কানাডা
ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
গত সপ্তাহে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো হাউস অব কমন্সের মঞ্চে উঠে কানাডার মাটিতে এক কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার জন্য ভারত সরকারের এজেন্টদের অভিযুক্ত করেন। কানাডার ওই নাগরিক একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী যাকে ভারত সরকার সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।
এই অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি। এতে ভারত-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ককের মধ্যে চিড় ধরেছে।
ট্রুডোর প্রকাশ্যে অভিযোগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) কানাডিয়ান স্টেশন প্রধানকে অটোয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে বহিষ্কার করেছে উত্তর আমেরিকার দেশটি।
এদিকে এর বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। কানাডার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ভারত সরকার। পরে কানাডার নাগরিকদের জন্য সমস্ত ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে।
কূটনৈতিক এই অবস্থার মধ্যে- একটি বিষয় খুব তাৎপর্যপূর্ণ যে ভারত ও কানাডা উভয়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমের মিত্র।
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সংঘাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত।
এমন শীতল ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে কেউ ভাবতে পারে যে জাস্টিন ট্রুডো বিশ্ব মঞ্চে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ট্রুডো একা গত এক সপ্তাহ ধরে ভূ-রাজনীতির শীতল বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
বিবিসির খবরে বলা হয়, কানাডার চেয়ে ৩৫ গুণ বেশি জনসংখ্যার এবং বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ ভারত। তাদের মুখোমুখি হতে গিয়ে জনগণের চোখে ট্রুডো একা হয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত ফাইভ আইস ইন্টেলিজেন্স অ্যালায়েন্সের কাছ থেকে নয়াদিল্লির ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে কানাডা।
তবে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা নেটওয়ার্কে ট্রুডোর মিত্ররা তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, কানাডা যেসব কথা বলছে, তার দেশ তা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিয়েছে।
প্রায় একই ভাষা ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়া বলেছে, তারা এই অভিযোগ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এদিকে অটোয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা আশা করছে- দিল্লি এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অটোয়াকে সহযোগিতা করবে।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি উল্লেখ করেছে যে- ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ বর্তমানে ফিকে।
উইলসন সেন্টারের কানাডা ইনস্টিটিউটের গবেষক জেভিয়ার ডেলগাডো বিবিসিকে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ সব পশ্চিমা ও ইন্দো-প্যাসিফিক মিত্ররা ভারতকে কেন্দ্র করে একটি কৌশল তৈরি করেছে। এটি চীনের বিরুদ্ধে একটি রক্ষাকবচ ও পাল্টা শক্তি হতে পারে। এটি এমন বিষয় যে ছুঁড়ে ফেলার সামর্থ্যও তাদের নেই।
আরও পড়ুন: কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে কানাডার নাগরিকদের ভিসা স্থগিত করল ভারত
ইন্দো-প্যাসিফিকের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হতে চায় কানাডা
'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
কানাডায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক শিখ কানাডিয়ানকে হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার যে অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছিলেন, তারই অংশ হচ্ছে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারিং জোটের সদস্যদের ভাগাভাগি করা তথ্য।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড কোহেন কানাডিয়ান সিটিভি নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেন, ‘'ফাইভ আইজ' অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করা গোয়েন্দা তথ্যই মূলত কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি (তৈরি করতে) দিতে সহায়তা করেছে।’
সিটিভি নিউজ শুক্রবার রাতে কোহেনের কিছু মন্তব্য প্রকাশ করেছে এবং নেটওয়ার্কটি বলেছে যে তারা রবিবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পুরো সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করবে। ভাগাভাগি করা গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে আর কোনো বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে কানাডার নাগরিকদের ভিসা স্থগিত করল ভারত
বৃহস্পতিবার কানাডার এক কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের নজরদারির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি প্রধান মিত্রের দেওয়া গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে, তবে তিনি নাম উল্লেখ করেননি।
