ইতো নাওকি
বিদায়ী জাপানি রাষ্ট্রদূতের আশা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে: ডেপুটি প্রেস সচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, উভয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং একমত হয়েছেন যে ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল বোঝা।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর জোর দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ভাসানচর দ্বীপের উন্নয়নের পর রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়স্থল স্থাপনে জাপানের সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি লাভজনক স্থান হওয়ায় জাপানের ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর বিনিয়োগে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং ঢাকা মেট্রোরেলের মতো বাংলাদেশের মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের সহায়তার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত সবসময় দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
শেখ হাসিনা বিদেশিদের জন্য একটি ডেডিকেটেড ট্যুরিস্ট জোন গড়ে তুলতে জাপানের সহযোগিতাও কামনা করেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত এটিকে একটি ভালো উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তার মেয়াদ সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তার ভূমিকার জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি হয়েছিল।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
২ বছর আগে
জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে ‘চিন্তিত নন’, তাকে সরল ও ভালো মানুষ বললেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিনি জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির নির্বাচন-সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। তার সরলতার সুযোগে দুষ্ট লোকেরা সুযোগ নিতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জনস ফর স্লিপ অ্যাপনিয়া, বাংলাদেশ আয়োজিত আন্তর্জাতিক কর্মশালায় যোগ দেয়ার পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি (নাওকি) একজন সাধারণ এবং ভালো মানুষ। তিনি বাংলাদেশের একজন ভালো বন্ধু। আমরা তার মন্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন নই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পিত জাপান সফর স্থগিত করা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাপান সরকারের মধ্যে ‘অস্থিতিশীলতা’সহ বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: আপনার বাবা ছিলেন বিদেশে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর: টেড কেনেডি জুনিয়রকে মোমেন
মোমেন বলেন, জাপানের তিন প্রভাবশালী মন্ত্রিসভার সদস্য সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন এবং তারা শুনেছেন যে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে নিয়ে জাপানের সংসদে কিছু প্রস্তাব আসবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান আমাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত… তবে তিনি (জাপানি প্রধানমন্ত্রী) খুব ব্যস্ত (অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে)।’
তিনি আরও বলেন, যে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন এই সিদ্ধান্তের পিছনে আরেকটি কারণ।
একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে তুলে ধরার জন্য নির্ধারিত ছিল যেখানে বাংলাদেশ মাত্র ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল সফরের সুযোগ পাবে।
মোমেন বলেন, এটি ছিল দুই দিনের সফর, কিন্তু প্রতিনিধি দলের অধিকাংশ সদস্য কোয়ারেন্টাইনের কারণে হোটেলে আটকে থাকবে এর কোনও মানে হয় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুই বছরেরও বেশি সময় আগে আমন্ত্রণ পেয়েছিল, কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সফরটি বাস্তবায়িত হতে পারেনি।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জাপান সফরে গেলে জাপানি পক্ষ আবারও সফর চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক আরও গভীর হবে: মোমেন
‘আমরা এবার জাপানে যেতে চেয়েছিলাম। তারা আমাদের বারবার অনুরোধ করেছে। এটি চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা তা স্থগিত করেছি।’
মোমেন বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক থাকায় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই জাপানে যাবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, তারা এই সফরের জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন, কারণ এটি দুই দেশের জন্য ‘লাভজনক’।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই সফর বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। ‘আমাদের উন্নয়ন, অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার জন্য আমাদের এখনও বড় জায়গা রয়েছে।’
নাওকি বলেন, সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ও জাপানের একটি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বাংলাদেশের একটি শক্ত অর্থনীতি রয়েছে এবং অর্থনীতি সম্পর্কিত কিছু মিডিয়া প্রতিবেদনকে ‘প্রপাগান্ডা’ বলে বর্ণনা করে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: কূটনীতিকদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ: মোমেন
২ বছর আগে
নির্বাচন নিয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ‘সম্পূর্ণ সত্য’: বিএনপি
বাংলাদেশের গত সাধারণ নির্বাচনের সময় ‘রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি’ নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাম্প্রতিক বক্তব্য ‘সম্পূর্ণ সত্য’ বলে দাবি করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাপানি রাষ্ট্রদূত (নির্বাচন সম্পর্কে)যা বলেছেন তা একেবারেই সত্য।
তিনি বলেন, সরকার এখন ভিয়েনা কনভেনশনের কথা বলছে যা কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্য করতে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণ গর্জন করছে: ফখরুল
‘আপনারা(সরকার) যখন মানুষকে হত্যা করেন, তাদের গুম করেন, রাতে দিনের ভোট দেন এবং ভোট না দিয়ে নিজেকে সরকার ঘোষণা করেন, তখন ভিয়েনা কনভেনশন কোথায় দাঁড়ায়?’ -ফখরুল প্রশ্ন করেন।
এর আগে সোমবার, জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন যে তিনি ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ -এর উদাহরণ সম্পর্কে শুনেছেন এবং কিছু পুলিশ আগের রাতে ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে’ – যা তিনি অন্য কোনো দেশে শোনেননি।
‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ কখনই পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান আশা করে যে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সব প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগকর্মীর মামলা
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে কী ঘটছে তা দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চোখ খুলেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়... এই দিনে ও যুগে কেউ কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়ে খেয়াল খুশি মতো কিছু করতে পারে না।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার বা উত্তর কোরিয়ার মতো ‘অবরুদ্ধ’ দেশ নয় যে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘এটি (বাংলাদেশ) মোটামুটি একটি স্বাধীন দেশ। যারা আমাদের (উন্নয়ন) অংশীদার এবং যারা এখানে বিনিয়োগ করে এবং দেশকে আর্থিক সহায়তা দেয় তারা এটা (নির্বাচন) সম্পর্কে কথা বলতে পারে।’
বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে বিএনপি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্ররোচিত করছে বলে সরকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এর মানে হচ্ছে, ‘বিএনপি দেশের জনগণের সঙ্গে একত্রে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেদিকে নজর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার জনসভা থেকেই বৃহত্তর আন্দোলন শুরু, বললেন ফখরুল
২ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে ‘কৌশলগত’ অংশীদারিত্ব চায় জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার মতো আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি ‘কৌশলগত’ পর্যায়ে উন্নীত করতে চায় জাপান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরের সময় এই বিষয়ে সম্ভাব্য আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাপক অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা এটিকে বৃদ্ধি করতে চাই। আশা করি আমরা আমাদের অংশীদারিত্বকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব বলতে আমরা একমত হতেই পারি।’
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাপান দূতাবাসে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপিত
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের সহযোগিতায় এটি আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানির বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথা জানিয়ে তিনি বলেন যে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা হবে।
ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি)নিয়ে জাপানের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি খুব ব্যাপক, তবে কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয় বা কোনও দেশের পক্ষেও না।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে এফওআইপি এর অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। ‘আমরা আমাদের ব্যবহারিক সহযোগিতার প্রচার চালিয়ে যাব।’
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সংযোগ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি হচ্ছে বাস্তব সহযোগিতার অংশ; যা তারা প্রচার করে।
বিনিয়োগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন যে চ্যালেঞ্জ আছে, তবে বিনিয়োগের পরিবেশের উন্নতি হবে বলে আশা করছি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ২৯শে নভেম্বর-১ ডিসেম্বর, ২০২২ জাপান সফরে যাবে। সেসময় বৃহৎ প্রকল্পে ‘বিনিয়োগ ও অর্থায়নের’ মাধ্যমে উন্নয়ন প্রচেষ্টায় জাপানের ‘শক্তিশালী সম্পৃক্ততা’ চাইবে বাংলাদেশ।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনবিকে বলেন যে জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি ‘উত্তম বিনিয়োগকারী’ এবং তারা অনেকগুলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
মোমেন বলেন, ‘মূল কথা হল জাপান অর্থায়নে সক্ষম এবং তারা সবসময় কোনো কঠিন শর্ত ছাড়াই অর্থায়ন করে। তাদেরও প্রযুক্তি আছে।’
২০১৪ সালের মে মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে টোকিওতে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠক করেন এবং তারা যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ-জাপান ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ শুরু করেন।
একই বছরের সেপ্টেম্বরে আবে ঢাকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন।
১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাপান বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২০২২ সাল বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর: বিনিয়োগ ও বড় প্রকল্পে অর্থায়ন খুঁজবে বাংলাদেশ
২ বছর আগে
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বক্তৃতা দিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি মঙ্গলবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি) ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ২০২২-এর প্রধান অতিথি হিসেবে ‘সমসাময়িক জাপান: এর বৈদেশিক নীতি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কৌশল’ বিষয় নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত নাওকি বিশেষ করে এশিয়ার চ্যালেঞ্জিং নিরাপত্তা পরিবেশ এবং জাপানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতার কৌশল ব্যাখ্যা করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
এ সময় তিনি নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার তাৎপর্যসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাপানের সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেন।
এছাড়াও, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য একটি ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি)’এর রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সফর শেষ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
এতে ১৭টি দেশের প্রায় ৯০টি কোর্সের সদস্য বক্তৃতায় অংশ নেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।
২ বছর আগে
কক্সবাজার সফর শেষ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি কক্সবাজারে তার দু’দিনের সফর সম্পন্ন করেছেন। ১২-১৩ সেপ্টেম্বরের তার এই সফরটি ঠিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পঞ্চম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (ডব্লিউএফপি) জাপানের ৮২ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদানের পর অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি ইউনিসেফের লার্নিং ও মাল্টি-পারপাস সেন্টার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক ও স্মৃতি কেন্দ্র এবং ডব্লিউএফপির একটি অ্যাগ্রেগেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও, এফএও-ডব্লিউএফপি দ্বারা উদ্ভাবনী পুনরুদ্ধারের স্থানগুলো জাপান সরকারের অর্থায়নে ক্যাম্প ১১ এবং সম্প্রতি জাপানের অবদানের অধীনে চালু হওয়া ইউএনএইচসিআরের উখিয়া বিশেষায়িত হাসপাতালের অধীনে সবুজ পাইলট প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাপানের অর্থায়নে ৮১ হাজার পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর
২ বছর আগে
জাপানের রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ব্যাখা দিল টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির তথ্য-প্রমাণ ভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি এবং এই গবেষণাকে কোনো দিক থেকেই ভিত্তিহীন বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
জাপানের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘একইসঙ্গে তাকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে চাই, সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণায় আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত নীতি, পদ্ধতি ও মানদণ্ড কঠোরভাবে মেনে উপাত্ত সংগ্রহ ও তার শুদ্ধতা পরীক্ষাসহ গবেষণাটি পরিচালনা ও প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই গবেষণাকে কোনো দিক থেকেই ভিত্তিহীন বলার কোনো অবকাশ নেই।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি গত ৩ জুলাই ইনটিগ্রেটেড এনার্জি এন্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) প্রণয়ন বিষয়ক দ্বিতীয় স্টেকহোল্ডার মিটিংয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রণীত ‘বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্প: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং তার বক্তব্য টিআইবির নজরে এসেছে।
অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি টিআইবিকে ‘তথ্য-প্রমাণ ভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের’ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এই বছরের মে মাসে প্রকাশিত টিআইবির সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনের কিছু বিবরণ... আমি প্রকল্পের বিশদ বিবরণে যাচ্ছি না... তবে যখন এই প্রতিবেদনে বলা হয় জাপান অচল প্রযুক্তি (ব্যবহার করতে) বাংলাদেশকে প্রভাবিত করছে, তখন আমি দেখতে পেলাম যে এটি ভিত্তিহীন।’
টিআইবি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাপান তার অচল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে বাংলাদেশকে প্রভাবিত করছে’ এমন কোনো মন্তব্য টিআইবি’র আলোচ্য গবেষণায় করা হয়নি। বরং এ খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ কর্তৃক চীন ও জাপানের পুরাতন এবং ব্রাউন ফিল্ড বয়লারগুলোকে গ্রীন নামে চালিয়ে দেয়া এবং উন্নত দেশের উদ্বৃত্ত ও অব্যবহৃত কয়লা প্রযুক্তির ‘ডাম্পিং ক্ষেত্র’ হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করার অভিযোগের বিষয়টি টিআইবি প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞ মতামত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামানবলেন, ‘অন্যদিকে টিআইবির গবেষণায় জ্বালানি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের দ্বন্দ্ব বিষয়ে বিশদ আলোচনা হলেও জাপানের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে কোনো আলোকপাত করেননি। যদিও জাপানের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেছেন, এটি নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাপান বাংলাদেশের পাওয়ার ও এনার্জি খাতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজে যুক্ত ছিল।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দাতাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং পরামর্শ প্রদান অনিবার্য এবং দাতা-গ্রহীতা সম্পর্কেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা প্রয়োজনীয়ও।
তিনি বলেন, এজন্য আইইপিএমপি প্রণয়নে জাপানিদের সহায়তাকে স্বাগত জানাই, তবে তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করার মাধ্যমে এর সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নকালীন ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ স্বার্থের দ্বন্দ্ব মুক্ত পরিবেশ তৈরির একটি উত্তম উদহারণ তৈরি করতে পারত, যা স্বচ্ছতার জন্য অধিকতর ফলদায়ক হতো।
পড়ুন: নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতে আইনি সংস্কারের সুপারিশ টিআইবির
বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে আনার সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির
বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন চায় জাপান
২ বছর আগে
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে কাঁচপুর, মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতী সেতু ও ঢাকা মেট্রো রেল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
তারা উভয়েই পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নের মাধ্যমে অবকাঠামোতে আরও সহযোগিতার প্রচার করতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির ক্রমবর্ধমান মিথষ্ক্রিয়া আস্থার উত্তম প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাব।’
এ সময় বাংলাদেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের অবদানের প্রশংসা করেন কাদের।
আরও পড়ুন: সংঘাতের পরিণতিতে সাড়া দেয়ার চেয়ে প্রতিরোধে বিনিয়োগ ভালো: ঢাকা
২ বছর আগে
জাপানকে বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির আহ্বান মন্ত্রীর
কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা জাপানের প্রতিষ্ঠান ইয়ানমারকে বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরির জন্য কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিযন্ত্রে ব্যাপক ভর্তুকি দিচ্ছে। ফলে, কৃষিকাজে যন্ত্র ব্যবহারে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষিযন্ত্রের বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। জাপানি ইয়ানমার কোম্পানির যন্ত্রেরও চাহিদা অনেক। কাজেই, বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে ইয়ানমার কৃষিযন্ত্র তৈরি করতে পারে।’
শুক্রবার বিকালে ঢাকায় দীপ্ত টেলিভিশন চত্বরে ইয়ানমার কোম্পানির কৃষিযন্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিকে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
এসময় জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানান, বাংলাদেশের সাথে যৌথ উদ্যোগে এদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পরিদর্শনকালে বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজি বেনজীর আলম, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি দেবাশীষ রায়, এসিআই এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফম আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: দেশে কেউ ঘরহীন থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
পরে কৃষিমন্ত্রী এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। এখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষের প্রয়োজনীয় খাবার আমরা ছোট্ট এদেশ থেকে উৎপাদন করছি। বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোন অভাব নেই। তবে এখন চ্যালেঞ্জ হলো সকলের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
জাপানের প্রসঙ্গ তুলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাপান খুবই শিল্পোন্নত দেশ। তারপরও তারা কৃষি উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে, যাতে খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে না হয়।
আমরাও খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে পারি না। সেজন্য, বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছে।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা উসমান তুরান, দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: দ্রুত চালের উৎপাদন বাড়াতে রোডম্যাপ হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাংলাদেশে নিরাপদ ও কার্যকর টিকার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে: জাপান
জাপান বলেছে, বাংলাদেশে নিরাপদ ও কার্যকর টিকার ‘ন্যায্য ও ব্যাপক’ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে। বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন,‘আমি আবারও বলতে চাই, জাপান করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাপান বাংলাদেশকে প্রায় ১৫ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিয়েছে। এরপর মঙ্গলবার জাপান বাংলাদেশকে আরও সাত লাখ চার হাজার ১০ ডোজ টিকা দিয়েছে।
এর আগে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় জুলাই ও আগস্ট মাসে জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৩০ লাখেরও বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সরবরাহ করে। সে সময় জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অপেক্ষায় ছিল।
এখনও বাংলাদেশি নাগরিকদের অনেকের টিকা প্রয়োজন; এই বিষয়টি বিবেচনা করে এবং জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আলোকে, জাপান সরকার বাংলাদেশের জনগণকে আরও ১৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কানাডা থেকে এলো ২২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা
বাংলাদেশকে আরও ৭ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান
কোভ্যাক্সের আওতায় ১২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেলো বাংলাদেশ
৩ বছর আগে