ওসমানীনগর
সিলেটে এক রাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতি
সিলেটের ওসমানীনগরে এক রাতে তিন প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির হয়েছে। এতে প্রায় ২৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা লুটের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমেদ, লতিবপুর গ্রামের মিজানুর রহমান ও পার্শ্ববর্তী আশিক আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদের হামলায় দুই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- লতিবপুর গ্রামের ছানাওর আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০), ছেলে হোসাইন আহমদ (২২) ও মাধবপুর গ্রামের সিরাজ মিয়া (৪০)। তাদের বালাগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ড্রেন থেকে পাওয়া গেল থানার লুট হওয়া শটগান
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে লতিবপুর গ্রামের প্রবাসী মিজানুর রহমানের বাড়িতে বসতঘরের কেচি গেট ও দরজা ভেঙে ১২–১৩ জন ডাকাত ঢুকে মিজানের ছোট ভাই হোসাইন আহমদের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে একটি কক্ষে বেঁধে রাখে। এরপর অপর কক্ষে হোসাইন আহমদের মা আনোয়ারা বেগমকে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে ছয় ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে।
একই রাতে পাশের মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমদের বাড়িতে সাত–আটজনের একদল ডাকাত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহকর্মী সিরাজ মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তখন মামুন আহমদের ঘরে থাকা ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, ব্রিটিশ পাউন্ডসহ প্রায় এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়াও, লতিবপুর গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আশিক মিয়ার বাড়ির কেচি গেট ও দরজা ভেঙে ১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১১ শ’ টাকাসহ কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ডাকাতিকালে আশিক মিয়ার পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছিলেন না। সকালে গ্রামে ডাকাতি হয়েছে খবর পেয়ে তারা বাড়িতে এসে দেখেন, তাদের ঘরের গেট ও দরজার তালা ভাঙা এবং আলমিরায় থাকা স্বর্ণালংকার নেই বলে জানায় পুলিশ।
আশিক মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম বলেন, ‘আমি আমার বাপের বাড়িতে ছিলাম। সকালে গ্রামে ডাকাতি হয়েছে শুনে বাড়িতে এসে দেখি আমার ঘরের গেট ও দরজা খোলা এবং আলমিরায় রাখা স্বর্ণালংকার ও টাকা নেই।’
আহত হোসাইন আহমদ বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে গেট ও দরজা ভেঙে ১২ থেকে ১৩ জন ডাকাত ঘরে ঢুকে আমাদের মারধর করে ছয় ভরি স্বর্ণ লুটে নেয়। রড দিয়ে তারা আমার মাথায় আঘাত করে। আমার মাকেও তারা মেরেছে।’
মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমদ বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে সাত থেকে আটজন ডাকাত গেট ও দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, পাউন্ডসহ নগদ ১ লাখ টাকা লুটে নেয়। এ সময় তারা আঞ্চলিক ও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলছিল। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তারা আমার ঘরের সব আলমারি ভেঙে তছনছ করে। এরপর আমাদের ঘরে বেঁধে রেখে চলে যায়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার শব্দ শুনতে পেয়েছি।’
ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: গোয়াইনঘাটের সালুটিকর-কচুয়ারপার সড়কে অন্তহীন দুর্ভোগে মানুষ
১২৬ দিন আগে
সিলেটে বাসের ধাক্কায় টমটম চালকসহ নিহত ২
সিলেটের ওসমানীনগরে যাত্রীবাহী মিতালী পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় টমটম (ব্যাটারিচালিত গাড়ি) চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর টোলপ্লাজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- টমটম চালক জুয়েল মিয়া (২২) ও পথচারী আসমা বেগম (৪৫)।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
দুর্ঘটনায় নিহত জুয়েল মিয়ার বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর এলাকার মুক্তিনগর গ্রামে ও আসমা বেগম ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর এলাকার সুন্দিকলা গ্রামের সত্তার মিয়ার স্ত্রী।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার এবং আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন জানান, সিলেটগামী মিতালী পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে (টমটম) ধাক্কা দেয়।
তিনি আরও বলেন, এতে ঘটনাস্থলেই পথচারী আসমা বেগম নিহত হন। গুরুতর আহত টমটম চালক জুয়েলকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় প্রাইভেটকার চালক নিহত
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে দেশে ফিরছেন আরও বাংলাদেশি
৬৭৫ দিন আগে
ওসমানীনগরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের ওসমানীনগরে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৮ জুন) বিকালে বিশ্বনাথ উপজেলার উলুপাড়া গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে।
সুমন ওরফে নুর আলী (২২) প্বার্শবর্তী বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের উলুপাড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক এর ছেলে এবং উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের উদরকোনা পালপাড়া গ্রামের মাহমদ আলীর ছেলে ফরুক মিয়ার বাড়িতে গৃহ কাজে নিয়োজিত ছিল।
আরও পড়ুন: মাগুরায় নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, সাবেক স্বামী গ্রেপ্তার
ওসমানীনগর থানা সূত্রে জানা যায়, বাড়ির মালিক ফরুক মিয়া পরিবারের অন্যান্য লোকজনকে নিয়ে কানাইঘাট উপজেলায় তার আত্মীয়ের ছেলের জন্য কনে দেখতে যান। সন্ধ্যা ৭টায় বাড়িতে ফিরে সুমনের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। দরজার ফাঁক দিয়ে লাইটের আলোতে দেখেন সুমন ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে।
বিষয়টি ওসমানীনগর থানায় জানালে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন জমাদ্দার ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
বাড়ির মালিক ফরুক মিয়া জানান, আমি বাড়িতে ছিলাম না। বাড়িতে এসে দেখি সুমন গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে।
ওসমানীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাছুদুল আমিন বলেন, গলায় ফাঁস লাগানো এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএম কলেজের হল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৬৮৪ দিন আগে
সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটের ওসমানীনগরে আবদাল মিয়া (২৪) নামের এক মাইক্রোবাসচালককে হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩১ মে) সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার কাগজপুর গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া, কানাইঘাটের ঝিংগাবাড়ি এলাকার রহমত উল্ল্যার ছেলে মো. দুলাল মিয়া ও সিলেটের বালাগঞ্জ জামালপুরের তোরাব আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন ওরফে আলীউর রহমান লিখন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
রায়ে তিন আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, পেনাল কোডের ২০১ ধারায় আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩৭৯ ধারায় তিন আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া মামলার আরেক আসামি আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেবকে হত্যা মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের বখত গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের বখত বলেন, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ওসমানীনগরের কাগজপুর গ্রামের কবীর মিয়ার ছেলে আবদাল মিয়াকে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে পরিকল্পিতভাবে দণ্ডিত আসামি ডালিম মিয়া তাকে গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নেন। তার মাইক্রোবাসটি (লাইটেস) বিক্রির জন্য বের করে আনলেও সেটি ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়।
আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর দীর্ঘ শুনানিতে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট মোতাহির আলী ও সৈয়দ তারেক আহমদ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
৭০২ দিন আগে
ওসমানীনগরে গাড়ির ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
সিলেটের ওসমানীনগরে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ মে) রাত সাড়ে সাতটার দিকে ওসমানীনগরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ফকিরাবাদ সাকিনস্থ হাফিজিয়া মাদরাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিহত আরাজ মিয়া (৫৬) উপজেলার ২নং সাদিপুর ইউনিয়নের গজিয়া গ্রামের মৃত মনাফ উল্লাহর ছেলে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অজ্ঞাতনামা একটা গাড়ির ধাক্কায় আরাজ মিয়া নামের এক পথচারী গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত
৭২৬ দিন আগে
সিলেটের ওসমানীনগরে বজ্রপাতে বৃদ্ধের মৃত্যু
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের নাম আব্দুল মছব্বির (৬৫)।
দুই সন্তানের জনক আব্দুল মছব্বির উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রামের বাসিন্ধা।
জানা যায়, বুধবার (৩ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় তার বাড়ির নিকটস্থ হাওরে গৃহপালিত একটি ভেড়া আনতে গিয়ে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পরিবার ও বাড়ির আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলার বুরুঙ্গা বাজার ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান দিপংকর দেব শিবু।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
পাবনায় পৃথক বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রসহ ৩ জনের মৃত্যু
৭৩০ দিন আগে
সিলেটের ওসমানীনগরে পৃথক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ নিহত ২
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজছাত্রীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, রবিবার (১২ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মৌলভীবাজার হতে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার আসার পথে গোয়ালাবাজার সরকারি মহিলা কলেজের সামনে অজ্ঞাত লোকাল বাস থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে পূর্ণিমা দাস বন্যা (২০) গুরুতর আহত হন।
আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত বন্যা ওসমানীনগর উপজেলার দত্তগ্রামের বাচ্চু দাসের মেয়ে এবং মৌলভীবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল দেব বলেন, ‘লোকাল বাস থেকে নামতে গিয়ে মেয়েটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জেনেছি।’
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাসটি চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে একইদিন সন্ধ্যায় ওসমানীনগর উপজেলার মোতিয়ারগাঁও কলারাই গ্রামীণ সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা উল্টে এর চালক নিহত হয়েছেন।
নিহতের নাম ইউসুফ আলী (৩০)। তিনি মোতিয়ারগাঁও গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রিকশাচালক ইউসুফ আলী যাত্রী নিয়ে মোতিয়ারগাঁওয়ে যান। যাত্রী নামিয়ে রিকশা ঘুরানোর সময় উল্টে সড়কের পাশে ধানের জমিতে পড়ে মারাত্মক আহত হন। তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক স্থানীয় চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনায় ইউসুফ আলীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহিন মিয়া।
আরও পড়ুন: সিলেটে হোস্টেল থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৭৮১ দিন আগে
২১ বছরেও হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক
দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নে কালনী নদীর ওপর দাঁড়িয়ে আছে সংযোগ সড়কবিহীন একটি সেতু। জনসাধারণের যোগাযোগ সহজ করতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে এর সুফল ভোগের পরিবর্তে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অন্তত আট গ্রামের বাসিন্দাদের।
উপজেলার ইসলামপুর, সুরিকোনা, দক্ষিণ কালনীরচর, চর তাজপুর, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর, মাধবপুর, মতুরাপুর এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আটঘর গ্রামবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কালনীরচর-শেরপুর সড়কটি।
এছাড়া ইসলামপুর এলাকায় কালনী নদী এই সড়কটিকে ছেদ করেছে। এদিকে সড়কটি ব্যবহার করেই মহাসড়কে উঠতে হয় গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, ২০০১ সালে সাদীপুর ইউনিয়নের কালনী নদীর ওপর প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন বালাগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে বাস্তবায়িত সেতুটির নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে এক বছরের মধ্যেই এর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি দেবে গেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সেতুটি।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
গত ২১ বছরে কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুর সংযোগ সড়কের দাবি জানিয়ে এলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে।
সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সোনা মিয়া গাজী জানান, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও কাজের অনিয়মের কারণে মাটি দেবে গিয়ে সেতুর সঙ্গে সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সেতুর সংযোগ না থাকায় অনেক মুমূর্ষু রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে না পারায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
বর্তমান ইউপি সদস্য খালিছ মিয়া বলেন, জনগণের সুবিধার জন্য সেতু নির্মাণ করা হলেও কোনো কাজে আসছে না। কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে থাকা সেতুর পাশে সাঁকো তৈরি করে নদী পারাপার হতে হয়।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্নিষ্টদের কাছে সেতুটির সংযোগ সড়ক স্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বর্তমান সংসদ সদস্যকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি সরেজমিনে দেখে গেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ মুছা বলেন, এটি এই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কোনো সমস্যা হলে বিকল্প সড়ক হিসেবে এটা ব্যবহার করা যেত।
বিগত সময়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর ডিও লেটার পাওয়া গেলেও সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ হয়নি।
সড়কটি সংস্কার এবং সেতুর সংযোগ সড়ক স্থাপনে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ওই সেতু পরিদর্শন করেছি। এলাকাবাসীর অসুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে সেতুতে সংযোগ সড়ক স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:কালনা সেতু: টোল হার নির্ধারণ, অপেক্ষা উদ্বোধনের
বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় বালুবোঝাই বাল্কহেডডুবি
৯৩৭ দিন আগে
ওসমানীনগরে প্রবাসী পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু ‘রহস্যজনক’: মেডিকেল বোর্ড
সিলেটের ওসমানীনগরে একটি বাসা থেকে এক প্রবাসী পরিবারের পাঁচজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার ও তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ‘রহস্যজনক ও অজ্ঞাতকারণে’ মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
মারা যাওয়া তিন জন ও অসুস্থ হওয়া আরও দুজনের শরীরের কোন চেনতানাশক বা খাদ্য বিষক্রিয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, “নিহত ও অসুস্থদের শরীরে কোন বিষয়ক্রিয়া বা চেনতানাশক ব্যবহারের প্রমাণ মেলিনে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া শরীরের বাহ্যিক বা ভেতরে কোন আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। এছাড়া মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবদেনে এই ঘটনাকে ‘রহস্যজনক ও অজ্ঞাতকারণে’মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।”
এই অজ্ঞাতকারণের মধ্যে অক্সিজেন স্বল্পতাও একটি কারণ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘মাদকাসক্ত’ যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই সিলেটের ওসমানী নগরে শোয়ার ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে। তাদের হাসপাতালে পাঠানোর পর ওইদিনই মারা যান গৃহকর্তা রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাইকুল ইসলাম। এর ১১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রফিকুলের মেয়ে সাদিয়া ইসলামও।
এ ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তপক্ষ। বোর্ডের প্রধান করা হয় মেডিকেল কলেজটির উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শিশির চক্রবর্তীকে।
এরআগে গত ২৩ আগস্ট এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান, খাদ্যে বিষয়ক্রিয়া বা হত্যা নয়। নিছক দুর্ঘটনা থেকেই মারা গেছেন প্রবাসীরা।
পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান, পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধান ও নিহত তিনজনের ঘরে পাওয়া বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে পর্যবেক্ষণ করে পুলিশ বিষক্রিয়ার কিছু পায়নি। হত্যারও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আমাদের ধারণা তিন প্রবাসীর মৃত্যু নিছকই দুর্ঘটনা।
ঘরের জেনারেটরের ধোঁয়া থেকে এমনটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা তার।
এছাড়া প্রবাসীরা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। নিজেদের ফ্ল্যাটের জন্য তারা আলাদা একটি জেনারেটর ব্যবহার করতেন। সাধারণত জেনারেটর বাড়ির বাইরে চালানো হয়। তবে ওই প্রবাসী পরিবার জেনারেটরটি তাদের ফ্ল্যাটের ভেতরে চালিয়েছিলেন। এতে জেনারেটরের ধোঁয়াও শোবার ঘরে প্রবেশ করেছিল।
তিনি বলেন, তদন্তকালে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জেনারেটর চালিয়ে ওই ঘরে সাত মিনিটের বেশি অবস্থান করতে পারিনি। জেনারেটর ঘরের মধ্যে থাকার কারণে ধোঁয়ায় থাকা যাচ্ছিল না। এছাড়া বিকট শব্দও হচ্ছিলো।
তিনি আরও বলেন, তারা শীতের দেশ থেকে এসেছেন। কিন্তু ঘটনার সময়ে এখানে প্রচুর গরম ছিলো। এক কক্ষে গাদাগাদি করে সাত জন শুয়েছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থও ছিলেন। ঘরে একটি স্ট্যান্ডফ্যান ও একটি সিলিং ফ্যান চালু ছিল। দরজার পাশে থাকা স্ট্যান্ডফ্যান বাইরে থেকে জেনারেটরের ধোঁয়া আরও বেশি শয়নক্ষে টেনে আনছিলো। এসব কারণে শাসরুদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ সুপার বলেন, আমরা সুস্থ হয়ে ওঠা রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হুছনারা বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলামের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারাও শত্রুতা বা খাদ্যবিষক্রিয়ার কোন তথ্য জানাতে পারেননি। এছাড়া ওই প্রবাসী পরিবারের সঙ্গে সমাজে, বাড়িতে জায়গা–সম্পত্তি কিংবা অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। পরিবারটি নিছক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
প্রবাসীরা যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সেই বাসার মালিক স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক। ঘটনার পরপরই তিনি ওই বাসায় যান। ওই ফ্ল্যাটের জেনারেটর থেকে অস্বাভাবিক ধোঁয়া হচ্ছিলো বলে জানিয়েছেন ঝলকও।
তিনি বলেন, জেনারেটরটি তাদের ডাইনিং রুমের মধ্যেই ছিলো। এরপাশের কক্ষেই প্রবাসী সাতজন ঘুমিয়েছিলেন। ফলে জেনারেটরের ধোঁয়া সরাসরি ওই কক্ষে প্রবেশ করতেই পারে।
অসুস্থ অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার ও দুজনের মৃত্যুর পরদিন এ ঘটনায় ওসমানী নগর থানায় মামলা করেন নিহত রফিকের শ্যালক দিলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, তারা ১৮ জুলাই থেকে ওই বাসায় ভাড়া থাকছেন। আমার বাবা-মা-স্ত্রীও ওই বাসায় ছিলেন। প্রতিদিনই জেনারেটর চলেছে। কিন্তু আগে তো কখনো সমস্যা হয়নি।
আরও পড়ুন: ওসমানীনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ওসমানীনগর ট্রাজেডি: আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মৃত্যু
৯৮১ দিন আগে
সিলেটে মা-মেয়েকে ৭ দিন ধরে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় এক নারী ও তার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে সাতদিন ধরে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালবাজার এলাকার সুপ্রিম ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মতিন মিয়া এবং একই এলাকার বগুড়া হোটেলের মালিক বুলবুল (৪০)।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন জানান, ধর্ষণের শিকার নারী একটি হোটেলে কাজ করতেন এবং মেয়েকে নিয়ে উপজেলা সদরের ওই হোটেলের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
তিনি বলেন, অপরাধীরা মা ও মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় এবং ১৪ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত সাতদিন ধরে তাদের ধর্ষণ করে।
ধর্ষকদের জিম্মি থেকে রেহাই পেয়ে ওই নারী গত ৪ আগস্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীরা বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওয়ান স্টপ-ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
১০০০ দিন আগে