আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশের চাওয়া সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ আগামী বছরের জানুয়ারির আগে না পাওয়ার আভাস দিয়েছেন সমন্বয়কারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বুধবার আইএমএফের একটি দল ঢাকায় আসছে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক ঋণদাতার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্টের (আরএসটি) অধীনে বাংলাদেশ যে ঋণ চেয়েছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে আসছে দলটি। আরএসটি আইএমএফের সদস্য দেশগুলোকে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের বাজেটে সহায়তায় ঋণ পাওয়া প্রায় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কখন বিতরণ শুরু হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
মঙ্গলবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, ‘সরকার যদি আইএমএফের শর্ত মেনে নেয়, তাহলে আগামী বছরের শুরুতে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া সম্ভব।’
তবে সরকার শর্ত পূরণে আরও আন্তরিকতা দেখালে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রথম কিস্তি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে
তিনি আরও বলেন, ‘আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে। এবার তারা ঋণ দেয়ার শর্ত নিয়ে আলোচনা করবেন। কত দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে তা নির্ভর করবে এই দলের রিপোর্টের ওপর।’
আইএমএফের ঋণ নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তিটি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এটি জানুয়ারিতে আইএমএফের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদন আইএমএফ বোর্ডে জমা দেয়া হবে, তারপর ঋণ পাওয়া যাবে।’
তবে ঋণের প্রথম কিস্তি কবে পাওয়া যাবে তা বলা মুশকিল বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইএমএফ দল আসছে বুধবার: আলোচনায় থাকবে বাংলাদেশের চাওয়া ঋণের ...