মোংলা বন্দর
মোংলায় বাণিজ্যিক জাহাজে চুরির প্রস্তুতি, অস্ত্রসহ আটক ৫
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে চুরির প্রস্তুতির সময় কুখ্যাত সুমন বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকালে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলাধীন সুন্দরবন সংলগ্ন ভদ্রা নদী থেকে তাদের আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১২টি বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র, নয় পিস ইয়াবা, ২৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক শনিবার (২২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ
আটকরা হলেন—বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মো. জনি (১৯), মো. আলিরাজ (২৫), স্বপন মুন্সি (৪০) এবং খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মো. আজিম (২৬) ও মো. মেজবাহ (১৯)।
এতে আরও জানানো হয়, একটি বাণিজ্যিক জাহাজে চুরির উদ্দেশে মোংলা থেকে সুমন বাহিনীর পাঁচ সদস্য হারবারিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার খবর পেয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একটি দল সুন্দরবন বিভাগের ভদ্রা অফিসসংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১২টি দেশিয় অস্ত্র, নয় পিচ ইয়াবা এবং ২৫ গ্রাম গাঁজাসহ ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটকরা ছিঁচকে চোর হিসেবে চিহ্নিত। তাদের বিরুদ্ধে মোংলা এবং পাশ্ববর্তী কয়রা থানায় একাধিক চুরি, মাদক এবং মারামারির মামলা রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নিতে আটক পাঁচজনকে মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।
২ দিন আগে
৫৩ বছর পর মোংলা বন্দরে আসছে পাকিস্তানের চাল
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে চাল বহনকারী একটি জাহাজ ২৫ হাজার মেট্রিকটন চাল নিয়ে ভেড়বে মোংলা সমুদ্রবন্দরে। এটি প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর এবং পরবর্তীতে মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর চাল আমদানির জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে জি-টু সই করা হয়। বাসমতি নামের চাল সরবরাহ করেছে পাকিস্তানি ট্রেডিং কর্পোরেশন। ২৫ হাজার মেট্রিকটন চাল নিয়ে করাচির পোর্ট কাসিম থেকে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। পাকিস্তানের দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারি পর্যায়ে সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে। পাকিস্তান সরকার অনুমোদিত প্রথম কার্গো বন্দর কাসিম ছেড়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দর থেকে প্রথমবারের মতো পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কারণ ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ পাকিস্তানের (টিসিপি) মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল কিনতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। চুক্তিটি ফেব্রুয়ারির শুরুতে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
চালের চালানটি দুটি ধাপে সরবরাহ করা হবে। প্রথম ২৫ হাজার টনের চালানটি এখন বাংলাদেশে পৌঁছে যাচ্ছে। দ্বিতীয় চালানটি মার্চের শুরুতে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। এই বাণিজ্য চুক্তি দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সরাসরি জাহাজ চলাচল সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথমবারের মতো সরকারি পণ্য বহনকারী পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশনের (পিএনএসসি) একটি জাহাজ বাংলাদেশের একটি বন্দরে নোঙর করবে, যা সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই উন্নয়নকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কয়েক দশক ধরে সুপ্ত থাকা বাণিজ্য চ্যানেলগুলো পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের খুলনা কার্যালয়ের উপ-নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রোজিত সরকার জানান, চালের সংকট মেটাতে পাকিস্তান থেকে চাল আসছে। তার আগে মিয়ানমারের চাল পৌঁছাবে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের হলদিয়া স্থলবন্দর থেকে ১১ হাজার মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল মোংলা বন্দরে ভেড়ে। পাকিস্তান থেকে আসা চাল প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দরে এবং পরবর্তীতে ৪০ শতাংশ মোংলা বন্দরে খালাস হবে।
খুলনা জেলা সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) তৈয়েবুর রহমান জানান, বয়রা ও মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামে ৪৭ হাজার মেট্রিকটন চাল মজুদ আছে। উল্লিখিত দুই গুদামের ধারণক্ষমতা এক লাখ মেট্রিকটন। মজুদ করা চালের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়।
২১ দিন আগে
মোংলা বন্দর থেকে প্রথমবারের মতো পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
প্রথমবারের মতো মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে চালু হওয়া পণ্যবাহী এ ট্রেনে পরিবহন করা হয়েছে পাকিস্তান থেকে আমাদনি করা চিটাগুড়।
এদিন বন্দর এলাকায় অবস্থিত ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেড থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ৩০টি ওয়াগনে এক হাজার ৫০ মেট্রিক টন চিটাগুড় লোড করে গন্তব্যের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে। সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়িতে পৌঁছাবে পণ্যবাহী এ ট্রেনটি।
পাকিস্তান থেকে আসা চিটাগুড় সড়ক পথে ও ট্রেনের ওয়াগনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পৌঁছাবে সেখানে। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানিতে সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: শবে বরাত উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়া মোংলা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীদের ব্যয় সাশ্রয় হবে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরাও আমদানি ও রপ্তানি পণ্য পরিবহনে এ বন্দর ব্যবহারে উৎসাহিত হয়ে উঠবেন। আর এতে আরও বেশি চাঙ্গা হবে সমুদ্র এ বন্দরটি। বন্দর প্রতিষ্ঠার পর পণ্যবাহী ট্রেন চালু হওয়ায় আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে মোংলা বন্দরের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (উপ-সচিব বোর্ড ও জনসংযোগ) মাকরুজ্জমান জানান, পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমটি ডলফিন-১৯ গত ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। মাত্র ১৫ দিনের মাথায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার ৫শ টন চিটাগুড় নিয়ে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভেড়ে। পরে লিকুইড এ পণ্য মোংলা বন্দর খালাস করে ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেডে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দর থেকে চিটাগুড় পরিবহনে প্রথমবারের মতো আসে পণ্যবাহী ট্রেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে পণ্যবোঝাই করে শুক্রবার সকালে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
২৯ দিন আগে
বছরের শুরুতেই মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজের চাপ
সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলায় বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন বছরের প্রথম ১০ দিনে বন্দরে ভিড়েছে মোট ২৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ। এতে করে ব্যস্ত সময় পার করছেন বন্দরের শ্রমিক-কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রুপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের মালামাল নিয়ে দুটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। এর ফলে বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে বর্তমানে ১৮টি জাহাজ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, সাড়ে ৭ মিটার গভীরতা ও ১৪২ দশমিক ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের বারমুডার পতাকাবাহী এমভি পাকান্ডা অ্যান্টিগা নামের একটি জাহাজ বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। জাহাজটিতে ১৯০টি টিউজ কন্টেইনার রয়েছে।
এছাড়া ২০৭টি টিউজ নিয়ে মার্কস ঢাকা নামে আরও একটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ ৮ নম্বর জেটিতে ভেড়ার কথা রয়েছে। পানামার পতাকাবাহী এই জাহাজটি ১৮৬ মিটার বিশাল দীর্ঘ ও ৭ দশমিক ১০ মিটার গভীর।
পাশাপাশি রাশিয়ার পতাকাবাহী এমভি মেলিনা নামের একটি জাহাজ রুপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের জেনারেল কার্গো (মেশিনারি) বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দরের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, ২০২৫ সালের শুরুতে মোংলা বন্দরে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বেড়েছে। বর্তমানে বন্দরের পশুর চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে ১৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। এসব জাহাজে কয়লা, সার (জিপসাম, ড্যাপ, টিএসপি ও এমওপি), ক্লিংকার, এলপিজি ও পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে আরও জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে মোংলা বন্দর মোট ৪১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ আসে। এ সময়ে ১০ হাজার ৩৮৬টি টিউজ কন্টেইনার খালাস করা হয়।
প্রথম ছয় মাসে গাড়ি বহনকারী ১০টি জাহাজ থেকে ৫ হাজার ৬৩৭টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। এই সময়ে বন্দর দিয়ে সর্বমোট আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭১ টন পণ্য, যা থেকে ২১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪-এ মোংলা বন্দরে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমনের ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, কার্গো ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, কন্টেইনারবাহী জাহাজ ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং গাড়ির ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
৭২ দিন আগে
২ বছরের মধ্যে মোংলা বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের পুরোনো মোংলা বন্দরে উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এই বন্দরে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য যেভাবে তৈরি হবার কথা, তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি এই বন্দর।
মোংলা বন্দরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যান্ডিংয়ের আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সকালে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মোংলা বন্দরকে নিয়ে বেশি বেশি প্রচার-প্রচারণার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দর এতদিন প্রচারের বাইরে ছিল। আপনারা যদি এই বন্দরকে নিয়ে প্রচারণা করেন, তাহলে এটি দেশ-বিদেশে আরও অনেক বেশি পরিচিতি লাভ করবে।
তিনি আরও বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রচারণার পদক্ষেপ হিসেবে প্রচারপত্র তৈরি করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রচারপত্র তারা আমাদের দেশের বাইরে যে কূটনৈতিক মিশন রয়েছে, সেখানেও পাঠাবে। এছাড়া, মোংলা বন্দরকে দেশে বিদেশে তুলে ধরার লক্ষ্যে চলতি মাসে (নভেম্বর) টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে ‘ইত্যাদি’ মোংলা বন্দরে ধারণ করা হবে।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নেই। আশা করছি অতি সত্তর একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। চীনের অর্থায়নে জি টু জি পদ্ধতিতে একটি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হবে। এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো খরচটাকে কিভাবে কমানো যায় এ বিষয়ে কমিটি কাজ করেছে। বাংলাদেশে বোধহয় এটি প্রথম যেখানে চুক্তি হবার পরও পুরো বাজেটকে কম করা হয়েছে। প্রায় ২৭৫ কোটির মতো বাজেট কমিয়ে আনা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ একটি কমিটি ৭ দিন ধরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। দুইটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ এবং কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আশাকরি দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর যে বিশাল চাপ রয়েছে, তা কমে আসবে। বর্তমান বিশ্বে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি খুব দরকার। এ জন্য মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। প্রতিবেশী ল্যান্ড-লকড দেশ যেমন নেপাল, ভুটান তাদের জন্য এই বন্দর ব্যবহারের উপযোগী হবে। এখানে রেল, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বন্দর হিসেবে ব্যবহার করার বিষয় আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুটি স্থলবন্দর যা আঞ্চলিক সংযোগের জন্য তৈরি হচ্ছে, একটি আখাউড়া আরেকটি সিলেটে। সিলেটে যেটি হবে সেটা নেপাল ও ভুটানের কাছাকাছি। আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের ওপর নির্ভর করবে যে তারা এই স্থলবন্দরটিকে ব্যবহার করতে দেবে কিনা। আমি আশা করি, তারাও চাইবে এই আঞ্চলিক সংযোগটি যেন হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ভারতের অর্থায়নে আরেকটি প্রকল্প আছে যেটি এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। দুইটি ইয়ার্ড ও আনুষঙ্গিক রাস্তা তৈরি হবে। ভারত এ প্রকল্পে কনসাল্টটেন্ট নিয়োগ করলেও ঠিকাদার নিয়োগ করেনি, তাই কার্যক্রম শুরু হয়নি। আশা করি চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরের বর্তমান অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
মোংলা বন্দরের বেশ কিছু জায়গা আছে অব্যবহৃত, এই অব্যবহৃত জায়গাগুলো কাজে লাগাতে চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইকোপার্ক তৈরি করা হলে দেশি-বিদেশি পর্যটক এখানে ঘুরতে আসবে।
এছাড়া মোংলা বন্দরের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
উপদেষ্টা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং কাজের মান ও অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। চলমান সকল প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন। পরিদর্শনকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান এবং বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৩৭ দিন আগে
মোংলা বন্দরে পড়ে থাকা ১০৭টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে
খুলনার মোংলা বন্দরে জাপান থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্রান্ডের ১০৭ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে।
বুধবার (৫ জুন) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে কেউ নিবন্ধন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে সোমবার (৩ জুন) মোংলা কাস্টমস হাউসের ওয়েবসাইটে নিলামের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ করা হয়। এসময় গাড়ি ছাড়াও কিছু গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য পণ্যের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: হোন্ডার বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিনিয়োগ ঘোষণা, লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাজার
নিলামে ওঠা এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে- নিশান, পাজারো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, অ্যাকুয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিল্টার, হাইয়েচ, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্স। নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে রয়েছে ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ ও ২২ সালের বিভিন্ন মডেল।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী বলেন, ‘২০০৯ সালের ৩ জুন জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয়। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৯টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে, যা মোট আমদানি গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।’
মোংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেনি। আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়ার পরও ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি। গাড়ির নিলামে অনলাইনে বিড করা যাবে। এরপর নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়িকে টক্কর দিতে চীনা কোম্পানির নতুন ব্র্যান্ড
২৯১ দিন আগে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৯,৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় নোঙর করে ওই বাণিজ্যিক জাহাজটি। ইতোমধ্যে জাহাজের কয়লা খালাস শুরু হয়েছে।
এর আগে ১৫ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫৩ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে জাহাজটি। পরে চট্রগ্রাম বন্দরে ২৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে। অবশিষ্ট ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে জাহাজটি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক (খুলনা) খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, সকালে নোঙর করা জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস শেষে লাইটার জাহাজে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হবে।
এর আগে গেল ২৮ আগস্ট রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩০ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল পানামা পতাকাবাহী আরেক বাণিজ্যিক জাহাজ।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৪ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে মাতারবাড়ীতে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
৫৬০ দিন আগে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসা চীনের পতাকাবাহী এমভি জে হ্যায়-৫২৬ নামের জাহাজটি শনিবার ভোরে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় নোঙর করে।
জাহাজটিতে ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটি থেকে ওই জাহাজের কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। খালাস কয়লা লাইটারেজ জাহাজে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
এমভি জে হ্যায়-৫২৬ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে জাহাজটি গত ২৭ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজটি শনিবার ভোর ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে নোঙর করে। জাহাজটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমাদানি করা কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ চলতি মাসের শেষের দিকে মোংলা বন্দরে ভিড়বে।
জানা গেছে, এর আগে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২৯ মে এমভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলা বন্দরে আসে। পরে ওই জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বাগেরহাটের রামপালে কয়রাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড।
এদিকে কয়লা সংকটের কারণে ৯ জুন থেকে পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এই দু:সংবাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি কয়লা নিয়ে জাহাজ মোংলায় আসায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য অনেকটা সুখবর বয়ে এনেছে বলে জানাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
৬৫২ দিন আগে
রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
দেশে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে রাশিয়া থেকে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এমভি আনকা স্কাই নামে ভ্যানুয়াটি পতাকাবাহী জাহাজটি বন্দরের ৮নং জেটিতে নোঙ্গর করে।
জাহাজটিতে ৩৩৯ প্যাকেজ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারেনি রুশ জাহাজ
এমভি আনকা স্কাই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনেভেয়ার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার অপারেশন (শিপিং) সাধন কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, গত ২৮ এপ্রিল ৩৩৯ প্যাকেজের রাশিয়ার নোভরোসিস্ক বন্দর থেকে এক হাজার ১৪৯ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে জাহাজটি ছেড়ে আসে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এই পণ্য আনা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামো নির্মাণ, ইলেকট্রিক্যাল ও মেশিনারি বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। এই মালামাল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিপোতে নেওয়া হবে।
জাহাজ থেকে এসব পণ্য খালাস করে আপাত বন্দরের জেটিতে রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, এর আগে ৬ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে এমভি আনকা সান নামে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। আর ২৫ এপ্রিল এমভি ইয়ামাল অরনাল নামে অপর একটি জাহাজ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে।
তার আগে এমভি ড্রাগনবল ও এমভি কামিল্লা নামে জাহাজ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। ধারাবাহিকভাবে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়ছে।
এছাড়া আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়া থেকে আরও একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়বে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ
মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
৬৬৪ দিন আগে
মোংলা বন্দরে ড্রেজার থেকে নদীতে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে একটি ড্রেজারে কাজ করা সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নদীতে পড়ে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বন্দরের ৫ নম্বর জেটি–সংলগ্ন পশুর নদে শনিবার বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ড্রেজারের পাখায় জড়ানো অবস্থায় ওই লাশটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
নিহত নাঈম দেওয়ান (২৮) নামের ওই শ্রমিকের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে সারবোঝাই কার্গো জাহাজডুবি
মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আরদেশ আলী বলেন, বন্দরের জেটিতে ভাড়ায় নিয়োজিত এ জেড কোম্পানির ‘সিএসডি বোখারি’ নামের একটি ড্রেজারে শ্রমিকের কাজ করতেন নাঈম। বিকালে ড্রেজারের পাখা পরিষ্কার করছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ পাখা খুলে তাঁর শরীরের ওপর পড়ে। পাখার আঘাতে তিনি পানিতে পড়ে যান। এরপর অনেক খোঁজ চালিয়েও নাঈমকে না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ড্রেজারের পাখায় জড়ানো অবস্থায় নাঈমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ড্রেজারের শ্রমিকের মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যপারে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে লাইটার জাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ৩
মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের আরও ৪ ইঞ্জিন, ৮ কোচ
৭৩৫ দিন আগে