সেনা
সেনা সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা
রবিবার প্রথমাবরের মতো সেনা সদর দপ্তরে যান অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাসদরে এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আরও পড়ুন: প্রশাসনে স্থবিরতা, অসহযোগিতার অভিযোগ তথ্য উপদেষ্টার
এসময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ (অব.), মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধান, সামরিক ও অসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘আপনাদের দেখে যেন করদাতারা ভয় না পায়’: কর কর্মকর্তাদের প্রতি অর্থ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
ফেরত যাবে মিয়ানমারের ১৮০ সেনা, ফিরবে ১৭০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৮০ জন সীমান্তরক্ষী ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ১৭৭ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য ও পরে তাদের তিনজন সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে। তারা নৌপথের প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা এ সপ্তাহেই তাদের ফেরত পাঠাবো বলে আশা করছিলাম। কিন্তু সমুদ্র অনুকূলে না থাকায় আগামী সপ্তাহে বা সমুদ্র শান্ত হলে সহসাই তাদের পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহায়তায় উপকূলের সুবিধাবঞ্চিত ১২শ’ তরুণীর কর্মসংস্থান করেছে ব্র্যাক
পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটিতেও তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে জানান ড. হাছান।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ১৩ মার্চ জেনেভায় অনুষ্ঠিত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) সভায় আন্তুর্জাতিক পর্যায়ে কেমন সাড়া মিলছে -এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ডে জেআরপি সভায় আমাদের পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব যোগ দিয়েছেন এবং আমাদের প্রস্তাবিত অর্থ ও সহযোগিতায় গত বছরের তুলনায় ভালো সাড়া মিলছে।
আরও পড়ুন: অটিজম সচেতনতায় দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী বাংলাদেশ: মিয়ানমারে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত
৭ মাস আগে
সম্ভাব্য ব্যাপক অনুপ্রবেশের আগে গাজায় স্থল অভিযান ইসরায়েলি সেনাদের
গাজায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিধ্বংসী বিমান হামলার পর স্থলভাগে প্রত্যাশিত ব্যাপক আক্রমণের আগে ‘যুদ্ধক্ষেত্র প্রস্তুত করতে’ ইসরায়েলি সৈন্য ও ট্যাংকগুলো বৃহস্পতিবার রাতে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের বিরুদ্ধে একটি স্বল্পমাত্রার অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজা উপত্যকায় জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করার পর এই অভিযান চালানো হয়। এতে তারা গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাপক হারে কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
চলতি মাসের শুরুতে (৭ অক্টোবর) দক্ষিণ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হামাসের হামলার পর গাজাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম কমে যাওয়ার কারণে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসাকর্মীরা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শ্রমিকরা শহরের ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে বের করে আনছে শিশুসহ নিহত ও আহত অনেক বেসামরিক নাগরিকদের।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যা আগের দিন নিহত ৭০৪ জনের চেয়ে বেশি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) স্বাধীনভাবে মৃতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি এবং বেসামরিক ও যোদ্ধাদের আলাদা করে হিসাব করে না মন্ত্রণালয়।
হামাসের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের হামলায় হামাসের সদস্য নিহত হয়েছে এবং হামাসের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে অবিরত রকেট হামলা চালিয়ে আসছে।
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতভর অভিযানের সময় সৈন্যরা হামাসের যোদ্ধা, সামরিক অবকাঠামো এবং ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েক দশক ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যে গাজায় মৃতের সংখ্যা নজিরবিহীন হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আগের চারটি যুদ্ধে টিকে থাকা হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে ইসরায়েল যদি প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণ শুরু করে, তাহলে আরও বড় সংখ্যায় প্রাণহানি ঘটতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে একটি হাসপাতালে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি সরকারের মতে, এই লড়াইয়ে ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হামাসের প্রথম হামলায় নিহত বেসামরিক নাগরিক। হামাস গাজায় প্রায় ২২২ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জ্বালানি সরবরাহ হ্রাসের বিষয়ে সতর্ক করেছে যে মানবিক সংকট দ্রুত আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
গাজার জনগণ খাদ্য, পানি ও ওষুধও সংকটে ভুগছে। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে, যাদের প্রায় অর্ধেকই জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েল মিশর থেকে অল্প সংখ্যক ট্রাকে সাহায্য নিয়ে প্রবেশ করতে দিয়েছে, কিন্তু জেনারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
১ বছর আগে
হামাসের আকস্মিক হামলায় ২২ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ফিলিস্তিনের ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলনের (হামাস) করা আকস্মিক হামলায় কমপক্ষে ২২ ইসরায়েলি নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন সকাল থেকে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে এবং একইসঙ্গে তাদের কয়েক ডজন সদস্য ইসরায়েলের সীমান্ত শহরে ঢুকে হামলা চালায়।
মিডিয়া আউটলেটগুলো জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে হামাস বন্দি করেছে।
যদিও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই তথ্যগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেননি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার অফিস থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ঘোষণা করেছেন, ‘আমরা যুদ্ধে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমনভাবে এই আঘাত ফিরিয়ে দেব, শত্রুরা যা কল্পনাও করতে পারবে না। শত্রুদের অভূতপূর্ব মূল্য দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলায় আরেক সশস্ত্র কমান্ডার নিহত হয়েছে: ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দেশটির সামরিক রিজার্ভ বাহিনীর একটি গণ খসড়া ঘোষণা করেছেন।
এই ঘটনার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ডাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জবাবে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজা উপত্যকার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি এলাকা হামাস জঙ্গিদের দখলে রয়েছে। এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মুখোশধারী সশস্ত্র যোদ্ধারা বন্দুক ও হাতে থাকা রকেট নিয়ে ইসরায়েলের শহরগুলোতে গাড়ি চালাচ্ছে এবং ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে যে রবিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: পাসওভারেও থেমে নেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ
গাজায় হামাসের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা
১ বছর আগে
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৯জন সেনাসদস্য নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে।
সামরিক ও তিনজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, দেশে জঙ্গি সহিংসতা ক্রমে বাড়ছে এটা তার লক্ষণ।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নুতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় পাঁচ সেনা আহত হয়েছে।
তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, আহতদের সংখ্যা ২০।
কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দাবি করেনি।
তবে পাকিস্তানি তালেবানদের সন্দেহ করা হচ্ছে।
কারণ তারা ২০২২ সাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বারবার হামলা করছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, আফগানিস্তানে তালেবান শাসন শুরুর পর থেকে এ অঞ্চল বিদ্রোহীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পিকআপে বাসের ধাক্কা, আগুন ধরে নিহত ২০
এমনকি তারা প্রকাশ্যে আফগানিস্তানে বসবাস করছে।
বান্নু উত্তর ওয়াজিরিস্তানের প্রাক্তন জঙ্গি ঘাঁটির কাছে অবস্থিত। কয়েক বছর আগ পর্যন্ত যেটি বিদ্রোহীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
কয়েক বছর আগে দেশটির সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয়, এই অঞ্চলের সব জঙ্গিঘাটি নির্মূল করা হয়েছে।
তবে বর্তমানে ফের উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ ধারণা করা হচ্ছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান নামে পরিচিত স্থানীয় তালেবানরা এই এলাকায় ফের সংগঠিত হচ্ছে।
পাকিস্তানি তালেবান একটি পৃথক গোষ্ঠী হলেও আফগান তালেবানদের সহযোগী।
২০২১ সালে মার্কিন ও ন্যাটোবাহিনী তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের পর আফগান তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গির্জা ও খ্রিস্টানদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২৯
পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) অনুসারে, বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধের ভিত্তিতে সেনা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে দুই জেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতি রয়েছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বালাঘাটা, ফজর আলী পাড়া, চেয়ারম্যান পাড়া, পুলিশ লাইনস এলাকা, ছাইগ্যা মহাজন পাড়া, উদ্যানপালন এলাকা, লালমিয়ার চর এলাকা, হাফেজঘোনা, আর্মিপাড়া, কাশেম পাড়া, স্টেডিয়াম ও কেচিং পাড়া এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
প্রবল বন্যার কারণে রবিবার মধ্যরাত থেকে শহরের নিচু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।
এছাড়া বান্দরবান থেকে রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা সেবা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে ২৬৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সতর্ক করতে মাইকিং
৫ ঘণ্টা পর বান্দরবান-থানচির যোগাযোগ স্বাভাবিক
১ বছর আগে
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সেনার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের জাতিসংঘ কার্যালয়।
বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়,‘আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জাহাঙ্গীর আলম, জসিম উদ্দিন এবং শরীফ হোসেনের পরিবারের প্রতি যারা দায়িত্বপালনকালে প্রাণ হারিয়েছেন।
একইসঙ্গে আহত ও চিকিৎসাধীন মেজর আশরাফুল হকের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে বাংলাদেশে জাতিসংঘ কার্যালয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ কমাতে পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় বলেছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে থাকে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে,‘আজ এবং প্রতিদিন আমরা সেই নারী ও পুরুষদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি যারা শান্তির সেবায় তাদের সর্বোচ্চ জীবনকে বাজি রাখে এবং তাদের আত্মত্যাগকে সম্মান করে।’
আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর মূল্যবোধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
পিছু হটা রুশ সেনারা অসংখ্য মাইন রেখে গেছে: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, রুশ বাহিনী পিছু হটার সময় রাজধানী কিয়েভের বাইরে ‘সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের’ ফাঁদ তৈরি করে রেখে গেছে। তারা আশেপাশের পুরো অঞ্চল জুড়ে; এমনকি বাড়িঘর ও লাশের নিচেও মাইন রেখে গেছে।
শনিবার ভোরে এমন সময় জেলেনস্কি এই সতর্কবার্তা দিলেন যখন মারিউপোলে মানবিক করিডোর খুলে দেয়া হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকরা শহর ছাড়ার চেষ্টা করছেন। যদিও রুশ সেনারা এই প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন।
জেলেনস্কি জাতির উদ্দেশ্যে তার রাতের ভিডিও ভাষণেও বলেন, তারা পুরো এলাকায় মাইন রেখে গেছে। তারা বাড়ি-ঘর, যন্ত্রপাতি, এমনকি নিহত ব্যক্তিদের লাশের নিচেও মাইন ফেলে গেছে।
তিনি বাসিন্দাদের তাদের স্বাভাবিক জীবন শুরু করার জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানান। যতক্ষণ না তারা আশ্বস্ত হয় যে মাইনগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে এবং গোলাগুলির বিপদ কেটে গেছে।
এদিকে ক্রেমলিন ইউক্রেনীয়দের রাশিয়ার মাটিতে একটি জ্বালানি ডিপোতে হেলিকপ্টার হামলা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করে। যদিও ইউক্রেন এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধে ইউক্রেনের ৫৩ ঐতিহাসিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনেস্কো
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, নিশ্চয়ই এ ধরনের ঘটনা আলোচনা অব্যাহত রাখার জন্য আরামদায়কপরিস্থিতি তৈরি করবে না।
এই সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেনের রাজধানী এবং উত্তরের শহর চেরনিহিভের কাছে সামরিক তৎপরতা কমিয়ে দেয়ার কথা বলে, রাশিয়া কিয়েভের আশেপাশের এলাকা থেকে তার কিছু স্থল বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
রাশিয়া কিয়েভ ও চেরনিহিভের চারপাশে তাদের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখলেও, ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে।
ইউক্রেন ও তার মিত্ররা সতর্ক করে বলেছে, ক্রেমলিন দর কষাকষির টেবিলে যেভাবে সময়ক্ষেপণ করছে, তা মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনাদের পুনরায় মোতায়েন ও স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে। রাশিয়া এখন পূর্বের ডনবাস অঞ্চলে (অধিকাংশ রুশ ভাষাভাষী) একটি তীব্র আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে; যার মধ্যে মারিউপোলও রয়েছে।
রাশিয়া তার সেনাদের পুনরায় মোতায়েন করা দেখে জেলেনস্কি সামনে কঠিন যুদ্ধের বিষয়ে তার দেশের মানুষকে সতর্ক করে বলেন, আমরা আরও সক্রিয় প্রতিরক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে শুক্রবার ভিডিওর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপের বিষয়ে জেলেনস্কি কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেল ডিপোতে ইউক্রেনের হামলা: রুশ গভর্নর
চেরনোবিল ছেড়েছে রুশ সেনারা
২ বছর আগে
চেরনোবিল ছেড়েছে রুশ সেনারা
চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনীয়দের হাতে ফেরার পর রুশ সেনারা পারমাণবিক কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছে।
শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি, এনারগোএটম জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনারা চেরনোবিল প্লান্টের সবচেয়ে দূষিত অংশে পরিখা খনন করেছে এবং বিকিরণের ‘উল্লেখযোগ্য ডোজ’ পেয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। কেউ কেউ বেলারুশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও অসমর্থিত সূত্রের খবরে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে শুক্রবার সকালে রাশিয়ার বেলগোরোড অঞ্চলের গভর্নর ইউক্রেনকে সীমান্তের ওপারে হেলিকপ্টার গানশিপ উড়ানোর এবং একটি তেল ডিপোতে আঘাত করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
রাশিয়ান এনার্জি জায়ান্ট রোসনেফ্ট পরিচালিত ডিপোটি ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
বেলগোরোডের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভের একটি টেলিগ্রাম পোস্ট অনুসারে, হেলিকপ্টার হামলায় ডিপোটি পুড়ে গেছে, এসময় দু’জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ২ শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন জেলেনস্কি
অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় বাহিনী অবরুদ্ধ উত্তর শহর চেরনিহিভের দক্ষিণের শহর স্লোবোদা এবং লুকাশিভকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
রাশিয়ান বাহিনী চেরনিহিভ এবং কিয়েভ উভয় স্থানেই বিমান এবং স্থল-চালিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে। যদিও মঙ্গলবার মস্কো বলেছিল তারা এই অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা কমানোর পরিকল্পনা করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন, দেশের উত্তর অংশ ও কেন্দ্র থেকে সেনা প্রত্যাহার, ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বে নতুন আক্রমণের জন্য শক্তি তৈরির জন্য রাশিয়ার একটি সামরিক কৌশল মাত্র।
জেলেনস্কি জাতির উদ্দেশ্যে তার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন, ‘আমরা তাদের উদ্দেশ্য জানি। আমরা জানি যে তারা সেই অঞ্চলগুলো থেকে দূরে সরে যাচ্ছে যেখানে আমরা তাদের আঘাত করেছি। তারা দেশের অন্য অংশের খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফোকাস করছে, যেসব জায়গায় তাদের হামলা প্রতিহত করা আমাদের পক্ষে কঠিন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে আরও যুদ্ধ হবে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে আরও আলোচনার প্রস্তাব তুরস্কের
ইউক্রেন ‘টার্নিং পয়েন্টে’: জেলেনস্কি
২ বছর আগে
বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ষড়যন্ত্রের ফল: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের ফল।
তিনি বলেন, ‘এটি (বিডিআর বিদ্রোহ) শুধু একটি বিদ্রোহ ছিল না কারণ এর পেছনে একটি গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। এর প্রধান কারণ ছিল সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়া।’
শুক্রবার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে বনানী কবরস্থানে স্থাপিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে কারা ছিল, তার সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন জাতি এখনও পায়নি এবং সেনাবাহিনীর তদন্তের কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: টিসিবির ট্রাকের সামনে লম্বা সারি বাস্তবতা প্রকাশ করে: বিএনপি
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা এত বছর পরেও তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করতে পারিনি। আমরা এখনও জানি না যে এর পেছনে কারা ছিল এবং কেন এই ঘটনাটি ঘটল! আমরা বিশ্বাস করি যে এই ঘটনার পিছনে একটি ষড়যন্ত্র রয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সমগ্র জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও ভয়ানক দিন, কারণ এই দিনে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তা নিহত হন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধেও আমরা এত সেনা কর্মকর্তা হারাইনি।
বিএনপির এই নেতা বিডিআর বিদ্রোহে এত প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এর আগে মির্জা ফখরুল দলীয় নেতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কবরস্থানে গিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং নিহত সেনা কর্মকর্তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
এ সময় বিএনপির প্রতিনিধি দলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ফজলে এলাহী আকবর, হাসান নাসির, কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, সারোয়ার হোসেন, এম এ হাসান, কোহিনুর আলম নূর ও আজিজ রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ১১ দিনব্যাপী কর্মসূচি বিএনপির
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সপ্তাহ চলাকালে ২৫ ফেব্রুয়ারি সশস্ত্র বিদ্রোহ করেন বাহিনীর কয়েক’শ সদস্য। তাদের হাতে পিলখানা সদরদপ্তরে নিহত হন ৫৭ জন সেনাকর্মর্তাসহ ৭৪ জন।
পরে সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের আলোচনা শেষে পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড জমাদানের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি হয়।
ঘটনার জেরে আধা সামরিক বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।
হত্যা, লুটপাট ও বিদ্রোহের এ ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে হত্যার এক মামলায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জনকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর করে কারাদণ্ড এবং বিএনপির প্রয়াত নেতা নাসিরুদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অন্যদিকে বিদ্রোহের জন্য করা ৫৭ মামলায় বিডিআরের মোট পাঁচ হাজার ৯২৬ জন সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে (চার মাস থেকে সাত বছর) কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। রায় প্রদানকারী তিন বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার এ রায়টি প্রকাশ করা হয়।
রায়ের দৈর্ঘ্য এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম রায়।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে: বিএনপি
২ বছর আগে