স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাঁধটির কংক্রিটের ব্লক ও বালির জিও ব্যাগ জনতা বাজার এলাকায় ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: বেড়িবাঁধে ফাটল: খুলনায় ১০ হাজার বিঘা জমির ফসল নষ্টের আশঙ্কা
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর এ স্থানের পাশেই মূল বাঁধের ৮০ মিটার এলাকা ধসে যায়। তখন জিও ব্যাগ দিয়ে ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেই সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুলসহ পাউবোর কর্মকর্তরা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: কয়রায় বাঁধে ভাঙন, ৩ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী
জনতা বাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, শনিবার খবর পেয়ে পাউবোর প্রকৌশলীসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ফেলে ধসে পড়া স্থানটি মেরামত করা হয়। ইতোমধ্যে বেড়িবাঁধের দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ের অন্তত ২০০ ফুট বাঁধ মেঘনার বুকে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর শহরের কুমার নদের বেড়ি বাঁধে ৩০০ মিটার ধস
সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধে সরেজমিনে দেখা যায়, ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় বিরাট গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল দিয়ে মেঘনার পানি প্রবেশ ঠেকাতে চাঁদপুর পাউবোর লোকজন বালুর বস্তা ফেলে আপাতত মেরামত করেছেন। সেখানে পানি ঢোকা বন্ধ রয়েছে।
এলাকাবাসীর ধারণা, নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন করার প্রভাবে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
চাঁদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘মেঘনার পানির চাপে বেড়িবাঁধটির ৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। ধস ও সম্ভাব্য ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ধসে পড়া স্থানে দুই হাজারের বেশি বালুর জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এতে স্থানটি আপাতত ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। পরে স্থায়ীভাবে দুর্বল স্থানটি মেরামত করা হবে।‘
আরও পড়ুন: দাকোপে বাঁধ ভাঙা পানিতে আমন হারানোর শঙ্কায় কৃষকরা
তিনি জানান, বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ধসে পড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন জানান, ১৯৮৮ সালে নির্মিত সেচ প্রকল্পের ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই মূল বেড়িবাঁধ মেঘনা-ধনাগোদা নদী বেষ্টিত। এর কিছু অংশ মতলব উত্তরে ও কিছু অংশ মতলব দক্ষিণে পড়েছে। বাঁধটি নির্মাণের পর থেকে এর আগে দুবার ভেঙেছে। বাঁধের ভেতরে কৃষকের লাখ লাখ টাকার ফসল ও ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস, নেই সংস্কারের উদ্যোগ
তার অভিযোগ, চাঁদপুর পাউবোর দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে এবারও বাঁধে ধস নেমেছে। আগে থেকে সতর্ক থাকলে এ ঘটনা ঘটত না।