সেচ প্রকল্প
সেচ প্রকল্পের ইজারা নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারে সেচ প্রকল্পের ইজারা নিয়ে বিরোধের জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে পিএমখালীর চেরাঙ্গর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোর্শেদ আলী (৩৮) মাইছপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের ভাই জয়নাল আবেদীন জানান, মোর্শেদ অনেক দিন ধরে সরকারি একটি সেচ প্রকল্প ইজারা নিয়ে চালিয়ে আসছিলেন। সেই প্রকল্প মাহমুদুল হকসহ স্থানীয় কয়েকজন দখল করে নেন। এ নিয়ে মোর্শেদের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে এলাকার বাজারে ইফতারি কিনতে গেলে মোর্শেদের ওপর হামলা চালায় মাহমুদুল, মো. জয়নাল, কলিম উল্লাহসহ অন্তত ২০ জন। তারা মোর্শেদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান,হামলাকারীরা চিহ্নিত হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা!
২ বছর আগে
চালু হলো দেশের বৃহৎ গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প
দেশীয় প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়েই শেষ পর্যন্ত সচল হলো দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের রবি মৌসুম। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এ মৌসুমের সেচ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম।
এর আগে পাম্প হাউজের ৩নং পাম্পটি মেরামত করেন দেশীয় অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলীরা।
অটোকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আজাদ জানান, বিদেশি প্রকৌশলীরা যা মেরামত করতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা চেয়েছে সেখানে এরা দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকায় তা মেরামত করে দিয়েছে। একইসঙ্গে ডিজিটাল ট্রান্সমিশনের ব্যবস্থা করেছে এর মাধ্যমে ঢাকা থেকেও বসে সরাসরি পাম্পগুলো কী পরিস্থিতিতে আছে তা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: দেশের জলাশয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়া সাকার মাছ-এর ক্ষতিকর দিক
জিকে পাম্প হাইজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, হাউজের তিনটি পাম্পের মধ্যে আজ একটি চালু করা হয়েছে। আর ১ নংটির কিছু ত্রুটি রয়েছে সেটি মেরামত করে দু-একদিনের মধ্যেই সচল করা যাবে। অন্যটি অর্থাৎ ২ নংটির মেকানিক্যাল সমস্যা হয়েছে। এটিও মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে। একটি পাম্প দিয়ে এখন প্রতি সেকেন্ডে ৬৫০ কিউবিক ফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি খালের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে যেতে আরও দুই দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম বলেন, প্রকৌশলীরা একটি পাম্প সচল করায় প্রকল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে। এতে করে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। যদিও খালগুলো ভরাট হয়ে বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তম চিনিকল জয়পুরহাট সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু
২ বছর আগে
তিস্তা সেচ এলাকায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
নীলফামারীসহ তিস্তা সেচ এলাকা জুড়ে সেচের পানি নিশ্চিত করতে ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেয়ায় মানুষের মাঝে ফিরেছে স্বস্তির আশ্বাস। ১ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্পের কাজ।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে শুরু হয়ে এই প্রকল্পের কাজ আগামী ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।
দীর্ঘদিন থেকে খালগুলো সংস্কার না হওয়ায় সেচ কমান্ডে পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুরের তিস্তা সেচ এলাকা জুড়ে ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচের পানি সরবরাহ করার মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা ২৩১ শতাংশ থেকে ২৬৮ শতাংশে উন্নিত হবে। এছাড়া প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৫.২৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে বলে দাবি নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের। একই সাথে সেচ এলাকায় পরিবেশ ও ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরের উন্নতি, জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা, কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটির আওতায় ৭৬৬.৩১ কিলোমিটার সেচ খালের ‘ডাইক’ পুনবার্সন ও শক্তিশালী করা হবে। ৭২ কিলোমিটার সেচ পাইপ স্থাপন করা হবে।প্রোটেকশন দেওয়া হবে ১০ দশমিক ০৮ কিলোমিটার ও মেরামত করা হবে ১.০৬ কিলোমিটার। বাইপাস সেচ খাল নির্মাণ করা হবে ৭ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। এছাড়াও ২৭টি কালভার্ট নির্মাণ, ৪টি সেতু নির্মান ও ২৭০ হেক্টর জলাধার পুন:খনন করা হবে।
এছাড়া সাড়ে নয় কিলোমিটারের চ্যানেল পুন:খনন করা হবে। ৬ কিলোমিটার পরিদর্শন রাস্তা নির্মান, ৫২.২৯ কিলোমিটার পরিদর্শন রাস্তা মেরামত, ৫৭টি নিকাশ কাঠামো নির্মাণ ও ৩টি মেরামত করা হবে। ২০টি রেগুলেটর নির্মাণ ও ৬টি রেগুলেটর মেরামত করা হবে। এছাড়াও ১৮টি অনবাসিক ভবন মেরামত ছাড়াও ৮৭ হাজারের বেশি গাছ রোপন করা হবে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে খালগুলো সংস্কার না হওয়ায় সেচ কমান্ডে পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য আমরা তিস্তা এলাকাতে সেচ এলাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সরবরাহ করার জন্য আমরা এই প্রকল্পটি পাঠাই। গত ৪ মে প্রধানমন্ত্রী একনেক এ এই প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়।
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রকল্প এলাকার এক লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ১ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৫.২৭ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা মনে করি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতি বছরে এক হাজার কোটি টাকার বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে।’
৩ বছর আগে
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধে ফের ধস
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধে ফের ৫০ মিটার এলাকা ধসে গিয়ে গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে।
৩ বছর আগে