ডিজিটাল বাংলাদেশ
স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে সজীব ওয়াজেদের উত্তর নিয়ে আসছে 'লেটস টক'
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি সজীব ওয়াজেদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) সিগনেচার অনুষ্ঠান ‘লেটস টক’।
এ বিষয়ে সজীব ওয়াজেদের উত্তর ও স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির পর্দায়।
লেটস টক অনুষ্ঠানের ৫১তম আয়োজনে সজীব ওয়াজেদের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশের মধ্যে সরকার পরিচালনায় কী ধরনের পার্থক্য থাকবে তা জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে একটি উন্নত দেশের সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পরবর্তী দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়।
সজীব ওয়াজেদের কাছে প্রযুক্তিচালিত পণ্য আমদানি বন্ধ করার পরিকল্পনা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আওয়ামী লীগ দেশকে কীভাবে পরিচালিত করবে এসব প্রশ্ন উত্থাপন করেন তরুণরা।
লেটস টকের শেষ পর্বে সিআরআই চেয়ারপার্সন সজীব ওয়াজেদের কাছে নিজেদের বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষার নানা প্রশ্ন ও দিক তুলে ধরেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন খাতের অগ্রগামী দুই শতাধিক তরুণ। যেখানে কাজের সুযোগ, মৌলবাদের হুমকি, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও চাকরির বাজারের সম্ভাবনার প্রশ্নও উঠে আসে।
এমন নানা প্রশ্ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের সম্ভাব্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সজীব ওয়াজেদের কাছ থেকে জানা যাবে সময় টিভির পর্দায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ: সজীব ওয়াজেদ
এছাড়াও, ওই অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালে আগস্টের গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া পরিবারের সদস্য, তার মা শেখ হাসিনা, বোন সায়মা ওয়াজেদ, তার খালা ও তার সন্তানরা দেশ থেকে দূরে বসবাস করে কেমন জীবনযাপন করেছেন এসব প্রশ্নও অনুষ্ঠানে উত্থাপন করেন তরুণরা।
হার্ভার্ডের স্নাতক সজীব ওয়াজেদ এসব প্রশ্নের উত্তর দেন ও তরুণদের সমস্যাগুলোও পর্যালোচনা করেন।
দেশের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে তরুণদের সেতুবন্ধন গড়ে দিতে ২০১৪ সাল থেকে ইয়াং বাংলা ‘লেটস টক’ শিরোনামে এ আয়োজন করছে।
এ ছাড়াও ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও লেটস টক আয়োজন করা হয়। যেখানে দেশ নিয়ে তরুণদের ভাবনার কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তরুণদের নিয়ে তার ভাবনার কথাও জানান এই অনুষ্ঠানে।
লেটস টকের সাম্প্রতিক পর্বটি শুক্রবার সময় টিভি ছাড়াও অরও কয়েকটি গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে ফেলতেই পুলিশের উপর হামলা: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘২০২৩ নতুন অর্জনে পূর্ণ’ করার অঙ্গীকার সজীব ওয়াজেদের
১ বছর আগে
যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৭ জুলাই
ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে ঢাকা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
সেদিন দুপুর ২টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেটে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, গাজীপুর মহানগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা জেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার সমন্বয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ সোমবার
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আরও পড়ুন: নড়াইলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
১ বছর আগে
ডিজিটাল অভিযাত্রায় বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: এমডি অ্যাক্সেল ভ্যান
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ।
তিনি জানিয়েছেন, আগামীতেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিকাশে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
রবিবার আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘সেলিব্রেটিং ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশীপ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অ্যাক্সেল ভ্যান এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি ৪% কমতে পারে: বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা
এ অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ২০৪১ মাস্টারপ্ল্যান’ প্রণয়ন করেছি। এ মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে আমরা এর চারটি স্তম্ভ-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটির আলোকে ৪০টির বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি। তিনি আগামীতে নতুন একটি ডেটা সেন্টার তৈরিতে ৩০০ মিলিয়ন ডলার, স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠার জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং ৩৫টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে অ্যাক্সেল ভ্যান বলেন, অতীতের মতোই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি স্টার্টআপের বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং তরুণদের মেধাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ আলাদা পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনকালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ পরিকল্পনায় ২০৪১ সাল নাগাদ ৫০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ কোম্পানি গড়ে তোলা হবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সবুজ বিনিয়োগে ২৫ কোটি ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, বিশ্বব্যাংকের রিজিওনাল (এসএআর) ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার, আবাসিক প্রতিনিধি (এসএসিবিবি) আবদেললাহি সেক, প্রোগ্রাম লিডার রাজেশ রোহাটগি এবং ডিজিটাল ডেভেল্পমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্না রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এলআইসিটি প্রকল্পের উপকারভোগীদের পক্ষ থেকে তিনজন তাদের জীবনের সফলতার গল্প তুলে ধরেন।
এছাড়াও অর্থমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইবাস প্লাসসহ ডিজিটাইজেশনের ফলে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
পরে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল বিসিসি ভবনে স্থাপিত ডেটা সেন্টার, আইডিয়া প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মন্দার ‘খুব কাছাকাছি’ বিশ্ব অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক প্রধান
১ বছর আগে
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করব এবং সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
আইসিটি বিভাগ ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: অভিযোজন গ্লোবাল হাব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার চারটি ভিত্তি নির্ধারণ করেছে। এগুলো হলো-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রূপকল্প ২০৪১ ছাড়াও দেশের উন্নয়নের পথের রূপরেখা দিতে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, তরুণেরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং ২০৪১ সালের লক্ষ্য বাস্তবায়নের সৈনিক হতে নিজেদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমত উল্লাহ এবং আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। প্রত্যেক বিজয়ী ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও সার্টিফিকেট পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ডিজিটাল যাচাইকরণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী একটি ট্যাবে হাত রেখে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক এবং বরিশালে শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন।
তিনি শহীদ শেখ কামালের জীবনের স্কেচ অবলম্বনে একটি গ্রাফিক নভেল ‘কামাল’ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর একটি প্রকাশনাও উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: মহামারিকালীন অনলাইনে ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেটের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা: বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী, প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর ১০ উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে কুষ্টিয়ায় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে কুষ্টিয়ায় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত দিনব্যাপী এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও শিক্ষা) শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আরিফুল হক মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। কর্মশালায় কি-নোট উপস্থাপন করেন স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মৃনাল কান্তি দে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের উন্নয়নই সরকারের অগ্রাধিকার: প্রধানমন্ত্রী
কর্মশালায় বলা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রতিটি নির্বাচনী ইশতেহারেই দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনের নিরিখে বিশেষ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশুর মানসিক বিকাশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি অন্যতম যা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দশ উদ্যোগ নামে পরিচিত।
কর্মশালায় প্রধান মন্ত্রীর ১০টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সম্ভাবনা চিহ্নিত করার পাশাপাশি উদ্যোগসমূহের বহুল প্রচারের করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে দলীয় আলোচনাসহ সুপারিশ করা হয়।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, রাজনীতিবিদ আইনজীবী, সাংবাদিক, এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি, চেম্বারের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১২০ জন অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ যেভাবে একজন তরুণ আইটি উদ্যোক্তার জীবন বদলে দিয়েছে
মুন্সি সোহাগ হোসেন এক সময় ভ্যান চালাতেন এবং পড়াশোনার খরচ যোগাতে দোকানে কাজ করতেন। তবে তিনি এখন মাগুরার একজন তরুণ আইটি উদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছেন।
মাগুরা সদরের হাজরাপুর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন ২৪ বছর বয়সী যুবক সোহাগ।
২০১৬ সালে ভারতীয় আইসিসিআর স্কলারশিপ পেয়ে গুজরাট টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে আইটি বিষয়ে স্নাতক করার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন সোহাগ।
স্নাতক শেষ করার পর ২০২০ সালে আইটি সেক্টরে কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজিটাল সেক্টর বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে।
স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সোহাগ মাগুরা সদরে ‘পলিটেকস’ নামে একটি ফার্ম গড়ে তোলেন, যা তার জীবন বদলে দেয়।
সম্প্রতি সোহাগের সাথে আলাপকালে জানা যায়, কীভাবে একটি স্থায়ী বাড়ি তার পড়াশোনায় সহায়তা করেছে এবং ডিজিটাল বিপ্লব তাকে একজন আইটি উদ্যোক্তা করে তুলেছে।
১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে নোয়াখালীতে নদী ভাঙনে তাদের বাড়িঘর এবং সমস্ত সম্পদ হারিয়ে তার পরিবার উদ্বাস্তু জীবনযাপন করে। এরপর ১৯৮৬ সালে তারা মাগুরায় চলে আসেন। শেষে ১৯৯০-এর দশকে গৃহহীন পরিবারের জন্য তৈরি গুচ্ছগ্রামে একটি বাড়ি পান তার মা সখিনা বেগম।
পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপ ক্যাশলেস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা: জয়
২০১৭ সালে সোহাগ তার বাবা মুন্সি আবুল হোসেনকে হারিয়েছেন। তিন ভাই এবং দুই বোনের মধ্যে তিনি পরিবারে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন। অন্য দুই ভাইয়ের ভাঙ্গারি (ছোট) ব্যবসা আছে।
সোহাগ বিজ্ঞান বিভাগে ২০০৯ সালে এসএসসি এবং ২০১১ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। মাগুরা আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০১২ সালে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রসায়ন বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেন।
হঠাৎ করেই ভারতীয় স্কলারশিপ তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
সোহাগ বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন দিনমজুর। দরিদ্র্য হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষার প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে যাওয়া।’
স্কুল জীবনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে অনেক অপমান শুনতে হয়েছে। আমি যখন পড়াশোনায় ভালো করতাম, তখন সচ্ছল পরিবারের অনেক ছাত্র আমাকে অপমান করত। তবে কেউ কেউ আমাকে উৎসাহিত করেছেন।
২০২০ সালে সোহাগ যখন দেশে ফিরে আসেন, তখন আইটি সেক্টরে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ডিজিটাল বাংলাদেশে স্ব-কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বানে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
সোহাগ তার আশেপাশের মানুষের প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য 'পলিটেকস' নামে একটি সংস্থা গড়ে তুলেছেন।
পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি ছাড়াই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শাক-সবজি চাষ
তিনি বলেন, ‘আমরা মাগুরা সদর উপজেলা প্রশাসনের জন্য একটি বড় ডেটা-ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার তৈরি করেছি যাতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রকৃত তথ্য জানতে এবং সেই অনুযায়ী তাদের জন্য পরিষেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়।’
তার প্রতিষ্ঠানটি এখন একই উদ্দেশ্যে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় আরেকটি ডেটা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করছে।
তিনি জানান, তার ফার্ম বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি করে এবং মাসে প্রায় এক লাখ টাকা আয় করে। তার ফার্মে তিনজন প্রকৌশলী ও দুজন বিপণন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সোহাগ বলেন, ‘আমরা সিকমেড, তিরুপতি ইন্টারন্যাশনাল, শেরপাস্পেসের মতো কিছু বিদেশি কোম্পানির সাথেও কাজ করছি।
এছাড়াও সোহাগের ফার্ম যুব সম্প্রদায়ের জন্য তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং সাইবার-নিরাপত্তা জ্ঞানের জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘কীভাবে ব্যবসাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রূপ দিতে হয় সেই বিষয়ে আমি প্রায় ৪০ জন ব্যবসায়ীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’
মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার, সোহাগ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে (ডিজিটাল বাংলাদেশের) একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন। তিনি আইটি আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং ব্যবহার করে একজন আইটি উদ্যোক্তা হয়েছেন।’
পড়ুন: বৃষ্টির পর ঢাকা শহরে এডিস মশার আতঙ্ক বেড়েছে
২ বছর আগে
মেড ইন বাংলাদেশ বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ইকো ট্যাক্সি বাঘ নামছে দেশের রাস্তায়
বাংলাদেশের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন স্তরে অবতরণের নজির হলো দেশের সড়কজুড়ে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার-এর বিচরণ। থ্রি-হুইলার বাংলাদেশে বিশেষ করে করে ঢাকার জন্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু পরিবেশবান্ধব তিন চাকার গাড়ির ব্যাপারটি দেশের অর্থনীতি ও পরিবেশগত উন্নয়নে অভাবনীয় অবদানের হাতছানি দিচ্ছে। প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় জনজীবনকে আরও সহজ ও নিরাপদ করে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশের এক অনন্য দৃষ্টান্ত এই বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ইকো ট্যাক্সি। 'বাঘ' নামে এই মেড ইন বাংলাদেশ যানটি দাপিয়ে বেড়াবে সারা দেশজুড়ে। চলুন, নতুন এই উদ্যোগের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ইকো ট্যাক্সির বৈশিষ্ট্য
থ্রি-হুইলারটির কাঠামোতে দেয়া হয়েছে মানসম্পন্ন ইস্পাত, যা একে অন্যান্য ইজিবাইকগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি টেকসই করেছে। বিশেষত বড় গাড়ির জন্য ব্যবহার করা ইস্পাত দিয়ে তৈরি হয়েছে বাঘের বডি।
ছয় ফুট চওড়া ইকো ট্যাক্সি বাঘের যাত্রীর অংশে ইজি বাইকের মত পাশাপাশি ও মুখোমুখি মোট চারজনের বসার জায়গা রয়েছে। সামনে ড্রাইভারের সাথে দু’জন বসতে পারবেন। সব মিলিয়ে ড্রাইভার সহ মোট সাতজন যাত্রীকে বহন করতে পারবে বাঘ। পুরো ট্যাক্সির ধারণ ক্ষমতা ৭৮০ কেজি।
