কম্পিউটার
বিএসআরএফকে ৩টি কম্পিউটার দিল 'কম্পিউটার সলিউশন'
সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামকে (বিএসআরএফ) তিনটি কম্পিউটার দিয়েছে 'কম্পিউটার সলিউশন'।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিয়েছে বিএসআরএফ’র নতুন কমিটি
বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ নেতাদের কাছে কম্পিউটার সলিউশনের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সোহেল মিয়ার পক্ষ থেকে তিনটি কম্পিউটার হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সহসভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান (পঞ্চায়েত হাবিব) প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ’র জন্য রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে ‘ব্লাডম্যান’
১১ মাস আগে
৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি, ইবির সেই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
অনুমোদন ছাড়াই স্টোর রুম থেকে কম্পিউটারসহ পুরোনো জিনিসপত্র বিক্রির অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে দাপ্তরিক সকল দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টোরে রক্ষিত অব্যবহৃত মালামাল কম্পিউটার, সিপিইউ ও পুরোনো কাগজ বিক্রির বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে এস্টেট অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার টিপু সুলতানকে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। তার প্রদত্ত জবাব কর্তৃপক্ষের নিকট সন্তোষজনক না হওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে তার দাপ্তরিক দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হলো।
এর আগে গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো জিনিসের স্টোর রুম পরিষ্কারের কথা বলে এস্টেট অফিস প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান ও তার সহযোগী উকিল উদ্দীন, বকুল হোসেন ও সাবু সেখানে থাকা পুরোনো জিনিসপত্র বিক্রি করেন। প্রায় একশ পুরোনো কম্পিউটার ৫০ টাকা দরে, ১০ থেকে ১২টি ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টার, ১০ মণ রড, জানালার পুরোনো গ্রিল, ব্যবহারযোগ্য লোহার পাইপ এবং প্রায় সাড়ে চারশ কেজি কাগজ বিক্রি করেন।
পড়ুন: ইবিতে ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি!
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর খিলক্ষেত বাজার থেকে আসামি আজিজুল হক রানা ওরফে শাহনেওয়াজ ওরফে রুমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে দুটি জিহাদি বই, দুটি মোবাইল ফোন সেট, একটি পেনড্রাইভ ও একটি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২০০০ সালের ২০ জুলাই শেখ লুৎফুর রহমান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি দোকানের সামনে থেকে পুলিশ ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করে। ওই স্থানে ২২ জুলাই শেখ হাসিনার একটি সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
এছাড়া ওই বছরের ২৩ জুলাই কোটালীপাড়া হেলিপ্যাডের কাছে সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ স্কোয়াড আরও একটি ৪০ কেজি ওজনের বোমা উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করায় গ্রেপ্তার ১
এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
২০২১ সালের ২৩ মার্চ, ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে, আজিজুলকে বোমা রাখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, আজিজুল ২১ বছর ধরে পলাতক থেকে গোপনে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। নিজের পরিচয় গোপন করতে দোকানদার, বই বিক্রেতা, চালক ও ছাপাখানার কর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
তরুণদের মেধা কাজে লাগিয়ে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
আমাদের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ ও ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে না পারলে মেধার যথাযথ বিকাশ ঘটবে না।
তিনি বলেন সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইন্ডাস্ট্রির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তরুণদের যোগ্যতা ও মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে।রবিবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আইটি-বিষয়ক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশের তরুণ মেধাবী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।পলক বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আইসিটি বিষয়কে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করেছেন।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের দক্ষ মানবসম্পদ ও সমস্যা সমাধান মুখী চিন্তার বিকাশ ঘটাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কারিকুলামে কোডিং চালু করার বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় আওটি, এআর, ভিআর, বিগডাটা অ্যানালেটিকস্, রোবটিকস্, ব্লকচেইন এবং নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে দেশে ৩’শ স্কুল অব ফিউচার ও শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী জাতি ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক প্রয়াস নিয়ে কাজ করার আহবান জানান।উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে ছিল- ‘যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গ্লোবাল আইটি প্রতিযোগিতা ২০২১, ইন্টারন্যাশনাল রোবট অলিম্পিয়াড ২০২১, ইন্টারন্যাশনাল কলিজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (আইসিপি) ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ২০২১ এবং ইন্টারন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১।’পরে, যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গ্লোবাল আইটি প্রতিযোগিতায়, চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে পাঁচ জন, ইন্টারন্যাশনাল রোবট অলিম্পিয়াডে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৯ জন, ইন্টারন্যাশনাল কলিজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (আইসিপি) ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে দুটি ক্যাটাগরিতে ছয় জন, ইন্টারন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে তিন জন প্রত্যেককে ল্যাপটপ, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাফিফা জামান।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলের জন্মদিনকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশের আইসিটি খাতে নরওয়েকে বিনিয়োগের আহ্বান
২ বছর আগে
আইইউবি লাইব্রেরিতে ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তাদের জাতীয় গ্রন্থাগারের মাধ্যমে এ বছর বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) লাইব্রেরিতে ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ স্থাপনে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রোগ্রামটি কোরিয়া সম্পর্কিত বই এবং উপকরণ সরবরাহ করে বাংলাদেশে কোরিয়ান সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে বোঝা এবং আগ্রহ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুণ আশা প্রকাশ করে বলেছেন, উইন্ডো অন কোরিয়া বাংলাদেশের তরুণদের কোরিয়ান সংস্কৃতি ও ভাষার প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও চাহিদাকে আরও ভালোভাবে পূরণ করতে পারবে এবং কোরিয়া ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই প্রোগ্রামের অধীনে, কোরিয়ার ন্যাশনাল লাইব্রেরি প্রথম বছরে ১৫০০ থেকে ৩০০০ ভলিউম পর্যন্ত কম্পিউটার, চেয়ার, ডেস্ক এবং সাইনবোর্ডের মতো সুবিধা সরঞ্জামের খরচ এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে কোরিয়া সম্পর্কিত ২০০ ভলিউম বই ও উপকরণ দিবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ - দ.কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক সই
আইইউবি বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যারা উইন্ডো অন কোরিয়া স্থাপন করতে যাচ্ছে এবং দ্বিতীয় যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে কোরিয়া ফাউন্ডেশন (কেএফ) এর সহায়তায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে কোরিয়া কর্নার স্থাপন করবে।
এই লাইব্রেরিতে একটি কোরিয়া নিবেদিত বিভাগ করা হবে। উইন্ডো অন কোরিয়া ছাড়াও, কোরিয়ার কিং সেজং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশনেরসহায়তায় আইইউবি এই বছর একটি কিং সেজং ইনস্টিটিউট নামে একটি কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমের আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইইউবি কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা ২০১৪ সাল থেকে মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগে কোরিয়ান সিনেমা অ্যান্ড সোসাইটি কোর্সের মতো বিভিন্ন প্রোগ্রাম প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইউবি কে-ক্লাব, একটি স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী যার ২০০ জনের বেশি সদস্য নিয়মিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমন কোরিয়ান ফিল্ম নাইট এবং কে-পপ উৎসবের আয়োজন করে আসছে।
কোরিয়া দূতাবাসের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতার পরীক্ষা, কোরিয়ান বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য কোরিয়ান সংস্কৃতি সম্পর্কিত প্রোগ্রামগুলোর জন্য নিয়মিত ভ্যেনু প্রদান করে আসছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
২ বছর আগে
বাগেরহাটে নিখোঁজের ২ দিন পর মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটের কচুয়ায় নিখোঁজের দুইদিন পর কলাবাগান থেকে এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে পুলিশ কচুয়া উপজেলার চর টেংরাখালী গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত মো. মেহেদী হাসান (২৫) বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মনির শেখের ছেলে। সে স্থানীয় মাধবকাঠি মাদরাসার অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। টেংরাখালী নতুন বাজারে মেহেদীর কম্পিউটারের দোকান রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ জানায়। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে ওই মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা করেছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
পরিবারের বরাত দিয়ে কচুয়া থানার তদন্ত বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, মেহেদী হাসান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন এলাকায় খুঁজতে থাকে। রবিবার সকালে চর টেংরাখালী গ্রামের একটি কলাবাগানের মধ্যে খাদে পানির মধ্যে ওই যুবকের লাশ দেখে তারা পুলিশে খবর দেয়।
ইকবাল হোসেন আরও জানান, ওই যুবকের গলায় এবং হাতে ধারালো অস্ত্রের ক্ষতচিহৃ রয়েছে। পুলিশ যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
সমুদ্রে নেমে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্রের মৃত্যু
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে পানিতে ভেসে গিয়ে তৌফিক মকবুল (২২) নামের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এসময় দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সৈকতের সীগাল পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তৌফিক ঢাকার শ্যামলীর আদাবর এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ব্রাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, বুধবার দুপুরে তিন বন্ধু সীগাল পয়েন্টে গোসল করতে নেমে ভেসে যান। পরে তৌফিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে পানিতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মুরাদ ইসলাম বলেন, নিখোঁজের খবর পেয়ে বিচকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তৌফিক নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে কি করবেন?
বাংলাদেশে যারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন তাদের শতকরা ৮০ ভাগই নারী। সবচেয়ে ভীতিকর ব্যাপার হলো, এদের বয়সের পরিধি ১৪ থেকে ২২ বছর। এমনকি শিশুরাও এই ঝুকির বাইরে নয়। বৃহৎ পরিসরে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির দরুণ অনেক জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এই সাইবার বুলিংয়ের কারণে। প্রযুক্তির উত্তরোত্তর উন্নয়নের ফলে পারস্পরিক যোগাযোগ প্রতিনিয়ত সহজলভ্য হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সংখ্যালঘু দুষ্ট চক্রের বিকৃত মানসিকতার কারণে সেই প্রযুক্তি ব্যবহারের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সবাইকে।
কি এই সাইবার বুলিং
এক কথায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে কারো উপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা নাশকতা চালানোকে সাইবার বুলিং বলা হয়। যারা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙ্গে গোপনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ব্যবহার করতে পারে তাদের হ্যাকার বলা হয়। হ্যাকিং একটি পারদর্শিতা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর অসদ্ব্যবহারই হয়ে এসেছে। হ্যাকারদের মধ্যে যারা নিজেদের এই ক্ষমতাটি অন্যের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহার করে তারাই মুলত সাইবার বুলিং এর জন্য দায়ী।
কিভাবে হচ্ছেন সাইবার বুলিংয়ের শিকার
বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কারণে আপনি সারা বিশ্বের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছেন। আপনার তথ্যগুলো যেহেতু অনলাইন সামাজিক মাধ্যম ইমেইল, মোবাইল ফোন দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত, তাই হ্যাকাররা হয়রানির জন্য এগুলোকেই ব্যবহার করে। অধিকাংশ হ্যাকাররা ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সের হয়ে থাকে। অন্যদিকে এদের শিকার নারী ও শিশুরা হলেও, এখন সব বয়সের এবং সব পেশার লোকেরাই বিপদে পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের ব্যাপার হলো, সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে অনেকেই বেছে নিচ্ছে আত্মহননের পথ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাইবার নিরাপত্তা হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে: পলক
সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে যা যা করণীয়
→ সকল নেতিবাচকতা অগ্রাহ্য করা
অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন, ম্যাসেজ অথবা অনলাইন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অনাকাঙ্ক্ষিত কমেন্ট, ম্যাসেজ আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে। এমনকি হয়ত আপনার ব্যাপারে রটে যাওয়া ভুল ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকেও কথা শুনতে হতে পারে। ব্যাপারটাকে গভীরভাবে না দেখে এড়িয়ে যান। কেননা আপনি পাত্তা দিলেই উত্যক্তকারীর উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে।
→ অভিভাবক মহলের সাথে পরামর্শ করা
বাবা-মা, বড় ভাই-বোন, প্রিয় শিক্ষক অথবা এমন কারো সাথে ব্যাপারটি শেয়ার করুন যে আপনার দুর্বলতার সুযোগ নেবে না বলে আপনি দৃঢ়ভাবে বিঃশ্বাস করেন। আবেগপ্রবণ না হয়ে নিজের অবস্থানটা স্পষ্ট করে তুলে ধরুন। এতে সামাজিকভাবে আপনি একটা পৃষ্ঠপোষকতা পাবেন।
আরও পড়ুন: ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ এ গৃহবধুর অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার
→ প্রমাণ রাখা
অনলাইন অথবা ফোন যে মাধ্যমেই বুলিংটা হোক না কেন চেষ্টা করুন যে কোনো ভাবেই তার একটা অফলাইন কপি রাখতে। পরবর্তী আইনী সহায়তা নেবার সময় এগুলো প্রমাণ হিসেবে আপনার কাজে লাগবে।
→ রিপোর্ট করা
প্রতিটি ওয়েবসাইটেরই অভিযোগ বক্স বা রিপোটিং পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলুন। এতে বুলিং কন্টেন্ট মুছে যাওয়ার পাশাপাশি অপরাধীও সেই সাইট চিরতরে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
→ সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত থাকা
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেক্ষেত্রে হতাশ না হয়ে নিজেকে নিজের কাজে মগ্ন রাখুন। বিশেষত সৃজনশীল কাজের দিকে মনযোগ দিন।
→ আত্মবিশ্বাসের সাথে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া
এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশী দরকার। প্রায় দেখা যায়, সাইবার বুলিংয়ের শিকার ব্যক্তি জনসম্মুখে নিজেকে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন। তা না করে বরং প্রতিটি সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সাবলীলভাবে উত্তর দিন। এখানে যেহেতু আপনি কোন দোষ করেন নি সেহেতু নিজেকে লুকিয়ে রাখার কোন অর্থ নেই। বরং আপনার ইতিবাচক সাড়া অপরাধ ও অপরাধীর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে ইন্ধন যোগাবে।
শেষ কথা
প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে আপনার নেয়া সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীতে সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্ম দিবে। তাই নিজেকে গুটিয়ে না রেখে নেতিবাচকতাগুলো উপেক্ষা করে আত্মবিঃশ্বাসের সাথে নিজের স্বপক্ষে কথা বলুন।
আরও পড়ুন: ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকড হলে সহায়তা দিবে ‘সাইবার সিকিউরিটি হেল্প ডেস্ক’: পলক
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীকে এসএমএস করে স্বপ্নের উপহার পেল শাকিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুঠোফোনে এসএমএস করে সিক্স জেনারেশনের কম্পিউটার পেয়েছেন কুমিল্লার এক যুবক।
৩ বছর আগে