ইফাদ
কৃষি ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর রূপান্তরে বাংলাদেশের 'অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা' রয়েছে: ইফাদ
বাংলাদেশে ইফাদের নবনিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ভ্যালান্টাইন আচানচো বলেছেন, কৃষি ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর রূপান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের 'অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা' রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি সরকার, আমাদের অংশীদার ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের কৃষি ব্যবস্থা জোরদার করতে এবং দেশজুড়ে জীবনযাত্রার উন্নতিতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি এবং ক্ষুদ্র চাষিদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সাফল্য অর্জনে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পারি।’
সম্প্রতি পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাছে তার পরিচয়পত্র উপস্থাপন করার সময় আচানচো এসব কথা বলেন।
আচানচো বলেন, কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, গ্রামীণ আয় বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র কৃষক, নারী ও যুবকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)।
ইফাদ একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএফএডি জানায়, বাংলাদেশে আসার আগে আচানচো ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি নাইজার, বুরকিনো ফাঁসো ও চাদে একই পদে কাজ কাজ করেছেন।
তিনি ক্যামেরুন ও গ্যাবনে ইফাদের কান্ট্রি প্রোগ্রাম অফিসার এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সাহেল ও কঙ্গো অববাহিকায় গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে অবদান রেখেছেন। সহ-অর্থায়ন জোরদার করেছেন এবং গ্রামীণ জীবনযাত্রার উন্নয়নে সরকার, দাতা ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে অংশীদারত্ব জোরদার করেছেন বৈশ্বিক সংস্থাটির এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে তার নতুন দায়িত্বে আচানচো জাতীয় সরকারের অবকাঠামো কর্মসূচি এবং জলবায়ু-স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা জোরদার করার পাশাপাশি অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে কাজ করবেন। এছাড়া গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্র কৃষক এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য অর্থ, প্রযুক্তি এবং বাজারের সুবিধা বাড়াতে কাজ করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা ইফাদ প্রেসিডেন্টের
আচানচো বলেন, ‘আমি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন, তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সহনশীলতার জন্য টেকসই জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তুলতে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে নিবেদিত।’
২০১১ সালে ইফাদে যোগদানের আগে আচানচো কৃষকদের পেশাদার সংগঠন এবং সমবায় আন্দোলনের উপপরিচালক এবং ক্যামেরুনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য বিশ্লেষণ এবং কৃষি নীতির দায়িত্বে জেষ্ঠ প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন।
এর আগে তিনি এএফডির অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে জাতীয় সমন্বয়কারী, ক্যামেরুনের ডিসচ্যাং বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞান অনুষদের ভিজিটিং লেকচারার এবং আইএফএডি, ওয়ার্ড ব্যাংক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অপারেশনের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি প্যারিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ফর লাইফ, ফুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস থেকে সমাজবিজ্ঞানের উন্নয়নে পিএইচডি করেছেন।
১৯৭৮ সাল থেকে ইফাদ বাংলাদেশ সরকারকে তার উচ্চাভিলাষী পল্লী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করে আসছে। বিগত ৪৫ বছরে ইফাদ ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি পরিবারের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে ৩৭টি প্রকল্পে ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ইফাদের কর্মসূচিরগুলো সবচেয়ে বড়। বর্তমানে ইফাদ বাংলাদেশে ৫১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান ছয়টি প্রকল্পে ইফাদের বিনিয়োগের অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ইফাদের নতুন কার্যালয় কৌশলগত মাইলফলক: ভাইস প্রেসিডেন্ট
১ মাস আগে
বাংলাদেশে ইফাদের নতুন কার্যালয় কৌশলগত মাইলফলক: ভাইস প্রেসিডেন্ট
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরার্ডাইন মুকেশিমানা বলেছেন, বাংলাদেশে ইফাদের নতুন কার্যালয় তাদের অংশীদারদের আরও ঘনিষ্ঠ হওয়া, শক্তিশালী সহযোগিতা জোরদার করা এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় কার্যকর পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে একটি কৌশলগত মাইলফলক।
বৃহস্পতিবার (২ মে) মুকেশিমানা বাংলাদেশে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সফরে বাংলাদেশে একটি নতুন কান্ট্রি অফিস উদ্বোধন করেছেন। এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়ন প্রচেষ্টায় ইফাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল।
আরও পড়ুন: ৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য ঋণ আলোচনা শেষ করেছে ইফাদ ও বাংলাদেশ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুকেশিমানা বলেন, 'গত সপ্তাহ ধরে আমি দেখেছি কীভাবে ইফাদ এবং বাংলাদেশ সরকার ক্ষুদ্র কৃষকদের- বিশেষত নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তাদের আয় বৃদ্ধি করতে এবং তাদের সম্প্রদায়ের জন্য আরও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে একসঙ্গে কাজ করেছে।’
উপরাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে ইফাদ প্রতিনিধিদল এর আগে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ইফাদের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় তারা নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
তারা ক্ষুদ্র কৃষক এবং কৃষি ব্যবসায়ীসহ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।
ইফাদের সহায়তার মাধ্যমে এই সম্প্রদায়গুলো অর্থ, অন্তর্ভুক্তিকরণ, প্রশিক্ষণ ও বাজার সংযোগের তথ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থানগুলোতে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ যখন আমরা বাংলাদেশে ইফাদের নতুন কান্ট্রি অফিস খুললাম, আমরা গ্রামীণ উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে তাদের অঙ্গীকারকে সাধুবাদ জানাই। এই মাইলফলক সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং স্থায়িত্ব বাড়ার জন্য আমাদের অভিন্ন উৎসর্গকে তুলে ধরে।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও উইং প্রধান (সমন্বয় ও নরডিক) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ইফাদকে এই নতুন যাত্রার জন্য স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা ইফাদ প্রেসিডেন্টের
ইফাদের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক রিহানা রিফাত রাজা বলেন, ‘এই অফিসের উদ্বোধন গ্রামীণ জনগণের উন্নত জীবন ও জীবিকা গড়ে তোলার পথে ইফাদ এবং বাংলাদেশ একসঙ্গে যা অর্জন করেছে তা উদযাপনের একটি সুযোগ। তিনি বলেন, এটি ক্রমাগত উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা জোরদারে কান্ট্রি টিমের মধ্যে নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনার ইঙ্গিত দেয়।’
তিনি বলেন, যেহেতু ইফাদ বাংলাদেশে তার উপস্থিতি জোরদার করছে এবং আর্থিক সম্পদ সম্প্রসারণ করছে, তাই এটি সরকার, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় দাতা সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে বর্ধিত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বৃহত্তর প্রভাবের অপার সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ইফাদ-সহায়ক হস্তক্ষেপ গ্রামীণ অর্থায়নে সহজ ও সাশ্রয়ী প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন বাড়ানো থেকে শুরু করে জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি চর্চার প্রচার পর্যন্ত সবকিছুতে বিনিয়োগ করেছে।
ইফাদ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আরনড হ্যামেলিয়ার্স বলেন, 'নতুন এই স্থানটি ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ইফাদের প্রতিশ্রুতির গভীরতার ইঙ্গিত।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইফাদ-এর ভাইস প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা স্টেফানি মিকালেফ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জিয়াওকুন শি এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বাংলাদেশের প্রতিনিধি ডোমেনিকো স্ক্যালপেলি।
১৯৭৮ সাল থেকে ইফাদ বাংলাদেশ সরকারকে তার উচ্চাভিলাষী পল্লী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করে আসছে। বিগত ৪৫ বছরে ইফাদ দেশের ৩৭টি প্রকল্পে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি পরিবারের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: গম ও ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়াতে ইফাদের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
৫ মাস আগে
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা ইফাদ প্রেসিডেন্টের
