দারিদ্র্য
দারিদ্র্যকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় কাজ করছে সরকার: ফারুক ই আজম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত মানবসৃষ্ট দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগের চেয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তা হলো আমাদের দারিদ্র্যতা। বাংলাদেশের প্রায় ৭৫টি উপজেলার শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। দারিদ্র্যজনিত অপুষ্টি একটি দুর্বল জাতি সৃষ্টি করবে যার পরিমাণ হবে ভয়াবহ। তাই আমি দারিদ্র্যকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশনের মাল্টিপারপাস হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন ফারুক ই আজম।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরঞ্জাম সহায়তা
উপদেষ্টা মনে করেন, জীবন রক্ষার জন্য শক্তিশালী প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা, উন্নত বিল্ডিং কোড এবং আরও ভালো নগর পরিকল্পনা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মানুষ সচেতন হলেই ঝুঁকি হ্রাস পাবে। সবাইকে সচেতন করার কাজটি অত্যন্ত কঠিন। এই সচেতনতা আমাদের প্রত্যেকের ঘর থেকেই আরম্ভ করতে হবে এবং অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। এছাড়া সরকারের ওপর নির্ভর না করে সর্বতোভাবে ভলান্টিয়ার সৃষ্টি করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী অন্য দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আদলে কার্যকর মডেল সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবাইকে প্রস্তুত রাখা একটি সময়ের দাবি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সব সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে নিজস্ব উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য যথেষ্ট গবেষণার প্রয়োজন। আমি আশা করি তরুণ প্রজন্ম এসব ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।
কর্মশালায় আরও ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, যুগ্ম সচিব মো. আহমেদুল হক। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ৭০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলের মানুষের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন
২ সপ্তাহ আগে
এবার দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান মেয়াদে তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে অতি দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ১২টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, তার সরকার তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যমান সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিতে সম্মত বাংলাদেশ-সৌদি আরব
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে কায়েস বলেন, 'তারা (তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ) উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত হলে পুরো দেশ উন্নত হবে এবং জনগণ এর সুফল পাবে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪২ শতাংশের বেশি।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারীরা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করছে।
স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে নারী ও শিশুরা চিকিৎসা পাচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে তার সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
দুস্থ নারীদের বিশেষ করে বিধবা এবং স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ হওয়া নারীদের জন্য তার সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল থাকায় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও যোগাযোগ নিশ্চিত করতেও সরকার কাজ করছে।
বৈঠকের শুরুতে বতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, মেসিডোনিয়া, মঙ্গোলিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্লোভাক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, পেরু ও ভেনিজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা টানা চতুর্থবারের মতো এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
দূতরা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে তারা অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে ডিজিটাল বই প্রকাশের উদ্যোগ নিন: প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্র্যের হার আমরা শতকরা ৪০ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে আর চরম দারিদ্র্যের হার ১৮ ভাগ থেকে ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। মাশরুমের চাষ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
তাছাড়া আগামী ৩ থেকে ৫ বছরে আমরা মাশরুম বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।
বুধবার (১৪ জুন) বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-বিএআরসি মিলনায়তনে মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাশরুম খুবই সম্ভাবনাময়। এটি খুবই পুষ্টিকর, যাতে প্রোটিন আছে ২২ ভাগের মতো। যেখানে চালে শতকরা ৮ ভাগ, গমে প্রায় ১২ ভাগ প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া এটি অর্থকরী ফসল।
সেমিনারে দেশের প্রত্যেক উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের ২০০ থেকে ৩০০ মাশরুম উদ্যোক্তা তৈরির নির্দেশ দেন ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ সদস্যের বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তাদের বিবৃতিটি দেখে মনে হয়েছে, বিএনপি বিবৃতি দিয়েছে। এটি বিএনপির ইইউ শাখার বিবৃতির মতো হয়েছে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসীরা আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকে উল্লেখ করে দলটির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ইইউ পার্লামেন্টের ৬ জন সদস্যের এই বিবৃতি ভিত্তিহীন ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
মানবাধিকারের ওপর দারিদ্র্যের প্রভাব পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ সফর করবেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ সফর করবেন। আগামী ১৭ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত এই সফর করবেন তিনি।
দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ, প্রতিবেদন ও পরামর্শ প্রদানের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক নিয়োগকৃত স্বাধীন বিশেষজ্ঞ ডি শ্যুটার বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো কীভাবে এ অর্জন অক্ষুন্ন রাখা যায় এবং সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সমানভাবে এর সুফল নিশ্চিত করা যায়।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ কমাতে পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
‘এ সফরের ফলে আমি উক্ত বিষয়ে আরও বেশি শুনতে ও জানতে পারব এবং অর্থনৈতিক ও জলবায়ুজনিত অভিঘাতের প্রেক্ষাপটে মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত রাখতে ও সকলের জন্য মানসম্পন্ন জীবনমান নিশ্চিতকরণে সরকার যাতে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখতে পারে সেসব বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারব।’
সফরকালে, জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ঢাকা ও রংপুর বিভাগের কিছু স্থান এবং কক্সবাজার পরিদর্শন করবেন। তিনি এসব স্থানের স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, দারিদ্র্যপীড়িত সম্প্রদায় ও মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়াও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কার্যকারিতা নিরূপণে ডি শ্যুটার দারিদ্র্যের ওপর বাংলাদেশের শ্রম আইন, স্বাস্থ্যসেবা, গৃহায়ণ, এবং শিক্ষা ব্যবস্থার প্রভাবসমূহ পর্যবেক্ষণ করবেন। নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, তৈরি পোশাক কর্মী, এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ যেসকল গোষ্ঠী দারিদ্র্য বৈষম্যের শিকার তাদের অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি।
আগামী ২৯ মে স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় ডি শ্যুটার তার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শসমূহ ঢাকার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁতে একটি সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পেশ করবেন। কেবল সাংবাদিকদের জন্য প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। সংবাদ সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির 'নীরব সাক্ষী' জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ: রাষ্ট্রদূত মুহিত
সত্য ও সত্য বলা মানুষগুলোকে আক্রমণ করা বন্ধ করতে হবে: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭৪ শতাংশে, দারিদ্র্য কমে ৫.৬ শতাংশ: জরিপ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ পারিবারিক জরিপ অনুসারে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ শতাংশে।
বুধবার প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ৬৫ দশমিক ষাট শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৫৭ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সাক্ষরতার হার নির্ধারণে সাত বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে কাজ করছে বিএসইসি: অধ্যাপক শিবলী
বিবিএস ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার ৪০০ পরিবারের মধ্যে জরিপটি পরিচালনা করে।
বর্তমানে (২০২২) দেশে একটি পরিবারের গড় মাসিক ব্যয় ৩১,৫০০ টাকা, যা ২০১৬ সালে তা ছিল ১৫, ৭১৫ টাকা। ফলে ছয় বছরের ব্যবধানে খরচ দ্বিগুণ হয়েছে।
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে দেশে দরিদ্র ও নিঃস্ব মানুষের হার কমেছে। দেশে দরিদ্র জনসংখ্যা ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। এছাড়া দারিদ্র্যের হার কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে দরিদ্র জনসংখ্যা ছিল ২৪ দশমিক তিন শতাংশ।
সে বছর অতি-দরিদ্র জনসংখ্যা ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ফলে সাত বছরের ব্যবধানে দেশে দরিদ্রের সংখ্যা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
একই সময়ে, অতি-দরিদ্র জনসংখ্যা সাত দশমিক তিন শতাংশ কমেছে।
দারিদ্র্যের হার গ্রামীণ শহরে ২০ দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং শহরে ১৪ দশমিক সাত শতাংশ।
দারিদ্র্যের হার নির্ধারণে কাজ করা সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বুধবার (১২ এপ্রিল) বিবিএস অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংস্থাটি ২০১৬ সালে তার সর্বশেষ 'গৃহস্থালী আয় ও ব্যয় সমীক্ষা (এইচআইইএস)' প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার নিয়ে বিএসইসি’র সঙ্গে আলোচনায় বসবে আইএমএফ
পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
১ বছর আগে
ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রেকর্ড করা রেডিও ও টেলিভিশন বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
আরও পড়ুন: সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তখন বাংলাদেশ ২৬শে মার্চ জাতীয় দিবস উদযাপন করে।
শেখ হাসিনা তার বাণীতে দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি এবং পাই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সালাম জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে।
‘বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ – উল্লেখ করে তিনি তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি আয়োজিত
গ্রামীণ পর্যায়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গত ৫০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা ব্র্যাক। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিসার্চ অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’-এ আয়োজিত হয় ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি।
‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মাইস্ট্রস’ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য ‘লিঙ্গ সমতা’। যেটি জাতিসংঘের বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যের (সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস) ৫ম লক্ষ্য। বাংলাদেশি নারীদের কার্যকরী কর্মদক্ষতা এবং উন্নয়ন অর্জন আরও একধাপ এগিয়ে নেয়াই ছিল ‘উদ্যোমী আমি' কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য।
নারী উদ্যোক্তারা যেন নিজেদের কর্মদক্ষতার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে নিজের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে- এটিও আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: তিন দিনব্যাপী শিশুদের আন্তজার্তিক শিল্প প্রদর্শিনী শুরু
অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের ‘পিচিং সেশন’ এবং বিচারকদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে। ৩১ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ২৪ জন উত্তীর্ণ হওয়া উদ্যোক্তা এই পিচিং সেশনটিতে নিজেদের উদ্যোগকে উপস্থাপন করার সুযোগ পান উদ্যোক্তারা। প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বেলা ১১টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুল (বিবিএস) এর ডিন অধ্যাপক ড. স্যাঙ হুন লি, প্রফেসর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুল হক, সেন্টার ফর এন্টারপপ্রেনাশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) এর পরিচালক আফসানা চৌধুরী, ড. রাফিউল আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাসীমা আক্তার নিশা।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত ৯২ শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিল কাতার চ্যারিটি
সর্বশেষে বিজয়ী উদ্যোক্তা লাবনী আক্তার নিজের আনন্দ প্রকাশ করে বলেন,‘প্রথম সেশনেই আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি যে এখানে নতুন কিছু পেতে যাচ্ছি। যতগুলো ট্রেনিং প্রোগ্রাম আমি করেছি লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল; উদ্যমী আমি কেন যেন বাকিদের থেকে আলাদা লেগেছে।’
মূল অনুষ্ঠান শেষে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আতিফ হক বলেন, ‘উদ্যমী আমি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য যে উদ্যোগটি নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। ব্র্যাকের এই উদ্যোগ নারীদের জন্য সময়োপযোগী এবং আমার বিশ্বাস এই অনুষ্ঠান সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য কোনো না কোনোভাবে উন্নতি আনবে।’
বর্ণিল এই আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল সময় টিভি ও ইউএনবি। প্রিন্ট মিডিয়া স্পনসর ছিলো ইত্তেফাক এবং অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব (বিজবি)।
আরও পড়ুন: ‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার
২ বছর আগে
প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাড়ানোর আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দারিদ্র্য দূরীকরণে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ও হুয়াওয়ের আয়োজিত ‘স্ট্র্যাটেজি ফর অ্যাড্রেসিং দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ড্রাইভ-ইনক্রিজিং কানেক্টিভিটি টু ড্রাইভ ইকোনোমি রিকোভারি’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তারা।
গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগের খরচ কমাতে ও ডিজিটাল শিক্ষার বিকাশে সকল খাতের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রয়োজন; যা বৈশ্বিক মহামারিকালীন সময়ে ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুনঃ থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ ডিজিটাল অফিসার মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘এটা শুরুই হবে যারা এখনও ডিজিটাল মাধ্যমে সংযুক্ত নয়, তাদের সংযুক্ত করার মাধ্যমে।’
তিনি এ অঞ্চলে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে তিনটি প্রধান স্তম্ভকে একত্রিত করে হুয়াওয়ের এজেন্ডা তুলে ধরেছেন। সেগুলো হলোআইসিটি সংযোগ, দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা ও সবুজ প্রযুক্তি।
সাংহাই জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্টাই কলেজ অব ইকোনমিকস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ইয়িন হাইতাও এর বক্তব্যেও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব উঠে এসেছে। সম্প্রতি, তার অর্থনৈতিক বিকাশ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে আইসিটি সমাধান ব্যবহারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রফেসর ইন ও কর্নেল ইউনিভার্সিটির স্যামুয়েল সি জনসন কলেজ অব বিজনেসের প্রফেসর ক্রিস মারকুইস ‘ডিজিটাল ইনভলবমেন্ট অ্যান্ড প্রোভার্টি অ্যালেভিয়েশন: এ হুয়াওয়ে অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির সহ-রচয়িতা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুরালস্টার প্রোগ্রামের লক্ষ্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে আইসিটি ব্যয় হ্রাস করা, যাতে স্থানীয় ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে টেকসই ডিজিটাল সংযোগ সেবা সরবরাহ করতে সক্ষম হন।
অনুন্নত অঞ্চলে পৌঁছাতে ও ডিজিটাল কভারেজ উন্নত করতে হুয়াওয়ে ২০১৭ সাল থেকে থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বব্যাপী স্থানীয় অপারেটরদের সাথে রুরালস্টার প্রোগ্রাম শুরু করে। এ সমাধানটি আগের টাওয়ারগুলোর পরিবর্তে সাধারণ টাওয়ার প্রতিস্থাপন করে এবং ডিজেল জেনারেটর শক্তি থেকে সৌরবিদ্যুতে স্থানান্তরিত করে। ২০২০ সালের মধ্যে, ৬০টিরও বেশি দেশে রুরালস্টার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল এবং ৫ কোটি মানুষ এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হয়েছে।
ডিজিটাল বৈষম্যের অন্যতম মূল কারণ আইসিটি সংশ্লিষ্ট প্রতিভার সঙ্কট। ডিজিটাল অবকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ সম্পর্কে হুয়াওয়ের কৌশলের সাথে সহমত হওয়া ছাড়াও শ্রম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) লি কুয়ান ইইউ সেন্টার ফর ইনোভেটিভ সিটির পরিচালক পুন কিং ওয়াং মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ও সময়পোযোগী করতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ও টেকসই সহযোগিতা এবং ডিজিটাল রূপান্তরে শ্রমিকদের সুস্থতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা ।
এশিয়া ফাউন্ডেশনের ইকোনোমিক প্রোগ্রামের পরিচালক সোফিয়া শাকিল নারী বেকারত্বের ওপর মহামারির নেতিবাচক প্রভাব এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন।
২০১৭ সালে হুয়াওয়ে, বাংলাদেশ সরকার (আইসিটি বিভাগ) ও রবি আজিয়াটা যৌথভাবে দেশের গ্রামীণ পর্যায়ের কেন্দ্রে নারীদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধিতে ডিজিটাল ট্রেনিং বাস প্রকল্প চালু করে। এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারেরও বেশি নারী এখান থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং ২০২৩ সালের মধ্যে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার জন এর থেকে উপকৃত হবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মাইকেল ম্যাকডোনাল্ডের মতে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আসন্ন শ্রম ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্য হুয়াওয়ের শিক্ষা বিষয়ক ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে আরও ৪ লাখ ডিজিটাল দক্ষ ব্যক্তি তৈরি হবে হবে আশা করা যায়। এমন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সিডস ফর দ্য ফিউচার, আসিয়ান অ্যাকাডেমি ইত্যাদি।
সেমিনারে বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকার, সংশ্লিষ্ট খাত, তৃতীয় পক্ষের চিন্তাশীল নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে একসাথে ইকোসিস্টেম তৈরির বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
৩ বছর আগে
খাদ্য ও কৃষিতে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ: মন্ত্রী
বাংলাদেশে খাদ্য ও কৃষিতে অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির উন্নয়নে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০ বছর আগে ১৯৯৯-২০০০ সালে এ সরকারের আগের আমলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে ও বর্তমান সরকার এ আমলেও তা ধরে রেখেছে। মাথাপিছু আয় ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। ফলে খাদ্যে মানুষের প্রবেশযোগ্যতা সহজতর হয়েছে। এছাড়া, বিগত দশকে অপুষ্টি দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গবেষকদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৪২তম সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘স্টেট অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার’ অংশে বাংলাদশের অবস্থান তুলে ধরে এ কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চলমান কোভিড-১৯ এর শুরুতেই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সরবরাহ অব্যাহত রাখা ও দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে নানামুখী প্রণোদনা প্রদান করেন। এছাড়া, কৃষিখাতে করোনার প্রভাব মোকাবিলায় ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ফলে কোভিড পরিস্থিতি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও নির্দেশনায় দেশে কৃষির উৎপাদন ও খাদ্য সরবরাহের ধারা অব্যাহত থাকে এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: ফড়িয়াদের কাছ থেকে ধান কিনবে না সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ ১১ লাখ রোহিঙ্গাও দেশে রয়েছে। যা আমাদের সমাজ, অর্থনীতি ও পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
এসময় তিনি উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
কোভিড-১৯ এর কারণে ভার্চুয়ালি ১৪-১৮ জুন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের সম্মেলন। কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে: মন্ত্রী
ঢাকা থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, যুগ্ম সচিব তাজকেরা খাতুন, উপসচিব আলী আকবর ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব বিধান বড়াল অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়া ইতালির রোম থেকে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান ও ইকনমিক কাউন্সিলর মানস মিত্র।
৩ বছর আগে
করোনায় ২.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হবার দাবি নাকচ অর্থমন্ত্রীর
অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল দেশে করোনা মহামারির কারণে নতুন করে ২.৫ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাবার বিষয়টি নাকচ করেছেন।তিনি বলেছেন, ‘দেশের দুই থেকে আড়াই কোটি জনগণ দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে গেছেন, এমন দাবি আমি বিশ্বাস করি না। আমাকে খতিয়ে দেখতে হবে কীভাবে কিছু গবেষণা সংস্থা এমন তথ্য পেয়েছে।’বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে দুর্নীতির ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স: অর্থমন্ত্রী
এসময় অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারের নিজস্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং তারা কাজ করছে। সরকারি গবেষণা সংস্থার তথ্য ছাড়া অন্য কোনও তথ্য গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন অর্থনীতিবিদদের বাজেট নিয়ে সমালোচনার জবাবে বলেন, এই বাজেটে সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নের পর থেকেই এর ফলাফল মানুষ বুঝতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাজেটে জীবন, জীবিকার সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই: সিপিডি
মন্ত্রী এই বাজেটকে দরিদ্র মানুষে উপযোগী বাজটে হিসেবে উল্লেখ করেন।এর আগে দু’টি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি করে, করোনার প্রভাবে দেশের ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে।
৩ বছর আগে