মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা আরও কমেছে
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। দেশের নিম্নাঞ্চলে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ।
ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। উত্তরের হিমেল হাওয়া কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল ৮ টার দিকে সূর্য উকি দিলেও তাপমাত্রা বাড়েনি। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ।
তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শীতে বিপর্যস্ত মেহেরপুরবাসী, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৫০ রোগী
১ সপ্তাহ আগে
শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবীর হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। তীব্র শীতে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও খোলা রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
সরেজমিনে জেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো চলছে আগের নিয়মেই। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে আগে থেকে না জানায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে আসে শিশু শিক্ষার্থীরা। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু থাকায় বিদ্যালয়ে এসেছেন শিক্ষকরা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সারাদিনই আকাশ মেঘলাসহ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়। শুক্রবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের দেখা মিললেও ছিল না রোদের উত্তাপ। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একদিন পরই শনিবার এ জেলায় তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ সোমবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, সোমবার জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে। তবে তীব্র শীতের কারণে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সোমবার সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পশু-পাখির সুরক্ষা: বন্যা, খরা ও শৈত্য প্রবাহে করণীয়
১১ মাস আগে
রংপুর-রাজশাহী বিভাগসহ কয়েক জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অফিস
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁওয়ের বদলগাছী উপজেলা ও দিনাজপুরে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে আকাশপথে চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে।
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষ গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কবলে পড়ায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
১১ মাস আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: আবহাওয়া অফিস
দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, নওগাঁ, দিনাজপুর ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বাড়তে পারে।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ উপজেলা, ফেনী ও কক্সবাজারে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষ গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের সম্মুখীন হওয়ায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে দিনমজুর, শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
১১ মাস আগে
সারা দেশে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
সারা দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ২৯ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৭৫ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
ভারতের দিল্লি ও কলকাতা এবং পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর যথাক্রমে ২৪৩, ২১২, ২১২ এবং ১৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম চারটি স্থান দখল করেছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সকালে বিশ্বে দ্বিতীয় দূষিত বাতাস ঢাকার
১১ মাস আগে
দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন
বাংলাদেশ বর্তমানে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি প্রাথমিকভাবে মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, বরিশাল এবং ভোলাসহ উত্তরাঞ্চলকে প্রভাবিত করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই শীতের প্রভাব বিশেষভাবে দিনমজুর, শিশু ও বয়স্কদের ওপর পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে সারাদেশে তাপমাত্রার তারতম্য তুলে ধরা হয়েছে, বরিশালে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। আর টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার মানদণ্ড অনুযায়ী ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে হালকা শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে ধরা হয়। তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতাও বৃদ্ধি পায়।
এই আবহাওয়ার ধরণটি মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাও বয়ে নিয়ে আসে, বিশেষত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং কিছু অঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও, কোথাও কোথাও আকাশ আংশিক অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রায় সামান্য বৃদ্ধি প্রত্যাশিত, যদিও অনেক অঞ্চলে দিনে ঠান্ডা আবহাওয়া অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এই শৈত্যপ্রবাহে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাসিন্দারা হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার মুখোমুখি হয়েছে। এটি সাধারণ জীবনযাত্রাকেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করেছে। হাড় কাঁপানো শীত থেকে জনগণের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
১১ মাস আগে
৭ জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: আবহাওয়া অধিদপ্তর
রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার ও চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
এতে আরও বলা হয় যে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় শ্রীমঙ্গলে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় টেকনাফে।
এছাড়াও, সারাদেশে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
১ বছর আগে
৪ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য উন্নতি
দেশের চারটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সামান্য উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়া।
আরও পড়ুন: ৫ জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ
এ সময়ে চট্টগ্রামের টেকনাফে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কমে আসতে পারে।
নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
১ বছর আগে
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অংশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় নিম্ন তাপমাত্রার প্রভাব অনুভূত হচ্ছে।
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে বিবেচিত হয়।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীর বদলগাছীতে। এ সময় টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এছাড়া নদী অববাহিকা ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
অধিদপ্তর আরও জানায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ৫ জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
১ বছর আগে
৪ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে বিবেচিত হয়।
এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর
তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে
১ বছর আগে