কুয়াশা
কুয়াশায় বিমান, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঘন কুয়াশার কারণে দেশে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আবার কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: সূর্যের দেখা নেই চুয়াডাঙ্গায়, আবারও শৈত্যপ্রবাহের আভাস
গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীর বাঘাবাড়ীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি।
শনিবারের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি হ্রাস পারে, দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১০০ দিন আগে
সূর্যের দেখা নেই চুয়াডাঙ্গায়, আবারও শৈত্যপ্রবাহের আভাস
গত তিনদিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, ‘তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হলেও হিমেল বাতাসের কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এছাড়া আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৪ দিনেও সূর্যের দেখা নেই লালমনিরহাটে, বিপাকে শ্রমজীবীরা
এদিকে আরও ৩ থেকে ৪ দিন এই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও জানান জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শীতের কারণে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ ও রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া এই দুই ধরনের শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে শিশু রোগীর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। আন্তঃবিভাগে শিশু ওয়ার্ডে গড়ে ৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু, ডায়রিয়া ও মেডিসিন বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে চিকিৎসক-নার্সদের হিমশিম অবস্থা।’
১০০ দিন আগে
৯ ঘণ্টা পর দুই নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশায় মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজিরহাট ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
আরিচা সেক্টরের ডিজিএম নাসির চৌধুরী জানান, মধ্যরাত থেকে পদ্মা ও যমুনা নদীর অববাহিকায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকায় নৌদুর্ঘটনা এড়াতে রাত দেড়টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ সময় মাঝ নদীতে আটকে পড়ে বরকত ও কপোতী নামে দুটি ফেরি। এছাড়া ঘন কুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও রাত দেড়টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় মাঝ নদীতে যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয় খান জাহান আলী ও চিত্রা নামে দুটি ফেরি।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, পাটুরিয়ায় ৬টি ও দৌলতদিয়া ৪টি এবং আরিচাঘাটে ৩টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে আটকে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ২ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে ৪ ফেরি
এদিকে, ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৪টি ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, বাকিগুলো যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস।
আরিচা সেক্টরের ডিজিএম নাসির চৌধুরী জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ কমে যাওয়ায় মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজিরহাট ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে যাত্রীবাহী বাসসহ ব্যক্তিগত যানবাহন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পন্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে।
১০০ দিন আগে
কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পঞ্চগড়, স্থবির জনজীবন
মাঘ মাসের প্রথম দিনেই পঞ্চগড়ের আকাশ কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে। এখন পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। রাস্তাঘাটে যানবাহন এবং মানুষের চলাচল অনেকটা কমে গেছে। যানবাহনগুলো কেবল হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করছে। হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসের কারণে পরিবেশ আরও শীতল হয়ে উঠেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এখানে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১০৯ দিন আগে
কুড়িগ্রামে মেঘলা আকাশে হারিয়েছে সূর্য, কুয়াশার রাজত্ব!
শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শীতের তীব্রতা একটুও কমেনি। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসের দাপটে শীতকষ্টে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত দু'দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এর আগে বুধবার তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কনকনে ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, কারণ দিনের বেলা সূর্যের কোনো উত্তাপ নেই এবং হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা আরও তীব্র অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ
এদিকে শীত নিবারনে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তা বিতরণ চলমান।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত দেড় মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। এই মাসের মধ্যে ২ থেকে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন: হিমেল বাতাসের দাপটে নওগাঁয় থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন
১২২ দিন আগে
৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুই রুটে ফেরি চলাচল শুরু
কুয়াশায় আবারও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে এই দুই নৌপথে ফেরি, লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মাঝ নদীতে আটকা পড়া চার ফেরিতে থাকা যাত্রী, চালকসহ কয়েকশ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার পর থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে দুই নৌপথে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়, রবিবার দিবাগত থেকে পদ্মা এবং যমুনা নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকলে গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে অতিমাত্রায় কুয়াশা পড়তে থাকলে রাত ১২টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে এবং প্রায় ২০ মিনিট পর রাত ১২টা ২০মিনিটে পাটুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে ফেরি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
ফেরি বন্ধের আগে দুই ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিন, শাহ পরান এবং বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি কপোতী দুর্ঘটনা এড়াতে মাঝ নদীতে নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। মাঝ নদীতে চারটি ফেরি আটকে যাওয়ার খবর পেয়ে কোনো ঘাট থেকে আর কোনো ফেরি ছাড়েনি।
আরও পড়ুন: ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
এ সময় দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ঘাটে কেটাইপ (মাঝারি) ফেরি বাইগার এবং ৭ নম্বর ঘাটে রো রো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নোঙর করতে বাধ্য হয়।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকার ৩ নম্বর ঘাটে কেটাইপ ফেরি কুমিল্লা, ইউটিলিটি ফেরি বনলতা ও ৫ নম্বর ঘাটে হাসনা হেনা এবং রো রো ফেরি ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা ও কেরামত আলী নোঙর করে ছিল। প্রায় সাত ঘণ্টা পর সোমবার সকাল ৭টা থেকে কুয়াশা কমলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি, লঞ্চসহ নৌযান চলাচল স্বাভাবকি হয়। মাঝ নদীতে আটকে থাকা চারটি ফেরির শতাধিক যানবাহনের সঙ্গে প্রায় দুইশ যাত্রী, যানবাহনের চালকসহ ফেরির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কুয়াশা আর কন কনে শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েন।
মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরটা নৌপথেও রবিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামীদুর রহমান, কেটাইপ ফেরি ধানসিড়ি মাঝ নদীতে কুয়াশার কবলে আটকা পড়ে নোঙর করতে বাধ্য হয়। প্রায় ৬ ঘন্টা পর সোমবার সকাল ৭টার পর থেকে কুয়াশা কাটতে থাকলে এই রুটেও ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর আগে কুয়াশায় বন্ধের কারণে আরিচা ঘাটে কেটাইপ ফেরি চিত্রা ও কিষাণী এবং রো রো ফেরি শাহ আলী ও খানজাহান আলী নোঙরে ছিল। কাজিরহাট প্রান্তে এ সময় কোনো ফেরি ছিল না।
তার আগে রবিবার সকালেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা ও কাজিরহাট এই দুই নৌপথে কুয়াশার কারণে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো দুই নৌপথে ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল।
কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নদী পাড়ি দিতে ঢাকামুখী অন্তত শতাধিক গাড়ি অপেক্ষা করতে থাকে।
ক্যানাল ঘাট এলাকার বাসিন্দা শাকিল মোল্লা বলেন, ‘রবিবার রাত ১১টার পর থেকে কুয়াশা পড়তে থাকে। ভারি কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যান চলাচল অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর রাত ১২টার দিকে শোনা যায় ফেরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ সময় ফেরি ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরি হয়।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, কুয়াশার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথে রবিবার সকালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধের পর মধ্যরাত থেকে ফের ফেরি বন্ধ হয়। ৭ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে এবং ৬ ঘণ্টা পর আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া দুই নৌপথে মাঝ নদীতে আটকা পড়ে ছয়টি ফেরি। দুর্ভোগে পড়েন কয়েকশ যাত্রী ও যানবাহনের চালক।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
১৩২ দিন আগে
কুয়াশায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধের পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চালু
ঘন কুয়াশায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধের পর বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ১২টার পর এই রুটে ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। তার আগে পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি ফেরি ঘাটের অদূরে নোঙর করে। পাটুরিয়া ঘাটে ৬টি এবং দৌলতদিয়া প্রান্তে ৪টি ফেনি নোঙর করে থাকে।
জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ আরেক নৌপথ মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট রুটেও প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধের পর বুধবার সকাল পৌনে ৯টা থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টা ৪০ মিনিটে এই রুটে ফেরি বন্ধ হয়। তার আগে আরিচা থেকে ছেড়ে যাওয়া ধানসিঁড়ি এবং কাজিরহাট থেকে ছেড়ে আসা শাহ আলী ও চিত্রা নামক তিনটি ফেরি নদীতে নোঙর করে। ফেরি বন্ধ হওয়ায় উভয় ঘাটে শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন(বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কুয়াশায় গুরুত্বপূর্ণ দুই নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। মঙ্গলবার সকালে সোয়া তিন ঘণ্টা বন্ধের পর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশা বাড়লে দুর্ঘটনা এড়াতে রাত সাড়ে ১২টার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে যানবাহন লোড নিয়ে ছেড়ে আসা কেটাইপ (মাঝারি) ফেরি গোরী কিছুদূর যাওয়ার পর ভারি কুয়াশার কবলে পড়লে দুর্ঘটনা এড়াতে নোঙর করে।
আরও পড়ুন: আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ
পাটুরিয়া প্রান্তে রো রো (বড়) ফেরি কেরামত আলী, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, ভাষা শহীদ বরকত, কেটাইপ ফেরি বাইগার ও ইউটিলিটি (ছোট) বনলতা নোঙর করে। দৌলতদিয়ায় শাহ পরান, ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা, কুমিল্লা ও ফেরি হাসনা হেনা নোঙর করতে বাধ্য হয়। ফেরি পারাপার ব্যাহত হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থেকে আসা ঢাকাগামী বেশ কিছু গাড়ি নদী পাড়ি দিতে ঘাটে অপেক্ষা করে।
দৌলতদিয়ায় রাজবাড়ীর সৌহার্দ্য ও জামান পরিবহনের ঘাট তত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, ‘কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ বরিশাল অঞ্চলের যেসব ঢাকাগামী গাড়ি রাত ১২টার পর ঘাটে পৌঁছে সেসব গাড়ি নদী পাড়ি দিতে না পারায় আটকে আছে। বুধবার সকালে যেসব যাত্রীবাহী বাস সকাল ৯টা বা ১০টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছানোর কথা সেসব পরিবহনও আটকে আছে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।’
অপরদিকে নৌপথ আরিচা-কাজিরহাট রুটেও মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ১২টা থেকে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এর আগে আরিচা ঘাট থেকে কাজিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া কেটাইপ ফেরি ধানসিঁড়ি এবং কাজিরহাট থেকে আরিচার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি শাহ আলী ও কেটাইপ ফেরি চিত্রা নদীতে নোঙর করে আছে। আরিচা ঘাট এলাকায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান নামক ফেরি নোঙর করে আছে। এ দুটি ঘাটেও নদী পাড়ি দিতে কিছু পণ্যবাহী যানবাহন অপেক্ষমান।
উপমহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, দুইদিন ধরে কুয়াশার কারণে দুই নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বুধবারও কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশা কেটে গেলে সকাল ৯টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে এবং তার কিছুক্ষণ আগে পৌনে ৯টার দিকে আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে কুয়াশায় এই মৌসুমে আরও তিনদিন ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। এতে যাত্রী, যানবাহন চালক ও ফেরির কর্মকর্তাদের বাড়তি দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
আরও পড়ুন: ৫৬ ঘণ্টা পর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
১৪৪ দিন আগে
কুয়াশায় আচ্ছন্ন নওগাঁ, তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীত
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে নওগাঁর পথঘাট। কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ বাড়ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলেছে সূর্যের। তবে সোমবার বেলা গড়ানোর পরও কুয়াশায় কাটছে না। বৃষ্টির মতো টপ টপ করে ঝরছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস যোগ হওযায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
সদর উপজেলার ঠাংভাঙ্গা মোড়ে এলাকার আফছার আলী বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়েছে। তবে সকাল ৯টা দিকে সূর্য উঠলেও আজকে সূর্যের দেখা নাই। বৃষ্টির মতো ঝির ঝির করে কুয়াশা পড়ছে। শুরুতেই যদি এত ঠান্ডা পড়ে তাহলে সামনের দিনে তো আরও বেশি ঠান্ডা হবে। এমনিতেই ঠান্ডায় কোনো কিছু করা যাচ্ছে না। হাত-পা নিস্তেজ হয়ে যায়।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া শীতের তাপমাত্রা আগামীতে বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক জাহিদ নজরুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শীত বাড়ায় শিশু ও বয়স্কদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করে গরম ভাইয়ের পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আল জানান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়কে নওগাঁয় শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত নওগাঁয় সরকারিভাবে কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, একটি বেসরকারি সংস্থা বিতরণের জন্য আজ পর্যন্ত ৪০০টি কম্বল জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এছাড়া তিনি জানান, গত বছর তিন ধাপে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে নওগাঁতে ৭৬ হাজার গরম কাপড় অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবছর এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয় নাই।
তিনি এ বছরের জন্য নওগাঁর দুস্থ অসহায় মানুষের শীত নিবারণে এক লাখ গরম কাপড়ের বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান এবং সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
১৪৬ দিন আগে
ঘন কুয়াশায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে রবিবার (৩ নভেম্বর) ভোর রাত সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। কুয়াশার কারণে মাঝ পদ্মায় আটকে থাকে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও বরকত নামে ২টি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়ায় ৪টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে ৪টি ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন নদী পারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম জানান, মধ্য রাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। ভোর রাত সাড়ে ৪টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এসময় মাঝ পদ্মায় আটকে পড়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও বরকত। এছাড়া আরও ৮টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়।
সকাল সাড়ে ৭টায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান আবদুস সালাম।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকে পড়ে অর্ধশত যাত্রীবাহী বাস ও শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
১৮২ দিন আগে
তীব্র শীতে বিপর্যস্ত খুলনাঞ্চলের জনজীবন
তীব্র শীতে খুলনাঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশাতে আচ্ছন্ন এ অঞ্চল। সূর্যও বেশ দেরিতে দেখা দিচ্ছে। দেখা দিলেও যেন কোনো তেজ নেই। এতে মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) হঠাৎ করে রাতের তীব্র শীত মানুষের জন্য চরম ভোগান্তি নিয়ে আসে। কেননা, এর আগে এ বছর এতো মাত্রার শীত পড়েনি এ অঞ্চলে। এই শীতে অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন, বেশি ভুগছে বয়স্ক ও শিশুরা।
প্রচণ্ড ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে দেরিতে সূর্য দেখা দিলেও কমছে না শীতের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের অভাবে শীত থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
এদিকে উষ্ণতার জন্য গরম কাপড়ের কদর বেড়েছে। ভিড় দেখা গেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষের শীতজনিত নানা রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে হাসপাতালগুলোয় অসুস্থ রোগীর ভিড় বাড়ছে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় আজকের তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ দিন থাকবে। ১৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে ২০ জানুয়ারি পর আবার তাপমাত্রা কমবে।’
উল্লেখ্য, আজ খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
৪৭৭ দিন আগে