জন্ম নিবন্ধন
চট্টগ্রামে সার্ভার হ্যাক করে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি: ৫ জন আটক
চট্টগ্রামে সার্ভার হ্যাক করে জাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির অভিযোগে তিন হ্যাকারসহ পাঁচজনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। রবিবার সিএমপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রামে স্বামী আটক
সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রাম, নড়াইল, ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে তিনজন হ্যাকার রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বন্দর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০টি, ৯ জানুয়ারি ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ১০টি এবং ২১ জানুয়ারি ৪০ নম্বর পতেঙ্গা ওয়ার্ডে ৮৪টি জাল জন্মনিবন্ধনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এসব অভিযোগে ইতোমধ্যে নগরীর বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা হয়েছে।
হ্যাকার চক্র জন্মনিবন্ধন সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে পাঁচ হাজারের বেশি জন্মসনদ তৈরি করেছে বলে প্রমাণ মেলে। সনদপ্রতি ৫০০-৮০০ টাকার বিনিময়ে হস্তান্তরও করা হয়েছে।
এর আগে ওই চক্রের আরও চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ)।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে জামায়াত-শিবিরের ২৩ নেতাকর্মী আটক, ককটেল উদ্ধার
রংপুরে জোর করে বিয়ে দিতে চাওয়ায় বাবাকে ছুরিকাঘাত, মেয়ে আটক
১ বছর আগে
সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ইউনিসেফের
ইউনিসেফ বাংলাদেশে দ্রুত সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করায় রেজিস্ট্রার জেনারেল, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের প্রশংসা করেছে।
রবিবার জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অগ্রগতি সত্ত্বেও, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী মাত্র ৫৬ শতাংশ শিশুর সরকারি জন্ম নিবন্ধনপত্র রয়েছে।
এর মানে হল প্রায় দুই সন্তানের মধ্যে একজনের জন্ম নিবন্ধন নেই।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়মিত টিকাদানের হার ৯০ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন: ৩৪৫ শিশুর মুক্তিতে বাংলাদেশের প্রশংসা ইউনিসেফ’র
রবিবার সই হওয়া চুক্তিটি একটি সমন্বিত পদ্ধতির পথ প্রশস্ত করে, যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন হবে। যদি তারা জন্মের সময় নিবন্ধিত না-ও হয়, তাদের নিয়মিত প্রথম টিকা দেয়ার সময় নিবন্ধিত করা হবে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেছেন, ‘জন্মের সময় নিবন্ধন প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার। এই অপরিহার্য ও সামগ্রিক উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই। এই পদক্ষেপটি একবার বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের কয়েক লাখ শিশু উপকৃত হবে।’
তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধন শিশুর জাতীয়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষাসহ অন্যান্য সমস্ত অধিকার দাবি করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বর্তমানে বাংলাদেশে জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক।
তবে, অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত নয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. রাশিদুল হাসান বলেন, ‘জন্ম একজন ব্যক্তির জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আজ সই হওয়া এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, সহজ ও নির্ভুল করা হবে। এটি শিশু অধিকার রক্ষার পাশাপাশি পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
ইউনিসেফের প্রযুক্তিগত সহায়তায়, ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধনের লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ডেটাবেসের একীকরণ বাস্তবায়ন করা হবে।
ইউনিসেফ ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সালে অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন পরিষেবার উন্নতির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগকে সমর্থন করেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে স্কুল খোলা রাখুন: ইউনিসেফ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে আর অপেক্ষা নয়: ইউনিসেফ-ইউনেস্কো
২ বছর আগে
জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করার ডিজিটাল পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আনুষঙ্গিক খরচ ও সংশোধন
একজন নাগরিকের জন্য তার জন্মের পর থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তৈরিতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাগজটি হলো জন্ম সনদ। এক সময় ছিলো শুধু হাতে লিখেই দেয়া হতো এই সনদপত্রটি। তারপরে এলো কম্পিউটারে টাইপ করা বাংলায় জন্ম নিবন্ধন সনদ। আর এখন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। অনলাই বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধনের বিষয়টি ইতোমধ্যেই জন্ম সনদ প্রাপ্তির পূর্ব শর্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন একজন বাংলাদেশি নাগরিককে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই দরকারি নথিটির ইংরেজি সংস্করণের জন্য আবেদন করতে হবে। আজকের নিবন্ধটিতে সেই ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের ইংরেজি ভার্শনের আবেদন পদ্ধতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে।
ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন যাচাই
প্রথমেই যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে, সনদটি অনলাইন করা আছে কিনা। এর মানে হচ্ছে বাংলাদেশে সরকারের অনলাইন ডাটাবেসে ব্যক্তির জন্ম সনদ অন্তভূক্ত আছে কিনা। তা না হলে সবার আগে অনলাইনে জন্ম পরিচয় সংযুক্ত করতে হবে।
ডাটাবেসে সংযুক্ত আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ওয়েবসাইট-এ যেতে হবে।
অতঃপর ১৭ অঙ্কের জন্ম নিবন্ধন সংখ্যা এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে। জন্ম সনদে উল্লেখিত ১৭ অঙ্কের পার্সনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বারই হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন সংখ্যা। তথ্যগুলো দেয়ার পর যদি কোন রেকর্ড না দেখায় তবে বুঝতে হবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন বা ডিজিটাল করা নেই। তখন প্রথম কাজ হবে এই ডিজিটালকরণটি সম্পন্ন করার জন্য আবেদন করা। আর থাকলে তার ইংরেজি সংস্করণ তৈরির জন্য আবেদন করা যাবে।
পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আবেদনের উপায়
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আবেদন যেহেতু অনলাইনে করতে হবে, সেহেতু যাবতীয় কাগজপত্রের সফ্ট কপি দরকার হবে। তাই আগে থেকে নিম্নলিখিত নথিগুলো স্ক্যান করে প্রস্তুত রাখতে হবে, যেন অনলাইনের আবেদনের নির্দিষ্ট পর্যায়ে সহজেই তা আপলোড করে দেয়া যায়।
→ আবেদনকারীর ন্যূনতম এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্র
→ পিতা মাতার অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদপত্র
→ যদি ইতোমধ্যে আবেদনকারির জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়ে থাকে তবে তা দিতে হবে
এই কাগজপত্রের স্ক্যান বা ছবি সাইজ সর্বোচ্চ ১ এমবি(মেগাবাইট) হবে। তবে ওয়েবসাইটে ৯৭৬ কেবি(কিলোবাইট)-এর বেশি আপলোড নেয় না। ছবিগুলো প্রস্তুত করার সময় এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া
এই কাজটি সম্পন্ন করার সময় সতর্কতার সাথে প্রতিটি তথ্য সরবরাহ করতে হবে। ৪ বারের বেশি জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন করা যায় না।
আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম ধাপে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট-এ প্রবেশ করতে হবে। এখানে সামগ্রিক নীতিমালার নিচের প্রথম বক্সটিতে আবেদনকারির ১৭ অঙ্কের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার আর দ্বিতীয় বক্সে জন্ম তারিখ দিতে হবে। তারপর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করলে ব্যক্তির জন্ম সনদ দেখাবে। এবার নির্বাচন করুন বাটনে ক্লিক করে কনফার্ম করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন কার্যালয় বাছাইয়ের মুহূর্তে ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় যেখানে জন্ম নিবন্ধন করেছিলেন তা উল্লেখ করতে হবে। দেশ, বিভাগ, জেলা, উপজেলা বা সিটি কর্পোরেশন দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
এরপরের ইন্টারফেসেই জন্ম নিবন্ধনের ইংরেজি ফরম দেখা যাবে। এসময় বিষয়ে ক্লিক করে শুধু ইংরেজি অপশনগুলো আলাদা আলাদা করে বাছাই করে সেগুলোতে ইংরেজিতে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। একাধিক বিষয়ের জন্য আরো তথ্য সংযোজন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। সংশোধনের কারণের অপশনগুলো থেকে ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে নির্বাচন করতে হবে। এরপর নিচে ব্যক্তির বর্তমান ও স্থায়ী সহ জন্মস্থানের ঠিকানা ইংরেজিতে দিতে হবে। সবশেষে দিতে হবে আবেদনকারির যোগাযোগের তথ্য। আবেদনটি নিজের জন্য হলে নিজ নির্বাচন করতে হবে। সন্তানের জন্য হলে পিতা-মাতা বাছাই করতে হবে। অতঃপর আবেদনকারীর ফোন নাম্বার দিতে হবে।
পিতা-মাতা ব্যতীত অন্য কেউ যেমন- দাদা-দাদী, নানা-নানী আবেদন করলে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিতে হবে। এরপর সবুজ রঙের সংযোজন বাটনে ক্লিক করে আগে স্ক্যান করে রাখা প্রয়োজনীয় নথিগুলোর ছবি আপলোড করতে হবে।
সবশেষে ফি আদায় অপশনটিকে অপরিবর্তিত রেখে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। আবেদন সফল হলে একটি কোড প্রদান করা হবে, যেটি পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। প্রিন্ট করুন বাটনে ক্লিক করে আবেদনটির একটি হার্ড কপি নিজের কাছে রেখে দিতে হবে।
পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
আনুষঙ্গিক খরচাদি
জন্ম নিবন্ধনের আবেদনপত্র সহ দরকারি নথিগুলো জমা দেওয়ার সময় ১০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। এছাড়া প্রিন্ট, ফটোকপিসহ কার্যালয়ের অন্যান্য কাজে প্রায় ৩০০ টাকার মত খরচ হতে পারে।
আবেদনপত্র কোথায় জমা দিতে হবে
প্রিন্ট করা আবেদনপত্র সংযুক্তি কাগজপত্রের ফটোকপিসহ স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন/ইউনিয়ন/ পৌরসভার কার্যালয়ে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। এবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনটি যাচাই বাছাই করে তথ্যগুলো সংশোধনপূর্বক পুরো জন্ম সনদটি ইংরেজি সংস্করণে তৈরি করে দিবে। কার্যালয় থেকে একটি টোকেন দেয়া হবে যেখানে সনদপত্র সংগ্রহের তারিখ উল্লেখ থাকবে। অতঃপর সেই তারিখে যেয়ে চূড়ান্তভাবে ইংরেজিতে জন্ম নিবন্ধনের সনদ হাতে পাওয়া যাবে।
পরিশিষ্ট
জন্ম সনদ পাওয়া একজন ব্যক্তির নাগরিক অধিকারের বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কাজের জন্য এর ইংরেজি সংস্করণ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করার ডিজিটাল পদ্ধতি সহজ-সরল হওয়ার পাশাপাশি আরো বাস্তবসম্মত হওয়া বাঞ্ছনীয়। যে কোন প্রক্রিয়ার ডিজিটালকরণ সেই কাজকে আরো সহজ এবং সময়ের স্বল্পতার দিকে নির্দেশ করে। কিন্তু জন্ম সনদ পেতে সেখানে মাসের পর মাস লেগে যাওয়াটা ব্যবস্থার অবনতির নিদর্শন। যে কোন পরিষেবায় নতুনত্বের আবির্ভাব ঘটানো উচিত গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টির লক্ষ্যে। আর যখন সেখানে একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন আসে, তখন তা আরো বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়।
পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
২ বছর আগে
জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ দেশের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলাপের জন্য একটি অপরিহার্য নথি জন্ম নিবন্ধন সনদ। জন্মসূত্রে একজন ব্যক্তির নাগরিকত্বের পরিচয় ধারণ করে এই জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রটি। তাই শিশু জন্মের পর পরই অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি বাবা-মায়ের উচিত সরকারি খাতায় শিশুর নামটি লিপিবদ্ধ করানো। পূর্বে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অফলাইনে হলেও বর্তমানে সরকারি ডাটাবেসে নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণের স্বার্থে অনলাইনের মাধ্যমে তথ্যগুলো নেয়া হচ্ছে। চলুন জেনে নিই, জন্ম নিবন্ধন করার সর্বাধুনিক প্রক্রিয়া।
জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রথমেই কিছু কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন বয়সের লোকদের জন্য কাগজপত্রেও ভিন্নতা রয়েছে।
শিশুদের জন্ম নিবন্ধকরণে জন্মের পর প্রথম ৪৫ দিনের মধ্যে যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন তা হলো-
১। অনলাইনে আবেদনকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি।
২। শিশুর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩। শিশুর ইপিআই (এক্সপান্ডেড প্রোগ্রাম অন ইমিউনাইজেশন) টিকা কার্ড কিংবা ইপিআই কর্মীর নিকট থেকে প্রত্যয়নপত্র
৪। শিশুর জন্মস্থান ও জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে শিশুর জন্ম সনদের সত্যায়িত অনুলিপি বা বার্থ এটেনডেন্ট-এর প্রত্যয়ন পত্র বা শিশুর জন্ম সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রমাণ পত্র।
৫। বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই বাবা-মার অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ।
৬। বাবা-মার জাতীয় পরিচয়পত্র।
৭। শিশুর যে কোন একজন অভিভাবকের কর পরিশোধের প্রমাণ।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
৪৬ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে উপরোক্ত ৪ নং বাদে বাকি সব কাগজপত্রই লাগবে।
৫ বছরের বেশি শিশু অথবা যে কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে-
১। অনলাইনে আবেদনকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি।
২। শিশুর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী চিকিৎসক-এর নিকট থেকে প্রত্যয়ন পত্র।
৪। পিএসসি(প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী), জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) বা এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট)।
৫। বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই বাবা-মায়ের অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ।
৬। বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র।
৭। জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের সাপেক্ষে বাবা/মা/দাদা/দাদীর স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখিত জায়গার বিপরীতে নবায়নকৃত কর প্রদানের প্রমানপত্র
অথবা, নদীভাঙন/কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে জমি/বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর প্রদানের রশিদ।
অথবা, বসবাসের স্থান প্রমাণের সাপেক্ষে পৌরসভার চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
২ বছর আগে
জন্ম নিবন্ধনে ফিঙ্গার প্রিন্ট কেন বাধ্যতামূলক নয়: হাইকোর্ট
জন্ম নিবন্ধনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো দেশের সকল নাগরিকদের ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের আই কন্ট্রাক নেয়া কেন বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
৩ বছর আগে