গত তিনদিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, ‘তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হলেও হিমেল বাতাসের কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এছাড়া আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৪ দিনেও সূর্যের দেখা নেই লালমনিরহাটে, বিপাকে শ্রমজীবীরা
এদিকে আরও ৩ থেকে ৪ দিন এই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও জানান জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শীতের কারণে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ ও রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া এই দুই ধরনের শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে শিশু রোগীর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। আন্তঃবিভাগে শিশু ওয়ার্ডে গড়ে ৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু, ডায়রিয়া ও মেডিসিন বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে চিকিৎসক-নার্সদের হিমশিম অবস্থা।’