চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ
চট্টগ্রামে ২১ ফেব্রুয়ারির দিন যান চলাচলে সিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ যান চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এডিসি-পিআর স্পিনা রানী প্রামানিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে- আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য সরকারিভাবে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে স্থাপিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ থেকে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ওই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি নির্দেশনা অনুসরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে নগরীর তিনপুল থেকে আমতল, আমতল থেকে নিউ মার্কেট এবং সিনেমা প্যালেস থেকে রাইফেল ক্লাব রোডে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। নিউ মার্কেট থেকে আমতল রোডে দ্বিমুখী যান চালু থাকবে। এ ছাড়া তিনপুল মোড় থেকে শিক্ষা অফিস হয়ে আমতল পর্যন্ত একমুখী চলাচল থাকবে।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট
আমতল, তিনপুল ও সিনেমা প্যালেস মোড়ে রোড ব্লক স্থাপন করে যানবাহন ডাইভারশন দেওয়া হবে।
শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে আসা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তারা ওয়াসা, কাজির দেউরী, নেভাল ক্রসিং, লাভ লেইন, বৌদ্ধ মন্দির, বোস ব্রাদার্স, রাইফেল ক্লাব হয়ে আমতল মোড় ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহার করবেন। পরে প্রধান পার্কিং স্থান হিসেবে রাইফেল ক্লাব মাঠে গাড়ি পার্কিং করবেন।
এ ছাড়াও অন্যদিক থেকে আসা গাড়ি সুবিধা অনুযায়ী নিউ মার্কেট মোড় এবং তিনপুল (গোলাম রসুল মার্কেটের সামনে) এলাকা ব্যবহার করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক আগত যানবাহন রাইফেল ক্লাব পার্কিং এরিয়া, থিয়েটার ইনস্টিটিউট থেকে সিনেমা প্যালেসগামী রাস্তা, তিনপুল থেকে এনায়েতবাজার রোড (জুবলী রোড), স্টেশন রোড এবং নিউ মার্কেট থেকে কোতোয়ালি রোডে পার্কিং করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আসা সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও সরকারি কর্মকর্তারা পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারে (চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ) এসে ফুল দিয়ে আমতল মোড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে জুবলী রোড হয়ে ফিরে যাবেন। নিউমার্কেট ও তিনপুল ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহারকারীরা পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে পুনরায় ওই ড্রপিং জোনে গিয়ে গাড়িতে উঠবেন।
পদযাত্রা ও প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণকারীদের সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তায় যান চলাচলের সুযোগ রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে নির্দেশনায়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরের ক্লাস বন্ধ
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ সিএমপির
চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। থার্টি ফার্স্ট নাইটে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছে সিএমপি।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রকাশ্যে উন্মুক্ত স্থান, রাস্তাঘাট কিংবা নিজ বাড়ির ছাদেও কোনো ধরনের উৎসব করা যাবে না। এমনকি লাইসেন্স করা অস্ত্রও এ দিন বহন করা যাবে না।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএমপি। আর এ সব বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে এরই মধ্যে নগর পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (পিআর) শাহাদত হুসেন রাসেল বলেন, ইংরেজি বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, গির্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’এ উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয়: ডিএমপি
নিদের্শনার মধ্যে রয়েছে- রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ ও প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত বা সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুমোদিত স্থানে আয়োজিত সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে নতুন বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন বা সমাবেশ বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। কোনো ভবনের ছাদে আতশবাজি বা পটকা ফোটানো হলে ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সৈকত ও পারকি সৈকত এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। এ দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লাইসেন্স করা সব বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে।
আনন্দ উদযাপনের মধ্যে সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখতেও বলা হয়েছে। এছাড়া হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ১০টার পর সব ফার্স্ট ফুডের দোকানসহ মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে। থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে বিকাল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত সকল প্রকার লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার অনুরোধ জানিয়েছে সিএমপি।
আরও পড়ুন: সীমিত পরিসরে বড়দিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
২ বছর আগে
চসিক নির্বাচন: সিএমপির ৫ ওসি পদে রদবদল
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পাঁচ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে।
৩ বছর আগে