কানাডা
কানাডার স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে গেল কানাডা। পার্থক্য হয়ে থাকলেন সেই লিওনেল মেসি। ফলে প্রথমবার কোপা আমেরিকা খেলতে এসেই সেমিফাইনালে ওঠার পর থামল কানাডার স্বপ্নযাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে কানাডাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে আরও একবার ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে সর্বশেষ আট আসরের ৬টিতেই ফাইনালে ওঠার গৌরব অর্জন করল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এদিন দলের হয়ে গোলের খাতা খোলেন হুলিয়ান আলভারেস। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো রদ্রিগো দে পলের থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান আলভারেস। এরপর প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি। ফলে ম্যাচে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
এটি চলতি কোপার আসরে দ্বিতীয় এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি আসরে তার নবম গোল।
আরও পড়ুন: হেরে ব্রাজিল কোচ বললেন, আরও সময় প্রয়োজন
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। ৫১তম মিনিটে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সামনে থাকা এসনো ফের্নান্দেসকে তা দিয়ে ফেলেন কানাডার একজন ডিফেন্ডার। তিনি জোরালো শট নিলে গোলমুখে থাকা মেসির আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে যায়।
এই গোলের মাধ্যমে কোপার চলতি আসরে গোলখরা ঘোচালেন মেসি। এটি আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ১০৯তম গোল। শুধু তাই নয়, এই গোলের মাধ্যমে কোপা আমেরিকার ছয় আসরে গোল করলেন তিনি।
তবে এদিন গোল খেলেও কোনোভাবে দমিয়ে যায়নি কানাডা। গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে জেসি মার্শের শিষ্যরা। কিন্তু কোনোভাবে আর্জেন্টিনার ডেডলক ভাঙতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচজয়ীদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নামবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
কানাডায় ধর্মঘটে ওয়েস্টজেটের আরও ফ্লাইট বাতিল, দুর্ভোগে লক্ষাধিক যাত্রী
কানাডায় উড়োজাহাজ মেকানিকদের ধর্মঘটের কারণে রবিবার শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম উড়োজাহাজ সংস্থা ওয়েস্টজেট। একারণে কানাডার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ভ্রমণকারী তাদের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ফেডারেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিষয়টির মিমংসার জন্য শ্রমমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ সত্ত্বেও প্রায় ৬৮০ জন কর্মী শুক্রবার কাজ ছেড়ে চলে যান। এসব কর্মী প্রতিদিন উড়োজাহাজ পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় মেরামত করেন।
ওয়েস্টজেট এয়ারলাইন্সের প্রেসিডেন্ট ডিডেরিক পেন রবিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিষয়টি মিমাংসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ওয়েস্টজেটকে আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধর্মঘট ও শালিসি বৈঠক একই সঙ্গে চলতে পারে না। তাই এবিষয়ে সরকারের অবস্থানের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এটি এমন একটি বিষয় যা তারা সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অন্যান্য কানাডিয়ানের মতো আমরাও অপেক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: চীনের সামরিক মহড়ার জেরে তাইওয়ানের বিমানের ফ্লাইট বাতিল
বৃহস্পতিবার থেকে ওয়েস্টজেট সোমবারের পর্যন্ত নির্ধারিত ৮২৯টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। অথচ এটি মৌসুমের ব্যস্ততম ভ্রমণ সপ্তাহ।
রবিবারের বেশিরভাগ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল কারণ ওয়েস্টজেটের ১৮০টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৩২টি চালু রয়েছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া বিমানবন্দরের পার্কিংয়ে স্ত্রী ও দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে অপেক্ষা করছিলেন আলবার্টার লেথব্রিজের বাসিন্দা টেম্পল-মুরে। তিনি বলেন, 'আমাদের শুধু অপেক্ষা করতে হবে।’ তারা ক্যালগেরিতে যেতে একটি উড়োজাহাজের ফ্লাইটের চেষ্টা করছিলেন।
সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটের তাদের যে ফ্লাইট ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত জানতেন না, পরের দিন সকাল ৭টার নির্ধারিত ফ্লাইটটিও যাবে কি না।
টার্মিনালের দিকে আঙুল দেখিয়ে টেম্পল-মারে বলেন, 'ওখানে অনেক ক্ষুব্ধ মানুষ আছে।’
দশম গ্রেডের এক্সচেঞ্জের শিক্ষার্থী মেরিনা সেব্রিয়ান জানান, রবিবার ভোরে তার স্পেনে ফেরার কথা থাকলেও তিনটি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এটা দুঃখজনক। সাত ঘণ্টা আগের মতো আজও আমার বাসায় থাকার কথা ছিল, কিন্তু আমি নেই।
ওয়েস্টজেট ও এয়ারপ্লেন মেকানিক্স ফ্র্যাটারনাল অ্যাসোসিয়েশন উভয়ই অন্য পক্ষকে বিশ্বাস করে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করার অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন: চীনে আঘাত হানছে টাইফুন ‘ইন-ফা’, বহু ফ্লাইট বাতিল
পাঁচ শর্তের প্রথমটি উতরে গেল পাকিস্তান
