শর্ত
আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় সমাবেশ করতে হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই শর্ত মানতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় কোনো ঝামেলা ও জনসাধারণের কোনো অসুবিধা করতে পারবেন না।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিতএক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সমাবেশ না করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। সমাবেশ কোথায় হবে তার অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।’
বায়তুল মোকাররম ও নয়া পল্টনে যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের ঘোষণার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শুনেছি। ওইসব স্থানে সমাবেশ করার বিষয়ে তারা অনড় থাকলে আমরা উভয় দলের জন্য কিছু শর্ত রাখব।
তিনি বলেন, ‘অনুমতির দায়িত্ব পুলিশ কমিশনারের। তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন কী করবেন।’
আরও পড়ুন: একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ
আগামীকাল সমাবেশে সহিংসতার কোনো হুমকি দেখছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনে সরকারের কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, ‘তবে তাদের উচিত নিয়ম-কানুন এবং দেশের আইন-কানুন মেনে চলা। আমরা তাদের কাছে আবেদন জানাবো জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি না করার জন্য। আমি তাদের জনদুর্ভোগের কারণ না হওয়ার জন্য অনুরোধ করব।’
উভয় পক্ষকে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ না করার এবং ভাঙচুর না করারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
১ বছর আগে
আইএমএফের শর্তের ভিত্তিতে বাজেট করা হয়নি: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের ভিত্তিতে করা হয়নি।
বাজেট পরবর্তী ভাষণে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের মতো আইএমএফ বাংলাদেশে এসেছে এবং অর্থনীতিতে সহায়তা করার জন্য কিছু সুপারিশ করেছে। আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়েছি, কিন্তু বাজেট তৈরিতে সেগুলো অনুসরণ করিনি।’
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইএমএফ শুধু অর্থ দিয়ে দেশগুলোকে সাহায্য করছে না, তারা অর্থনীতির ওপরও নজরদারি করছে। এটা অর্থনীতির জন্য ভালো।
মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বারবার করা প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কিত, কিন্তু এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। আমরা জনগণকে খাওয়ানো বন্ধ করতে পারি না।’
তিনি বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নমনীয় উপায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সরবরাহ করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মুদ্রাস্ফীতির কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি এবং সেগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমাদের যদি কোনো ছাড় দিতে হয়, আমরা তা করব।’
আরও পড়ুন: বাজেট অবাস্তব, এভাবে মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব নয়: সিপিডি
মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, নতুন বাজেটে মূলত দরিদ্র জনগণের সুবিধার দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।
সবাইকে কর দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ট্যাক্স নেট প্রসারিত করেছি যাতে আরো কর সংগ্রহ করা যায়।’ অতীতের অন্যান্য বাজেটের মতো এটিও আগামী নির্বাচন এবং জনগণ উভয়কেই লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বাজেটের লক্ষ্য থেকে জনগণ বা নির্বাচনকে আলাদা করতে পারি না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত বাজেটে করা সব প্রকল্পই বাস্তবায়িত হয়েছে।
কামাল বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে রেমিট্যান্স আয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট: নাগরিকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
নিম্নমুখী প্রবণতার পর, রেমিট্যান্স আয় আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমরা আমাদের রিজার্ভের মাধ্যমে আমাদের পাঁচ মাসের আমদানি বিল মেটাতে পারি।
তিনি বলেন, সরকারের কিছু পদক্ষেপের পর ধীরে ধীরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর অনুরোধে বাংলাদেশের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি, রেমিট্যান্স এবং ব্যাংকিং খাত নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯ জুন তার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে যেখানে এটি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্স এবং রিজার্ভ বৃদ্ধির পরিকল্পনা তৈরি করবে।
তিনি দাবি করেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ বাড়লেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রির মাধ্যমে বাজার থেকে বেশি অর্থ উত্তোলন করায় মূল্যস্ফীতি বাড়বে না।
আরও পড়ুন: উচ্চাভিলাষী জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির অনুমান, বাজেট বাস্তবায়নে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে: সিপিডি
১ বছর আগে
ওয়াজে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য না দেওয়ার শর্তে মাদানীকে জামিন
ভবিষ্যতে কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য না দেওয়ার শর্তে ঢাকা ও গাজীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রফিকুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। এই আদেশের ফলে শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
এসব মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট, মামলার এজহার যাচাইবাছাই করে আমরা তাকে জামিন দিতে একমত নই।
তবে রফিকুল ইসলাম মাদানী যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনবিরোধী, ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার হলফনামা আকারে মুচলেকা দেন, তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।
গত বছরের ২৭ জুন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন শর্ত দেন।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হলফনামা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। সম্প্রতি কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে রফিকুল ইসলাম মাদানী হলফনামায় সই করেন।
হলফনামায় তিনি লেখেন, কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী এবং প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো বক্তব্য প্রদান করব না। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ও জনমনে সংঘাতের সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য ওয়াজ মাহফিলে দেব না।
পরে বিষয়টি হাইকোর্টকে জানালে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামের এক ব্যক্তি মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ -এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।
২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনওদের উপজেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হাইকোর্ট
ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
১ বছর আগে
আইএমএফ থেকে জানুয়ারির আগে ঋণ পাচ্ছে না বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশের চাওয়া সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ আগামী বছরের জানুয়ারির আগে না পাওয়ার আভাস দিয়েছেন সমন্বয়কারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বুধবার আইএমএফের একটি দল ঢাকায় আসছে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক ঋণদাতার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্টের (আরএসটি) অধীনে বাংলাদেশ যে ঋণ চেয়েছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে আসছে দলটি। আরএসটি আইএমএফের সদস্য দেশগুলোকে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের বাজেটে সহায়তায় ঋণ পাওয়া প্রায় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কখন বিতরণ শুরু হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
মঙ্গলবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, ‘সরকার যদি আইএমএফের শর্ত মেনে নেয়, তাহলে আগামী বছরের শুরুতে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া সম্ভব।’
তবে সরকার শর্ত পূরণে আরও আন্তরিকতা দেখালে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রথম কিস্তি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে
তিনি আরও বলেন, ‘আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে। এবার তারা ঋণ দেয়ার শর্ত নিয়ে আলোচনা করবেন। কত দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে তা নির্ভর করবে এই দলের রিপোর্টের ওপর।’
আইএমএফের ঋণ নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তিটি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এটি জানুয়ারিতে আইএমএফের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদন আইএমএফ বোর্ডে জমা দেয়া হবে, তারপর ঋণ পাওয়া যাবে।’
তবে ঋণের প্রথম কিস্তি কবে পাওয়া যাবে তা বলা মুশকিল বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইএমএফ দল আসছে বুধবার: আলোচনায় থাকবে বাংলাদেশের চাওয়া ঋণের ...
২ বছর আগে
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: মানতে হবে যেসব শর্ত
রাজধানী ঢাকায় শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার পাঁচটি মেডিকেল কলেজের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরে কেন্দ্রে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কেউ মাস্ক না পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে মাস্ক সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে।
সোমবার ডিএমপি সদরদপ্তরে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উল্লিখিতসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ব্যতীত প্রার্থীদের অন্য কোনো কাগজপত্র নিতে দেয়া হবে না। সকাল ৮টায় কেন্দ্রের গেট খুলে দেয়া হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কেন্দ্রের গেট বন্ধ হয়ে যাবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সব পরীক্ষার্থীর দেহ তল্লাশি করা হবে। কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন রাখতে পারবে না। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পড়ুন: সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, শুক্রবার ঢাকা মহানগরীতে ১৮টি কেন্দ্রে মোট ৬১ হাজার ৬৭৮ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
কেন্দ্রগুলো হলো-ঢাকা মেডিকেল কলেজ (৯টি কেন্দ্র): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবন; লেকচার থিয়েটার ভবন; বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবন; সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ; মোকারম হোসেন, বিজ্ঞান ভবন; এ.এফ মুজিবুর রহমান, গণিত ভবন, বিজ্ঞান ভবন; কাজী মোতাহার হোসেন ভবন; উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, বকশি বাজার, ঢাকা।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (৩টি কেন্দ্র): ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজ এবং নিউ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ (২টি কেন্দ্র): তেজগাঁও কলেজ, ইন্দিরা রোড, ঢাকা এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আগারগাঁও, ঢাকা। মুগদা মেডিকেল কলেজ (২টি কেন্দ্র): আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল ক্যাম্পাস, ঢাকা এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মুগদা ক্যাম্পাস, ঢাকা।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ (২টি কেন্দ্র): সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা এবং সরকারি বাঙলা কলেজ, মিরপুর, ঢাকা।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার, ৫টি মেডিকেল কলেজ ও ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিনিধি, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: প্রণোদনার দাবিতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করলেন নার্সরা
২ বছর আগে
৫ শর্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবে: ইউজিসি
শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিতির পাশাপাশি অনলাইনেও শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইউজিসি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্র রবিবার সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
পত্রে বলা হয়েছে, বর্তমান কোভিড-১৯ এর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালু রয়েছে। শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে প্রচলিত সশরীর নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা সম্ভব না হলে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের অগ্রগতির জন্য গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ইউজিসি চেয়ারম্যানশর্তাবলী:
১। অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না;২। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদার প্রেক্ষিতে অনুমোদিত পদের বিপরীতে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে হবে;৩। অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত একটি নীতিমালা থাকতে হবে;৪। অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকারের অডিও-ভিডিও কমপক্ষে ২(দুই) বছরের জন্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে ও
৫। নির্বাচিত আবেদনকারীর মূল সনদপত্রসমূহ যাচাই করে নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে।
৩ বছর আগে
ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তিতে বয়সের শর্ত হাইকোর্টে স্থগিত
ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্ধারণ করে তিন বছর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালার কার্যকারিতা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করার সময় আরও এক সপ্তাহ বাড়াতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে