমিতে দেড় হাজার টাকা করে ব্যয় হয়েছে। সরিষার ফুলে খেত ভরে গেছে। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি পাঁচ থেকে ছয় মণ সরিষা পাওয়া যাবে।
ইউনিয়নের বিল ডাকাতিয়া এলাকার কৃষক আফসার আলী জানান, আমন ধান কাটার পর প্রায় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। আশা করছেন ফলন বেশ ভালো হবে। এই সরিষা বিক্রি করে বোরো আবাদের তেল ও সার কেনার টাকা জোগাড় হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ, সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক
টিপনা গ্রামের কৃষক পরিতোষ রাহা বলেন, সরিষা আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। এক থেকে দুই বার সেচ দিলেই চলে। বাজার দর ভালো হলে এক মণ সরিষা ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি চাষ হয়েছে। দুটি ফসলের মাঝে কৃষকরা সরিষা চাষের ফলনকে বোনাস হিসেবে দেখছেন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা হয়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
এক সময় কৃষকরা আমন ধান কাটার পর জমি পতিত ফেলে রাখলেও সময়ের ব্যবধানে এ চিত্র পাল্টে গেছে। বর্তমানে আমন ধান কাটার পর জমিতে সরিষা লাগানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, সরিষা মূলত একটি মসলা জাতীয় ফসল। স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষক যেন অধিক ফলন পায় সে জন্য নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করছি প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না ঘটলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সরিষার বাম্পার ফলন
৩ বছর আগে