দক্ষিণ আফ্রিকা
ঢাকা টেস্ট: ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১০৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
সফল পার্টনারশিপ গড়তে না পারায় হোঁচট খেয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটাররা।
সফরকারীদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন উইয়ান মুল্ডার, কাগিসো রাবাদ ও কেশব মহারাজ। এই ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক পূর্ণ করেন রাবাদা।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৬০। তাদের দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: প্রথম দিনে লাঞ্চের আগেই ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানের চারজনই দুই অঙ্কের রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সর্বোচ্চ ৯৭ বলে ৩০ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। তাইজুল ইসলাম করেন ১৬ রান।
প্রথম দিন চা বিরতির এক ঘণ্টারও বেশি সময় আগে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ১৪ ম্যাচ খেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোনো টেস্ট জিততে পারেনি তারা।
১ মাস আগে
টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার সবুজ সংকেত
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসতে রাজি হয়েছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।
সম্প্রতি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জরুরি প্রোটোকল খতিয়ে দেখতে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার অপারেশন্স ম্যানেজার, টিম সিকিউরিটি ম্যানেজার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ও সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
এর আগে নিরাপত্তা শঙ্কায় আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে বিসিবি। আনুষ্ঠানিক সূচি অনুযায়ী, ২১ অক্টোবর থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টকে সামনে রেখে ১৬ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল।
২৯ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
আরও পড়ুন: কানপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
২ মাস আগে
দক্ষিণ আফ্রিকায় স্কুলবাস-ট্রেন সংঘর্ষে ৫ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ২০
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে একটি স্কুল বাস ও ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ শিক্ষার্থী নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে।
দেশটির পরিবহন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার বিকালে দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় এমপুমালাঙ্গা প্রদেশের মিডেলবার্গের একটি লেভেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে আর ২০ শিশু গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবহন বিভাগ।
দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক পালিয়ে গেছে এবং ট্রেনের চালক ও ক্রুরা কেউ আহত হননি।
এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে স্কুল পরিবহন সম্পর্কিত সড়ক সুরক্ষা প্রচারণা আরও জোরদার করার আহ্বান জানান দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহনমন্ত্রী বারবারা ক্রিসি।
রাস্তা ব্যবহারকারীদের বিশেষত লেভেল ক্রসিংগুলোতে চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং ট্র্যাফিক বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে জুলাই মাসে গাউটেং প্রদেশের জোহানেসবার্গের কাছে একটি মিনিবাস-ট্রাক সংঘর্ষে ১২ শিক্ষার্থী ও এক চালকসহ ১৩ জন নিহত এবং সাতজন আহত হয়।
৪ মাস আগে
হারের পর যা বললেন মার্করাম
প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের কোনো ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেটিও দুর্দান্তভাবে। ফাইনালে খেলার আগে একটি ম্যাচও হারেনি তারা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালেও তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর তারা অবশেষে হেরে গেল।
বছরের পর বছর ধরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া প্রোটিয়াদের এবারের পারফরম্যান্সে অনেকেই তাদের সাফল্য নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল, কিন্তু চেষ্টা করেও তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি মার্করাম-ডি ককরা। তাই সমর্থকদের মতো হৃদয় ভেঙেছে তাদেরও।
ম্যাচ শেষে দলটির খেলোয়াড়দের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। কান্না চেপে রেখে মুখ লাল করে ফেলেছিলেন সবাই।
তবে খেলায় জয়-পরাজয় থাকবেই, এক পক্ষকে পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতেই হবে- এটাই তো নিয়ম।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
ম্যাচ শেষে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সেকথা ঝরল প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করামের কণ্ঠেও।
‘ক্ষণিকের জন্যে হলেও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা কী দারুণ পারফর্ম করেছি, এ বিষয়টি অনুধাবন করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।’
সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার (দলের) খেলোয়াড়দের জন্য সত্যিই গর্ববোধ করছি। (বোলাররা) ভালো বোলিং করেছে। এমনটি ভাবার সুযোগ নেই যে, এই পিচে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’
‘বোলাররা (ভারতীয় ব্যাটারদের) ভালো রানের মধ্যেই আটকে দিয়েছিল। ভেবেছিলাম, এটি অতিক্রমযোগ্য লক্ষ্য। আমরা ভালো ব্যাটিংও করেছি। শেষের দিকে তো ম্যাচ একেবারেই হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল। তবে দিনশেষে দারুণ ক্রিকেট হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই হাল না ছাড়ার মানসিকতা নিয়ে খেলে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছেন জানিয়ে মার্করাম বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে খেলে এসেছি। এভাবে এ পর্যায়ে এসে তাই নিজেদের (শিরোপার দাবিদার হিসেবে) অযোগ্য মনে হচ্ছে না। ম্যাচটি আমরা জিততে পারতাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়ে ওঠেনি। তবে (ফলাফল) যাই হোক, দলকে নিয়ে আমি দারুণ গর্ববোধ করছি।’
ম্যাচ শেষে মার্করামকে জোর করে মুখে হাসি আনার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ডেভিড মিলারের স্ত্রী এসে তাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। দলটির খেলেয়াড়দের অনেককেই দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তাদের এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে ম্যাচটি তারা হেরে গেছে।
মানসিকভাবে অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন সামান্য ব্যবধানের হার নিশ্চয় তাদের বেশ কিছুদিন ভোগাবে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৫ মাস আগে
কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
ভারতের ক্রিকেট সমর্থকদের ১৭ বছরের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এবার তার সুরে সুর বাঁধলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে ভারতের জার্সিতে তাকেও আর দেখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত। তবে টি-টোয়েন্টিতে না খেললেও ওয়ানডে ও টেস্ট খেলা চালিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘এটি আমারও শেষ (টি-টোয়েন্টি) ম্যাচ ছিল। বিদায় বলার জন্য এর চেয়ে আর ভালো সময় হতে পারে না।’
‘টি-টোয়েন্টি দিয়েই ভারতের জার্সিতে আমার অভিষেক হয়েছিল। আর এটিই চেয়েছিলাম আমি। (বিশ্ব) কাপ জিততে চেয়েছিলাম আমি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
তিনি বলেন, ‘এই ট্রফিটি জিততে আমি একেবারে মরিয়া হয়ে ছিলাম। তাই এটি জেতার পর আমার অনুভূতি এখন কেমন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
১৫৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মা। ৪ হাজার ২৩১ রান সংগ্রহকালে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরিও তার দখলে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরেও ১৫৬.৭ স্ট্রাইক রেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২৫৭) সংগ্রাহক হিটম্যান।
২০০৭ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন রোহিত, আর ক্যারিয়ার শেষ করলেন অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৫ মাস আগে
বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বিজয়ের মঞ্চেই ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলে দিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ব্যাট হাতে তার ৭৬ রানের ইনিংসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে ফাইনালে ম্যান অব দ্য মাচও হয়েছেন তিনি।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার গ্রহণ করার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান কোহলি।
তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। আমরা ঠিক এটিই অর্জন করতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে একেবারেই রানের মধ্যে ছিলেন না তিনি। আগের ৭ ম্যাচে তার মোট রান ছিল ৭৫। এর মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুইবার, শূন্য রানেও আউট হন দুইবার। তবে ফাইনাল ম্যাচে এসে অবশেষে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযানে নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়টি সচেতনভাবেই খেয়াল করেছেন তিনি।
কোহলি বলেন, ‘একদিন আপনার মনে হবে যে, আপনি রান পাচ্ছেন না, আর তখনই এমন সিদ্ধান্ত মাথায় আসে। ঈশ্বর মহান (যে তিনি আমাকে শেষটা সুন্দর করার সুযোগ দিয়েছেন)।’
‘এবার আমরা পণ করেই এসেছিলাম- হয় এবার, নয়তো কখনও নয়। ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর কাপটি আমি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন, এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট ছিল। এই টুর্নামেন্ট শেষেই আমি (অবসরের) ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম। এমন নয় যে, হেরে গেলে এই ঘোষণাটি আমি দিতাম না। নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। এরপর ওয়ানডে, টেস্টের মতো এই ফরম্যাটেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ১২৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৩৭.৯৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৬৯ গড়ে ৪ হাজার ১৮৮ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে দুইবার টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন কোহলি। ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টেও ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে রোহিত শর্মার পরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
৫ মাস আগে
দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর প্রথম আসরেই ফাইনালে ওঠে ভারত। সেবার পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। এরপর আরও একবার ফাইনালে উঠলেও শ্রীলঙ্কা কাঁদায় তাদের। ১৭ বছর পর ফের ফাইনালে কাঁদল ভারত। তবে এবার আর হতাশা নয়, শিরোপা জয়ের আনন্দে কাঁদলেন রোহিত-হার্দিকরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২৪ সালের আসরে এসে অবশেষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এ সংস্করণে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। ১৭ বছরের চেষ্টার পর একেবারে টি-টোয়েন্টির প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে টিম ইন্ডিয়া।
টস জিতে এদিন শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত। জবাবে খেলতে নেমে নাটকের পর নাটক, ম্যাচে একের পর এক পালাবদলের পর মাত্র ৭ রান বাকি থাকতে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
দুই দলই তুমূল লড়াইয়ের স্মরণীয় এক ফাইনাল উপহার দিল। তবে প্রথমবার কোনো বিশ্ব আসরের ফাইনালে উঠেও জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থ হলো আইডেন মার্করাম-ডেভিড মিলাররা। ফলে সামান্য ব্যবধানে হেরে আরও একবার হৃদয় ভাঙল প্রোটিয়াদের। আর প্রায় দেড় যুগের অপেক্ষা শেষে শিরোপা উঁচিয়ে ধরল ভারত।
প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাট হাতে হাইনরিখ ক্লাসেন করেন সর্বোচ্চ ৫২ রান। এছাড়া কুইন্টন ডি কক ৩৯ এবং ডেভিড মিলার ২১ রান করেন।
অন্যদিকে, বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ব্যক্তিগত চার ওভারে ১৮ ও ২০ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন যথাক্রমে জসপ্রিত বুমরাহ ও আর্শদীপ সিং। প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির ৭৬ রানের পর এই দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরে হারিয়েছে ভারত।
প্রথম ইনিংসে দলের সংগ্রহ বড় করে দেয়ায় ফাইনাল ম্যাচের রাজা বিরাট কোহলি। আর আসরজুড়ে বোলিংয়ে ঝলক দেখানো জসপ্রিত বুমরাহ হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা।
৫ মাস আগে
ডি ককের ব্যাটে ম্যাচে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা
মাত্র ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই যে চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক।
দলকে স্থিতিশীলতা এনে দিয়ে স্টাবস আউট হয়ে ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ডি কক ও হাইনরিখ ক্লাসেন।
শেষ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ ওভার শেষে তিন উইকেটে ৯৩ রান সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপ জিততে বাকি ৯ ওভারে তখন তাদের প্রয়োজন ৮৪ রান। প্রয়োজনীয় রান রেট ৯ দশমিক ৪।
২৬ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন ডি কক। অন্য প্রান্তে ১০ বলে ১৬ রান নিয়ে অপরাজিত ক্লাসেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
এর আগে, ১৭৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তিন ওভার শেষ হতে না হতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডি কক। আর্শদীপের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়েই বিপদে পড়েছিলেন তিনি। তবে উইকেটরক্ষক পর্যন্ত না পৌঁছানোয় বেঁচে যান ডি কক।
তবে পরের ওভারে বুমরাহর প্রতাপ থেকে বাঁচতে পারেননি অপর প্রান্তের রিজা হেন্ড্রিক্স। ওভারের তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কার স্ট্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ফলে দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর পরের ওভারে আর্শদীপের শিকার হন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। উইকেটের পেছনে ঋষভকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে প্রথম দুই ব্যাটারই পাঁচ বল মোকাবিলা করে একটি করে চার মেরে ফিরে যান। এতে মাত্র ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ভারতের মতোই শুরুতে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় ভারত।
এরপর ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে মাচে ফিরতে শুরু করেন ডি কক। এই দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেটে ৪২ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে ৩৮ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান স্টাবস। ৮.৫তম ওভারে অক্ষরের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফেরার আগে একটি ছক্কা ও তিনটি চারের মারে ২১ বলে ৩১ রান করেন তিনি। এর ফলে দলীয় ৭০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
৫ মাস আগে
ভারতীয় বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
১৭৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তিন ওভার শেষ হতে না হতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডি কক। আর্শদীপের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়েই বিপদে পড়েছিলেন তিনি। তবে উইকেটরক্ষক পর্যন্ত না পৌঁছানোয় বেঁচে যান ডি কক।
তবে পরের ওভারে বুমরাহর প্রতাপ থেকে বাঁচতে পারেননি অপর প্রান্তের রিজা হেন্ড্রিক্স। ওভারের তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কার স্ট্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ফলে দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর পরের ওভারে আর্শদীপের শিকার হন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। উইকেটের পেছনে ঋষভকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে প্রথম দুই ব্যাটারই পাঁচ বল মোকাবিলা করে একটি করে চার মেরে ফিরে যান। এতে মাত্র ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ভারতের মতোই শুরুতে চাপে পড়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় ভারত।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪ ওভার শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ২২ রানে সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা।
কুইন্টন ডি কক ১০ বলে ১০ এবং ট্রিস্টান স্টাবস ৪ বলে ২ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
৫ মাস আগে
ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে রানখরা গেলেও ফাইনালে ঠিকই জ্বলে উঠল বিরাট কোহলির ব্যাট। তার ব্যাটের হাসিতে শুরুতে উইকেট হারিয়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো ভারত, আর প্রোটিয়াদের দিল চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।
বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করেছে ভারত।
এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন কোহলি। ৫৯ বলে এই রান করতে গিয়ে তিনি দুটি ছক্কা ও ছয়টি চার মারেন। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল ৩১ বলে ৪৭ এবং শেষের দিকে শিবম দুবে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন কেশব মহারাজ। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের ঝুলিতে গেছে একটি করে উইকেট।
প্রথম ওভারে তিনটি চার মেরে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন বিরাট কোহলি। পরের ওভারে তা অব্যহত রাখেন রোহিতও। কিন্তু ওই ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অসাধারণভাবে ম্যাচে ফেরান কেশব মহারাজ।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন রোহিত, কিন্তু চতুর্থ বলেই মহারাজের শর্ট লেঙ্থ ডেলিভারিটি সুইপ করতে গিয়ে ক্লাসেনের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
রোহিত সুইপ করলে বলটি প্রায় মাটি ছুঁয়েই যাচ্ছিল, কিন্তু মাটিতে পড়ার আগে বাঁ দিকে খানিকটা ঝাঁপিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন শর্ট ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ফিল্ডিং করা ক্লাসেন।
এরপর, ক্রিজে এসে পঞ্চম ডেলিভারিটি দেখেশুনে খেলে পরের বলেই মহারাজের ঘুর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে টপ এজ হয়ে যান ঋষভ পান্ত। উইকেটের পেছন থেকে ডি কক সহজ ক্যাচ নিলে খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় ভারতীয় উইকেটরক্ষককে।
এর ফলে ২৩ রানে দুই উইকেট হারায় ভারত। আর শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। এসময় সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন কোহলি।
তৃতীয় ওভারে রাবাদার শেষ ডেলিভারিতে ফের একটি ক্যাচ উঠেছিল, তবে ফাঁকায় পড়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান কোহলি।
এদিন এক-দুই রান বাঁচাতে ফিল্ডিংয়ের মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্স দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত
এরপর দলীয় পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে সূর্যকুমারকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে সেই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে বলটি উড়িয়ে সীমানাছাড়া করার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার। কিন্তু মারে জোর না থাকায় ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় তাকে।
তিনি ৪ বলে ৩ রান করে ফিরে গেলে ৩৪ রানের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর তুরুপের তাস হিসেবে বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দেন রোহিত।
অক্ষর-কোহলি জুটি অক্ষত রেখে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে ভারত। এরপরই হাত খুলে খেলা শুরু করেন অক্ষর। নিয়মিত বিরতিতে চার-ছক্কা বের করতে থাকেন তিনি। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় প্রথম দশ ওভারে ৭৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। এরপর ১৩.১ ওভারে রাবাদাকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় শতরান পার করেন অক্ষর।
তবে এর দুই বল পরই দুঃখজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ফেরার আগে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে ৩১ বলে ৪৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে যান তিনি। এই রান সংগ্রহ করতে তিনে মারেন চারটি ছক্কা ও একটি চারের মার।
আরও পড়ুন: ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
পরবর্তী ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে কোহলিকে তাল দিতে থাকেন শিবম দুবে। এর মাঝে ৪৮ বলে চলতি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট।
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ৫৯ বলে ৭৬ রান করে ফেরেন কোহলি। এরপর ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ফিরে যান শিবমও (২৭), আর নর্টকিয়ার শেষ বলে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে জাদেজাকে থামান মহারাজ। ফলে আট উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
প্রথমবার ফাইনালে উঠেই শিরোপা ছুঁতে হলে এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে প্রোটিয়া ব্যাটারদের।
৫ মাস আগে