কেন্দ্রীয় ব্যাংক
কোম্পানির হিসাব নয়, ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করেছে বিএফআইইউ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দলমত নির্বিশেষে কোনো কোম্পানির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ বা হস্তক্ষেপ করা হয়নি বলে আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক আলোচনা সভায় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'আমরা কোনো শিল্পকে প্রভাবিত করছি না। প্রতিটি খাতকে অবাধে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, হস্তক্ষেপ বা তহবিলের অবরুদ্ধকরণ ছাড়াই।’
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকে ব্যবসা পরিচালনা ও এলসি খোলায় বাধা নেই: গভর্নর
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করেছে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সরাসরি কোনো কোম্পানির অ্যাকাউন্ট বন্ধে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়নি। বরং বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এটি লক্ষ্য করা গেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার বাইরে ব্যক্তি হিসেবে লেনদেন স্থগিত করেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত লেনদেন ব্যাহত হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যক্তি ও একক মালিকানায় পরিচালিত হিসাব জব্দ করলেও কোনো কোম্পানির হিসাব স্থগিত করতে পারবে না ব্যাংকগুলো।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর নতুন চেয়ারম্যান পেল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস
৩ মাস আগে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বাড়ায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ ব্যয়বহুল হচ্ছে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে অপ্রয়োজনীয় ঋণ দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণের সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ইডিএফ হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল যা রপ্তানি খাতকে সময় অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় সহায়তা করে। এখন এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে রপ্তানিকারকদের দিতে হবে প্রায় ৭ শতাংশ সুদ। আগে সুদের হার ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, সিকিউরড ওভারনাইট ফিনান্সিং রেট (এসওএফআর) এর সঙ্গে মার্জিন হিসাবে দেড় শতাংশ যোগ করে ইডিএফ সুদ নির্ধারণ করা হবে।
বর্তমানে এসওএফআর পদ্ধতিতে সুদের হার ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এর সঙ্গে ১ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ হলে সুদের হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আগের সুদের হার ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ। সে অনুযায়ী সুদের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অনুমোদিত ডিলারদের (এডি) কাছ থেকে ৩ শতাংশ সিকিউরড চার্জ এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এডি ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ হারে সুদ আদায় করছিল।
আর এখন নতুন নিয়ম অনুযায়ী এডি গ্রাহকের কাছ থেকে এসওএফআর হারের সঙ্গে ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অতিরিক্ত ১ দশমিক ৫০ শতাংশ এসওএফআর হারে সুদ আদায় করবে। তবে এসওএফআর হার যেহেতু পরিবর্তনশীল, তাই ইডিএফ ঋণ নির্ভর করবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ওপর।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
৩ মাস আগে
ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
নানা অনিয়মের অভিযোগে বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ব্যাংকিং খাত সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, আমানতকারীদের অর্থ ও জনস্বার্থ রক্ষার স্বার্থে ব্যাংকটির ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে অবৈধ তারল্য সহায়তা দেবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক: গভর্নর আহসান মনসুর
আদেশে আরও বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ নীতিনির্ধারণী দুর্বলতার কারণে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ব্যাহত করে ব্যাংক কোম্পানি ও আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।
ইতোমধ্যে তিনজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়ে সাত সদস্যের নতুন একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এই তিন পরিচালক হলেন- ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডার আবদুল আউয়াল মিন্টু, মোয়াজ্জেম হোসেন ও জাকারিয়া তাহের।
স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক জুলকার নাইন, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোখলেসুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মো. আব্দুস সাত্তার সরকার।
আরও পড়ুন: বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ব্যবসার আড়ালে টাকা লুটকারীদের শাস্তি দিন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ব্যবসায়ী নেতারা
৪ মাস আগে
ব্যাংকগুলোকে অবৈধ তারল্য সহায়তা দেবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক: গভর্নর আহসান মনসুর
শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকসহ কোনো ব্যাংককে অবৈধ তারল্য সহায়তা বা অন্য কোনো সুবিধা বাংলাদেশ ব্যাংক দেবে না বলে জানিয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডরুমে ব্যাংকিং খাতের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মনসুর উল্লেখ করেন, ‘এখন যদি আমানতকারীরা এস আলমের দখলে থাকা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে, যা তাদের কৃতকর্মের ফল। আমাদের কিছু করার নেই। কারণ আমানতকারীদের অধিকার রয়েছে তাদের টাকা কোথায় রাখবেন তা ঠিক করার।’
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
আগামী ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন গভর্নর। মুদ্রানীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না তবে কিছুটা কঠোর করা হবে। মুদ্রা বাজার এখন ভালোই চলছে। মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১২৫ টাকায় উঠলেও এখন তা কার্ব (খোলা) বাজারে ১২০ থেকে ১২১ টাকায় নেমে এসেছে।
ব্যাংকিং খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়। কারণ এর সঙ্গে কর্মসংস্থানের অনেক বিষয় জড়িত।
এস আলমের মালিকানাধীন ব্যাংক অধিগ্রহণ ও অন্যান্য দুর্বল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা তাদের বোর্ড ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন। তবে তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
বকেয়া ঋণের বিষয়ে গভর্নর বলেন, 'আমরা এনপিএলের (বকেয়া ঋণের) বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানে যেতে চাই। এতে আমদানি-রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ব্যবসায়ীরা কিছুটা সময় চেয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবে, তবে আমরা যে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে এনপিএলের জন্য পদক্ষেপ নেব, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
সরকারি ব্যাংকের অস্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অস্থিতিশীলতা দুর্ভাগ্যজনক।
এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, এক হাজার টাকার নোট বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেই।
বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে নতুন গভর্নরের স্বাক্ষরিত নোট কি শিগগিরই আসবে? এ প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, যখন টাকশালে নোট তৈরির প্রয়োজন হবে, তখন নোটগুলো প্রিন্ট করে সই করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় উগ্র ডানপন্থীদের প্রচার করা মিথ্যে তথ্য
জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
৪ মাস আগে
সালমান এফ রহমানকে ৩০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগ
সালমান এফ রহমানকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চার কর্মকর্তা।
সোমবার (১২ আগস্ট) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে (এফআইডি) পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন- ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান ও খুরশিদ আলম, পলিসি অ্যাডভাইজার আবু ফারাহ মো. নাসের ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।
সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে এই কর্মকর্তাদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ৪ আগস্ট ইডিএফের ত্রিশ মিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে ঋণ দেওয়ার সঙ্গে শীর্ষ কর্মকর্তারা জড়িত, তাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
এই আল্টিমেটামের পর এফআইডি সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ওই চার কর্মকর্তা।
দুই ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধান এফআইডি সচিবের কাছে এবং পলিসি অ্যাডভাইজার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট ইডিএফ তহবিল থেকে তিন মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেন বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সহযোগীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে থাকলে রাষ্ট্রের টাকা আবার লুট হয়ে যাবে। টাকা পেলে তারা অস্ত্র কিনে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করবে। দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।’
৪ মাস আগে
রপ্তানি তথ্যে অসঙ্গতির জন্য এনবিআর ও ইপিবিকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশের রপ্তানি আয়ের হিসাব থেকে শত শত কোটি ডলারের তথ্য মুছে ফেলার ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, রপ্তানি তথ্যের হিসাবে অসঙ্গতির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দায়ী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেরিফিকেশন সিস্টেমে গত দুই অর্থবছরে ২০ মাসে আনুমানিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের গরমিল পাওয়া গেছে।
সরকারকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে এ ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, এই বিশাল ঘাটতির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন আর্থিক পরিসংখ্যান উল্টে গেছে।
আরও পড়ুন: সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত থেকে ঘাটতিতে চলে গেছে। আর রপ্তানির বিপরীতে রেমিট্যান্স আসার লক্ষ্যমাত্রা কমে যাওয়ায় রাজস্ব খাতে ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত হয়েছে।
ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এক বৈঠকে এনবিআরের প্রতিনিধি ইতোমধ্যে তাদের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি জানান, একই পণ্য রপ্তানির জন্য একাধিক রপ্তানি হিসাব রয়েছে, যা সার্ভারে নতুন করে ইনপুট দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকের শাখা থেকে রপ্তানি আয়ের তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে ডাটা ও প্রকৃত রপ্তানির মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংগ্রহ করা এবং ইপিবি প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতির কারণ চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, একই রপ্তানি তথ্য এবং পণ্যের এইচএস কোড একাধিকবার ইনপুট করা হয়েছে।
পণ্যের কাটিং, মেকিং ও ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু ম্যানুফ্যাকচারিং চার্জ দিতে হয়। তবে কাপড়সহ সব অংশের হিসাব রেখেছে ইপিবি। ইপিবি অনেক সময় নমুনা পণ্যের দামও ইনপুট করেছে, যা নমুনা পণ্যের মূল্য হিসেবে আসার কথা নয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
৫ মাস আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল জরুরি: বক্তারা
সবুজ অর্থায়নকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নিবেদিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি তহবিল গঠন অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
তারা বলছেন, নিবেদিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি তহবিল গঠন ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব হবে না।
শনিবার (১ জুন) ‘সেকেন্ড ঢাকা রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যান্ড ফাইন্যান্স টক’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা সবুজ জ্বালানি তহবিল গঠন বিষয়ে এই পরামর্শগুলো তুলে ধরেন।
রাজধানীর সামরিক জাদুঘরের মাল্টিপারপাস হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ নামে একটি সংগঠন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও জলবায়ু প্রতিবেদক তাহমিদ জামি।
বিশ্বব্যাংকের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স অ্যান্ড পি কনসালটেন্ট এম মুরশেদ হায়দার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়নের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য তহবিলের অভাব।
তিনি বলেন, ‘সবুজ পণ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু পুনঃঅর্থায়ন স্কিম রয়েছে, কিন্তু সবুজ জ্বালানির উন্নয়নে ডেডিকেটেড নবায়নযোগ্য তহবিল নেই।’
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ থেকে সুরক্ষা এবং উচ্চতর মুনাফা অর্থায়নের ক্ষেত্রে মূল বিষয়, যা নীতি সহায়তার মাধ্যমে নিশ্চিত করা দরকার।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ডেডিকেটেড অর্থায়ন স্কিমের অভাবের কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি আরও স্বীকার করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন ব্যবহারের কিছু মানদণ্ড রয়েছে যা বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা পূরণ করতে পারে না। ফলে ব্যাংকগুলো এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা চায়।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ বিএনপির
বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে কিছু অর্থ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, এই তহবিলগুলোর আর্থিক ক্লোজিং একটি বিশাল সময় নেয়। কারণ বিনিয়োগকারীদের তহবিল গ্রহণের জন্য কিছু মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে ছাদে সৌর বিদ্যুতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সফল ব্যবসায়িক মডেল বিকশিত হয়নি, যার ভিত্তিতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ও ডেপুটি হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সিদ্দিক আহমেদ এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাসটেইনেবিলিটি ইউনিটের চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন।
সেমিনারের আরেক সেশনে স্রেডার সাবেক সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, সার্বিকভাবে ভর্তুকি ভালো নয়। কিন্তু জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে রূপান্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য।আরও পড়ুন: সেচ পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করলে সাশ্রয় হতে পারে ৫০০০ মেগাওয়াট: পরিবেশমন্ত্রী
৬ মাস আগে
তথ্যের জন্য সাংবাদিকরা শতবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে পারেন: ডেপুটি গভর্নর
তথ্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ডেপুটি গভর্নর খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘তথ্যের প্রয়োজন হলে আপনি শতবার ব্যাংকে যেতে পারেন।’
শনিবার(১৮ মে) বিকালে পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে রংপুরে 'গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪' উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খুরশীদ আলম বলেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একজন মুখপাত্র থাকে। আমাদের তিনজন আছে। যে কোনও ধরনের তথ্যের জন্য তাদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি তাদের দেওয়া তথ্যে সন্তুষ্ট না হন, তবে চারজন ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে আপনি কথা বলতে পারেন। আমরা এর উত্তর দেব।’
অবাধ প্রবেশাধিকার প্রসঙ্গে খুরশীদ আলম প্রশ্ন তোলেন, 'অবাধ প্রবেশ কী?’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কোনো বেসরকারি কোম্পানি কি অন্য কোম্পানিকে বিনামূল্যে কিছু দেবে? তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যেখানে বৈধভাবে প্রত্যাহার করা কোনো ক্ষেত্রে এত বেশি সুবিধার অনুমতি দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করলেন দেবপ্রিয়
ডেপুটি গভর্নর বলেন, ‘আপনি যদি একা যেতে চান তবে আপনি করতে পারেন এবং নিযুক্ত কর্মকর্তারা আপনাকে তথ্য সরবরাহ করবেন, যা গোপনীয়তা আইনের অধীনে অনুমোদিত। তবে রাষ্ট্রের গোপনীয়তা সম্পর্কে তথ্য পেতে চাইলে তা দেওয়া হয় না।’
কোনো ধরনের অপপ্রচার করে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উদীয়মান অর্থনীতির চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছি।
ব্যাংকারদের উদ্দেশে ডেপুটি গভর্নর বলেন, অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আর্থিক খাত অর্থনীতির প্রাণ। আপনাকে গ্রাহকদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করতে হবে, এবং একই সঙ্গে তারা যাতে হয়রানির শিকার বা অসন্তুষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নুরুল আমিন ও রুহুল আমিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লিজা ফাহমিদা ও শায়েমা ইসলাম এবং ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউজ্জামান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির সর্বোচ্চ ৩৮৮০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে এলজিডি
৭ মাস আগে
সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশের প্রয়োজন নেই, সব তথ্য ওয়েবসাইটে আছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ তাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কোন দেশে অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢোকা যায়? যে কেউ কি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারে? সবকিছুই ওয়েবসাইটে আছে। কেন আপনার প্রবেশ করা দরকার?’
আরও পড়ুন: সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতিতে স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে: হাছান মাহমুদ
শনিবার(১৮ মে) রাজধানীর ঢাকার ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'নৈশভোজের পর সাংবাদিকদের সামনে তার বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না, তা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার সঙ্গে একবার কথা বললেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তিনি (প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা) হয়তো মার্কিন আসিসট্যান্ট সেক্রেটারিকে এটি (নিষেধাজ্ঞা) প্রত্যাহার করতে বলেছেন।’
বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি গণমাধ্যমে দেখেছেন বিএনপি তাদের ভারতবিরোধী অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে। ‘বিরোধিতা না করে তারা কি মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে পারে? তাদের হাতে কোনো বিষয় নেই, তারা তাদের অস্তিত্বের জানান দিতেই কিছু নিয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান থেকে সরে এসে তাদের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আশ্রয় নিতে হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ-ধ্বংসযজ্ঞ-রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
৭ মাস আগে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে ঋণে জর্জরিত চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার শরিয়াহ ভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদ্মা ব্যাংক অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক্সিম ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে এমওইউর খসড়া চূড়ান্ত করেছি, যা আগামী ১৮ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উপস্থিতিতে সই হবে।’
একীভূতকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আফজাল করিম ইউএনবিকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখনো কোনো তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিতে হবে বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে একীভূত হবে।
আরও পড়ুন: প্রায় ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাত: পদ্মা ব্যাংকের চিশতিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেশের মোট ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১২টি ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ এবং ৯টি ব্যাংক ইতোমধ্যেই রেড জোনে চলে গেছে। বাকি ৩টি ইয়েলো জোনে অবস্থিত, অর্থাৎ রেড জোনের খুব কাছাকাছি।
ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বিভাগের মিডিয়া প্রতিবেদনের পরে দুর্বল ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহক ও আমানতকারীদের কাছ থেকে প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ফারমার্স ব্যাংকের নতুন নামকরণ করা হয় পদ্মা ব্যাংক। ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ায় এবং ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের কারণে কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ফারমার্স ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণ না হলে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
৯ মাস আগে