ফিলিস্তিনের ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলনের (হামাস) করা আকস্মিক হামলায় কমপক্ষে ২২ ইসরায়েলি নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন সকাল থেকে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে এবং একইসঙ্গে তাদের কয়েক ডজন সদস্য ইসরায়েলের সীমান্ত শহরে ঢুকে হামলা চালায়।
মিডিয়া আউটলেটগুলো জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে হামাস বন্দি করেছে।
যদিও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই তথ্যগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেননি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার অফিস থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ঘোষণা করেছেন, ‘আমরা যুদ্ধে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমনভাবে এই আঘাত ফিরিয়ে দেব, শত্রুরা যা কল্পনাও করতে পারবে না। শত্রুদের অভূতপূর্ব মূল্য দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলায় আরেক সশস্ত্র কমান্ডার নিহত হয়েছে: ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দেশটির সামরিক রিজার্ভ বাহিনীর একটি গণ খসড়া ঘোষণা করেছেন।
এই ঘটনার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ডাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জবাবে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজা উপত্যকার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি এলাকা হামাস জঙ্গিদের দখলে রয়েছে। এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মুখোশধারী সশস্ত্র যোদ্ধারা বন্দুক ও হাতে থাকা রকেট নিয়ে ইসরায়েলের শহরগুলোতে গাড়ি চালাচ্ছে এবং ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে যে রবিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল বন্ধ থাকবে।