ইতালির রোমে অবস্থিত জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট আলভারো ল্যারিও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ, ব্যয়ন ও ব্যবহারে সর্বোচ্চ অবদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আলভারো ল্যারিও খাদ্য উৎপাদন, জলবায়ু, স্মার্ট এগ্রিকালচার ও উন্নয়ন কার্যক্রমে নারী ও যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয় উল্লেখ করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম কর্তৃক ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গম ও ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়াতে ইফাদের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
রাষ্ট্রদূত ইসলাম ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইফাদ ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান এবং বাংলাদেশ ইফাদের প্রথম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।
রাষ্ট্রদূত ইফাদসহ অন্যান্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাজ করার অভিজ্ঞতা ও গভীর জ্ঞানের প্রশংসা করেন, যা সারা বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক অঞ্চলসমূহের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: ৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য ঋণ আলোচনা শেষ করেছে ইফাদ ও বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের বর্ণনার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত কৃষি খাতে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্জনসমূহ তুলে ধরেন যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
ইফাদ সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’ এর ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইফাদ উভয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান ও ইফাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইফাদের বিনিয়োগে লাখো গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন হয়েছে: সারা সাভাস্তানো
৮ মাস আগে
৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য ঋণ আলোচনা শেষ করেছে ইফাদ ও বাংলাদেশ
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) এবং বাংলাদেশ সরকার ফসলের বৈচিত্র্য, উদ্যোক্তা ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতাকে উন্নীত করার জন্য সাত হাজার ২১৪ কোটি টাকার একটি কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্য একটি ঋণ আলোচনা শেষ করেছে।
বুধবার বিশ্বব্যাংকের সহ-অর্থায়নে 'প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফর্মেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রাপেনিউরশিপ এন্ড রেজিলেন্স (পার্টনার)'- প্রোগ্রামের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে আলোচনা করে ইফাদ।
ইফাদ এর নির্বাহী বোর্ড থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর, গ্রামীণ বাংলাদেশের ৫০ মিলিয়ন মানুষের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পার্টনার।
অনুমোদনের পর সম্প্রসারণ, গবেষণা, অবকাঠামো ও বিপণন বিস্তৃত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে কৃষি খাতে একটি বড় রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাতটি বিভাগ দেশব্যাপী পার্টনার বাস্তবায়ন করবে।
প্রস্তাবিত কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- কার্যকর সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের জন্য ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড প্রবর্তন, উচ্চমূল্যের ফসলের জন্য উন্নত রপ্তানির সুযোগ, গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস (জিএপি) প্রচার এবং কৃষি পণ্যের জন্য উন্নত ল্যাবরেটরি ও পরীক্ষার সুবিধা স্থাপনের জন্য বিনিয়োগ।
আরও পড়ুন: ইফাদের বিনিয়োগে লাখো গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন হয়েছে: সারা সাভাস্তানো
প্রকল্পটি সেচ ব্যবস্থার উন্নতি এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের জলবায়ু-স্মার্ট অনুশীলন প্রদর্শনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কৃষি খাতের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করার কাজ করবে।
ইফাদ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইআরডি-র অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশের জন্য ইফাদ কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নউড হ্যামিলার্সের নেতৃত্বে ঋণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আর্নউড হ্যামিলার্স বলেছেন, ‘এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশের গ্রামীণ রূপান্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইফাদ তার দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক সফলভাবে পার্টনার বাস্তবায়ন ও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে দেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য সহযোগিতা করার জন্য উন্মুখ।’
পাঁচ বছর মেয়াদী এই কর্মসূচির অর্থায়ন করা হবে ইফাদ থেকে ৪৩ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং বাংলাদেশ সরকারের ৮০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা ইফাদ-এর অগ্রাধিকার: আঞ্চলিক পরিচালক
১ বছর আগে
পঞ্চগড়ের টিউলিপ বাগান পরিদর্শনে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন পঞ্চগড় জেলার টিউলিপ বাগান পরিদর্শন করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে প্রাণবন্ত রংয়ের এই ফুল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবিকার সুযোগ তৈরি করবে।
তিনি বলেন, ‘এই রঙিন টিউলিপ বাগানে এসে আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত যে ডেনিশ সরকার, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে এই তরুণ নারী কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করেছে।’
সোমবার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বৃদ্ধির জন্য একটি গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন সংক্রান্ত একটি প্রতিনিধি দল পঞ্চগড়ের টিউলিপ খেত পরিদর্শন করেছেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন অ্যাম্বাসেডর পিটারসেন এবং ইফাদ-এর বাংলাদেশে কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নউড হ্যামেলিরস।
তারা স্থানীয় সেসব কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছেন, যারা ইফাদ এবং ডেনিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির যৌথ-অর্থায়নে গ্রামীণ মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের সহায়তায় টিউলিপ চাষ করছেন।
সাধারণত শীতল আবহাওয়ায় জন্মানো টিউলিপের চাহিদা ঢাকায় বেশি।
২০২১ সালে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন এবং এর অংশীদার সংস্থা, ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এবং ইফাদ-এর উদ্যোগে বাস্তবায়িত একটি মূল্য শৃঙ্খল উন্নয়ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে আটজন কৃষককে টিউলিপ চাষ এবং বাজারজাত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় সৌরভ ছড়াচ্ছে ‘টিউলিপ’
১ বছর আগে
ইফাদের বিনিয়োগে লাখো গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন হয়েছে: সারা সাভাস্তানো
জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন আন্তর্জাতিক তহবিল (ইফাদ) বিশ্বের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা হ্রাসে অল্প পরিমাণ পদক্ষেপে অগ্রগতির লক্ষ্যকে অতিক্রম করেছে। সাত দশমিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মোট বিনিয়োগের প্রকল্পগুলোর একটি বিরল প্রভাব মূল্যায়নে এটি দেখানো হয়েছে।
ইফাদের সদ্য প্রকাশিত ২০১৯-২০২১ প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী সংস্থাটির ৪৪ মিলিয়ন বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বিগত তিন বছরের মধ্যে ৭৭ দশমিক চার মিলিয়ন গ্রামীণ মানুষের আয় কমপক্ষে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই সময়ে ইফাদের চার কোটি ৭০ লাখ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ছয় কোটি ২০ লাখ গ্রামীণ মানুষ উৎপাদনের মূল্য দ্বারা পরিমাপ করে তাদের ফসল, পশুসম্পদ এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি দেখেছে।
শুক্রবার রোম থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি বিবৃতি অনুযায়ী চার কোটি ৬০ লাখ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ছয় কোটি ৪০ লাখ গ্রামীণ মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রয় সুবিধা উন্নত করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
উপরন্তু, মূল্যায়ন দেখায় যে ইফাদ তিন কোটি ৮০ লাখ লোককে তাদের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। এরমধ্যে রয়েছে উন্নত কৃষি পদ্ধতি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং ঋণের সুবিধা। সেইসঙ্গে তাদের আয়ের বৈচিত্র্যের জন্য জলবায়ু এবং অ-জলবায়ুগত ধাক্কা থেকে পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা দ্বারা পরিমাপ করা হয়েছে।
শুক্রবার ইফাদ-এর রিসার্চ অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ডিভিশনের ডিরেক্টর সারা সাভাস্তানো বলেন, ‘আইএফএডি-এর বিনিয়োগ লাখ লাখ গ্রামীণ নারী, পুরুষ ও শিশুদের জীবন ও জীবিকাকে কীভাবে পরিবর্তন করছে তার স্পষ্ট প্রমাণ দেখে আমরা গভীরভাবে সন্তুষ্ট।
‘অর্থনৈতিক অসুবিধা এবং উন্নয়ন বাজেটের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের প্রেক্ষাপটে এটি দাতাদের স্পষ্টভাবে দেখায় যে তাদের বিনিয়োগগুলো গ্রামীণ জনগণকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে একটি বিশাল পার্থক্য আনতে পারে।’
ইফাদ একমাত্র আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা কর্পোরেট স্তরে তার বিনিয়োগের প্রভাব পরিমাপ করে।
তহবিল পদ্ধতিগতভাবে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ প্রকল্পের নমুনার ওপর কঠোর প্রভাব মূল্যায়ন পরিচালনা করে।
প্রভাব মূল্যায়নে ইফাদ ১১-এর সময় সম্পন্ন করা ৯৬টি প্রকল্পের মধ্যে মোট ২৪টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। যা ২০১৯-২০২১ বাজেট চক্র জুড়ে ছিল।
২৫ শতাংশ মূল্যায়ন হার ইফাদের প্রভাব পরিমাপ করার জন্য নির্ধারিত ১৫ শতাংশের চেয়ে ১০ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। ৯৬টি প্রকল্পে মোট সাত দশমিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের তথ্য তুলে ধরে।
অন্যান্য উপসংহারগুলোর মধ্যে, মূল্যায়ন গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ডিজাইনের জন্য একটি খাদ্য ব্যবস্থা পদ্ধতির গুরুত্বকে নিশ্চিত করে।
এর অর্থ হল খাদ্য ব্যবস্থার ‘মাঝারি ধারা’ কে সমর্থন করা এবং কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ, রূপান্তর এবং বিতরণে বিনিয়োগ করা যাতে ছোট আকারের উৎপাদনকারীদের মান শৃঙ্খলে সংযুক্ত করা যায়, অতিরিক্ত মূল্য তৈরি করা যায় এবং বর্ধিত উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতার সুবিধাগুলো সর্বাধিক করা যায়।
এটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ইতিবাচক ফলাফলও তুলে ধরেছে। যে নারীরা ইফাদ-এর কর্মসূচির অংশ ছিলেন তারা পরিবারের আয়ের উৎস সম্পর্কে তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা বাড়িয়েছে। এটি লিঙ্গ নিয়ম এবং নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপক রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের প্রথম পদক্ষেপ।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে এই সময়ের মধ্যে পুষ্টির ওপর ইফাদ-এর লক্ষ্য পূরণ করা হয়নি। অন্ততপক্ষে এই কারণে যে রিপোর্টে মূল্যায়ন করা প্রকল্পগুলো ২০১৯ সালের আগে ডিজাইন করা হয়েছিল। যখন ইফাদ তার সমস্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রে পুষ্টিকে মোকাবিলার জন্য পদ্ধতিগতভাবে একটি কৌশল অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করেছিল।
প্রতিবেদনটি এমন ক্রিয়াকলাপগুলোকে একীভূত করার গুরুত্বকেও বোঝায় যা পুষ্টির ওপর আরও ভাল ফলাফল অর্জনের জন্য প্রকল্পগুলোতে আচরণগত পরিবর্তনকে উদ্দীপিত করে।
ইফাদ-এর প্রভাব মূল্যায়ন প্রক্রিয়া তহবিল উন্নয়ন কর্মসূচির কার্যকারিতা উন্নত করার অঙ্গীকারের অংশ।
সাভাস্তানো বলেছেন, ‘ইফাদ-এ প্রতিটি ডলার গণনা করা হয় এবং আমাদের জন্য তাদের প্রতিটির সবচেয়ে কার্যকর ব্যবহার করা অপরিহার্য। বিশেষ করে এমন একটি প্রেক্ষাপটে যখন আর্থিক স্থান সংকুচিত হচ্ছে।’
‘আমাদের অতীত প্রকল্পগুলো মূল্যায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলোকে আরও ভাল ডিজাইন এবং পরিচালনা করার জন্য প্রভাব মূল্যায়ন প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা ইফাদ-এর অগ্রাধিকার: আঞ্চলিক পরিচালক
খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ: ইফাদ
২ বছর আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা ইফাদ-এর অগ্রাধিকার: আঞ্চলিক পরিচালক
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)-এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক রেহানা রিফাত রেজা বলেছেন, ইফাদ বাংলাদেশে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেয়।
ইফাদ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি বর্তমান ও ভবিষ্যতের উন্নয়নের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, যুব উন্নয়ন, লিঙ্গ সমতা, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার মতো সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার নিজের বাংলাদেশ মিশন শেষ করার সময় রেজা সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে জাতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার সক্ষমতারও প্রশংসা করেন।
দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি তার প্রথম সফরে চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে আসেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী মার্কিন আইনপ্রণেতারা
সফরের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ সরকারের বিরোধী প্রতিপক্ষ, প্রধান উন্নয়ন অংশীদার, আইএফএডি দলের সঙ্গে দেখা করা এবং মাঠে চলমান প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করা।
ঢাকায় ইফাদ প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং উইং প্রধান অমল কৃষ্ণ মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন।
ইফাদ এর ২০২২-২৪ সম্পূরণ চক্রে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতির জন্য রেজা ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
এই তহবিলে বাংলাদেশ তার ৪২ বছরের সদস্যপদে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ সহযোগিতা দেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগের আশ্বাস কাতারের শ্রমমন্ত্রীর
তিনি ইফাদ এর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের অধীনে বাস্তবায়িত কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। মোট এক দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগসহ আটটি চলমান প্রকল্পের সমন্বয়ে এটি গঠিত।