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত 'ফাইভ আইজ' হচ্ছে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির জোট।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভারতের শান্তিনিকেতন
জলবায়ু সংরক্ষণ নীতি পুনরুদ্ধারের ঘোষণা ব্রাজিলের
বাংলাদেশে গণহত্যা প্রত্যাখ্যান ন্যায়বিচার ও প্রতিকারের দাবিকে দুর্বল করে: ওয়েবিনারে বক্তা
কানাডার রাজধানী অটোয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ এবং কনফ্লিক্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট কানাডার (সিআরআরআইসি) সহযোগিতায় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডা (বিসিবিএস) ‘ডিনায়াল অ্যান্ড রেকগনিশন: দ্য কেস অব বাংলাদেশ জেনোসাইড’ শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার আয়োজন করে।
কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস (সিএমএইচআর) কর্তৃক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি ও প্রদর্শনের বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং বিসিবিএস’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. খলিলুর রহমান, কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ও পরিচালক অধ্যাপক ড. অ্যাডাম মূলার, কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসের কিউরেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ড. জেরেমি ম্যারন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), রোটারি পিস ডে’র প্রতিনিধি গ্যারি সেনফ্ট, বিংহামটনের স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্কের ভিজিটিং স্কলার ড. তাওহীদ রেজা নূর এবং সিআরআরআইসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. হেলাল মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন গণহত্যার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
মাসুদ বিন মোমেন তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব এবং একটি জাতিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংগঠিত এই সহিংসতার ব্যাপকতার কারণে এর বৃহত্তর স্বীকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, একাত্তরের ভয়াবয় অভিজ্ঞতা এখনো আমাদের জাতির সম্মিলিত স্মৃতিতে প্রোথিত এবং এর প্রভাব একটি প্রজন্মকে আঘাত করেছে।
তিনি বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডা (বিসিবিএস), বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিহাসের এই অন্ধকার অধ্যায়টি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং গণহত্যার প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য সিএমএইচআরকে অনুরোধ করেন।
কি-নোট বক্তব্যে অধ্যাপক ডক্টর অ্যাডাম মুলার গণহত্যার যারা শিকার হয়েছেন তাদের পরিচিতি গঠনে ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে স্বীকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে তার প্রত্যাখ্যান যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর শিকার হয়েছেন তাদের ন্যায়বিচার ও প্রতিকারের দাবিকে দুর্বল করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি অপরাধীদের দায়মুক্তির ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, শাস্তি ও জবাবদিহি ভবিষ্যতের গণহত্যা প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি এবং এক্ষেত্রে দায়মুক্তি ভবিষ্যৎ গণহত্যার ক্ষেত্রে অনুঘটক।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ঢাকায় এসডিজি সেমিনারে বক্তব্য রাখবেন আজ
কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিনিধি জেরেমি ম্যারন গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অস্বীকার এবং বিকৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি তাদের ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ গ্যালারিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ গণহত্যা সম্পর্কিত নতুন বিষয়বস্তু তৈরির জন্য জাদুঘরের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, অতীতের গণহত্যাকে অস্বীকার করলে তা ভবিষ্যতে তাদের পুনরাবৃত্তিতে ইন্ধন যোগায়।
৭১’ এর গণহত্যার বিশ্বব্যাপী প্রচার ও স্বীকৃতির জন্য তিনি কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসকে অতি দ্রুত ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ গ্যালারি উন্মুক্ত করতে অনুরোধ করেন এবং এই উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সহযোগী সকল সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে উল্লেখ করেন।
ওয়েবিনারে উপস্থিত সকল বক্তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংগঠিত ১৯৭১ সালের ভয়াবহতাকে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা বলে চিহ্নিত করেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের নৃশংসতা যাতে আর না ঘটে সেলক্ষ্যে কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস এই ইতিহাস দ্রুত প্রদর্শনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে কানাডার নাগরিকদের ভিসা স্থগিত করল ভারত
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কানাডার নাগরিকদের ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে ভারত।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভিসা আবেদনের প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নিযুক্ত বেসরকারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'অপারেশনাল কারণে' পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিসা সেবা স্থগিত করা হয়েছে।
খালিস্তানপন্থী শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নয়াদিল্লির জড়িত থাকার 'বিশ্বাসযোগ্য' প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে অটোয়া।এ নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে।এরই মধ্যে এই ঘোষণা এল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে 'অযৌক্তিক' ও 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভিসা স্থগিতের সঙ্গে ওই বিতর্কের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তারা একটি সুন্দর পরিবার ধ্বংস করেছে: কানাডায় নিহত বাংলাদেশির স্ত্রী
কানাডার অন্টারিওতে বসবাসকারী নিহত বাংলাদেশি শরীফ রহমানের স্ত্রী শায়লা নাসরিন বলেছেন, তার স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন হয়ে গেছে। তিনি মেনে নিতে পারেছন না যে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর তার স্বামীর দরজার তালা খোলার পরিচিত শব্দ তিনি আর কোনোদিন শুনতে পাবেন না।
নিহত শরীফ রহমান (৪৪) স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁর মালিক এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন।
সিবিসি কানাডার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকে ও তার মেয়েকে দুর্ভাগ্যবশত তার স্বামীকে ছাড়াই বাকি জীবন কাটাতে হবে।
নাসরিন বলেন, ‘ঘরের প্রতিটি কোণে আমি তাকে অনুভব করতে পারি।’
শরীফ অন্টারিওর লন্ডন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ২৪ আগস্ট মারা যান।
ওয়েন সাউন্ড পুলিশ জানিয়েছে, শরীফের রেস্তোরাঁয় বাকি থাকা বিল নিয়ে তর্কের সময় ১৭ আগস্ট তিনজন তার উপর হামলা চালায়।
রবিবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুলিশ এখনও তার হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তিকে খুঁজছে।
নাসরিন বলেন, ‘তারা একটি সুন্দর পরিবারকে ধ্বংস করেছে।’
পরিবারটি প্রায় ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় চলে আসে। তারা কয়েক বছর পরে ওয়েন সাউন্ডে বসবাস শুরু করে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরেব ওমরাহ করে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রবাসীর মৃত্যু
সিবিসি কানাডার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রহমান সেখানে রেস্তোরাঁ ব্যবসা শুরু করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
নাসরিন বলেন, ‘সে সবসময় রেস্তোরাঁয় তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সে শুধু আমাকে এবং আমাদের মেয়েকেই ভালোবাসত না, সে ভালোবাসা ও আবেগ দিয়ে রান্নাও করত।’
তার স্ত্রী আরও বলেন, শরীফ খুব কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন। সে কমিউনিটি নিয়ে খুব ভাবত, অভাবীদের সহায়তা করত এবং ক্ষুধার্তদের খাওয়াতে পছন্দ করত।
রবিবার, শত শত লোক শরীফের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে ওয়েন সাউন্ডের রাস্তায় সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
নাসরিন বলেন, ‘আমি শুধু মুসলিম কমিউনিটি নয়, সব কমিউনিটির সমর্থন পাচ্ছি। এটা আশ্চর্যজনক।’
শরীফের হামলার পরের দিনগুলোতে এবং তার মৃত্যুর পর মানুষ তার দোকানের সামনে ফুল ও নোট রেখে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পর থেকে মানুষ সামাজিক মাধ্যমে তাদের ভালোবাসা ও সমবেদনা জানাচ্ছে।
নাসরিন বলেন, ‘আপনারা কল্পনা করতে পারেন তিনি সমাজের প্রতি কতটা নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। এজন্যই তিনি মানুষের কাছ থেকে এত ভালোবাসা পেয়েছেন।’
ওয়েন সাউন্ড মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিকান্দার উমান বলেন, সংহতির বহিঃপ্রকাশ অতুলনীয়।
কানাডিয়ান পুলিশ শরীফের মৃত্যুর বিষয়ে তাদের তদন্তের বিষয়ে কোনো আপডেট দেয়নি।
সিবিসি কানাডার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছেতবে পুলিশ এখনও তিনজন সন্দেহভাজনকে খুঁজছে। যাদের মধ্যে দুজনের বয়স ২০-৩০ এর মধ্যে এবং অন্যজনের বয়স ৪০-৫০ এর মধ্যে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন, গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর মালিবাগে ট্রেনের ধাক্কায় সৌদি প্রবাসী নিহত
শাস্তি এড়াতে বিদেশের আইনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিরা
বিদেশে আশ্রয় নেওয়া বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের চেষ্টা এখনো সফল হয়নি। এদের মধ্যে দুইজন তাদের অপরাধের শাস্তি এড়াতে সেইসব দেশের আইনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে চলেছেন।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অন্যতম আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে।
আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয় ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল। ফাঁসির আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিন বিদেশে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। এর আগে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকর হওয়া অন্য ৫ জন হলেন- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মহিউদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ১৪ বছর আগে ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
পলাতক ৫ খুনি হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খান। এদের মধ্যে নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরী কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
বিভিন্ন অজুহাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে হস্তান্তর না করে আশ্রয় দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সমালোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দেশ দু’টির জন্য লজ্জার এবং আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের তথ্য দিলে পুরস্কার দেবে সরকার: মোমেন
মোমেন বলেন, ‘সব খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করা হলে সরকার খুব খুশি হবে। কিন্তু আমরা এখনো তা করতে পারিনি। আমরা যদি তা করতে পারি, তাহলে বড় অর্জন হিসেবে মনে করব।’
তিনি বলেন, খুনিদের ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সরকারকে অনেক চিঠি দিয়েছে সরকার। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চিঠিও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দুই খুনির বাসভবনের সামনে নিয়মিত বিক্ষোভ করার আহ্বান জানান মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের সম্পর্কে যারা তথ্য দিতে পারবে সরকার তাদের পুরস্কৃত করবে।
যারা ২১ বছর ধরে খুনিদের ব্যাপারে নীরব এবং খুনিদের পেছনে যারা ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যদি তথ্য দিতে পারেন তবে আপনাদের পুরস্কৃত করা হবে। এই সমস্ত লোকদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।’
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের আইনের শাসন অত্যন্ত শক্তিশালী উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের খুনিদের আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতেন খুনিরা: তথ্যমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এই আত্মস্বীকৃত খুনিরা তাদের অপরাধের শাস্তি এড়াতে দেশগুলোর (কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র) আইনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। কোনো দেশই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি সমাধানে আগ্রহ দেখায়নি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের এই দাবির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওইসব দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস অথবা হাইকমিশনের মাধ্যমে এই আত্মস্বীকৃত খুনিদের সরাসরি দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছে।
সাবরিন বলেন, সমস্ত উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশ সরকার এই ন্যায়সঙ্গত দাবি উত্থাপন করেছে এবং মনে করিয়ে দিয়েছে- যদি অপরাধীদের সাজা থেকে ছাড় দেওয়া হয়, তবে এটি কেবল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকে বাধাগ্রস্ত করে না, বরং ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি ও পরিবারের মানবাধিকারকে মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী হারজিৎ এস সজ্জনের সাম্প্রতিক বৈঠক, ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং বাংলাদেশ সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে খুনিদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে দিতে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ নেই
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, বিষয়টি তাদের বিচার বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত এবং এর সঙ্গে যুক্ত আইনি প্রক্রিয়ার জটিলতার কথা উল্লেখ করে জানানো হয়, তাদের বিচার বিভাগ বাংলাদেশের দাবি সম্পর্কে অবগত রয়েছে।
কানাডা বলছে, তারা স্বাধীন বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করে না। তবে, বিষয়টি (নূর চৌধুরীর নির্বাসন ইস্যু) সঠিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য যথাযথ স্থানেই রয়েছে।
কিছুদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং আত্মস্বীকৃত খুনিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে হস্তান্তরের বিষয়ে দেশটির মতামত জানতে চান।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বিদেশি পলাতক অপরাধীদের সমর্পণের বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করি না।’
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হবে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারের ১৮ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: এটা তাদের জন্য লজ্জার: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে দিতে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ নেই
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আত্মস্বীকৃত খুনিরা এসব দেশের আইনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অপরাধের শাস্তি এড়িয়ে চলছে। তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সুরাহা করার বিষয়ে দেশ দুটির পক্ষ থেকে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা উভয় দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরই বিষয়টি তাদের বিচার বিভাগের এখতিয়ারাধীন এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনগত প্রক্রিয়ার জটিলতা উল্লেখ করে। বাংলাদেশের দাবির ব্যাপারে তাদের বিচার বিভাগ ওয়াকিবহাল রয়েছে জানিয়েই দায় সারছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি একথা জানান।
সেহেলী জানান, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ও নুর চৌধুরীকে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত। দেশগুলোতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাই কমিশনের মাধ্যমে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরাসরি নিয়মিত খুনিদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছে।
তিনি জানান, উচ্চ পর্যায়ের সব দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এই ন্যায্য দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, অপরাধী সাজা ভোগ থেকে রেহাই পেলে তা শুধু ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকেই বাধাগ্রস্ত করে না, বরং ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি ও পরিবারের মানবাধিকারকে চরমভাবে লঙ্ঘন করে।
আরও পড়ুন: এটা তাদের জন্য লজ্জার: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেহেলী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী হারজিত এস সাজ্জানের সাক্ষাৎকালেও খুনিদের প্রত্যাবাসনের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে একই দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে সফরকারী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও খুনিদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ শোধ:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের অর্থ পরিশোধ নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেহিলী সাবরিন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পেমেন্টের ব্যাপারে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নয়। আমাদের জানা মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়, ইআরডি ও বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তাদের কাছ থেকে সর্বশেষ কোনো তথ্য পেলে আপনাদের জানানো হবে।
রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতি:
মার্কিন রাষ্ট্রদূত গতকাল নির্বাচন কমিশনে বলেছেন, তার দৌড়ঝাঁপ ভিয়েনা কনভেনশনের মধ্যে পড়ে না। তাহলে সরকারের তরফ থেকে এটা বলা হচ্ছে কেন- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে গত ২৬ জুলাই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার মিডিয়া ব্রিফিংয়ে খুব সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন - কেন ও কোন প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১ এর কথা ১৩ জন রাষ্ট্রদূতকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতদের নিজস্ব ইন্টারপ্রেটেশন (ব্যাখ্যা) থাকতে পারে। তবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তারা ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১ এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস বা সহিংসতামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এই ধরনের সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশি দূতাবাসগুলোতে জানানো হয়।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফর:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল গত ১১-১৪ জুলাই বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবদে সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈঠসমূহে রোহিঙ্গা সংকটের নানান দিক বিশেষত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন, মানবিক সহায়তায় চ্যালেঞ্জ এবং জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়াও শ্রমখাতে সংস্কার, মানবাধিকার, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, মানব পাচারসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও সাজাপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ অনুরোধ করে। এ ছাড়াও র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা সবসময় বাংলাদেশকে ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ বানানোর চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি আফিফের
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) পেলেও ভিসা ইস্যুর কারণে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডায় খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি আফিফ হোসেনের।
বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান কানাডা ভ্রমণের জন্য সময়মতো তার ভিসা পাননি। ফলস্বরূপ, ইভেন্টটি শেষ হওয়ার কাছাকাছি সময়ে থাকায় তিনি না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গত ৩০ জুলাই তার কানাডা যাওয়ার কথা ছিল।
গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডায় খেলার পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক স্কোয়াডের চলমান ফিটনেস ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন আফিফ।
আরও পড়ুন: লঙ্কান লিগ খেলার জন্য বিসিবির সম্মতি পেয়েছেন শরিফুল
এদিকে, লিটন দাস গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডায় অংশ নিচ্ছেন এবং সাকিব আল হাসানও শ্রীলঙ্কায় লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) যোগ দেওয়ার আগে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন।
শরীফুল ইসলাম ও তাওহীদ হৃদয় বর্তমানে এবারের এলপিএলে খেলতে ব্যস্ত।
মিরপুরে ফিটনেস ক্যাম্প শুরু করা প্রাথমিক দলটি এ সপ্তাহে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট খেলবে। ফিটনেস মূল্যায়নের পরে, নির্বাচক কমিটি দল চূড়ান্ত করবে, এটি ২০ বা ১৫ সদস্যের মধ্যে কমিয়ে আনবে।
আরও পড়ুন: এলপিএলে অংশ নিতে তাসকিনের এনওসি দিতে দেরি করছে বিসিবি
এটা তাদের জন্য লজ্জার: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিভিন্ন অজুহাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে হস্তান্তর না করে আশ্রয় দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সমালোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যা ওই দেশগুলোর জন্য লজ্জার, যদিও আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’
মোমেন বলেন যে তারা মানবাধিকার ইস্যুতে তারা সোচ্চার, তাদের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই।
তিনি বলেন, খুনিরা সেসব দেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা 'খুবই দুঃখজনক' এবং 'হতাশাজনক'।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগস্ট মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান শেষে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা সবসময় বাংলাদেশকে ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ বানানোর চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, কানাডা নূর চৌধুরীকে ফেরত দেয়নি, কারণ যেসব দেশে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সেসব দেশে তাদের কাউকে হস্তান্তর করা হয় না।
কানাডা এমনকি তার নাগরিকত্বের বিষয় নিশ্চিত করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফিরে আসার পরে, তার (রাষ্ট্রপতির কাছে) প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
খুনি রাশেদ চৌধুরী প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার কখনো বলেনি যে তারা তাকে ফেরত পাঠাবে না। আমরা বিচার প্রক্রিয়ার বিবরণ পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আত্মস্বীকৃত খুনিদের যেন কোন দেশ আশ্রয় না দেয় সে জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আ.লীগ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ নেই: কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ করার কোনো সুযোগ নেই বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসকে জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, তারা কানাডার হাইকমিশনারকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র, সবার জন্য সমান সুযোগ, মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই।
আরও পড়ুন: সমাবেশ স্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল
বিএনপি নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো কানাডাও বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
খসরু বলেন, ‘মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ভোটাধিকারের প্রতি তাদের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে এবং তাদের নৈতিক ভিত্তি উচ্চতর।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও নির্বাচন নিয়ে কানাডার ‘উদ্বেগ’ রয়েছে। ‘অন্যান্য পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মতো, এখানে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে কি না তা নিয়ে কানাডারও ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সংসদ ও সরকার নির্বাচন করতে পারবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত কানাডাও।’
তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। তারা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জানতে চান। তারা সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিও জানতে চেয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা ফখরুলের
দুপুর ১টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুরু হওয়া বৈঠক চলে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে।
বৈঠকে আমির খসরু ছাড়াও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কানাডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তা ব্র্যাডলি কোটস উপস্থিত ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কানাডিয়ান হাইকমিশন জানিয়েছে, লিলি নিকোলস ও বিএনপি নেতারা ‘বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব’সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘ কোন দল সরকার গঠন করবে তা নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক করবেন নাগরিকরা। এটি নির্ধারণের জন্য সুযোগ দরকার। আমরা আশা করি আসন্ন নির্বাচনে মত প্রকাশ, আলোচনা ও সংলাপের বিস্তৃত পরিসর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এভাবে বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের ভবিষ্যৎ বেছে নিতে পারবে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা