আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক
‘শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও জীবনমান উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে’
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির ৩৪৭ তম অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নিয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংস্থার বিভিন্ন শ্রম-মানের সঙ্গে সংগতি রেখে শ্রমিকদের কর্ম-পরিবেশ ও জীবন-মান উন্নয়নে গৃহীত নানামূখী উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে এক্ষেত্রে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গত ১৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া আইএলও’র চলমান অধিবেশনে বাংলাদেশের ওপর আলোচনায় বিশ্বব্যাপী শ্রমিকের জন্য নিরাপদ ও উন্নততর কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করতে এতদসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনগুলোর আলোকে বিভিন্ন দেশের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ সভায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইএলও-তে ২০২১ সালে সরকারের উপস্থাপিত রোডম্যাপের আলোকে সরকার বাংলাদেশ লেবার রুলস সংশোধন করেছে এবং ইপিজেড লেবার রুলস প্রণয়ন করেছে। এছাড়াও, বাংলাদেশ শ্রম আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে সকল অংশীদারদের মতামত সংকলন করার কাজ চলছে এবং ইতোমধ্যে সাতটি ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি সভায় অবহিত করেন।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে আইন প্রণয়ন সকল অংশীদারদের মতামতের ভিত্তিতে হয় বিধায় প্রণয়ন প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে মন্ত্রী এক্ষেত্রে সকলের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালে কারখানাগুলোতে ৩৯ হাজার পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ২৬ শতাংশ বেশি। রোডম্যাপ প্রণয়নের মাত্র দেড় বছরে ৮১ জন নতুন কারখানা পরিদর্শক নিয়োগ করা হয়েছে, যা চলতি বছরে আরও বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান।
শ্রমিকদের অভিযোগের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে তিনটি নতুন শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ফলে, ট্রেড ইউনিয়নের অধিকারসহ অন্যান্য শ্রম অধিকার লংঘনের ৫০টি অভিযোগের মধ্যে ৪১টি অভিযোগের বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৯টি অভিযোগ বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে 'মৌলিক ত্রুটি ও ভুল’ পেয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
সরকার আইনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী: আইনমন্ত্রী
সরকার দেশে প্রচলিত আইনগুলোতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
৩ বছর আগে