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে পাকিস্তানের শেষ আট স্বপ্ন ভীষণ জটিল ও কঠিন সমীকরণের মধ্যে পড়ে গেছে। পাঁচটি শর্ত যদি পাকিস্তানের পক্ষে যায়, তবেই কেবল সুপার এইট খেলার সুযোগ পাবেন বাবর আজমরা। এমন পরিস্থিতিতে কানাডার বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেয়ে প্রথম শর্ত পূরণ করেছে পাকিস্তান।
তৃতীয় ম্যাচে এসে অবশেষে পেয়েছে জয়ের দেখা। কানাডার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে তারা।
মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাবর আজম। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটে ১০৬ রান করে সাদ বিন জাফরের দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখেই দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান।
দলের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। আর বাবর আজম করেন ৩৩ রান।
কানাডার হয়ে দুটি উইকেট নেন ডিলন হেইলিগার। বাকি উইকেটটি নেন জেরেমি গর্ডন।
৫৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে রিজওয়ানের হাতে।
আরও পড়ুন: শেষ আটে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ২০ রানের মাথায় সিয়াম আইয়ুব ফিরে গেলে বাবরকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। দলীয় ৮৩ রানের মাথায় বাবর আউট হন। একটি করে ছক্কা ও চারে ৩৩ বলে ৩৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ফখর জামান ক্রিজে এলেও তার ভূমিকা ছিল নগণ্য। জয়ের বন্দর থেকে তিন রান পেছনে থাকাকালে আউট হন ফখর। পুরো সময়টা একাই সামলান রিজওয়ান।
শেষ পর্যন্ত ১৭.৩ ওভারে লক্ষ্য ছুঁতে সমর্থ হয় পাকিস্তান।
বুধবার রাত সাড়ে আটটায় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে ভারত। পরবর্তী ধাপের এই ম্যাচে মনেপ্রাণে ভারতের সমর্থন করবে পাকিস্তনের ভক্তরা। এই মিশন সফল হলে পরের আরও তিনটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে তাদের, যেখানে তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কেবল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচটি। আগামী ১৬ জুন ওই ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল কানাডা
বড় ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে কানাডাকে অল্পে গুটিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানি বোলাররা। ফলে ব্যাট হাতে দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির ব্যাটারদের।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাবর আজম। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটে ১০৬ রান করেছে সাদ বিন জাফরের দল। ফলে জিততে হলে এই লক্ষ্য অতিক্রম করতে হবে পাকিস্তানকে।
টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ একেবারেই মামুলি লক্ষ্য হলেও নাসাউ কাউন্টির উইকেটে এ রান অনেক। এখন পর্যন্ত এই উইকেটে ব্যাটারদের ভুগতেই দেখা গেছে। এ মাঠে অনুষ্ঠিত ছয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি সব ম্যাচেই রান তাড়ায় ব্যর্থ বাকি দলগুলো।
তাই কানাডার দেওয়া এই চ্যালেঞ্জিং স্কোর ভালো রান রেটের সঙ্গে অতিক্রম করা পাকিস্তানি ব্যাটারদের জন্য কঠিন হবে বলেই ধারণা করা যায়।
কানাডার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অ্যারন জনসন। অপরদিকে, পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফ।
জোড়া চারে ইনিংস শুরু করা কানাডা প্রথম তিন ওভারই চার মেরে শুরু করেন। এতে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নবনীত ধালিওয়াল। তবে তৃতীয় ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান নবনীত। এর ফলে তিন ওভার শেষে ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় কানাডা। ফেরার আগে ৭ বলে ৪ রান করেন নবনীত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
এরপর ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে তৃতীয় ব্যাটার পারগাত সিংকে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। তার শর্ট অফ লেংথের লাফিয়ে ওঠা বলটি খেলার চেষ্টা করেই বিপদ ডেকে আনেন পারগাত। বলটি তার গ্লাভস ছুঁয়ে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফখরের তালুতে আটকে যায়। ফলে ২৯ রানে দুই উইকেট হারায় কানাডা।
সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফের উইকেট পাওয়ার উল্লাসে মাতে পাকিস্তান। নিকোলাস কিরটনকে রানআউট করে দেন ইমাদ ওয়াসিম। এরপর দশম ওভারে জোড়া উইটকেট নেন হারিস রউফ। ওভারের তৃতীয় বলে হারিস রউফের ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন শ্রেয়াস মোভা। পঞ্চম বলে স্লিপে ক্যাচ দেন নতুন ব্যাটার রবিন্দরপাল সিং। এর ফলে দশ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে কানাডা।
ব্যাটাররা যখন একের পর এক যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিয়েছেন, তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন অ্যারন জনসন। ত্রয়োদশ ওভারে ছক্কা মেরে নিজের ফিফটিও তুলে নেন তিনি। তবে ঠিক ছয় বল পর ১৩.৩ ওভারে নাসিম শাহ তাকে বোল্ড করে ফেরান। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৪ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন তিনি।
এরপর ১৭.৫ ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শিকার হন কানাডা অধিনায়ক সাদ বিন জাফর। ইনিংসের তৃতীয় দুই অঙ্ক ছোঁয়া ১০ রান করেন তিনি।
শেষের দিকে কলিম সানার ১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে কানাডা।
আরও পড়ুন: এক পরিবর্তন নিয়ে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান
এক পরিবর্তন নিয়ে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান
শেষ আটে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে পরবর্তী দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের। এমন সমীকরণ নিয়ে কানাডার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
প্রথম ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে চনমনে রয়েছেন কানাডার খেলোয়াড়রা। ম্যাচের আগেও পাকিস্তানকে ‘ভয় পাচ্ছি না’ বলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক সাদ বিন জাফর।
এদিকে, একাদশে একটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামছেন বলে জানিয়েছেন বাবর আজম। ইফতেখার আহমেদের পরিবর্তে সিয়াম আইয়ুবকে খেলাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেষ আটে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ
পাকিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, উসমান খান, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ আমির।
কানাডা একাদশ: অ্যারন জনসন, নবনীত ধালিওয়াল, পরগাট সিং, নিকোলাস কিরটন, শ্রেয়াস মোভা, রবিন্দরপাল সিং, সাদ বিন জাফর (অধিনায়ক), ডিলন হেইলিগার, কলিম সানা, জুনায়েদ সিদ্দিকী, জেরেমি গর্ডন।
কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক উপমন্ত্রী ঢাকায়
ঢাকায় এসেছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক উপমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ম্যাকলেনান। দুই দিনের সফরে শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
২০২৬ সালে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে কানাডার ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন উপমন্ত্রী।
এছাড়াও বাংলাদেশে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে কাজে লাগানোর সুযোগ নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলা ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবেন উপমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অস্ত্র বা সামরিক এবং বিমানের জ্বালানিসহ দ্বৈত ব্যবহারের সামগ্রী সরবরাহ বন্ধের জন্য সব রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত দেশগুলোর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, 'মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যা দেশটিতে মানবাধিকার ও মানবিক সংকটকে আরও খারাপ ও ধ্বংসাত্মক করে তুলছে।’
কানাডার উপমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশের বিশ্বমানের কয়েকটি বেসরকারি ও গবেষণা সংস্থার সঙ্গে কানাডার অংশীদারিত্ব জোরদারে একটি সুযোগ হবে বলে জানিয়েছে ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশন।
ক্রিস্টোফার ম্যাকলেনান ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কানাডা সরকারের আন্তর্জাতিক সহায়তা ও মানবিক প্রতিক্রিয়া ম্যান্ডেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
জি টু জি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কানাডা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত, ওভারহুইলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কানাডা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্প বিশেষ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় কানাডা। জি টু জি ভিত্তিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের মাধ্যমে বিমানের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত, ওভারহুইলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার বিষয়ে আগ্রহী দেশটি।
আরও পড়ুন: দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: ফারুক খান
এছাড়াও, এ সময় অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে ব্যবহারের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে আরও ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ বিক্রির ব্যাপারে কানাডার আগ্রহের কথা জানান তিনি।
বৈঠকে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বিমানের বহরে নতুন ও অত্যাধুনিক ১৫টি উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। বিমানের বহর সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক রুট চালু করার বিষয়ে কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে বিমানের বহরে কানাডিয়ান কোম্পানি ডিহ্যাভিল্যান্ডের তৈরি ৩টি নতুন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজও রয়েছে বলে জানান তিনি।
ফারুক খান বলেন, বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির বিষয়ে কানাডার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে বিমানের প্রয়োজন এবং দেশের মানুষের মঙ্গল বিবেচনায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পর্যটনমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশেই বিমানের নিজস্ব প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে উড়োজাহাজের সি-চেক পর্যন্ত সব টেকনিক্যাল কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
বিমানের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত ও ওভারহুইলিংয়ের বিষয়ে কানাডার প্রস্তাবের ওপর আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও কানাডায় পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান ফারুক খান।
আরও পড়ুন: এসআরএফবির সভাপতি ফারুক খান, সম্পাদক আফরিন জাহান
কানাডায় ৬ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
কানাডায় ছয়জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্রীলঙ্কার ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। নিহতদের মধ্যে আড়াই মাস বয়সী শিশু কন্যা এবং শ্রীলঙ্কার একটি পরিবারের আরও তিন শিশু রয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্র ও ভুক্তভোগীরা একসঙ্গে বাস করতেন। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) অটোয়া পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
অটোয়ার পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবস বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম ফেব্রিও ডি-জয়সা। হামলাকারী 'ধারালো অস্ত্র' বা 'ছুরির মতো বস্তু' ব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলা এবং একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। কানাডায় এ ধরনের হত্যার ঘটনা বিরল।
স্টাবস আরও জানান, নিহতরা শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং তারা সম্প্রতি কানাডায় গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক মা, ৭ বছর বয়সী এক ছেলে, চার বছরের এক মেয়ে, দুই বছরের এক মেয়ে, আড়াই মাস বয়সী এক মেয়ে এবং সেইসঙ্গে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। তিনি এই পরিবারের পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজার হাত ও পরিবার হারানো শিশু ওমরের দ্বিতীয় জীবন শুরু
পুলিশ প্রধান বলেন, প্রথমে কর্মকর্তারা যখন বাড়িতে পৌঁছান তখন তারা দেখতে পান বাড়ির বাইরে পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি চিৎকার করে কাউকে বলছিলেন ৯১১ নম্বরে ফোন করার জন্য। এছাড়া বুধবার রাত ১০টা ৫২ মিনিটে দুইটি জরুরি কল পায় পুলিশ।
ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্টাবস বলেন, ‘এটি ছিল একদম নিরীহ মানুষের উপর কাণ্ডজ্ঞানহীন সহিংসতা।’
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশন জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী কলম্বোতে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডি-জয়সা আদালতে হাজিরা দেন এবং স্বীকারোক্তি দেন। এ সময় আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ওই পরিবারের ব্যক্তি এবং পুলিশের কাছে বিবৃতি প্রদানকারী অন্য চারজন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে নিশেধ করেন বিচারপতি।
এদিকে আইনজীবী খোঁজার জন্য সময় দিতে তার মামলাটি ১৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বুধবার বেলা ১১টার আগে বারহাভেন এলাকার বাড়িতে পুলিশ ডাকা হয়েছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয় এবং এবং পুলিশ জানায়- জননিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নেই।
ডন পেরেরা নামে এক প্রতিবেশী জানান, গত শরতে পাশের ক্যাথলিক এলিমেন্টারি স্কুলে একটি হ্যালোইন পার্টিতে ওই বাড়িতে থাকা পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন দিতে ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে কানাডা
কানাডার সরকার সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, তারা এই বসন্তের শুরু থেকেই ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে।
ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল ডিফেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা হয়ে উঠেছে। ড্রোনগুলো নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং যুদ্ধাস্ত্রসহ সরবরাহ স্থানান্তরের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এগুলোর জন্য ৯৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের (৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি খরচ হবে এবং এগুলো ইউক্রেনের জন্য পূর্বে ঘোষিত ৫০০ মিলিয়ন কানাডিয়ান (৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সামরিক সহায়তার অংশ।
আরও পড়ুন: ক্রেমলিনের শত্রু অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু পশ্চিমা ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে, তবে পুতিনকে থামানো যায়নি
স্কাইরেঞ্জার আর৭০ মাল্টি-মিশন মানবহীন এরিয়াল সিস্টেমগুলো অন্টারিও প্রদেশের ওয়াটারলুতে অবস্থিত টেলিডাইন-এর তৈরি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুই বছর পূর্তির কয়েকদিন আগে এই ঘোষণা এলো।
কানাডা এর আগে ইউক্রেনকে ১০০টি উচ্চ-রেজুলেশনের ড্রোন ক্যামেরা দিয়েছিল এবং গত দুই বছরে সামরিক সহায়তায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের বাজারে গোলাবর্ষণে নিহত ১৩
ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য নতুন পণ্য ও নতুন রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বাংলাদেশ ওষুধ, বাইসাইকেল রপ্তানি করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিআইএস-বিসিসিআইকে একযোগে কাজের আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে কানাডার হাইকমিশনার ডা. লিলি নিকোলস, ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি ও নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
কানাডার হাইকমিশনার জানান, কানাডা ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি কানাডা থেকে ক্যানোলা তেল রপ্তানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর