কয়লা
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৯,৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় নোঙর করে ওই বাণিজ্যিক জাহাজটি। ইতোমধ্যে জাহাজের কয়লা খালাস শুরু হয়েছে।
এর আগে ১৫ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫৩ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে জাহাজটি। পরে চট্রগ্রাম বন্দরে ২৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে। অবশিষ্ট ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে জাহাজটি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক (খুলনা) খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, সকালে নোঙর করা জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস শেষে লাইটার জাহাজে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হবে।
এর আগে গেল ২৮ আগস্ট রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩০ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল পানামা পতাকাবাহী আরেক বাণিজ্যিক জাহাজ।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৪ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে মাতারবাড়ীতে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
১ বছর আগে
১৬ দিন পর ফের উৎপাদন শুরু রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে
কয়লা সংকটে বন্ধ থাকার ১৬ দিন পর ফের উৎপাদনে গেল বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
উৎপাদিত ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.)লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাক (ডিজিএম) মো. আনোয়ার উল আজিম বলেন, সোমবার বিকাল ৩টা থেকে ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। বিকাল থেকে উৎপাদিত ৪০০ মেগাওয়াট যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে।
১৩ (আগস্ট) ৩১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরে আসে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে আরও দুইটি জাহাজ মোংলা বন্দরে আসার সিডিউল রয়েছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর সাড়ে সাত মাসে ৬ বার বন্ধ হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
উৎপাদন শুরু পর প্রথম ১৪ জানুয়ারি, এরপর ১৫ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ৩০ জুন, ১৬ ও জুলাই ৩০ জুলাই বন্ধ হয় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
শিগগিরই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট
১ বছর আগে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি পানাগিয়া কানালা’কে আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোংলা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষকে জাহাজটির এনওসি প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসে জাহাজটি।
এর পর ১২ জুলাই জাহাজটির বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৮২ দশমিক ৬৬ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চায়নার সিসিএক্স শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. আবুল হাসান এ মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী জাহাজটি আটকের আদেশ দেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি পানাগিয়া কানালা’কে আটকের আদেশ দিয়েছেন। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত জাহাজটি যাতে মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে তাই বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্টকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, উচ্চ আদালত জাহাজটি আটকের আদেশ দিয়েছেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এমন একটি চিঠি দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাহাজটির খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। কয়লাগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টায় রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বহির্নোঙ্গর হাড়বাড়িয়া-১১ তে ভিড়ে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবোঝাই জাহাজ নদীর চরে আটকা
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
১ বছর আগে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, দুইদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ
কয়লার সংকট কাটতে না কাটতেই কারিগরি ত্রুটির কারণে বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার (৩০ জুন) রাত পৌনে ৯টা থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইনস্পেকশন ও মেইন্টেন্যান্স কাজের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিবার (০২ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি’র (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরামুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কারিগরি ত্রুটি, ইনস্পেকশন ও মেইন্টেন্যান্সের কাজের জন্য ৩০ জুন রাতে আমরা উৎপাদন বন্ধ করেছি। চার-পাঁচ অথবা ছয় জুনের দিকে আবারও উৎপাদন শুরু করা যাবে।
কয়লা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্রে বর্তমানে পর্যাপ্ত কয়লা রয়েছে। আগামী ৫ জুন আরও একটি জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ কয়লা আসবে। কেন্দ্রে কোনো কয়লা সংকট নেই।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লি. এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশলা কর্মযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে গত বছরের ১১ জুলাই বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং এবং একদিন পরে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হয় এখানের বিদ্যুৎ। এরপরে কয়লা সংকট ও কারিগরি ত্রুটির কারণে কয়েকবার উৎপাদন বন্ধ হলো এই কেন্দ্রটির।
এছাড়া ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট এখনো বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসেনি। আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, উৎপাদন বন্ধ
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
১ বছর আগে
ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৪ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে মাতারবাড়ীতে
ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৪ হাজার ৩০০ টন কয়লা নিয়ে পানামা’র পতাকাবাহী ‘এমভি-নাবিওস অ্যাম্বার’ নামে একটি জাহাজ ভিড়েছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রের কৃত্রিম জেটিতে।
মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এসব কয়লা আনা হয়েছে। এ নিয়ে গত দুই মাসে এলো ৩ লাখ টনের বেশি কয়লা।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের শক্তিশালী টাগ কাণ্ডারি ২ ও ৪ সহ চারটি টাগের সহয়তায় বন্দরের বহির্নোঙরে থেকে ব্রেক ওয়াটার দিয়ে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হয় জাহাজটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের সিকিউরিটি অফিসার আলফাজ আহমেদ।
১ বছর আগে
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডলার সংকটের প্রভাব
১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তার আংশিক উৎপাদন পুনরায় শুরু করেছে। তবে কর্মকর্তারা এখনও ডলার সংকটের কারণে এটির নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ প্ল্যান্টের প্রধান জ্বালানি ‘কয়লা’ আমদানি আবার ব্যাহত হতে পারে।
কয়লা ঘাটতির কারণে এক মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টের ইউনিট-১ পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে।
গত মাসে বন্ধ হওয়ার আগে আগস্টে শুরু হওয়া প্ল্যান্টটি এখনও পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) কর্মকর্তারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার একটি ব্রিফিংয়ে রামপাল প্লান্টের বিআইএফপিসিএলের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে বলেন, প্লান্টটি চালু রাখতে হলে কয়লা আমদানির বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
তিনি প্ল্যান্ট পরিদর্শনকারী একদল জ্বালানি বিষয়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্ল্যান্টে ব্যবহৃত কয়লা উচ্চমানের এবং উপমহাদেশে পাওয়া যায় না।’
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কয়লা সরবরাহের ঘাটতির কারণে ১৪ জানুয়ারি ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ইউনিট-১ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানির কোনো লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
সরকারের নীতিগত পর্যায়ে অনেক বোঝানোর পর কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলার অনুমতি দেয়া হয় এবং সরবরাহকারী ৩০ হাজার মেট্রিক টনের একটি চালান পাঠায়।
বিআইএফপিসিএল কর্মকর্তারা জানান, প্ল্যান্টের জন্য কয়লা আমদানির পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
বিআইএফপিসিএল ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) যৌথভাবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক ও পরিচালক।
ওই কর্মকর্তা জানান, ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার আরেকটি চালানও শিগগিরই দেশে আসছে।
আরও পড়ুন: রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ: প্রণয় ভার্মা
কয়লার বর্তমান মজুদ থাকায় প্ল্যান্টটি চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ইউনিট-১ পূর্ণ ক্ষমতার সঙ্গে চালু রাখতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।
প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউনিট-২ চলতি বছরের জুন মাসে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং সেই সময়ে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে।’
তিনি বলেন, ইউনিট-১ এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে। কারণ বিআইএফপিসিএলের সঙ্গে বিপিডিবি’র বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে, তারা এখনও প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেয়নি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ চুক্তি জিতল বসুন্ধরা গ্রুপ
১ বছর আগে
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ চুক্তি জিতল বসুন্ধরা গ্রুপ
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আট মিলিয়ন টন কয়লা সরবরাহের চুক্তি জিতেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, তিনটি কোম্পানি কয়লা সরবরাহের জন্য দরপত্র জমা দিয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির(প্রা.) (বিআইএফপিসিএল) এক শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছে, ‘আইসিআই-২-এর সূচকের অধীনে বিদ্যুত কেন্দ্রের জেটি পর্যন্ত পণ্য পৌঁছানোর জন্য বসুন্ধরা লিমিটেড সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে প্রতি মেট্রিক টন কয়লা ২৩২ দশমিক ৩৩ ডলার প্রস্তাব করে।
বিআইএফপিসিএল কয়েক মাস আগে দরপত্র আহ্বান করেছিল এবং তিনটি কোম্পানি-স্থানীয় বসুন্ধরা, আকিজ এবং দুবাই-ভিত্তিক কমোডিটি ফার্স্ট-- কয়লা সরবরাহ চুক্তি জেতার জন্য তাদের নিজ নিজ দরপত্র জমা দেয়।
সোমবার দরপত্রগুলো খোলা হয় এবং বসুন্ধরা প্রথম সর্বনিম্ন মেট্রিক টন কয়লার মূল্য ২৩২ দশমিক ৩৩ প্রস্তাব করে এবং কমোডিটি ফার্স্ট প্রতি মেট্রিক টন ২৩৪ ডলার প্রস্তাব করে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন হয় এবং আকিজ গ্রুপ প্রতি মেট্রিক টন ২৮২ ডলার মূল্যে কয়লা সরবরাহের প্রস্তাব দেয়।
এর আগে, বসুন্ধরা গ্রুপ দক্ষিণ বাগেরহাট জেলার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের (২*৬৬০ মেগাওয়াট) জন্য সীমিত তিন লাখ মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহের জন্য প্রথম দরপত্র জিতেছিল।
সে সময় যৌথ উদ্যোগে দুটি সহযোগী সংস্থা বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড(বিএফবিআইএল) এবং বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড (বিএমটিএল)-বিআইএফপিসিএল-এর আন্তর্জাতিক টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে টেন্ডার জিতেছিল।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট, রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে পরিচিত, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআএফপিসিএল) বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন (এনটিপিসি) এর মধ্যে ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করে।
যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের বিপিডিবি এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে এনটিপিসি।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
২০১০ সালে ঢাকা ও দিল্লি যৌথ উদ্যোগে প্ল্যান্টটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্ল্যান্টটি নির্মাণে প্রায় ১৩ বছর সময় লেগেছিল।
বিপিডিবি প্ল্যান্টের পুরো আউটপুট ২৫ বছরের জ্বালানি ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) অধীনে ক্রয় করবে। কিন্তু বিপিডিবি এখনও তার বাণিজ্যিক কার্যক্রমের তারিখ (সিওডি) নিশ্চিত করেনি।
চুক্তি অনুযায়ী বিপিডিবি তার বিরতিহীন কর্মক্ষমতা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেই সিওডি শুরু হবে।
বিআইএফপিসিএলের প্রধান ক্রয় কর্মকর্তা (সিপিও) জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে আট মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চালু থাকা দুটি ইউনিটের তিন বছরের চাহিদা পূরণ করবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে বা মোংলা বন্দরে সম্ভাব্য সুবিধার ওপর নির্ভর করে কয়লা আনলোড করা হবে এবং তারপর পাঁচ হাজার মেট্রিক টন থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন ছোট জাহাজের মাধ্যমে প্ল্যান্টের জেটিতে নিয়ে যাওয়া হবে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
বসুন্ধরা গ্রুপের মতে, স্থানীয় সংস্থা, বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের জন্য উচ্চমানের কয়লা এবং পাথর সরবরাহের জন্য ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে।
বসুন্ধরা ওয়েবসাইটে বলেছে, কোম্পানিটি তার পরিষেবা এবং পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে একটি শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে এই খাতে একটি নেতৃস্থানীয় উদ্যোগতায় পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ: প্রণয় ভার্মা
১ বছর আগে
কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায় প্রায় অর্ধেক। কিন্তু অল্প চাহিদার বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যার কারণে মাঘ মাসের শুরুতে খুলনায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে (ওজোপাডিকো)।
বৃহস্পতিবার অফ পিক আওয়ারে খুলনায় লোডশেডিং ছিলো প্রায় ২৪ মেগাওয়াট এবং আর পিক আওয়ারে লোডশেডিং ছিলো ৪ মেগাওয়াট।
শুক্রবার সকালেও লোডশেডিং ছিলো ৫ মেগাওয়াট। এতে বিদ্যুৎ ছিলো না নগরীর বিভিন্ন এলাকায়।
ওজোপাডিকো থেকে জানা গেছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া অন্যান্য কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হঠাৎ কমে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
জানা গেছে, কয়লার অভাবে গত আটদিন ধরে বন্ধ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। যার উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নিয়মিত ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৬০ মেগাওয়াট ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২০০ মেগাওয়াট খুলনাসহ ওজোপাডিকোতে সরবরাহ করা হচ্ছিল। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পদ্মার এপারের ২১টি জেলায়।
১৭ ডিসেম্বর থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় ১৪ জানুয়ারি সকালে বন্ধ করে দেয়া হয়।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত উৎপাদনের জন্য কেন্দ্রটিতে প্রায় পাঁচ হাজার টন কয়লা লাগত। কয়লা আসত ইন্দোনেশিয়া থেকে। কিন্তু ডলার সংকটে কয়লা আনা যাচ্ছে না। চলতি বছরের জুনে এ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কয়লা সংকটে তাও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. (বিআইএফপিসিএল)-এর উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার না দেয়ায় কয়লা আমদানি করা যায়নি। ইন্দোনেশিয়ায় কয়লাবোঝাই একটি জাহাজ প্রস্তুত আছে। ঋণপত্র পেলে জাহাজটি বাংলাদেশের পথে রওনা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত এই সংকট নিরসনের।
আরও পড়ুন: সব তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে: নসরুল হামিদ
লোডশেডিং: ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না
১ বছর আগে
কয়লা নিয়ে আরও ২টি জাহাজ মোংলায় ভিড়ল
বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে দুটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড় করেছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এবং বুধবার সকাল ৯টার দিকে কয়লাবোঝাই বিদেশি জাহাজ দুটি বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়ায় নোঙ্গর করে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাহাজ দুটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ৬২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে। গ্রিক পতাকাবাহী এমভি মাগদা-পি নামে জাহাজটিতে ৩০ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন এবং হংকং পতাকাবাহী এমভি সানিয়া নামে জাহাজটিতে ৩২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা এটি কয়লার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় চালান।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মোংলা বন্দর জেটিতে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়েছে
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজ দুটির মধ্যে এমভি মাগদা-পি নামে ওই জাহাজটি বন্দরের পশুর চ্যনেলের হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর এবং এমভি সানিয়া নামে জাহাজটি ১৩ নম্বরে নোঙ্গর করে। মঙ্গলবার রাত থেকে এমভি মাগদা-পি নামে জাহাজ থেকে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। ওই জাহাজ দুটি থেকে কয়লা খালাস করার পর লাইটার কার্গোতে কয়লা বোঝাই করে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেয়া হবে।
তিনি জানান, গ্রিক পতাকাবাহী এমভি মাগদা-পি নামে ওই জাহাজটির গভীরতা আট দশমিক সাত মিটার এবং দৈর্ঘ্য ১৯০ মিটার। এছাড়া হংকং পতাকাবাহী এমভি সানিয়া নামে জাহাজটির গভীরতা ৯ দশমিক এক মিটার এবং দৈর্ঘ ১৯০ মিটার।
আরও পড়ুন: গতি ফিরছে বাণিজ্যে, বদলে যাচ্ছে মোংলা বন্দর
জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকের ম্যানেজার খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, গত ২৯ আগস্ট ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার তারাকান বন্দর থেকে এমভি মাগদা-পি নামে জাহাজটি ছেড়ে আসে। ১৬ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এবং সেখানে ২৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে। পরে জাহাজটি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
তিনি জানান, এমভি সানিয়া নামে আরও একটি জাহাজ ৫৪ হাজার ৬৮৪ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ৩১ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার মাওরাপান্তাই বন্দর ছেড়ে আসে। ১৫ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এবং সেখানে ২২ হাজার ৬৮৪ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করার পর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এই জাহাজে ৩২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে। ওই জাহাজ দুটি থেকে কয়লা খালাস করার পর লাইটার কার্গোতে বোঝাই করে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেয়া হবে।
আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে জাহাজ দুটি থেকে কয়লা খালাস কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
এর আগে ৫ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রথম চালানে ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি আকিজ হেরিটেজ নামে জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভিড়ে।
২ বছর আগে
পাইকগাছায় অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ
খুলনার পাইকগাছায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ কারাখানা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত চাঁদখালীতে গড়ে ওঠা পাঁচটি অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা ফায়ার সার্ভিস দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
একই সঙ্গে এক মাসের মধ্যে ওই সকল কয়লা তৈরির সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলার চাঁদখালী বাজার সংলগ্ন চাঁদখালী কয়রা প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশেই অবাধে গড়ে উঠেছে কয়লা তৈরির অবৈধ কারখানা। এসকল কারখানায় কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হয় কয়লা। যা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
আরও পড়ুন:খুলনা-মোংলা রেললাইন ডিসেম্বরে উদ্বোধন
পাইকগাছা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা ও স্থানীয় প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকালে কয়লার কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করলেও কারখানার চুল্লি জলন্ত থাকায় অভিযান পরিচালনা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এরপর পার্শ্ববর্তী আশাশুনি থেকে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে জলন্ত চুল্লি নিভিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও অন্যান্য শ্রমিকদের দিয়ে ওই সকল অবৈধ চুল্লি ভেঙে দেয়া হয়। একই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে কারখানার সকল সরঞ্জামসহ সবকিছু সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফুর রহমান, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ, পরিদর্শক মারুফ বিল্লাহ, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত
২ বছর আগে