কানাডা
জি টু জি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কানাডা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত, ওভারহুইলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কানাডা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্প বিশেষ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় কানাডা। জি টু জি ভিত্তিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের মাধ্যমে বিমানের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত, ওভারহুইলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার বিষয়ে আগ্রহী দেশটি।
আরও পড়ুন: দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: ফারুক খান
এছাড়াও, এ সময় অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে ব্যবহারের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে আরও ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ বিক্রির ব্যাপারে কানাডার আগ্রহের কথা জানান তিনি।
বৈঠকে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বিমানের বহরে নতুন ও অত্যাধুনিক ১৫টি উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। বিমানের বহর সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক রুট চালু করার বিষয়ে কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে বিমানের বহরে কানাডিয়ান কোম্পানি ডিহ্যাভিল্যান্ডের তৈরি ৩টি নতুন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজও রয়েছে বলে জানান তিনি।
ফারুক খান বলেন, বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির বিষয়ে কানাডার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে বিমানের প্রয়োজন এবং দেশের মানুষের মঙ্গল বিবেচনায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পর্যটনমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশেই বিমানের নিজস্ব প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে উড়োজাহাজের সি-চেক পর্যন্ত সব টেকনিক্যাল কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
বিমানের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত ও ওভারহুইলিংয়ের বিষয়ে কানাডার প্রস্তাবের ওপর আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও কানাডায় পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান ফারুক খান।
আরও পড়ুন: এসআরএফবির সভাপতি ফারুক খান, সম্পাদক আফরিন জাহান
কানাডায় ৬ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
কানাডায় ছয়জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্রীলঙ্কার ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। নিহতদের মধ্যে আড়াই মাস বয়সী শিশু কন্যা এবং শ্রীলঙ্কার একটি পরিবারের আরও তিন শিশু রয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্র ও ভুক্তভোগীরা একসঙ্গে বাস করতেন। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) অটোয়া পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
অটোয়ার পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবস বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম ফেব্রিও ডি-জয়সা। হামলাকারী 'ধারালো অস্ত্র' বা 'ছুরির মতো বস্তু' ব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলা এবং একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। কানাডায় এ ধরনের হত্যার ঘটনা বিরল।
স্টাবস আরও জানান, নিহতরা শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং তারা সম্প্রতি কানাডায় গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক মা, ৭ বছর বয়সী এক ছেলে, চার বছরের এক মেয়ে, দুই বছরের এক মেয়ে, আড়াই মাস বয়সী এক মেয়ে এবং সেইসঙ্গে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। তিনি এই পরিবারের পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজার হাত ও পরিবার হারানো শিশু ওমরের দ্বিতীয় জীবন শুরু
পুলিশ প্রধান বলেন, প্রথমে কর্মকর্তারা যখন বাড়িতে পৌঁছান তখন তারা দেখতে পান বাড়ির বাইরে পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি চিৎকার করে কাউকে বলছিলেন ৯১১ নম্বরে ফোন করার জন্য। এছাড়া বুধবার রাত ১০টা ৫২ মিনিটে দুইটি জরুরি কল পায় পুলিশ।
ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্টাবস বলেন, ‘এটি ছিল একদম নিরীহ মানুষের উপর কাণ্ডজ্ঞানহীন সহিংসতা।’
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশন জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী কলম্বোতে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডি-জয়সা আদালতে হাজিরা দেন এবং স্বীকারোক্তি দেন। এ সময় আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ওই পরিবারের ব্যক্তি এবং পুলিশের কাছে বিবৃতি প্রদানকারী অন্য চারজন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে নিশেধ করেন বিচারপতি।
এদিকে আইনজীবী খোঁজার জন্য সময় দিতে তার মামলাটি ১৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বুধবার বেলা ১১টার আগে বারহাভেন এলাকার বাড়িতে পুলিশ ডাকা হয়েছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয় এবং এবং পুলিশ জানায়- জননিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নেই।
ডন পেরেরা নামে এক প্রতিবেশী জানান, গত শরতে পাশের ক্যাথলিক এলিমেন্টারি স্কুলে একটি হ্যালোইন পার্টিতে ওই বাড়িতে থাকা পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন দিতে ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে কানাডা
কানাডার সরকার সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, তারা এই বসন্তের শুরু থেকেই ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে।
ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল ডিফেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা হয়ে উঠেছে। ড্রোনগুলো নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং যুদ্ধাস্ত্রসহ সরবরাহ স্থানান্তরের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এগুলোর জন্য ৯৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের (৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি খরচ হবে এবং এগুলো ইউক্রেনের জন্য পূর্বে ঘোষিত ৫০০ মিলিয়ন কানাডিয়ান (৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সামরিক সহায়তার অংশ।
আরও পড়ুন: ক্রেমলিনের শত্রু অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু পশ্চিমা ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে, তবে পুতিনকে থামানো যায়নি
স্কাইরেঞ্জার আর৭০ মাল্টি-মিশন মানবহীন এরিয়াল সিস্টেমগুলো অন্টারিও প্রদেশের ওয়াটারলুতে অবস্থিত টেলিডাইন-এর তৈরি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুই বছর পূর্তির কয়েকদিন আগে এই ঘোষণা এলো।
কানাডা এর আগে ইউক্রেনকে ১০০টি উচ্চ-রেজুলেশনের ড্রোন ক্যামেরা দিয়েছিল এবং গত দুই বছরে সামরিক সহায়তায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের বাজারে গোলাবর্ষণে নিহত ১৩
ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য নতুন পণ্য ও নতুন রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বাংলাদেশ ওষুধ, বাইসাইকেল রপ্তানি করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিআইএস-বিসিসিআইকে একযোগে কাজের আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে কানাডার হাইকমিশনার ডা. লিলি নিকোলস, ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি ও নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
কানাডার হাইকমিশনার জানান, কানাডা ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি কানাডা থেকে ক্যানোলা তেল রপ্তানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
সহযোগিতার সম্ভাবনার ক্ষেত্র খুঁজছে বাংলাদেশ-কানাডা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও কানাডা আরও সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধান করে দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কানাডার সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। কানাডার সঙ্গে আমাদের একাধিক বিষয়ে সম্পর্ক রয়েছে। তারা (কানাডা) এই সম্পর্ক বিস্তৃত ও সম্প্রসারণ করতে চায়।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথকভাবে আলাপকালে হাই কমিশনার বলেন, তাদের 'বহুমুখী' ও দীর্ঘদিনের সম্পর্ক নিয়ে তারা ' প্রথম ফলপ্রসূ আলোচনা' করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত ইউএই: পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী সম্পর্ক, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং একটি ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে সম্ভাব্য সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যা আমাদের উভয় দেশের নাগরিকরা উপকৃত হবে।’
তিনি বলেন, বৈঠকে তারা সঠিক গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, নাগরিক সমাজ ও বিকল্প কণ্ঠস্বরের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেছেন।
হাইকমিশনার রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কানাডার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মানবাধিকার ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার একটি বৈশ্বিক ইস্যু এবং এটি আমেরিকা, ইউরোপ ও কানাডায়ও একটি ইস্যু। 'আমরাও এ বিষয়ে কাজ করছি।'
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা গণতন্ত্রের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, কারণ আমাদের গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা করতে হবে। আমরা আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর মতামতকে মূল্য দেই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি এখন বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করল: নীলফামারীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকমিশনার বলেন, ‘সম্ভাব্য সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলোতে আমাদের উভয় দেশের নাগরিকরা উপকৃত হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে আদালতের রায় কার্যকর করার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাইকমিশনারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই, তবে তিনি ঢাকার অনুরোধ তার সরকারের সঙ্গে জানাবেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে কথা বলেছেন।
হাইকমিশনার বলেন, 'আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে, যার অনেকগুলো মাত্রা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: এই সরকার জনগণের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকমিশনার বলেন, 'আমরা অবশ্যই উন্নয়ন অংশীদারিত্বের বিকাশ নিয়েও কথা বলেছি এবং এগুলোর প্রত্যেকটি কীভাবে আমাদের দুই দেশের যৌথ সহযোগিতার অনেক সুযোগ এনে দিয়েছে তা নিয়েও কথা বলেছি।’
হাইকমিশনার বলেন, ভালো বন্ধু হিসেবে তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্ব, নাগরিক সমাজের অসাধারণ মূল্যবোধ এবং একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজ সম্পর্কে খুব খোলামেলা কথা বলেছেন।
‘আমরা বিকল্প কণ্ঠস্বর ও দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেছি’, তিনি বলেন। হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গা সংকটে কানাডার অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করারও সুযোগ পেলাম।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায়নি কানাডা সরকার: হাইকমিশন
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কানাডা সরকার কোনো নির্বাচণ পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। পর্যবেক্ষক হিসেবে চিহ্নিত কানাডিয়ান দুই নাগরিক স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটারে) এই তথ্য জানিয়েছে ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশন।
এতে বলা হয়, নির্বাচন বিষয়ে তাদের(দুই পর্যবেক্ষকের) প্রদত্ত মতামতের সঙ্গে কানাডা সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই।আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন 'অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ' হয়েছে: সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষকরা
নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক ভিসা সংক্রান্ত নথির মেয়াদ ৩০ দিন বাড়িয়েছে কানাডা
কানাডা সরকারের বিভাগ অভিবাসন, শরণার্থী ও কানাডার নাগরিকত্ব (আইআরসিসি) বাংলাদেশের ভিসা আবেদন কেন্দ্রে অ্যাপয়েন্টমেণ্টের অভূতপূর্ব চাহিদার কারণে জারি করা বায়োমেট্রিক নির্দেশনা পত্র (বিআইএল) এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার চিঠির মেয়াদ সাময়িকভাবে আরও ৩০ দিন বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি ভিএফএস গ্লোবালের এক মুখপাত্র জানান।
মুখপাত্র বলেন, আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে এর অর্থ হলো- তাদের আইআরসিসি বিআইএল বা পাসপোর্ট অনুরোধপত্রটি চিঠিতে উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের পরে আরও ৩০ দিনের জন্য বৈধ থাকবে।
এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব আবেদনকারী এই বর্ধিত মেয়াদের পরেও অ্যাপয়েন্টমেণ্টের সময়সূচি নির্ধারণ করতে বা তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে অক্ষম তাদের নতুন বিআইএল বা পাসপোর্ট জমা দেওয়ার চিঠির অনুরোধ করার জন্য আইআরসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।
যে কোনো নতুন ইস্যু কেবলমাত্র ৩০ দিনের জন্য বৈধ হবে।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আবেদনকারীদের তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা করার এবং শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়ানোর জন্য তাদের কানাডা ভিসা বা পারমিটের জন্য আগাম আবেদন করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আইআরসিসি কানাডা সরকারের বিভাগ, যা কানাডায় অভিবাসন, শরণার্থী এবং কানাডার নাগরিকত্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলো দেখে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা দেবে ভিএফএস গ্লোবাল
কানাডার নাগরিকদের জন্য পুনরায় ই-ভিসা চালু করল ভারত
কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
কানাডায় অটয়োয় যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি স্মরণ করছে সূর্যসন্তানদের
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকমিশন অডিটোরিয়ামে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।
হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে হাইকমিশনের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এই দিবস পালিত হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
ভারত থেকে কানাডার ৪১ কূটনীতিককে প্রত্যাহার
ভারত সরকার তাদের কূটনৈতিক নিরাপত্তা (ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি) প্রত্যাহারের পরে ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করেছে কানাডা। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত জুন মাসে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে দেশটির নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত থাকতে পারে বলে কানাডার অভিযোগের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধের কারণে সর্বশেষ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারত কানাডাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ‘সন্ত্রাসীদের’ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগটিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে নাকচ করেছে এবং অভিযোগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভারতে থাকা কানাডার ৬২ কূটনীতিকের মধ্যে ৪১ জনকে তাদের পরিবারসহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জোলি বলেন, বাকি ২১ কানাডিয়ান কূটনীতিক ভারতে থাকবেন।
জোলি বলেন, ‘৪১ জন কানাডিয়ান কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের ৪২ জন সদস্য তাদের কূটনীতিক নিরাপত্তা প্রত্যাহারের ঝুঁকিতে ছিলেন। এটি প্রত্যাহারে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসেছেন।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা: ট্রুডো
জোলি বলেন, কূটনৈতিক নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া বিষয়টি নতুন নয়, কিন্তু এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। তবে এ কারণে কানাডা ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে একই জিনিস করার হুমকি দেবে না।
জোলি বলেন, ‘কূটনৈতিক বিশেষাধিকার ও মর্যাদার একতরফা প্রত্যাহার আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি করার হুমকি দেওয়া অযৌক্তিক ও উসকানিমূলক।’
জোলি বলেন, ভারতের সিদ্ধান্ত উভয় দেশের নাগরিকদের পরিষেবাপ্রাপ্তিকে প্রভাবিত করবে।
তিনি বলেন, চণ্ডিগড়, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালোরে ব্যক্তিগত পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে কানাডা।
কিছুদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ভারতে কানাডিয়ান কূটনীতিকদের সংখ্যা কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, কানাডায় ভারতের কর্মকর্তাদের চেয়ে ভারতে কানাডার কর্মকর্তাদের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত মাসে বলেছিলেন, ভ্যাঙ্কুভারের বাইরে সারেতে জুন মাসে মুখোশধারী বন্দুকধারীদের হাতে নিহত ৪৫ বছর বয়সী শিখ নেতা নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় জড়িত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে।
কয়েক বছর ধরে ভারত অভিযোগ করে আসছে, ভারতে জন্মগ্রহণকারী কানাডিয়ান নাগরিক নিজ্জার সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত।
তবে নিজ্জার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
ভারত কানাডিয়ানদের ভিসাও বাতিল করেছে, তবে কানাডা এজন্য প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
এর আগে কানাডা একজন সিনিয়র ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার পরে, ভারতও কানাডার একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল।
তবে ট্রুডোকে কূটনৈতিক বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, কানাডা ‘উসকানি বা উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে না।’
একজন কানাডিয়ান কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছিলেন, কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের নজরদারির মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া, তাদের প্রধান মিত্রদের নিয়ে গঠিত একটি গোয়েন্দা বাহিনীও একই তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ফাইভ আই’ গোয়েন্দা-শেয়ারিং জোট এ বিষয়ে কিছু গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছিল। ‘ফাইভ আই’ গোয়েন্দা শেয়ারিং জোটে কানাডা ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড রয়েছে।
ভারতের সর্বশেষ কূটনৈতিক বহিষ্কারের পদক্ষেপ এই দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
নয়াদিল্লিতে সাম্প্রতিক গ্রুপ অব ২০ বৈঠকের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রুডোর হিমশীতল কথোপকথন হয়।
এর কয়েকদিন পরে, ভারতে একটি বাণিজ্য মিশন বাতিল করে কানাডা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উত্তপ্ত দ্বন্দ্বের মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, অভিযোগের বিষয়টি ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
নিজ্জার খালিস্তান নামে পরিচিত একটি স্বাধীন শিখ আবাসভূমি তৈরির আন্দোলনের এক সময়ের শক্তিশালী একজন নেতা ছিলেন।
১৯৭০ থেকে ১৯৮০’র দশকে একটি রক্তাক্ত শিখ বিদ্রোহ উত্তর ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সেসময় দেশটিতে শিখ নেতাসহ হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
খালিস্তান আন্দোলন তার রাজনৈতিক শক্তি হারিয়েছে। কিন্তু এখনও ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে এ আন্দোলনের সমর্থক শিখ রয়েছে।
কয়েক বছর আগে সক্রিয় বিদ্রোহ শেষ হওয়ার সময় ভারত সরকার বারবার সতর্ক করেছে যে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ফিরে আসার চেষ্টা করছে।
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালে ভারত কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা, অস্থায়ী বিদেশি কর্মী এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য শীর্ষ দেশ ছিল।
আরও পড়ুন: 'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
মিলার বলেন, কূটনীতিকদের মর্যাদা অপসারণের ভারতের সিদ্ধান্তের ফলে কানাডার অভিবাসন বিভাগ ভারতে কানাডিয়ান কর্মীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে।
মিলার আরও বলেন, শ্রমিকদের ভিসা ও পারমিট প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করবে।
ঊর্ধ্বতন কানাডিয়ান কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত কানাডিয়ান কূটনীতিকদের সংখ্যা এবং কূটনৈতিক মর্যাদা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় ছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত আরও ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা বিভিন্ন পারমিট বাতিল করবে। যেমন- কূটনীতিকদের স্বামী/স্ত্রীকে ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া এবং গাড়িতে কূটনৈতিক প্লেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নেলসন ওয়াইজম্যান বলেছেন, কানাডার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভারত সর্বশেষ যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অর্থহীন।
ওয়াইজম্যান বলেছেন, ‘কানাডিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কার ভারতীয়দের বিচলিত মানসিকতা প্রকাশ করে; এতে বোঝা যায় যে তারা জানে যে তারা কানাডায় একজন কানাডিয়ান হত্যার সঙ্গে জড়িত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা হত্যার তদন্তে কানাডার সঙ্গে তাদের সহযোগিতার অভাব থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে।’
৪০ জনেরও বেশি কানাডীয় কূটনৈতিককে প্রত্যাহার করতে বলেছে ভারত
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, কানাডাকে তার ৪০ জনেরও বেশি কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে বলেছে ভারত সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি প্রত্যাহারের জন্য ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে কানাডার ৬২ জন কূটনীতিক রয়েছে এবং এর আগেও নয়াদিল্লি বলেছিল মোট সংখ্যা কমিয়ে ৪১ জনে নামানো উচিত।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা: ট্রুডো
কানাডার মাটিতে একজন খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার বিষয়ে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে অটোয়ার অভিযোগের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত কানাডাকে তার দেশে কূটনৈতিক উপস্থিতি কমাতে বলেছিল।
যদিও ভারত এই দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সম্প্রতি বলেছেন, কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে ‘হিংসার পরিবেশ’ এবং ‘ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ’ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক