কুয়াশা
কুয়াশায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধের পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চালু
ঘন কুয়াশায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধের পর বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ১২টার পর এই রুটে ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। তার আগে পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি ফেরি ঘাটের অদূরে নোঙর করে। পাটুরিয়া ঘাটে ৬টি এবং দৌলতদিয়া প্রান্তে ৪টি ফেনি নোঙর করে থাকে।
জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ আরেক নৌপথ মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট রুটেও প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধের পর বুধবার সকাল পৌনে ৯টা থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টা ৪০ মিনিটে এই রুটে ফেরি বন্ধ হয়। তার আগে আরিচা থেকে ছেড়ে যাওয়া ধানসিঁড়ি এবং কাজিরহাট থেকে ছেড়ে আসা শাহ আলী ও চিত্রা নামক তিনটি ফেরি নদীতে নোঙর করে। ফেরি বন্ধ হওয়ায় উভয় ঘাটে শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন(বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কুয়াশায় গুরুত্বপূর্ণ দুই নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। মঙ্গলবার সকালে সোয়া তিন ঘণ্টা বন্ধের পর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশা বাড়লে দুর্ঘটনা এড়াতে রাত সাড়ে ১২টার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে যানবাহন লোড নিয়ে ছেড়ে আসা কেটাইপ (মাঝারি) ফেরি গোরী কিছুদূর যাওয়ার পর ভারি কুয়াশার কবলে পড়লে দুর্ঘটনা এড়াতে নোঙর করে।
আরও পড়ুন: আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ
পাটুরিয়া প্রান্তে রো রো (বড়) ফেরি কেরামত আলী, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, ভাষা শহীদ বরকত, কেটাইপ ফেরি বাইগার ও ইউটিলিটি (ছোট) বনলতা নোঙর করে। দৌলতদিয়ায় শাহ পরান, ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা, কুমিল্লা ও ফেরি হাসনা হেনা নোঙর করতে বাধ্য হয়। ফেরি পারাপার ব্যাহত হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থেকে আসা ঢাকাগামী বেশ কিছু গাড়ি নদী পাড়ি দিতে ঘাটে অপেক্ষা করে।
দৌলতদিয়ায় রাজবাড়ীর সৌহার্দ্য ও জামান পরিবহনের ঘাট তত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, ‘কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ বরিশাল অঞ্চলের যেসব ঢাকাগামী গাড়ি রাত ১২টার পর ঘাটে পৌঁছে সেসব গাড়ি নদী পাড়ি দিতে না পারায় আটকে আছে। বুধবার সকালে যেসব যাত্রীবাহী বাস সকাল ৯টা বা ১০টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছানোর কথা সেসব পরিবহনও আটকে আছে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।’
অপরদিকে নৌপথ আরিচা-কাজিরহাট রুটেও মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ১২টা থেকে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এর আগে আরিচা ঘাট থেকে কাজিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া কেটাইপ ফেরি ধানসিঁড়ি এবং কাজিরহাট থেকে আরিচার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি শাহ আলী ও কেটাইপ ফেরি চিত্রা নদীতে নোঙর করে আছে। আরিচা ঘাট এলাকায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান নামক ফেরি নোঙর করে আছে। এ দুটি ঘাটেও নদী পাড়ি দিতে কিছু পণ্যবাহী যানবাহন অপেক্ষমান।
উপমহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, দুইদিন ধরে কুয়াশার কারণে দুই নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বুধবারও কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশা কেটে গেলে সকাল ৯টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে এবং তার কিছুক্ষণ আগে পৌনে ৯টার দিকে আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে কুয়াশায় এই মৌসুমে আরও তিনদিন ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। এতে যাত্রী, যানবাহন চালক ও ফেরির কর্মকর্তাদের বাড়তি দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
আরও পড়ুন: ৫৬ ঘণ্টা পর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
১ সপ্তাহ আগে
কুয়াশায় আচ্ছন্ন নওগাঁ, তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীত
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে নওগাঁর পথঘাট। কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ বাড়ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলেছে সূর্যের। তবে সোমবার বেলা গড়ানোর পরও কুয়াশায় কাটছে না। বৃষ্টির মতো টপ টপ করে ঝরছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস যোগ হওযায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
সদর উপজেলার ঠাংভাঙ্গা মোড়ে এলাকার আফছার আলী বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়েছে। তবে সকাল ৯টা দিকে সূর্য উঠলেও আজকে সূর্যের দেখা নাই। বৃষ্টির মতো ঝির ঝির করে কুয়াশা পড়ছে। শুরুতেই যদি এত ঠান্ডা পড়ে তাহলে সামনের দিনে তো আরও বেশি ঠান্ডা হবে। এমনিতেই ঠান্ডায় কোনো কিছু করা যাচ্ছে না। হাত-পা নিস্তেজ হয়ে যায়।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া শীতের তাপমাত্রা আগামীতে বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক জাহিদ নজরুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শীত বাড়ায় শিশু ও বয়স্কদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করে গরম ভাইয়ের পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আল জানান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়কে নওগাঁয় শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত নওগাঁয় সরকারিভাবে কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, একটি বেসরকারি সংস্থা বিতরণের জন্য আজ পর্যন্ত ৪০০টি কম্বল জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এছাড়া তিনি জানান, গত বছর তিন ধাপে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে নওগাঁতে ৭৬ হাজার গরম কাপড় অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবছর এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয় নাই।
তিনি এ বছরের জন্য নওগাঁর দুস্থ অসহায় মানুষের শীত নিবারণে এক লাখ গরম কাপড়ের বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান এবং সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
১ সপ্তাহ আগে
ঘন কুয়াশায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে রবিবার (৩ নভেম্বর) ভোর রাত সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। কুয়াশার কারণে মাঝ পদ্মায় আটকে থাকে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও বরকত নামে ২টি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়ায় ৪টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে ৪টি ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন নদী পারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম জানান, মধ্য রাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। ভোর রাত সাড়ে ৪টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এসময় মাঝ পদ্মায় আটকে পড়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও বরকত। এছাড়া আরও ৮টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়।
সকাল সাড়ে ৭টায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান আবদুস সালাম।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকে পড়ে অর্ধশত যাত্রীবাহী বাস ও শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
১ মাস আগে
তীব্র শীতে বিপর্যস্ত খুলনাঞ্চলের জনজীবন
তীব্র শীতে খুলনাঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশাতে আচ্ছন্ন এ অঞ্চল। সূর্যও বেশ দেরিতে দেখা দিচ্ছে। দেখা দিলেও যেন কোনো তেজ নেই। এতে মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) হঠাৎ করে রাতের তীব্র শীত মানুষের জন্য চরম ভোগান্তি নিয়ে আসে। কেননা, এর আগে এ বছর এতো মাত্রার শীত পড়েনি এ অঞ্চলে। এই শীতে অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন, বেশি ভুগছে বয়স্ক ও শিশুরা।
প্রচণ্ড ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে দেরিতে সূর্য দেখা দিলেও কমছে না শীতের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের অভাবে শীত থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
এদিকে উষ্ণতার জন্য গরম কাপড়ের কদর বেড়েছে। ভিড় দেখা গেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষের শীতজনিত নানা রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে হাসপাতালগুলোয় অসুস্থ রোগীর ভিড় বাড়ছে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় আজকের তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ দিন থাকবে। ১৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে ২০ জানুয়ারি পর আবার তাপমাত্রা কমবে।’
উল্লেখ্য, আজ খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
১১ মাস আগে
নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
অধিদপ্তরের রবিবারের (১৭ ডিসেম্বর) বুলেটিনে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, আজ (রবিবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
১ বছর আগে
আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে আরও বলা হয়, ভোরের দিকে দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এতে বলা হয়, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও কুমারখালীতে। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) দেশের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পাশাপাশি ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অফিসের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র কিছুটা কমতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি কমতে পারে।
বুলেটিনে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ হ্রাস পেলে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে
২ বছর আগে
সারাদেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে
দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) সোমবার সকাল ৯টার এক বুলেটিনে বলা হয়েছে ‘খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।’
এছাড়া সারাদেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
বুলেটিনে বলা হয়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
আবহাওয়া অফিসের জানায়, পশ্চিমা নিম্নচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক নিম্নচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর
২ বছর আগে
দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা পড়তে পারে
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নওগাঁ, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলায় বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কমে যেতে পারে।
সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: মাঘের শুরুতে তাপমাত্রা কমছে পঞ্চগড়ে
সিনপটিক পরিস্থিতি অনুসারে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কক্সবাজার জেলার টেকনাফে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
২ বছর আগে
সারাদেশে তাপমাত্রা কমতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, সারাদেশে তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘সারাদেশে তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন অনুযায়ী, সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের নদী অববাহিকা এলাকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং অন্যত্র মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট ও ময়মনসিংহে হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দুর্বল হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ: আবহাওয়া অধিদপ্তর
২ বছর আগে