বুদ্ধিজীবী
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি: হাছান মাহমুদ
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যখন আসন্ন, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী তখন উপলব্ধি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে। তাই জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যেই ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। তবে তাদের হত্যা করেও বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে তারা তাদের লেখনী, বক্তব্যের মাধ্যমে ও নানাভাবে কাজ করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫২ বছরের বেশি সময়ের এই পথ চলায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা আশ্রয়ী রাজনীতি, জ্বালাও-পোড়াও ও ধংসাত্মক রাজনীতি না থাকত আমরা বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন এতদিনে বাস্তবায়ন করতে পারতাম।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে; সেই জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে। এই অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকত, দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি এবং সারাবিশ্ব এই দেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অথচ দুঃখের বিষয় এখনও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা যখন বিচারের ঘোষণা দিলাম তখন অনেকেই ভেবেছে এই বিচার হবে না। বিচার কার্যক্রম শুরুর পরও অনেকেই ভেবেছে কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হবে না। আবার রায় হওয়ার পরেও অনেকে ভেবেছিল রায় হলেও বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু এবং অনেক চাপকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন এবং বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
জাতিকে দেউলিয়া ও মেধা শূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে: আইইবি নেতারা
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) নেতারা বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে বাংলাদেশ হারিয়েছে সূর্যসন্তানদের। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে৷
তারা আরও বলেন, জাতিকে দেউলিয়া ও মেধা শূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। দেশকে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, গবেষক শূন্য করতে চেয়েছিল তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান আইইবি’র পক্ষ থেকে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর এসব কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন: আর যেন ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি না হয়: আইইবি নেতারা
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ১৪ ডিসেম্বরে হারানো সূর্যসন্তানদের ক্ষতি পূরণ হয় নাই৷ হবেও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতি এখনো সেই শোক ভুলতে পারেনি। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ষড়যন্ত্র করে সেই গতি থামানো যাবে না।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুখ্যপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যারা ঘটিয়েছিল তারা এখনো দেশে নানান ষড়যন্ত্র করছে। এখনো তারা চায় দেশ দেউলিয়া ও মেধাশূন্য হয়ে যাক। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়৷ তাদের এই ষড়যন্ত্রকে ধূলিসাৎ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা সফল হবেন।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এদেশে তাদের দোসরেরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করতেই ১৪ ডিসেম্বর ঘটিয়েছে। নির্মমভাবে হত্যা করে দেশের সূর্য সন্তানদের। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো হয়নি। দ্রুতই বিচার নিশ্চিত করে আগামীতে যেন এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেই দাবি জানাই।’
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী, আইইবি ঢাকা সেন্টারের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নজরুল ইসলামসহ আইইবি’র বিভিন্ন বিভাগ ও সেন্টারের প্রকৌশলী নেতারা৷
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া, মিলাদ এবং মোমবাতি প্রজ্বলনসসহ নানান কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন: কর্মহীন ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে আইইবি ও এএবিইএ এর অর্থ প্রদান
১১ মাস আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল নির্বাচিত
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও সেমিনার, মিট দ্য প্রেস এবং আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।
আলোচনা অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা।
বক্তারা বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তারা বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং সাম্প্রদায়িকতা রুখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশ নির্মাণের তাগিদ আজ জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যে কোনো মূল্যে সমুন্নত রাখতে হবে। আজ কেন সাম্প্রদায়িকতা বাড়ছে, কেন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে সে প্রশ্ন করার সময় হয়েছে।
তিনি বলেন, কখনো কখনো সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ থাকে না, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, সার্বভৌমত্বের প্রয়োজনে, অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে পক্ষ নিতে হয়। অন্যদিকে গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকে না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্মান জানাতে হলে আজ আমাদের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিপক্ষে কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নের স্বার্থে, সুস্থ রাজনীতির স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাবের, শহীদুল্লাহ কায়সার ও শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিকদের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বেছে বেছে সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন আলোচকরা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম ও বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, মো. আশরাফ আলী, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, শাহনাজ বেগম পলি।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার দিবসে প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
১১ মাস আগে
সরকারকে হটিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিবন্ধকতার ৫১ বছর পরও আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
বুধবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র, ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠা। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাদের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এই সরকারকে অপসারণ করতে হবে। আমরা সমগ্র দেশের জনগণ সঙ্গে নিয়ে এই শাসককে উৎখাত করতে প্রস্তুত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই বলপ্রয়োগ করে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা ২০১৪ সালে ভোট ছাড়াই সংসদ গঠন করেছিল এবং ২০১৮ সালে তারা রাতে ভোট দেয়। তারা এখন আবারও দেশে একটি একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য ১০ দফা দাবি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের দল ক্ষমতায় এলে কীভাবে দেশ মেরামত করবে তার একটি রূপরেখাও তারা উপস্থাপন করবেন। ‘আসুন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সেই রূপরেখা এবং ১০ দফা নিয়ে এগিয়ে যাই। দেশকে দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার এই দিনে আমরা শপথ নিই।’
মোশাররফ বলেন, লাখ লাখ মানুষ সারাদেশে তাদের দলের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে বার্তা দেয় যে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতি ও বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে এবং সমাজকে কলুষিত করেছে তারা রাষ্ট্রকে মেরামত করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা এবং জনগণ যে পরিবর্তন চায় তা আনার দায়িত্ব এখন বিএনপি, সব জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির।’
এর আগে সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান খন্দকার মোশাররফসহ দলের সিনিয়র নেতারা।
পরে দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় তুলে নিয়ে যায়।
এ উপলক্ষে সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
১ বছর আগে
‘তারা বুদ্ধিজীবী নয়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ‘আল্লাহর রহমতে আমরা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি না। প্রতিটি ব্যাংকে টাকা আছে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক চতুর্থাংশ স্বার্থান্বেষী মহল মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
তিনি বলেন, আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তৈরি করেছি, কিন্তু তারা আমাদের বিরুদ্ধে এটি ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
বুদ্ধিজীবী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একটি অংশ, যারা ‘সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদেরকে গণতন্ত্র নিয়ে তত্ত্ব ও উপদেশ দিচ্ছেন… অনেকে বলছেন যে তারা বুদ্ধিজীবী নন, বরং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।’
তিনি বলেন, ওই বুদ্ধিজীবীরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, মানি লন্ডারিং এবং অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তাদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, কেন এই ধরনের অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করার চেষ্টা?’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘ভোটারবিহীন’ নির্বাচন করার জন্য খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল।
ওই একতরফা নির্বাচনের পর জনগণের আন্দোলনের মুখে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ছাত্রলীগের কর্মীসহ শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান, যাতে তারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অবদান রাখতে পারে।
রাজাকার, আলবদরসহ খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধীরা যাতে কোনও দিন দেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জনমত গড়ে তুলতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষাসহ তাদের পড়াশুনা যথাযথভাবে চালিয়ে যেতে এবং পিএসসি’র পরীক্ষায় বসতে বলেন, কারণ দেশ পরিচালনার জন্য একটি দক্ষ প্রশাসন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি দরকার আছে।একই সঙ্গে আমাদের দক্ষ প্রশাসন ও কারিগরি শিক্ষা দরকার।’ প্রতিটি জাতীয় সংকটের সময়, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারি এবং সিলেট অঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যায় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
১ বছর আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দেশের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই রাতে স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় ঢাকার শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তুলে নিয়ে যায়।
বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় গণহত্যা চালানো হয়।
এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে দেশ
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ
২ বছর আগে
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে দেশ
মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
১৯৭১ সালের এ দিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য মেধাবী ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। পরে তাদের মরদেহ রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সারাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ঠাণ্ডা মাথায় এ গণহত্যা চালায়। তাদের উদ্দেশ ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যাতে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।
আরও পড়ুন: শাবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. ডালিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ডা. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন, সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সান্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান, এএনএম গোলাম মুস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক ও সেলিনা পারভিন।
২ বছর আগে
প্রণব মুখার্জী আগামী প্রজন্মের অনুপ্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীকে অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তাঁর মৃত্যু এই উপমহাদেশের বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক অঙ্গণে শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। তিনি আমাদের অঞ্চলের আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশের প্রতি তাঁর সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য আমরা তাকে স্মরণ করব।’
মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ‘প্রণব মুখার্জি লিগ্যাসি ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত প্রথম প্রণব মুখার্জি স্মারক বক্তব্য (ভার্চুয়াল) উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক নিয়ে প্রয়াত প্রণব মুখার্জির অনুরাগী স্মৃতিচারণ
প্রণব মুখার্জি ছাড়া এক বছর পার করা কঠিন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু এবং উপমহাদেশের একজন মহান রাজনৈতিক আইকন। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে এই মহান ব্যক্তিত্বের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান কখনও ভোলার নয়।’
শেখ হাসিনা স্মরণ করেন, একজন তরুণ সাংসদ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য ১৯৭১ সালের জুন মাসে রাজ্যসভায় একটি প্রস্তাব সমর্থন করার জন্য সাহসী উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রণব মুখার্জির মৃত্যু: শোক বইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার সাথে তার সমর্থনের কথা মনে রেখেছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি প্রণব মুখার্জির অসীম ও গভীর শ্রদ্ধা ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁর অসাধারণ গুণগুলো তাকে দেশের প্রথম নাগরিক এবং ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি হতে সাহায্য করেছিল।’
আরও পড়ুন: প্রণব মুখার্জির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শেষ শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির সাথে আমার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং খুব প্রিয় স্মৃতি রয়েছে। প্রণব দাদা ও শুভ্রা দিদির আমার ও আমার বোন রেহানার প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার বাবা -মা এবং পরিবারের অন্যান্য ১৮ জনকে হত্যার পর ভারতে আমাদের কঠিন দিনগুলোতে তারা আমাদের অভিভাবক এবং পারিবারিক বন্ধু হিসেবে আমাদের পাশে ছিলেন।
৩ বছর আগে
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ
প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার বিকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলন এ তালিকা প্রকাশ করেন।
এই প্রকাশিত তালিকা আজকেই মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার আবাসন নির্মাণ করবে সরকার
মন্ত্রী বলেন, আরও যাচাই বাছাই এবং আপিল শুনানি শেষে ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে যাচাই বাছাইধীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা পরের ধাপ ৩০ জুন প্রকাশ করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গ্যাজেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা আবেদন করতে পারবে না। যারা আগে আবেদন করে রেখেছেন তারা শুধু রিভিউ ও আপিল করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণশহীদদের কীভাবে সম্মানিত করা যায় সেটা আমরা ভাবছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা গ্যাজেট তালিকা ইতোমধ্যেই বাতিল কার হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বেড়ে হবে ২০ হাজার টাকা: প্রধানমন্ত্রী
‘সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের গ্যাজেট প্রকাশটা বিতর্কিত ছিল। তবে তাদের ভাতা এখনও চালু আছে। বাহিনীর মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কারা যাচাই বাছাই চলছে। আমাদের ধারণা ৮-১০ হাজার সঠিক মুক্তিযাদ্ধা হবে এবং ৫-৭ হাজার কোন যুদ্ধই করেনি,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকাশিত তালিকায় যদি কারও কোন তথ্যে মিল না থাকে তাহলে ভাতা পেতে বিভ্রান্ত হতে পারে। সেজন্য আমরা একবছর যাচাই বাছাই করেছি। শতবাগ নির্ভুল করার জন্য সময় নিয়েছি। তারপরও ভুল থাকতে পারে। তবে সেই ভুল তেমন বড় কোন কিছু হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৫ জনের নাম প্রকাশ করা হল। বাকিদের যাচাই বাছাই করে মোট ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হবে না।’
তালিকায় জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোস্তাকের নাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোস্তাকের নামসহ এই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আছে। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কিন্তু অপকর্মসহ যেমন বঙ্গবন্ধুর খুনের সহযোগিতা ও খুনি হিসেবে তাদের নামের পাশে তাদের কর্ম উল্লেখ থাকবে।
‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটি যার যার অর্জন। সেটা কেউ বাতিল করতে পারবে না। তবে তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে। খেতাবটা একটি সম্মান। সেটি যেকোন সরকার সম্মান দিতে পারেন, আবার চাইলে যেকোন অপারাধের জন্য ফিরিয়ে আনতে পারেন,’ বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নাম বাদ, শোকেই মৃত্যু
৩ বছর আগে
একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক মুজিবর রহমান মারা গেছেন
বার্ধক্যজনিত কারণে একুশে পদকপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মুজিবর রহমান দেবদাস সোমবার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
৪ বছর আগে