মোংলা বন্দর
মোংলা বন্দরে পড়ে থাকা ১০৭টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে
খুলনার মোংলা বন্দরে জাপান থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্রান্ডের ১০৭ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে।
বুধবার (৫ জুন) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে কেউ নিবন্ধন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে সোমবার (৩ জুন) মোংলা কাস্টমস হাউসের ওয়েবসাইটে নিলামের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ করা হয়। এসময় গাড়ি ছাড়াও কিছু গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য পণ্যের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: হোন্ডার বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিনিয়োগ ঘোষণা, লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাজার
নিলামে ওঠা এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে- নিশান, পাজারো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, অ্যাকুয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিল্টার, হাইয়েচ, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্স। নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে রয়েছে ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ ও ২২ সালের বিভিন্ন মডেল।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী বলেন, ‘২০০৯ সালের ৩ জুন জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয়। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৯টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে, যা মোট আমদানি গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।’
মোংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেনি। আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়ার পরও ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি। গাড়ির নিলামে অনলাইনে বিড করা যাবে। এরপর নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়িকে টক্কর দিতে চীনা কোম্পানির নতুন ব্র্যান্ড
৪ মাস আগে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৯,৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় নোঙর করে ওই বাণিজ্যিক জাহাজটি। ইতোমধ্যে জাহাজের কয়লা খালাস শুরু হয়েছে।
এর আগে ১৫ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫৩ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে জাহাজটি। পরে চট্রগ্রাম বন্দরে ২৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে। অবশিষ্ট ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে জাহাজটি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক (খুলনা) খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, সকালে নোঙর করা জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস শেষে লাইটার জাহাজে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হবে।
এর আগে গেল ২৮ আগস্ট রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩০ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল পানামা পতাকাবাহী আরেক বাণিজ্যিক জাহাজ।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৪ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে মাতারবাড়ীতে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
১ বছর আগে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসা চীনের পতাকাবাহী এমভি জে হ্যায়-৫২৬ নামের জাহাজটি শনিবার ভোরে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় নোঙর করে।
জাহাজটিতে ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটি থেকে ওই জাহাজের কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। খালাস কয়লা লাইটারেজ জাহাজে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
এমভি জে হ্যায়-৫২৬ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে জাহাজটি গত ২৭ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজটি শনিবার ভোর ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে নোঙর করে। জাহাজটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমাদানি করা কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ চলতি মাসের শেষের দিকে মোংলা বন্দরে ভিড়বে।
জানা গেছে, এর আগে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২৯ মে এমভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলা বন্দরে আসে। পরে ওই জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বাগেরহাটের রামপালে কয়রাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড।
এদিকে কয়লা সংকটের কারণে ৯ জুন থেকে পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এই দু:সংবাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি কয়লা নিয়ে জাহাজ মোংলায় আসায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য অনেকটা সুখবর বয়ে এনেছে বলে জানাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
১ বছর আগে
রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
দেশে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে রাশিয়া থেকে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এমভি আনকা স্কাই নামে ভ্যানুয়াটি পতাকাবাহী জাহাজটি বন্দরের ৮নং জেটিতে নোঙ্গর করে।
জাহাজটিতে ৩৩৯ প্যাকেজ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারেনি রুশ জাহাজ
এমভি আনকা স্কাই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনেভেয়ার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার অপারেশন (শিপিং) সাধন কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, গত ২৮ এপ্রিল ৩৩৯ প্যাকেজের রাশিয়ার নোভরোসিস্ক বন্দর থেকে এক হাজার ১৪৯ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে জাহাজটি ছেড়ে আসে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এই পণ্য আনা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামো নির্মাণ, ইলেকট্রিক্যাল ও মেশিনারি বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। এই মালামাল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিপোতে নেওয়া হবে।
জাহাজ থেকে এসব পণ্য খালাস করে আপাত বন্দরের জেটিতে রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, এর আগে ৬ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে এমভি আনকা সান নামে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। আর ২৫ এপ্রিল এমভি ইয়ামাল অরনাল নামে অপর একটি জাহাজ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে।
তার আগে এমভি ড্রাগনবল ও এমভি কামিল্লা নামে জাহাজ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। ধারাবাহিকভাবে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়ছে।
এছাড়া আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়া থেকে আরও একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়বে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ
মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
১ বছর আগে
মোংলা বন্দরে ড্রেজার থেকে নদীতে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে একটি ড্রেজারে কাজ করা সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নদীতে পড়ে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বন্দরের ৫ নম্বর জেটি–সংলগ্ন পশুর নদে শনিবার বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ড্রেজারের পাখায় জড়ানো অবস্থায় ওই লাশটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
নিহত নাঈম দেওয়ান (২৮) নামের ওই শ্রমিকের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে সারবোঝাই কার্গো জাহাজডুবি
মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আরদেশ আলী বলেন, বন্দরের জেটিতে ভাড়ায় নিয়োজিত এ জেড কোম্পানির ‘সিএসডি বোখারি’ নামের একটি ড্রেজারে শ্রমিকের কাজ করতেন নাঈম। বিকালে ড্রেজারের পাখা পরিষ্কার করছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ পাখা খুলে তাঁর শরীরের ওপর পড়ে। পাখার আঘাতে তিনি পানিতে পড়ে যান। এরপর অনেক খোঁজ চালিয়েও নাঈমকে না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ড্রেজারের পাখায় জড়ানো অবস্থায় নাঈমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ড্রেজারের শ্রমিকের মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যপারে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে লাইটার জাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ৩
মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের আরও ৪ ইঞ্জিন, ৮ কোচ
১ বছর আগে
মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মালামাল নিয়ে আরও একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। পানামা পতাকাবাহী এমভি মারস নামে ওই জাহাজটি শুক্রবার দুপুরে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙর ফেলে।
জাহাজটিতে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর জন্য ১৯৩ প্যাকেজে এক হাজার ৫১৯ মেট্রিকটন সেতুর মুল অবকাঠামোর মালামাল রয়েছে। এখন ওই জাহাজ থেকে মালামাল খালাসের কাজ চলছে।
এমভি মারস জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হক এন্ড সন্স লিমিটেডের খুলনার অপারেশন ম্যানেজার (শিপিং বিভাগ) শওকত আলী সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মুল অবকাঠামো তৈরির মালামাল নিয়ে জাহাজটি ১৬ জানুয়ারি ভিয়েতনামের হাইপোং বন্দর থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। শুক্রবার দুপুরে জাহাজটি মোংলা বন্দরে নোঙর ফেলে। জাহাজটিতে সেতুর জন্য ১৯৩ প্যাকেজে এক হাজার ৫১৯ মেট্রিক টন মালামাল রয়েছে। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
তিনি আরও বলেন, এরপর মালামাল নৌযানে করে মোংলা থেকে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর জেটিতে নেয়া হবে। এনিয়ে পঞ্চম বারের মতো বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মালামাল নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহিন মজিদ জানান,জাহাজ থেকে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর মালামাল খালাস কাজ চলছে। রবিবারের মধ্যে খালাস কাজ শেষ হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর সেতুর মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ শিগগিরই মোংলা বন্দরে ভিড়বে।
প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, দেশে চলমান বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ প্রায় প্রতি মাসে মোংলা বন্দরে ভিড়ছে। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করার পর মোংলা থেকে প্রকল্প এলাকায় নেয়া হচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ ব্যবহারকারীরা মোংলা বন্দর ব্যবহার করছে। মোংলা বন্দরে ফিরে এসেছে কর্মচঞ্চলতা।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারেনি রুশ জাহাজ
মেট্রোরেলের মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে
১ বছর আগে
মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন মেশিনারি পণ্য নিয়ে তিনটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
বিদেশ থেকে আমদানি করা মালামাল নিয়ে জাহাজ তিনটি রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দরের জেটিতে নোঙর করে।
ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে মালামাল খালাস কাজ শুরু হয়েছে।
বন্দর সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর তিন হাজার ৩৫২ দশমিক ৩৮৯ মেট্রিকটন স্টিল পাইপ নিয়ে পানামা পতাকাবাহী এমভি কি শিয়া সান নামে জাহাজটি রবিবার সকালে বন্দরের সাত নম্বর জেটিতে নোঙর করে।
একই সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য চার হাজার ৭১৬ দশমিক ০২৬ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে পানামা পতাকাবাহী লিবার্টি হারভেস্ট নামে অপর একটি জাহাজ বন্দরের আট-নং জেটিতে ভিড়েছে।
এদিন দুপুরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরও তিন হাজার ৬৩৩ মেট্রিকটন পণ্য নিয়ে রুশ পতাকাবাহী এমভি কামিল্লা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্য নিয়ে আসা জাহাজ লির্বাটি হারভেস্ট এর শিপিং এজেন্ট অবিরত এজেন্সির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আট-নং জেটিতে নোঙর করা জাহাজ থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পণ্য খালাস কাজ শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুভেচ্ছা সফরে দেশে এলো যুক্তরাজ্যের রাজকীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ
১ বছর আগে
মেট্রোরেলের মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে
মেট্রোরেলের মালামাল নিয়ে আরও একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
এসপিএম ব্যাংকক নামে ওই বিদেশি জাহাজটি রবিবার বিকালে বন্দরের ৭নং জেটিতে নোঙর করে।
জাহাজটিতে মেট্রোরেলের চারটি ইঞ্জিন, আটটি রেলের কোচ, ৪০৬টি প্যাকেজে মেশিনারি এবং ইলেকট্রিক্যাল পণ্য রয়েছে।
জাপান থেকে আমদানি করা মেট্রোরেলের এটি ১৩তম চালান বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় চালান মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে
এসপিএম ব্যাংকক জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েট স্টিম শীপ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের জনান, ৫ নভেম্বর জাপানের কোবে বন্দর থেকে মেট্রোরেলের মালামাল নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
রবিবার বিকাল ৩টায় এসপিএম ব্যাংকক নামে জাহাজটি বন্দরের জেটিতে নোঙর করেছে। জাহাজটিতে মেট্রোরেলের চারটি ইঞ্জিন, আটটি রেলের কোচ, ৪০৬টি প্যাকেজে আনুষাঙ্গিক মেশিনারি এবং ইলেকট্রিক্যাল পণ্য রয়েছে।
জাহাজটি জেটিতে নোঙর করার পর খালাস কাজ শুরু করা হয়। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করে নদী পথে নৌযানে করে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোতে নেয়া হবে।
ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান আরও জানান, এপর্যন্ত ১৩টি চালানে মেট্রোরেলের ১৫২টি কোচ এবং ১২০টি ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন মালামাল আমাদানি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাকি কোচ এবং ইঞ্জিনসহ মালামাল আমাদানি করে মোংলা বন্দরে খালাস করে নৌযানে করে ঢাকায় মেট্রোরেলের ডিপোতে নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ২১
ট্রানজিট: চূড়ান্ত পর্যায়ে চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর হয়ে ভারতীয় পণ্যের নিয়মিত চলাচল
১ বছর আগে
মোংলা বন্দরে ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ২১
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে সোমবার মোংলা বন্দরে একটি ট্রলার ডুবে এক জেলে নিখোঁজ ও ২১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, নিখোঁজ জেলে ভোলার মো. নয়ন (২৮)।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঝড়ের সময় প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয় এলাকায় ‘এফবি আমরাফুল ইসলাম সাদ’ নামের ট্রলারটি ডুবে যায়।
মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী ‘ভেগা ষ্টেন্ডান্ট’ বিদেশি জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের মো. রিয়াজ বলেন, ঝড়ের কবলে পড়া উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ফেয়ারওয়েতে ফিশিং বোট ডুবে যায়। এ দৃশ্য দেখে ওই বিদেশি জাহাজের নাবিকরা তাৎক্ষণিক ২১ জেলেকে উদ্ধার করে।
হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহিন বলেন, উদ্ধার হওয়া জেলেদের সবাই ভোলার মনপুরা এলাকার এবং জাহাজ থেকে পাইলট বোটের মাধ্যমে তাদের মোংলা বন্দরে আনা হবে।
পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল সচল
২ বছর আগে
বঙ্গোপসাগর উত্তাল: নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছেন জেলেরা
চার দিন যেতে না যেতেই আবারও বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর, বন্দর চ্যানেল ও নদী উত্তাল রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মোংলা বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকায় গরমের তাপদাহ কমছে না। সাগর ও সুন্দরবন উপকূলের প্রচণ্ড বাতাস ও দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এমন আবহাওয়ার মধ্যে সাগরে মাছ শিকারে নামতে পারছে না জেলেরা।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার জানান, শুক্রবার রাত থেকে দুবলার চরে ঝড় হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাতও রয়েছে। শনিবার ভোর থেকে ঝড়-বৃষ্টি বাড়ছে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা দুবলার চরে আশ্রয় নিয়েছেন। চরের ভেদাখালী খালে ৫৪টি ট্রলার নিরাপদে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে, বৈরী আবহাওয়ায় সকাল থেকে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তাছাড়া নিম্নচাপের প্রভাবে খুলনায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও ঝড়ো হওয়া বিদ্যমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: কক্সবাজারে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা
বন্দর সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন যাবত প্রচণ্ড তাপদাহে মোংলা বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গত ১৩ আগস্ট সাগরে নিম্নচাপ কমে গেলে এরপর তিন দিন প্রখর রোদে কাজ করতে বিপাকে পড়তে হয়েছে দিন মজুরদের। এখন আবার বৈরী অবহাওয়ায়ও দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মে।
বৈরী আবহাওয়া আর টানা বৃষ্টিতে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া দুর্যোগপূর্ণ ও বৈরী আবহাওয়া শনিবার পার্যন্ত বিরাজ করছে। মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূল জুড়ে একাটানা ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
মোংলা বন্দর বার্থ শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, বৃষ্টিপাত হলে জাহাজের পণ্যের সুরক্ষায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। জাহাজের ওপরের ঢাকনা খোলা থাকলে বৃষ্টিতে মালামালের ক্ষয়ক্ষতিসহ জাহাজের অভ্যন্তরে পানি জমে। তাই বৃষ্টির সময় কাজ বন্ধ থাকছে, কমলে আবার শুরু হচ্ছে, এভাবেই কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ওয়াদুদ তরফদার বলেন, আমরা আবহাওয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, বন্দরের কাজ কর্মও চলছে। আবহাওয়ার গতিবিধি বুঝে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে