নেশা
রাজধানীর বস্তিগুলোতে নেশার ছোবল
রাজধানীর বস্তিবাসীদের মানবেতর জীবনের নানা দিক নিয়ে গল্প নতুন নয়। তবে সেখানকার মানুষ কতটা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে, সেটা নিয়ে সব সময়ই নানা প্রশ্ন থেকে যায়। তবে সম্প্রতি সরেজমিনে ঢাকার বিভিন্ন বস্তি ঘুরে তাদের জীবন-চিত্র তুলে আনার চেষ্টা করে ইউএনবি।
তাদের নানা সংকটের মাঝেও সম্প্রতি আবির্ভাব হয়েছে নতুন এক সংকটের। মাদকের করাল গ্রাসে বুঁদ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার বস্তিগুলো। কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ, এমনকি মাঝবয়সী ব্যক্তিরাও নেশায় আসক্ত হয়ে সমাজ, সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন।
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে কথা হয় সাদিয়া (ছদ্মনাম) নামের এক কিশোরীর সঙ্গে। সে জানায়, তার বাবা আগে কাজ করতেন, এখন সারা দিন নেশা করে পড়ে থাকেন। তাই বিভিন্ন বাসায় কাজ করে কোনোমতে সংসার চালাতে হচ্ছে তার ও তার মায়ের।
ছোট্ট ঘরে এক ছেলেকে নিয়ে থাকেন আতিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। ছেলেটা আগে একটা দোকানে কাম করত, কিন্তু কয়দিন হয়, নেশার পাল্লায় পইড়া আর কামে যায় না।’
আরও পড়ুন: রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে এএসআই, লাঠিপেটা
‘আমি আগে দুইটা বাসায় কাম করতাম, কিন্তু এহন ৬টা বাসায় কাম কইরাও সংসার চলে না। ছেলেটাকে নেশার টাকা না দিলে গায়ে হাত তোলে।’
সিফাত নামের ১৬ বছরের কিশোর একটি দোকানে কাজ করে। স্কুলেও ভর্তি হবে বলে জানায় সে।
সিফাত বলে, ‘আমাদের এখানে আমার অনেক বন্ধু আগে কাজ করত, কিন্তু এখন আর করে না; নেশা করে।’
কী নেশা করে—জানতে চাইলে সে বলে, ‘ইয়াবা, বিভিন্ন ট্যাবলেট, গাঁজা, আরও অনেক কিছু।’ কোত্থেকে আনে?—উত্তরে জানায়, ‘বার আছে, রাজাবাজার থেকে আনে। মা-বাবাও জানে না। তাদের থেকে টাকা নিয়ে নেশার জিনিস কেনে।’
বস্তির জীবন
কড়াইল বস্তিতে এক রুমের ভাড়া সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকছেন অনেকে।
আসমা খাতুন (ছদ্মনাম) বলেন, ‘এদিকে কাজের খুব অভাব। মাসে ৪-৫ হাজার টাকা দিয়ে সারা দিন কাজ করতে বলেন মালিকরা। কিন্তু আমাদের বাসা ভাড়াই সাড়ে তিন-চার হাজার টাকা। কাজ না পেয়ে অনেক মহিলারা ভিক্ষা করে। অনেকে আবার অনৈতিক কাজের সঙ্গেও জড়িয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই নেশা করে। যারা নেশা করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও নেশার কারণে খারাপ হয়ে গেছে। আবার যারা কাজ পায় না, তাদের অবস্থাও খারাপ।’
মিরপুরের রূপনগরের দুয়ারীপাড়ার বস্তি ঘুরেও দেখা যায় প্রায় একই চিত্র।
সেখানে ছোট্ট ঘরে থাকা রুপা (১৪) বলে, ‘আমার মা, আমি, বাবা আর আমার ছোট বোন এখানে থাকি। বাবা আগে কাজ করত। এখন নেশা করে পড়ে থাকে। আমি আগে স্কুলে পড়তাম। বাবা কাজ বন্ধ করার পর আমিও মায়ের সঙ্গে বাসায় কাজ করি, না হলে সংসার চলে না।’
বাসিন্দাদের মতে, কয়েক হাজার মানুষ বাস করে এ বস্তিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কিশোর বলে, ‘আমিও মাঝে মাঝে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে নেশা করতাম। পরে বাবা টের পেয়ে মারধর করে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে, কিন্তু বন্ধুরা বেশিরভাগই নেশা করে।’
এদিকে মালিবাগ রেলগেটে ভাসমানভাবে যুগ যুগ ধরে বাস করছে কিছু মানুষ। তাদের মধ্যে জহুরুল হক থাকেন তার স্ত্রীকে নিয়ে। শীত, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পলিথিনে বানানো ঘরে থাকেন তারা।
যারা দুবেলা খেতে পান না, পাবলিক টয়লেটে প্রতিবার ৫-১০ টাকা করে দৈনিক অন্তত ২০-২৫ টাকাও দিতে হয়, যেটা সামান্য আয়ে তাদের জন্য বাড়তি খরচ। এটা বিনামূল্যে পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তারা।
পড়াশোনাও করছে অনেকে
আরও পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
নাসিমা নামের একজন বলেন, ‘আমার ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে। আমার বোনের দুই ছেলে; একজন কলেজে, আরেকজন ইউনিভার্সিটিতে পড়ে।’
বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক রাসেল সরোয়ার বলেন, ‘কড়াইল বস্তির দুই অংশ মিলে প্রায় কয়েক লাখ মানুষ বাস করে। আমরা প্রতিদিন অভিযান চালাই এবং গড়ে ৫/৬ জনকে আটক করি। নেশায় আসক্ত অনেক ছেলে রয়েছে; এদের মধ্যে যুবক বেশি। আসলে জন্ম থেকেই এমন পরিবেশে বড় হয় তারা, তাই সহজে ভালো কিছু শেখে না।’
‘তবে এর মধ্যে অনেকে পড়াশোনা করে ভালো অবস্থানেও চলে যায়। মা-বাবা কাজ করে যা আয় করে, সেটা দিয়ে বস্তিতে থেকেও সন্তানদের পড়াচ্ছেন। এই সংখ্যাটা কম হলেও এটা অনেক পজিটিভ সাইড।’
নেশার পেছনে কারণ নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, ‘প্রত্যেকটা ছেলেমেয়ের বেড়ে ওঠার জন্য পরিবারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিম্নবিত্ত ও বস্তির দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষগুলোর জীবন শুরুই হয় অভাব-অনটনের মধ্যে। ছেলেমেয়েকে সঠিক শিক্ষা দেওয়ার সুযোগ তারা পান না। সেক্ষেত্রে খুব কম সংখ্যক পরিবার হয়তো সন্তানকে পড়াশোনা করাতে পারেন। তবে বেশিরভাগই অভাবের তাড়নায় নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত হয়ে যায়।’
ঢাকার বস্তিবাসী তরুণ ও যুবকদের মধ্যে মাদকের ক্রমবর্ধমান ছোবল কেবল ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সংকট নয়, বর্তমানে এটি সামাজিক জরুরি অবস্থায় পরিণত হয়েছে। আসক্তি যেহেতু শুধু আর্থিক ক্ষতিই করে না, বরং সামাজিক অবক্ষয়েও ইন্ধন জোগায়, তাই শিক্ষা, কাজের সুযোগ ও পুনর্বাসন কর্মসূচিসহ ব্যাপকভাবে বস্তিবাসীর জীবনের ওপর ইতিবাচক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আসক্তি ও দারিদ্র্যের চক্রে পড়ে গোটা প্রজন্মের হতাশার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
রাজধানীতে পাঁচ হাজারের বেশি বস্তি রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে সর্ববৃহৎ কড়াইল বস্তিই ৫০ হাজারের বেশি মানুষের আবাসস্থল।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ‘স্বর্ণালংকার লুট’
তবে শুধু বাংলাদেশই নয়, সারা বিশ্বের শহুরে জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের বাস বস্তিতে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ১১০ কোটি মানুষ শহরে বস্তি কিংবা বস্তির মতো পরিবেশে বসবাস করছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী ৩০ বছরে আরও ২০০ কোটি মানুষের ঠিকানা হবে বস্তি।
ক্রমবর্ধমান এই নগর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই আবাসন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
১৯ দিন আগে
আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক। লেখাপড়া করেছি, অধ্যাপনা করেছি, পিএইচডি ডিগ্রিও আমি নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সবকিছুতেই মোটামুটি টাচ দিয়ে এসেছি। চিফ হুইপ ছিলাম, সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অ্যাকটিভিটি ছিল আমার। তারপরও বলব আমি এখনো শিখছি। শেখার শেষ নেই। আমি শিখেই কাজ করতে চাই।’
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন চায় না তারেক: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এটি অবশ্যই একটি বড় মন্ত্রণালয়। আমাদের কৃষকদের উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যা আছে করব।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, উদ্যোক্তারা সবাই মিলে যদি কাজ করি, এ শক্তি কিন্তু বড় শক্তি, এর রেজাল্টও কিন্তু আমরা পাব।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
এর আগে যিনি (ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক) কৃষিমন্ত্রী ছিলেন তিনি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কৃষিবিদ ছিলেন। আমি আশা করব সব কর্মকর্তা আমাকে সাহায্য করবেন।
আব্দুর রাজ্জাকের মতো কৃষিবিদ যে মন্ত্রণালয় কাজ করে গেছেন, সেই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই তো আমাদের জীবন। কোনো কাজ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করে ফলাফল অর্জন করা যায় না। এটা একটা বড় মন্ত্রণালয়। এখানে কাজের পরিধিও বেশি। আশা করি মন্ত্রণালয়ের সবাই সহযোগিতা করবেন। সবার সহযোগিতা থাকলে কাজ কেন করা যাবে না? চলছে তো ভালোই। নিশ্চয়ই আমি তাদের অভিজ্ঞতাকে ক্যাশ করার চেষ্টা করব।
এক প্রশ্নের জবাবে নতুন কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি আগে বুঝে নিই, তারপর ঠিক করব কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে করব।
আরও পড়ুন: আমি যা বলেছি, কোনো ভুল বলিনি: কৃষিমন্ত্রী
সামনে আপনার চ্যালেঞ্জ কী- এ বিষয় তিনি বলেন, কৃষিতে তো উৎপাদনটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি উৎপাদন না করতে পারি তাহলে বাজার কীভাবে দখল করব, মূল্য কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব কীভাবে ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইনকে কার্যকর করব।
আব্দুস শহীদ আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সিন্ডিকেট সব জায়গায় থাকে। তাদের কীভাবে ভেঙে দিতে হবে, সেটার পদ্ধতি বের করতে হবে। কাউকে গলা টিপে মারার সুযোগ নেই আমাদের। কর্মের মাধ্যমে এগুলোকে কন্ট্রোল করতে হবে। সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
৪২৫ দিন আগে
নেশার টাকা না পেয়ে শিল দিয়ে মাথা থেতলিয়ে নানাকে হত্যা!
গাজীপুরের শ্রীপুরে নেশার টাকা না পেয়ে শিল দিয়ে মাথা থেতলিয়ে নানাকে হত্যা অভিযোগে নাতিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নানা আব্দুল হক মাতবর (৮০) ওই গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত নাতি আবু সালেক হানিক (২৬) একই এলাকার জামাল শিকদার এবং নিহত আব্দুল হকের মেয়ে হুসনে আরা'র ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ২
জানা যায়, আবু সালেক নেশাগ্রস্ত। সালেক প্রায়ই তার নানার কাছ থেকে টাকা নিতো নেশা করার জন্য।
কিন্তু শুক্রবার টাকা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে তার নানাকে শীল দিয়ে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে।
এসময় চিৎকার শুনে ছেলে এগিয়ে এলে মামাকেও পিটিয়ে আহত করে সালেক। পরে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গাজীপুর সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি।
সকালে আঘাত করা শিল খুঁজতে গিয়ে মেঝেতে রক্ত দেখে তিনি তার বাবার লাশের সন্ধান পান।
গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পাঁচ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে মশলা বাটার শিল দিয়ে মাথা থেতলিয়ে নানা আব্দুল হক মাতবরকে হত্যা করে কার্টুন দিয়ে লাশ ডেকে রাখে আবু সালেক হানিক।
এই ঘটনায় নাতি সালেক আহমেদকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৩
ইউরোপে মানব পাচার: কুমিল্লায় মূলহোতাসহ আটক ৩
৯০২ দিন আগে
চাঁদপুরে মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিল পরিবার
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামে নেশার টাকা না পেয়ে বাবা-মা ও বোনদের মারধরের অভিযোগে মাদকাসক্ত এ যুবককে পুলিশে সোপর্দ করে এক পরিবার। রিপন হোসেন নামের ওই যুবককে বুধবার বিকেলে কচুয়া থানা পুলিশ আটক করে।
মাদকাসক্ত রিপন হোসেন তার বাবা-মা ও বোনদের মারধর করায় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে কচুয়া থানায় জানালে, খবর পেয়ে এএসআই এনামুল হক সিদ্দিকী সংগীয় ফোর্সসহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, ফুুফু আটক
মাদকাসক্ত যুবক রিপনের বাবা রিকশা চালক বিল্লাল হোসেন ও মা মনোয়ারা বেগমের বরাত দিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দীন জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রিপন হোসেন মাদকাসক্ত। মাদকাসক্ত হয়ে বাবা-মা বোনদের ওপর বিভিন্ন সময়ে মারধর সহ এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসছে। বিশেষ করে মাদকের টাকা না দিলে বিভিন্ন সময়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও তার বোনদেরকেও মারধর করতো। যার ফলে অতিষ্ট হয়ে ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছে পরিবার।
স্থানীয় জসিম উদ্দিন মিয়াজী,আশেক আলী,আব্দুল মালেক সহ অনেকে জানান, মাদক সেবনের কারণে রিপন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ২: র্যাব
বোন কুলছুমা আক্তার আখি ও ইকরা আক্তার জানান, রিপন কারণে-অকারণে তাদের বাবা মাকে নির্যাতন করে। বিভিন্ন সময়ে নেশার টাকা না দিলে তাদেরকেও মারধর করে। তারা চান রিপন সুস্থ হয়ে সমাজে ভালো হয়ে চলুক।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, রিপন নামের এক যুবক বাবা-মাকে মারধর করলে এলাকাবাসী আটক করে এমন সংবাদ পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযুক্তকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
১৩১১ দিন আগে
নেশার টাকা না পেয়ে মাকে পিটিয়ে হত্যা!
গাইবান্ধায় নেশার টাকা না পেয়ে মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এক ছেলে। সোমবার রাতে সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের থানসিংহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খাতিজা বেগম ওই গ্রামের আব্দুস সাদেকের স্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ মিতু হত্যা: পলাতক ৩ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
স্থানীয়রা জানায়, শাওন দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত ছিল। ঘটনার সময় শাওন তার মায়ের কাছে নেশার টাকা চায়। তার মা টাকা দিতে না চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন।
এ সময় বাধা দিতে গেলে শাওন তার বাবা আব্দুস সাদেককেও মারধর করেন। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় খাতিজাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার গভীর রাতে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুনঃ ডা. নাজনীন হত্যা : আসামি আমিনুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সকালে গাইবান্ধা সদর থানায় আব্দুস সাদেক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।
১৩৪০ দিন আগে
নেশায় অচেতন হয়ে একই পরিবারের ৭ জন হাসপাতালে
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে একই পরিবারে ৭ জন নেশায় অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় হরিপুর হাসপাতালে তারা ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের বীরগড় গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র বর্ম্মণের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
তারা হলেন- হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন সম্পাদক অনিল চন্দ্র বর্ম্মণ (৭৫), তার ছেলে দীলিপ চন্দ্র বর্ম্মণ (৪৮), তার স্ত্রী দিপ্তী রানী(৩৮), দিলিপের শ্বাশুড়ি কাঞ্চন সেন (৫৫), ভাগ্নি চৈতি রায় (২১), সুন্দরী রানী (২১), মিনা রানী রায় (৩৩)।
বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানান হরিপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে তারা প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খেয়ে যে যার নিজ নিজ রুমে শুয়ে পড়েন। পরদিন রবিবার বাড়ির কেউ ঘুম থেকে জেগে ওঠেনি। বিকাল অনুমানিক ৫টার সময় চেয়ারম্যানের ছেলে দীলিপের জ্ঞান ফিরলে টাল-মাটাল অবস্থায় মোটরসাইকেল যোগে হরিপুরে ওষুধ নিতে রওয়ানা হন। কিন্তু রাস্তায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন। এসময় লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে হরিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং বাড়িতে তার বাবার ফোন নম্বরে ফোন করে তাকে না পেয়ে অনিল চন্দ্রের বাড়িতে যায় লোকজন। লোকজন এসে দেখে বাড়ির সকলে তখনো ঘুমিয়ে রয়েছেন।
পরে বিষয়টি হরিপুর থানায় জানানো হলে হরিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ তাদের সকলকে চিকিৎসার জন্য হরিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ত্রাণ চাওয়ায় বৃদ্ধকে পেটালেন ইউপি সদস্য
বর্তমান তারা সকলে হরিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হরিপুর হাসপাতালের ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, সম্ভবত তাদের পরিবারের সবাইকে নেশা জাতীয় জিনিস খাওয়ানো হয়েছে। তবে তারা সবাই এখন আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিষপানে স্কুল শিক্ষকের `আত্মহত্যা’
হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আওরঙ্গজেব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হরিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাতে বাড়ি পাহারা দেয়ার জন্য পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৪১১ দিন আগে
চাঁদপুরে তরুণীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক পলাতক
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কুটিয়া-লক্ষীপুর গ্রামে রবিবার ১৯ বছরের এক তরুণীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৪৫৩ দিন আগে
পেশা মোবাইল চুরি, নেশা বিয়ে করা!
পেশা তার দামি দামি মোবাইল সেট চুরি আর নেশা বিয়ে করা। একে একে করেছেন ২৬ বিয়ে। মূলত চোরাই সামগ্রী বিক্রি করে পাওয়া টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানাতেন তিনি।
১৫২০ দিন আগে