পড়ুন: অপো এফ২১ প্রো: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য সানসেট অরেঞ্জ রঙের ফ্যান্টাস্টিক ফোন
১৫০ কেজি ওজনের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি একবার পুরো চার্জ দিলে চলবে ১২০ কিলোমিটার। এই চলার সময় ইকো-ট্যাক্সির ছাদে সংযুক্ত সৌর প্যানেল সূর্যের আলোয় চার্জ হতে থাকবে। ফলে ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বাঘ সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে আরো ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দৌড়ে যাবে।
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির এই জ্বালানি ব্যবস্থায় গতি বাড়ানো হলেও অতিরিক্ত শব্দ সৃষ্টি হবে না। উপরন্তু অন্যান্য যানগুলোর মত এখানে শব্দ দূষণের ঝামেলা থাকছে না।
ব্যাটারি ও চার্জারের সাথে লাগানো আছে মাইক্রোচিপ, যেটি কাজ করে বিএমএস (ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) হিসেবে। এর সাথে সরাসরি সংযোগ আছে গাড়ির নিজস্ব অ্যাপের। এতে গাড়ি ব্যবহারকারি সার্বক্ষণিক ব্যাটারি চার্জের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পারবে।
পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রাসায়নিকের বিকল্পে জনপ্রিয় হচ্ছে কেঁচো সার
বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)-এর তথ্যমতে এই যানগুলো সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে।
সিএনজি বা অন্যান্য ইজিবাইকের তুলনায় এই গাড়িতে অপেক্ষাকৃত বড় চাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এতে আছে সেরা হাইড্রলিক ব্রেকিং সিস্টেম এবিএস (এ্যান্টি-লক ব্রেক সিস্টেম), যা চূড়ান্ত মুহূর্তে গাড়িটিকে সর্বোচ্চ তিন ফুট দূরত্বের মধ্যে সম্পূর্ণ থেমে যেতে সাহায্য করবে।
যে কোন দূরত্ব থেকে যানটির সামগ্রিক তদারকের জন্য আছে নিজস্ব অ্যাপ। এটি যানটির যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে এর ব্যবহারকারীকে জানান দিবে।
পড়ুন: এলিয়েন কি সত্যি পৃথিবীতে এসেছিল?
গাড়িটির আশপাশ সার্বক্ষণিক মনিটরিং-এর জন্য আছে তিনটি নাইট ভিশন ক্যামেরা, যেগুলো ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরতে পারে। অ্যাপের মাধ্যমে এই ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ২৪ ঘন্টা গাড়িটিকে দেখাশোনার মধ্যে রাখা যাবে। গাড়িতে থাকা জিপিএস যে কোন জায়গা থেকে একে ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে।
ভেতরে যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য থাকছে মিনি টেলিভিশন, ওয়াইফাই ও মোবাইল ফোন চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা। এমনকি ভাড়া মেটানোর জন্য থাকছে এটিএম কার্ডসহ যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা।
বাঘ ইকো ট্যাক্সির গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার হচ্ছে যাত্রী অংশে থাকা প্যানিক বাটন। এতে চাপ দিলে গাড়ি যে গতিতেই থাকুক না কেন, সাথে সাথেই ঘন্টায় ৫ কিলোমিটার গতিতে নেমে আসবে। পাশাপাশি ২০ মিনিট গাড়িটি চালনার যাবতীয় কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ থাকবে। একই সাথে গাড়িটির সঙ্গে যুক্ত থাকা কন্ট্রোল সেন্টারে সংকেত চলে যাবে এবং সেখান থেকে তাৎক্ষণিকভাবে গাড়িটিকে স্থায়ীভাবে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারবে।
পড়ুন: ক্রিকেট এবং রাজনীতির বাইরে ইমরান খানের বর্ণীল জীবন
সাধারণ থ্রি হুইলারের সাথে ইকো-ট্যাক্সি বাঘের তুলনা
এ ধরণের ক্যাটাগরির যানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে খরচ হয় ১৭ টাকা। কিন্তু বাঘ-এ খরচ হবে ৭ টাকা। বিদ্যুতের জন্য সিএনজিচালিত অটোগুলোতে প্রতি কিলোমিটারে খরচ উঠে ১ টাকা ৮০ পয়সা। ইজিবাইকওয়ালাদের গুনতে হয় ২ টাকা ২০ পয়সা। সেখানে বাঘের জন্য প্রতি কিলোমিটারে বিদ্যুৎ খরচ দাড়াবে ৪০ থেকে ৪৫ পয়সা। এতে করে বাঘের যাত্রীদের ভাড়াও অনেক কমে আসবে।
ইজিবাইকে ব্যবহৃত ৫টি ব্যাটারির প্রতিটিতে ১০ লিটার করে মোট ৫০ লিটার অ্যাসিড প্রয়োজন হয়। মাত্র ছয় মাস মেয়াদ থাকে এই ৫০ লিটার অ্যাসিডের, যা চালকদের বছরে মোট ১০টি ব্যাটারি ব্যবহার করতে বাধ্য করে। এর ফলে প্রতি বছর পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে প্রায় ১০০ লিটার অ্যাসিড, যা পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এছাড়া এই অ্যাসিডের সংস্পর্শে থাকা মানুষগুলোর ১০ বছরের মধ্যে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ক্ষেত্রে এই অনর্থগুলো ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই।
পড়ুন: মঙ্গলগ্রহের জন্য রোবট তৈরিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অপার সম্ভাবনা
দেশের রাস্তায় বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ইকো ট্যাক্সি
২০২০-এর মার্চ থেকে এপ্রিল নাগাদ ১১টি যান তৈরি করা হয়। সে সময় থেকেই যানগুলো রাস্তায় নামানোর জন্য সরকারি অনুমোদনের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো বাঘ ইকো মোটর্স। ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে আবেদন পেশ করা হয় বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ)-তে। ২০২২ এর ২৪ ফেব্রুয়ারি বিআরটিএ’র টেকনিক্যাল কমিটির সভায় বুয়েট সহ পুরো সভা বাঘের স্বপক্ষে সুপারিশ করে।
অতঃপর বিভিন্ন যাচাই-বাছাই নিরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হবার পর ২০২২ সালের ২০ মার্চ রবিবার বিআরটিএ’র অনুমোদন পায় বাঘ। আর কিছুদিনের মধ্যে ঢাকার রাস্তায় চলতে দেখা যাবে ইকো ট্যাক্সি বাঘকে।
পড়ুন: খেজুর খাওয়ার উপকারিতা: সারাদিন রোযা রেখে ইফতারে কেন খেজুর খাবেন?
মেড ইন বাংলাদেশ বাঘ-এর উৎপাদন
গাজীপুর জেলার হোতাপাড়া নামক স্থানে গড়ে উঠেছে বাঘের কারখানা। ইকো-ট্যাক্সিটির সব পরীক্ষামূলক ভার্সনগুলোরই উৎপাদন হয়েছে সেখানে। অত্যাধুনিক যান কারখানাটি প্রতিদিন তিন হাজার বাঘ উৎপাদনের সক্ষমতা রাখে।
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ইকো ট্যাক্সির দাম
বাঘের সম্ভাব্য মূল্য রেজিষ্ট্রেশন সহ চার লাখ থেকে সাড়ে ছয় লাক টাকা। লিথিয়াম আয়নের ব্যাটারিতে পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি থাকলেও এটি সাত বছর বদলানোর প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়া থাকছে দুই বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি। মোটর আর সোলার সিস্টেমের জন্য পাওয়া যাবে দুই বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি। ন্যূনতম ডাউন পেমেন্ট দিয়ে শূন্য শতাংশ সুদে ইএমআই(ইক্যুয়েটেড মান্থলি ইন্সটলমেন্ট)-এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধের ভিত্তিতে কেনা যাবে বাঘ।
এছাড়া শব্দহীন এই গাড়িটির জন্য দেয়া হবে ফার্স্ট ক্লাস বিমা। গাড়ি চালাতে গিয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া যাবে এক লক্ষ টাকা। সর্বোপরি, অন্যান্য গাড়ির মত এর খরচবহুল রক্ষণাবেক্ষণের চাপ থাকছে না।
পড়ুন: দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামে সময় কাজে লাগানোর উপায়
দেশের বাজারে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বাঘের সম্ভাবনা
পরিবেশবান্ধব লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার বছরে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাবে। দেশের রাস্তায় বর্তমানে চলমান ২০ লাখ ইজিবাইক বন্ধ হলে ইইউ (ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন) থেকে অর্থ লাভ করবে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিটি ইজিবাইক বন্ধের জন্য ইইউ থেকে কার্বন ক্রেডিট বাবদ আয় হবে ১৫ ডলার করে। এ ছাড়া রাস্তায় চলাচলের অনুমোদন না থাকা এই যানগুলোর অধিকাংশেরই রেজিস্ট্রেশন নেই। অর্থাৎ এ থেকো কোনও রাজস্ব আসে না। সেক্ষেত্রে বাঘ রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এলে সরকারের প্রতি বছর রাজস্ব দাড়াবে সাড়ে ৫০০ থেকে ৭৫০ কোটি টাকা।
বাঘ ইকো মোটরসের কর্ণধার কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পী এই ইকো ট্যাক্সিকে ঘিরে এক থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের ই-কর্মাস ব্যবসার পরিকল্পনা করছেন। সেখান থেকেও এক বিরাট অংশের রাজস্ব আসবে। এছাড়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর আয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাঘ থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব হবে বছরে অন্তত বারো হাজার কোটি টাকা।
সরকারের যথাযথ নীতিমালা অনুসারে ২০ লাখ ইজিবাইক লিথিয়াম আয়ন ও সৌর শক্তি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যাবে। এভাবে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ইজিবাইকগুলো পরিবেশবান্ধব করে কাজে লাগানো যেতে পারে।
পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মনিটর করার জন্য পুলিশ বক্স ও থানাগুলোকে বানানো যেতে পারে কন্ট্রোল সেন্টার। তাছাড়া বিদেশে রপ্তানি করে এক বিরাট অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা তো থাকছেই।
শেষাংশ
ভবিষ্যতে বাঘ-এ যুক্ত করা হবে মোশন প্রযুক্তি, যেখানে চাকা ঘোরার সাথে সাথে ব্যাটারিও চার্জ হবে। এই বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারকে নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশব্যাপী বিচরণের জন্য বেঙ্গল ব্যাটারি আগামী পাঁচ বছরে সারা দেশে স্থাপন করতে যাচ্ছে ৫,০০০ চার্জিং স্টেশন। 'মেইড ইন বাংলাদেশ' লেখা বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার 'বাঘ' রপ্তানির ব্যাপারে ইতোমধ্যে কথা চলছে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে। কম্বোডিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই থ্রি-হুইলারের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাঘ ইকো মোটর্স ১০টি বৈদ্যুতিক ইকো বাস নিয়ে আসবে ২০২৩ সালের জুন নাগাদ। ইকো ট্যাক্সির বদৌলতে গ্রামগঞ্জের ডেলিভারির কাজগুলো দ্রুতগতি ও বেশ কম খরচে করার লক্ষ্যে পোস্ট অফিসকে সক্রিয় করার প্রয়াস চলছে।
পড়ুন: টেলিটকের ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদের সীমাবদ্ধতা থাকবে না: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২ বছর আগে
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবদানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ। নাগরিকদের নিত্য-নৈমিত্তিক জীবনযাত্রা সহজ করার ক্ষেত্রে সময় এবং অর্থ দুটোই রক্ষা করা যাচ্ছে প্রযুক্তির এই অসামান্য অগ্রগতিতে। প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন সেবার অবতারণার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে সেগুলোর মান। ক্রমাগত সহজলভ্য বৃদ্ধির সাথে যুগপৎ ভাবে বাড়ছে সেগুলোর চাহিদাও। মোবাইল ব্যাংকিং এর বিরামহীন প্রসারে গ্রাহকদের সাথে সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি পরিষেবাগুলোর আর্থিক লেনদেনের মেলবন্ধন হয়ে যাচ্ছে আরো সহজতর। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত অনলাইনে বিদুৎ বিল পরিশোধের নিয়ম নিয়ে আলোচনা থাকছে আজকের ফিচারে।
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ-এর নিয়ম
বিকাশ-এ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ-এর জন্য দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়েটি। বিকাশ-এ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলে সাথে সাথেই বিলের জমা রশিদটি সরাসরি মোবাইলে চলে আসে। এমনকি এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ করলে সর্বোচ্চ দুটি বিল পরিশোধ করা যায় কোন চার্জ ছাড়াই।
পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
বিকাশের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রিপেইড ও পোস্টপেইড বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়া যাবে সেগুলো হলো- পল্লীবিদ্যুৎ, ডেসকো, নেসকো, ডিপিডিসি, বিপিডিবি, ওয়েস্ট জোন। এছাড়া এখানে বিলার হিসেবে বিপিডিবি সিলেট-এর প্রিপেইড পরিষেবাটিও সংযুক্ত আছে।
বিকাশ অ্যাপ না থাকলে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোডের পর ইন্স্টল করে নিতে হবে। অতঃপর বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার হিসেবে মোবাইল নাম্বার এবং পাঁচ অঙ্কের পিন নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারের সময় অ্যাকাউন্টের জায়গায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল নাম্বারটি বসে যাবে। শুধু পিন নাম্বারটি প্রবেশ করাতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রতিবার বিকাশ অ্যাপ-এ প্রবেশের সময় মোবাইলের লোকেশনটি অন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
এবার বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়া সময় নিম্নলিখিত পর্যায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
১/ পিন দেয়ার পর অ্যাপ-এ হোম স্ক্রিন আসবে। এখান থেকে পে বিল-এ যেতে হবে।
২/ পে বিল-এর স্ক্রিণে প্রতিষ্ঠানের ধরনের ক্যাটাগরি থেকে বিদ্যুৎ-এ ট্যাপ করলে নিচের দিকে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাবে।
৩/ যে বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানের আওতায় বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়া হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে।
৪/ এবার পোস্ট পেইডের ক্ষেত্রে বিলের সময়সীমা লিস্ট থেকে যে মাসের বিদ্যুৎ বিল দেয়া হবে সে মাস নির্বাচন করে কাস্টমার নাম্বার দিতে হবে। এই আইডি নাম্বারটি মুলত আট অঙ্কের একটি সংখ্যা যেটি প্রতি মাসে সরবরাহকৃত বিগত মাসের বিদ্যুৎ বিলের কপিতে উল্লেখ থাকে। প্রিপেইডের ক্ষেত্রে এ অংশে অ্যাকাউন্ট, যোগাযোগ ও রেফান্সে নাম্বার দিতে হবে।
৫/ বিলের সময়সীমা নির্বাচনের সাথে সাথে নির্দিষ্ট মাসের জন্য ধার্যকৃত বিদ্যুৎ বিল দেখাবে। পরের স্ক্রিণে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণটি উল্লেখ করে পিন নাম্বার দিতে হবে। অতঃপর বিকাশ অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট ব্যালেন্স থাকলে কনফার্ম বাটন চাপ দিয়ে ধরে রাখলে বিল পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
৬/ বিল জমার সাথে সাথেই জমা রশিদ দেখা ও ডাউনলোড করে রাখা যাবে।
অন্যদিকে প্রিপেইডের ক্ষেত্রে বিল জমা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে এসএমএস-এর মাধ্যমে একটি টোকেন নাম্বার দেয়া হবে।
এভাবে টোকেন নাম্বার না পেলে মোবাইলের মেসেজ অপশন থেকে মিটার নাম্বার লিখে মেসেজ করতে হবে ০৪৪৪৫৬১৬২৪৭ নাম্বারে। তখন ফিরতি এসএমএস-এ পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত টোকেন নাম্বারটি।
৭/ প্রাপ্ত টোকেন নাম্বারটি প্রিপেইড মিটারে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সমূহ
বিকাশের পাশাপাশি অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো সরকারি পেমেন্ট গেটওয়ে নগদ। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিনামূল্যে পরিশোধ করা যায় বিদ্যুৎ বিল। এছাড়াও আছে ডিবিবিএল(ডাচ বাংলা ব্যাংক)-এর রকেট ও নেক্সাস অ্যাপ, রবি আজিয়াটার রবিক্যাশ, রূপালি ব্যাংকের শিওর ক্যাশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ইউক্যাশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাইকেশ, গ্রামীণফোনের জিপে এবং এটুআইয়ের একপে।
পরিশেষে
বিদ্যুৎ বিল হাতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকে বিল জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহের দিন শেষ। এখন দেশের যে কোন জায়গা থেকে ঘরে বসে অথবা চলমান যে কোন অবস্থাতেই নিশ্চিন্তে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায়। মোবাইল অ্যাপগুলোর পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর সেবাগুলোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিলের কপি দেখা সহ বিল জমা দেয়া যাচ্ছে। ডিবিবিএল-এর ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড দিয়ে সরাসরি ডিপিডিসি(ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) এবং ডেসকো (ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড)-এর ওয়েবসাইট থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায়।
আরও পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
২ বছর আগে
কলকাতায় ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম ভিসা আবেদন কেন্দ্র
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের গৌরবময় বছরের সমাপ্তি উপলক্ষে শিগগিরই কলকাতায় প্রথম অফিসিয়াল ভিসা আবেদন কেন্দ্র (ভিএসি) চালুর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, কূটনৈতিক ও ব্যবসা কেন্দ্রিক কাজই মিশনের প্রধান লক্ষ্য। বিশ্বের ৭৫টি দেশে বাংলাদেশের মিশন রয়েছে। বিশেষ করে যেসব দূতাবাসে সেবা গ্রহীতাদের চাপ রয়েছে, সেসব স্থানে আমরা ভিসা সেন্টারটিকে পৃথক করার পরিকল্পনা করছি। এই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে মূল দূতাবাস বা হাই কমিশন থেকে আমরা এটি আলাদা করছি। এজন্যই কলকাতায় বাংলোদেশ সরকার পৃথক ভিসা সেন্টার করেছে।
এর ফলে, বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক ভারতের জনগণ, বিশেষ করে ভারতের পূর্বাঞ্চলের মানুষেরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। একইসঙ্গে, বহু প্রতীক্ষিত এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের পর্যটন এবং শিল্প উভয় খাতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। ২০০৫ সালে ভারত বাংলাদেশে ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে (আইভিএসি) আউটসোর্স করে। এই সফল মডেলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দূতাবাস অনুসরণ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পদ্ধতিতে, আবেদনকারীদের আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরাসরি বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে জমা দিতে হয়। এটি সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে এবং এর কেবল তিনটি কাউন্টার রয়েছে। ডেপুটি হাইকমিশন প্রাঙ্গণের বাইরের রাস্তায় প্রায়ই আবেদনকারীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়, আবার কখনও কখনও মানুষ লাইনে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে রাতভর অপেক্ষাও করেন। এটি কূটনৈতিক কাজের জন্য গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। বেশিরভাগ দূতাবাসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আশেপাশে ভিড় করার অনুমতি দেয় না। এছাড়া, এখানে রোদ ও বৃষ্টির সময় আবেদনকারীদের আশ্রয় দেয়ার মতো কোন জায়গা নেই, সামাজিক দূরত্ব মানার কোন উপায় নেই, নারী ও শিশুদের টয়লেটের অভাব রয়েছে এবং ফর্ম পূরণে সহায়তা করার মতো কেউ নেই। আবেদনকারীরা প্রতিদিনই এসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ ঢাকার
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ১৩,০০০ বর্গফুটের সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নতুন ও অত্যাধুনিক বাংলাদেশ ভিএসি, কলকাতার সল্টলেক সেক্টর ভি-এ অবস্থিত। এটি এই শহরে অবস্থিত কোন দেশের সর্ববৃহৎ ভিসা আবেদন কেন্দ্র। বিনিয়োগকারী, শিক্ষানবিশ, পর্যটক, কূটনৈতিক, গবেষণা, শিক্ষার্থী, এনজিও, সরকারি প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়, কর্মসংস্থান ও ওয়ার্ক পারমিট এবং পরিবার নিয়ে ভ্রমণসহ বাংলাদেশের সকল ক্যাটাগরির ভিসা গ্রহণের জন্য এখানে দশটি কাউন্টার রয়েছে। কেন্দ্রে দুটি পাসপোর্ট রিটার্ন কাউন্টারসহ তিনটি প্রি-স্ক্রিনিং ডেস্ক এবং দুটি ফর্ম ফিলিং ডেস্ক রয়েছে। আবেদনকারীদের সুবিধার্থে, ভিসা ফর্ম পূরণের জন্য একটি বিনামূল্যে সেলফ-হেল্প ডেস্ক ও একটি ফটো ডেস্ক এবং নামমাত্র চার্জে ফটোকপিয়ার সেবা, ব্যক্তিগত লাউঞ্জ ও কুরিয়ার সেবা ইত্যাদির ব্যবস্থা করবে ভিএসি। এছাড়াও, কেন্দ্রে গাড়ি এবং সাইকেল-মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। অভিনব এই কেন্দ্রে একটি অন-সাইট ক্যাফেটেরিয়া, নারীদের জন্য নার্সিং এরিয়া এবং প্রার্থনা কক্ষের (প্রেয়ার রুম) মতো সুবিধাও রয়েছে। আগতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সকল কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করার সুব্যবস্থাও রয়েছে।
বর্তমান প্রক্রিয়ার অধীনে, কোন নির্দিষ্ট ফি ও চার্জ নেই বলে দালাল এবং এজেন্টরা ভিসা ফি হিসেবে ১২ হাজার ৫০০ রুপি পর্যন্ত নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের ভিসা পেতে আবেদনকারীদের জন্য ঝামেলাহীন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ভিএসি’তে সকল ক্যাটাগরির ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি কমিয়ে আনা হবে এবং প্রতি আবেদনের বিপরীতে ফি জিএসটিসহ ৮২৬ রুপি নির্ধারণ করা হবে, যা বর্তমানে ভারতে যেতে বাংলাদেশের ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যে ফি দিতে হয় তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। বাংলাদেশের ভিসার জন্য ভারতীয় আবেদনকারীদের আর কোনো অতিরিক্ত ভিসা ফি দিতে হবে না।
আরও পড়ুন: ভারতে টুরিস্ট ভিসা শিগগিরই চালু হবে, জানালেন রাষ্ট্রদূত
আটকে পড়া বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত
৩ বছর আগে
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বিতরণ করবে বিকাশ
এখন থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধাভোগীদের বৃত্তি, অনুদান, সম্মানীসহ অন্যান্য ভাতা বিতরণ করবে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
সম্প্রতি বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে বিকাশ ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মধ্যে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ ও বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির ফলে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তি, অনুদানসহ সব ধরণের ভাতা খুব সহজে, ঝামেলাহীনভাবে ও দ্রুততার সাথে ভাতাভোগীদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। এই টাকা ক্যাশ আউট করতে ভাতাভোগীদের কোন ফি বহন করতে হবে না। তাছাড়া, বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই উপকারভোগীরা সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, সব ধরণের পরিষেবার বিল পরিশোধ, কেনাকাটার পেমেন্টসহ প্রয়োজনীয় নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
পড়ুন: আইএফআইসি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সরাসরি লেনদেন সেবার উদ্বোধন
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণসহ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। বিকাশের সাথে যে শুভ সূচনা হয়েছে তা কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তি, অনুদান ও অন্যান্য ভাতা বিতরণ কার্যক্রমকে আরো সহজ করবে।’
বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক কল্যাণ সাধনে সরকারি এই উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ চুক্তির মাধ্যমে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাথে যে যাত্রা শুরু হলো তা ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এগিয়ে নিয়ে যাবে বিকাশ।’
২০১৭ সালে শুরু করে এখন পর্যন্ত সারা দেশের কোটি উপকারভোগীর কাছে সরকারের প্রণোদনা ও ভাতা সহজেই পৌঁছে দিয়ে সফলতার উদাহরণ তৈরি করেছে বিকাশ। স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও দ্রুততার সাথে ভাতা বিতরণকে সাশ্রয়ী করে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম সহযোগী হয়ে উঠেছে বিকাশ।
পড়ুন: বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়ল রিয়েলমি সি২৫ওয়াই
৩ বছর আগে