বাংলাদেশের আইএফএডি কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নউড হ্যামিলার্স বলেছেন, ‘বাংলাদেশ গ্রামীণ উন্নয়ন, নারী ও যুবকদের ক্ষমতায়ন, খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করছে– এগুলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
হ্যামিলার্স বলেছেন, নতুন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক পরিচালকের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার এবং ইফাদ-এর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এবং সফল অংশীদারিত্বে গুরুত্ব স্পষ্টত বোঝা যায়।
সফরকালে রেজার সঙ্গে ইফাদ-এর অপারেশনাল পলিসি অ্যান্ড রেজাল্ট বিভাগের ডিরেক্টর নাইজেল ব্রেট এবং এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান পোর্টফোলিও উপদেষ্টা লিয়াম ফ্রান্সিস চিকা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
২ বছর আগে
খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ: ইফাদ
জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নৌদ হামিলির্স বলেছেন, বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হওয়ার জন্য বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষি খাতকে সক্রিয় রাখার জন্য আমাদের কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন। যেমন- উচ্চ ফলনশীল ফসল চাষ, এর বাণিজ্যিকীকরণ ও কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি।
বৃহস্পতিবার আর্নৌদ হামিলির্স কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং কৃষি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি গ্রাম্য ও জলবায়ু-সংবেদনশীল অঞ্চলের কৃষকেরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন সেসব নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: দ্রুত চালের উৎপাদন বাড়াতে রোডম্যাপ হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
এ সময় দুই পক্ষই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছে।
ড. হামিলির্স বলেন, আমাদের তরুণদের এসব কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং দক্ষ করতে হবে। এছাড়া এ কাজে বেসরকারি খাতকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব স্থাপনে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
গত ১০ বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ গত ১০ বছরে বিশেষ করে কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে।
কৃষি, গ্রামীণ অবকাঠামো, জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর ক্ষমতায়নসহ গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) কে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বুধবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ইফাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে মোস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
ইফাদ-এর নবনিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর আরনাউদ হ্যামিলার্স প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে ইফাদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন ও এসডিজি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের মতো খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে সহজ শর্তে বাংলাদেশকে অর্থায়ন করার জন্য ইফাদকে অনুরোধ করেন।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশে ইফাদের অর্থায়নে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এসডিজি ও কোভিড-১৯ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আগামী অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ৬৯ মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে: অর্থমন্ত্রী
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
এখন মানুষের ক্রয় সক্ষমতা আছে: অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জলবায়ু ঝুঁকি তীব্রতর হচ্ছে: জাতিসংঘ
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু সম্পর্কিত ঝুঁকিসমূহ তীব্রতর হচ্ছে এবং ঝুঁকিতে থাকা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক অবনতি থেকে রক্ষা করতে নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই জলবায়ু সহনশীলতা এবং অভিযোজন ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে সোমবার জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীলতা তৈরি’ নামে এই প্রতিবেদনটি ইফাদের সহায়তায় অ্যাডাপটেশন ফর স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল প্রোগ্র্যাম (এসাপ)- এর মূল ফলাফল এবং অর্জিত অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা পর্যালোচনা করে করা হয়েছে।
২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চলমান এসাপ কর্মসূচিটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অভিযোজন এবং প্রশমন করতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে ৩০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, নেপাল ও ভিয়েতনামে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে পাঁচ লাখ ১০ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র কৃষি পরিবারকে সহায়তার মাধ্যমে কর্মসূচিটি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
প্রতিবেদনটি গ্রামীণ জনগণের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব, অভিযোজন এবং প্রশমনে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ইফাদের বহুমুখী, কার্যকরী এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলো তুলে ধরে।
এই প্রতিবেদনটি এই অঞ্চলে গৃহীত সফল কর্মপ্রক্রিয়া ও পন্থাসমূহ ও স্কেল-আপের সুযোগ পর্যালোচনা করে যা কি না এসাপ কার্যক্রমের আরেকটি নতুন পর্যায়, ‘এনহ্যান্সড অ্যাডাপটেশন ফর স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল প্রোগ্র্যাম (এসাপ+)’ এর জন্য দৃঢ় একটি ভিত্তি স্থাপন করে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ১০ মিলিয়ন মানুষের, বিশেষ করে নারী ও যুবকদের, জলবায়ু সহনশীলতাকে সহায়তা করার জন্য এসাপ+ জলবায়ু অর্থায়নে সম্ভাব্য অতিরিক্ত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ করছে।
ইফাদের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ কিসা এমফালিলা বলেন, ‘প্রায়ই ক্ষুদ্র উৎপাদকরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ক্ষেত্রে সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কী করা দরকার তা জেনে থাকেন, আমরা তাদের যথাযথ অর্থের যোগান ও প্রযুক্তিতে অভিগম্যতা দিয়ে সহায়তা করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকরা সময়ের সাথে সাথে অনেক সফল অভিযোজন কৌশল তৈরি করেছে বলে প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করে এবং এই স্থানীয় জ্ঞান ব্যবহার করার জন্য আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বুধবার বিকাল ৩টায় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপ-২৬ এ ইফাদ প্যাভিলিয়নে একটি লাইভ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে এক ভার্চুয়াল-ফিল্ড ট্রিপে বাংলাদেশের (রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত) ক্ষুদ্র কৃষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা পরিদর্শন করা হবে। তথ্যচিত্র নির্মাতা কাসা আলমের সাথে দর্শকরা বাংলাদেশে ভার্চুয়াল ভ্রমণের মাধ্যমে ইফাদ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের জলবায়ু সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অভিযযোজন কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশ সুরক্ষিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো: দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং প্রভাবের দ্রুত মূল্যায়ন করতে প্রযুক্তির ব্যবহার, স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানো।
ক্ষুদ্র কৃষকরা অনেক সফল অভিযোজন কৌশল তৈরি করেছে, সেগুলো চিহ্নিত, পরিমার্জিত, পরিচিত করা এবং দ্রুত ও পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা।
স্থানীয়দের তৈরি সমাধানগুলোকে আরও উন্নত এবং এদের গ্রহণযোগ্যতাকে দ্রুততর করতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব ব্যবহার করা। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতির যোগান, পরামর্শ পরিষেবা, প্রযুক্তি সমাধান, পণ্য বাজারজাত লাভজনক করে বাজার অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে সরকারি খাতের উদ্যোগগুলোকে বেসরকাতি খাতের সাথে সমন্বয় করা।
সফল অভিযোজন কৌশলগুলো গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলোতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গৃহীত হবে তখনই যখন বাধা অপসারণ করা হবে এবং অর্থায়ন পাওয়া যাবে। সহায়ক নীতি কাঠামো থাকলে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাত পর্যাপ্ত অর্থ ও পরামর্শমূলক পরিষেবা প্রদান করলে ক্ষুদ্র কৃষকরা দ্রুত উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্ভাবন গ্রহণ করবে।
জলবায়ু সহনশীলতা বাড়ানোর উদ্যোগগুলোকে সহায়তা করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে যা কি না মহামারিসহ অন্যান্য প্রতিকূল ঘটনা থেকেও রক্ষা করবে। উৎপাদক, সরবরাহকারী, ক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদারদের বিনিময় সহজতর করতে এবং কোভিড-১৯ মহামারির মতো বাহ্যিক অভিঘাতে কৃষক ও খাদ্য শৃঙ্খলের ঝুঁকি কমাতে প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলো সহায়তা করতে পারে।
পড়ুন: জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বৃহত্তর অর্থায়ন চান হাসিনা ও প্যাট্রিক
ঢাকা-প্যারিস সম্পর্ক উন্নয়নে ফ্রান্স সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে