কোভিড-১৯ মহামারি
‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির কারণে সামাজিক-অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে’
কোভিড-১৯ মহামারি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির কারণে সামাজিক-অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে দরিদ্রদের অনিশ্চয়তা, অপর্যাপ্ত সাহায্যপ্রাপ্তি ও এলাকাভিত্তিক বৈষম্যের উপর আয়োজিত একটি কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, এই ধরনের সংকটের প্রভাব মোকাবিলা করতে এবং পরিবারগুলোকে অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করতে সামাজিক সুরক্ষা অত্যাবশ্যক। শহর অঞ্চলে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিসর বাড়ানো, শহরের নিম্ন আয়ের এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, সহায়তার মর্যাদাপূর্ণ বিতরণ নিশ্চিত করা ও সমন্বিত নীতির উদ্যোগ নেওয়ার মতো সুপারিশও উঠে আসে আলোচনায়।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ক্ষমতাবাজী বন্ধ এবং বৈষম্যের অবসান করতে হবে: ইনু
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্যের যে স্থায়িত্ব, তা শুধু কোভিড-১৯-এর কারণে নয়। মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপের কারণেও দারিদ্র্য বিদ্যমান।
“পোভার্টি ট্রানজিশানস অ্যান্ড সোশ্যাল প্রটেকশন: এক্সপেরিয়েন্স অব অ্যান্ড অ্যাটিটিউডস টুওয়ার্ডস আরবান পোভার্টি” শিরোনামে কর্মশালাটির আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।
কর্মশালায় যুক্তরাজ্য সরকারের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের কোভিড-১৯ লার্নিং, এভিডেন্স অ্যান্ড রিসার্চ প্রোগ্রামের আওতায় করা একটি গবেষণার ফলাফল ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরা হয়।
কোভিড-১৯ চলাকালীন বিআইজিডি-পিপিআরসি যে গবেষণা করেছিল, গবেষণাটিতে সেখানকার তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। পরে এই গবেষণার অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ঢাকার কল্যাণপুর ও চট্টগ্রামের শান্তিনগর থেকে গবেষকরা আরও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। নিম্ন-আয়ের এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের উচ্চ মাত্রার অনিশ্চয়তা, মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দারিদ্র্যের প্রভাব, বৈষম্যের অভিজ্ঞতা এবং অপর্যাপ্ত সামাজিক সুরক্ষা সহায়তার মতো বিষয়গুলো এ গবেষণায় তুলে ধরা হয়।
প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. কিটি রোয়েলিন কর্মশালায় গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- বিআইজিডির উপদেষ্টা এনএম জিয়াউল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের যুগ্ম প্রধান ড. মুনিরা বেগম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সু-সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলমান আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সফলভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করেছে। বর্তমান আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রয়েছে।’
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতয়ি সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের (নওগাঁ-২) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে দিনের কার্যক্রমের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব উপস্থাপন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ‘সরকার আমাদের (খাদ্য) স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রাখার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে সংকট তৈরি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই পরিস্থিতিতে সরকার এই সংকট মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়মিত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ, ক্রমাগত উপকরণ সহায়তা ও কৃষি খাতে নীতি সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সফলভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: দেশকে দুর্ভিক্ষমুক্ত রাখতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩২৮.৯৬ লাখ টন, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে ৪৭৭.৬৮ লাখ টন হয়েছে।
১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের (লক্ষ্মীপুর-১) অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশ তাদের নিজ নিজ দেশে সংঘটিত গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পরে ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, যেহেতু ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে, তাই একই ইস্যুতে আরেকটি আন্তর্জাতিক দিবস পালনের প্রস্তাব যৌক্তিক হবে না।
তিনি বলেন, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও শহীদ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংসদ নেতা বলেন, গণহত্যা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্বের অন্যান্য গণহত্যার মতোই জটিল ও সময়সাপেক্ষ।
আরও পড়ুন: যেকোনো সংকট এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তবে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরি করে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া সহজ হবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
৮৫৪ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনের, ২০০৯ সাল থেকে ১১৩১টি সেতু নির্মিত: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদের (ঠাকুরগাঁও-৩) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বর্তমান সরকার তিন মেয়াদে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ৪৩১টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৮৫৪ কিলোমিটার মহাসড়ক চার-লেনে উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া একই সময় ১১ হাজার ৪৩৪ কিলোমিটার মহাসড়ক তৈরি করা হয়েছে এবং ১ হাজার ১৩১টি সেতু (১২৩,২৫৪ মিটার) নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থ বছরে প্রায় ৫৭৪ কিলোমিটার মহাসড়ককে ৪-লেনে উন্নীতকরণ, ৪৬৩৪ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নয়ন এবং ১৩১টি প্রকল্পের অধীনে ৭৫০টি সেতু (৬৪,৮৪৪ মিটার) নির্মাণের কাজ চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে সম্পন্ন হওয়া মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ককে ৪-লেনে উন্নীতকরণ (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম সেকশন) প্রকল্প, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, জয়দেবপুর-চন্দ্রা। টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক প্রকল্পের উভয় পাশে সার্ভিস লেন; ঢাকা-খুলনা (এন-৮) মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা-মাওয়া অংশ (ইকুরিয়া-বাবুবাজার সংযোগ সড়ক সহ)।
তিনি বলেন, সরকারের তিন মেয়াদে নির্মিত সেতুগুলোর মধ্যে রয়েছে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, মেঘনা সেতু, গোমতী সেতু, পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) এবং আন্তঃসীমান্ত সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের (বাংলাদেশ) আওতায় মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত মধুমতি সেতু।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ বেড়েছে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার:
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের (নোয়াখালী-৩) এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ এখন ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
এ ছাড়াও, ৪১টি কোম্পানি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে এবং ৫০টি শিল্প বিভিন্ন অঞ্চলে নির্মাণাধীন রয়েছে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি এই শিল্পগুলো ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য উৎপাদন করেছে এবং ২৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সঙ্গে এই শিল্পগুলো ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
১ বছর আগে
এসডিজি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার এখনই সময়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় উল্লিখিত জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বব্যাপী একযোগে কাজ করার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলা করার সক্ষমতা বাড়াতে এক সঙ্গে কাজ করা সহায়ক হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ড বলরুমে জনস্বাস্থ্য ও কূটনীতিবিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের দেখিয়েছে যে যতই বিচ্ছিন্ন বোধ করি না কেন, আমরা সবাই সংযুক্ত।
তিনি বলেন, ‘আমরা কেউই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ হতে পারি না যতক্ষণ না নিশ্চিত করি যে সবাই নিরাপদ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ ও লক্ষ্যমাত্রা-১৭ এ উল্লিখিত জনস্বাস্থ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বব্যাপী একযোগে কাজ করার এখনই সময়।’
তিনি আরও বলেন, এটি অর্জনের জন্য সব দেশের কাছ থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পাওয়া এবং কেন্দ্রীভূত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কোভিড মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় অতীতের সাফল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: ‘মুজিবপিডিয়া’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরেন।
সেগুলো হলো:
প্রথমত, ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার জন্য বর্ধিত প্রস্তুতি এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে পদক্ষেপগুলো আরও সমন্বয় করা।
দ্বিতীয়ত, প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ নির্মূলে একসঙ্গে কাজ করা এবং ক্রমবর্ধমান অসংক্রামক রোগের বোঝা মোকাবিলায় উন্নত অনুশীলন ভাগাভাগি করা।
তৃতীয়ত, জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যকে মূলধারায় আনার দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং পানিতে ডুবে ও দুর্ঘটনার মতো মারাত্মক জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে সহযোগিতা করা।
আরও পড়ুন: ঢামেককে উন্নত করার পরিকল্পনা, একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারবে ৪০০০ রোগী: প্রধানমন্ত্রী
চতুর্থত, জলবায়ুর প্রভাবের কারণে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ মোকাবিলায় বিশেষ মনোযোগ দিয়ে চিকিৎসাবিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সম্মিলিত সুযোগ-সুবিধা সংগ্রহ করা।
পঞ্চমত, এই অঞ্চলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচারের লক্ষ্যে এসডিজি-৩ এর মাধ্যমে আমাদের অর্জনের মানদণ্ড হিসেবে মা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যকে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একযোগে কাজ করি যাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য প্রশাসন আগামী ৭৫ বছর এবং তার পরেও অর্থবহভাবে আমাদের সমগ্র মানবতার সেবা করা যায়। আসুন আমরা একে অপরকে সাহায্য করি এবং আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি।’
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে ধনী ও দরিদ্রের আয়বৈষম্য বেড়েছে: বিআইডিএস’র গবেষণা
২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে ধনীদের আয় ৬৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে তারা আরও ধনী হয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ মধ্যম আয়ের মানুষের আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ, নিম্ন মধ্যম আয়ের মানুষের আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ, দরিদ্রদের আয় বেড়েছে ১০ দশমিক ২ শতাংশ এবং অতি দরিদ্রদের আয় বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ১৭-১৮ মে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিআইডিএস রিসার্চ অ্যালম্যানাকে এ তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, উচ্চ ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে আয়বৈষম্য সত্ত্বেও সরকারি চাকরির খরচ বাড়েনি। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খাতসহ সব গোষ্ঠীই সরকারি সেবা পাচ্ছে।
কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে ড. মশিউর বলেন, অ্যাকাডেমিক পাঠ ও নিয়োগকর্তার চাহিদা মিলছে না বলে কর্মসংস্থান বাড়ছে না, তাই শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির সরকারি নীতির ফলে গ্রামীণ বাংলাদেশে আয়বৈষম্য সংকুচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, উন্নত সড়ক যোগাযোগ এবং অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ব্যাংকগুলো প্রতিদিন এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে প্রত্যয়পত্র বা লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে ২০১৯-২০২২ সালের মধ্যে সামগ্রিক দারিদ্র্যের হার কমেছে ৪.৩ শতাংশ: বিআইডিএসের জরিপ
তিনি বলেন, ওভার ও আন্ডার-ইনভয়েসিং অথবা বাণিজ্যভিত্তিক অর্থ চোরাচালান রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব খতিয়ে দেখছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহ দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে যাতে যেকোনো দেশের প্রবাসীরা তাদের মোবাইল ফোন থেকে বৈধ মাধ্যমে সহজেই রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন।’
গভর্নর বলেন, গত অর্থবছরে বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ ছিল ১৭ বিলিয়ন ডলার, যা এখন দাঁড়িয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলারে এবং এসব ঋণ পরিশোধের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বেড়েছে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিগগিরই একক বিনিময় হার নির্ধারণ করবে এবং এ বিষয়ে কাজ এগিয়ে চলছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আবদুস সাত্তার মণ্ডল, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুব আলী, আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে তাদের বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণকে এগিয়ে নিতে কারখানায় তদারকি আবশ্যক: গবেষণা
১ বছর আগে
বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত যা গত দুই দশক ধরে মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৩৫% অবদান রেখে চলেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে গত তিন দশক ধরে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং প্রায় প্রতি বছরই বেশ কয়েকটি নতুন ব্র্যান্ড উঠে আসে, যা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে তোলে। শত শত ব্র্যান্ডের মধ্যে সেরাগুলো বাছাই করা এবং ছোট একটি তালিকা তৈরি করা কঠিন। তবুও, আমরা বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ১০ ব্র্যান্ডের তালিকা করেছি। তালিকাটি দেখে নিন এবং সেগুলো আপনারও শীর্ষ ১০ব্র্যান্ডের তালিকায় রয়েছে কিনা তা দেখুন।
ক্যাটস আই
আজকের তরুণ প্রজন্ম ক্যাটস আই-র নস্টালজিক অনুভূতি বুঝতে পারবে না; শুধুমাত্র ৯০ দশকের লোকেরাই এই ব্র্যান্ডের মূল্য জানে। নতুন ব্র্যান্ডের প্রবর্তনের সাথে সাথে ক্যাটস আই তার আবেদন হারিয়ে ফেলবে। তবে এটি এখনও বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি। ক্যাটস আই সবসময় পুরুষদের জন্য ক্যাজুয়াল আউটফিট পরিবেশন করে থাকে। পরে তারা নতুন ব্র্যান্ড মনসুন রেইন- এর সাথে আনুষ্ঠানিক প্রোডাক্ট লাইন চালু করে। এছাড়াও, তারা শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, কামিজ, জুতা, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছুসহ পুরুষ এবং নারী উভয়ের পোশাক সরবরাহ করে।
সাঈদ সিদ্দিকী রুমী এবং আশরাফুন সিদ্দিকী ডোরা ১৯৮০ সালে ক্যাটস আই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সারা দেশে গত চার দশকে তারা অনেক শোরুম খুলেছে, তবে সবচেয়ে বিখ্যাত একটি নিউ এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত, যা ব্র্যান্ডটিকে এক নতুন স্তরে নিয়ে গেছে । আপনি অনলাইন পেইজwww.catseye.com.bd এ পণ্যগুলো খুঁজে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ঈদের কেনাকাটা
রিচম্যান
রিচম্যান ২০০৩ সালের দিকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এটি মূল সংস্থা লুবনান ট্রেড কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের একটি শাখা। তারা সব ধরনের ফ্যাশনেবল পোশাক যেমন ক্যাজুয়াল, ফর্মাল, লেডিস ড্রেস এবং বাচ্চাদের আইটেমও তৈরি করেন। তবে মূল সংস্থাটি তিনটি পৃথক ব্র্যান্ড- লুবানান, রিচম্যান এবং ইনফিনিটির মাধ্যমে পরিচালনা করে। স্টোর থেকে রিচম্যানের পণ্য ক্রয় করা ছাড়াও আপনি অনলাইনেও www.richmanbd.com কিনতে পারবেন। মোহাম্মদ জুনায়েদ বাংলাদেশের মধ্য স্তরের ক্রেতাদের প্রথম শ্রেণির পোশাক সরবরাহ করার লক্ষ্যে রিচম্যান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ইয়েলো
বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠিত ইয়েলো বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছেছে। সাধারণত, ইয়েলো পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই তরুণ প্রজন্মের রুচি অনুযায়ী পণ্য পরিবেশন করে। সুতরাং, আপনি পুরুষদের, নারীদের, শিশুদের পোশাক এবং এক্সেসোরিজ পাবেন। অনলাইনেwww.yellowcloming.net এ এই পণ্যের অ্যাক্সেস পাবেন।
আড়ং
আড়ং ১৯৭৮ সালে আয়েশা আবেদ এবং মার্থা চেন নগর ও বিশ্বে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আড়ং ব্র্যাক পরিচালনা করছে। তারা মূলত পাঞ্জাবি, পাজামা, শাড়ি এবং ফতুয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী পোশাককে প্রাধান্য দেয়। তবে আড়ং গিফট সেট, জুতা, গৃহস্থালি কারুশিল্প, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। অন্যান্য ব্র্যান্ডের মতো আড়ংয়ের এতগুলো শাখা নেই। বর্তমানে, তারা নয়টি মহানগর অঞ্চলে তাদের ২১টি আউটলেট পরিচালনা করে। তারা তাদের ওয়েবসাইট www.aarong.com এর মাধ্যমে অনলাইন শপিংয়ের অফারও দেয়।
আরও পড়ুন: অনলাইন শপিং জনপ্রিয় হলেও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে
সেইলর
বাংলাদেশের ফ্যাশন শিল্পে একটি নতুন সংযোজন সেইলর ২০১৫ সালে তাদের ব্যবসা শুরু করে এবং মাত্র ৬ বছরের মধ্যে তারা তুলনামূলক কম দামে উচ্চ মানের পোশাকের কারণে ক্রেতাদের যথেষ্ট মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তাদের পণ্য লাইনে পাঞ্জাবী, জুতা, শার্ট, টি-শার্ট, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। পুরুষদের পণ্যের পাশাপাশি তারা নারীদের জন্য পণ্য যেমন- কামিজ, কুর্তি, টপস, জুতা, বোটমস এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। সেইলর এপিলিয়ন গ্রুপের একটি সিস্টার কনসার্ন। অনলাইনে https://www.sailor.cloming/ এ সেইলরের পণ্য পাবেন।
গ্রামীণ ইউনিক্লো
গ্রামীণ ইউনিক্লো লিমিটেড বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় পোশাক ব্র্যান্ড। এটি গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানাধীন সামাজিক ব্যবসায়ের উদ্যোগ। শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনুস এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গ্রামীণ ইউনিক্লো ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৮সালের মধ্যে ঢাকা শহরে প্রায় ১৫ টি স্টোর চালু করে। বর্তমানে ঢাকার কিছু স্টোরসহ তাদের মোট ২১ টি স্টোর রয়েছে। তারা টি-শার্ট, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবী, এক্সেসোরিজএবং আরও অনেক কিছুসহ ক্যাজুয়াল এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাককে প্রাধাণ্য দেয়। ইউনিক্লো-এর মূল লক্ষ্য হল কারখানার শ্রমিকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা। এদের পণ্য অনলাইনে http://www.grameenuniqlo.com/ এ পেতে পারেন।
এক্সটেসি
এক্সটেসি আরও একটি ব্র্যান্ড যা ইয়াং স্টারদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। ফ্যাশন সচেতন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বাসামাজিক অনুষ্ঠানে ফ্যাশনেবল পোশাক পরতে চান এমন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এক্সটেসি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এবং ব্র্যান্ডটি সফলভাবে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করে চলেছে। তানজিম হক ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ফ্যাশন রিটেইলার হয়ে উঠেছে। তারা পুরুষদের জিন্স, ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট, ক্যাজুয়াল প্যান্ট, নারীদের টপ, কামিজ, ব্যাগ, এক্সেসোরিজ,বাচ্চাদের পোশাক এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। বাড়ি থেকে আপনার ঈদের কেনাকাটার জন্য আপনি http://ecstasybd.com এ তাদের ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন।
লা রিভ
একটি ছোট আউটলেট থেকে শুরু করে এখন লা রিভ বয়স নির্বিশেষে পছন্দসই ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। শিশু থেকে বয়স্ক সকলের জন্যই তাদের সংগ্রহ রয়েছে। লা রিভ ঐতিহ্যবাহী পোশাক, পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্য ক্যাজুয়াল পোশাক, ডেনিম, এক্সেসোরিজ এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে। লা রিভ রিভ টেক্স লিমিটেডের একটি সিস্টার কনসার্ন এবং লা রিভ ২০০৯ সালে সর্বজনীনভাবে ব্যবসা শুরু করে।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
ফ্রিল্যান্ড
ফ্রিল্যান্ড ২০০৩ সালে তাদের যাত্রা শুরু করে এবং পরবর্তী দশ বছরের মধ্যে তারা বিশাল আকারে বেড়ে ওঠে। তরুণ ও অফিসগামী মানুষের জন্য তারা বাংলাদেশের ফ্যাশন শিল্পে একটি নতুন ট্রেন্ড চালু করেছে। 'ফ্রিল্যান্ড' নামটি দ্বারা তারা আপনার পোশাক নির্বাচনের স্বাধীনতা বোঝায়। তারা জুতা এবং এক্সেসোরিজসহ পুরুষদের এবং নারীদের পোশাক সরবরাহ করে। তাদের ওয়েবসাইট ঠিকানা http://freeland.com.bd/.
ট্রেন্ডজ
ট্রেন্ডজ ২০০৪ সালে বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে প্রথম আউটলেট দিয়ে ফ্যাশন শিল্পে পা রাখে। গত ১৭ বছরের মধ্যে তারা সারা দেশে ৮ টি শোরুম খুলেছে। তারা মাঝারি মূল্যের পণ্য সরবরাহ করে। ফলস্বরূপ, তারা বৃহত্তর উচ্চ মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। তারা সাধারণত ট্রেন্ডি টি-শার্ট এবং শার্টের পাশাপাশি নারীদের পোশাকও সরবরাহ করে। ট্রেন্ডজ-এর পণ্যগুলো দেখতে www.trendzbd.com দেখুন।
আপনি ফ্যাশন সচেতন বা মানসম্পন্ন পণ্য চান এমন কেউ হোন না কেন, আমরা নিশ্চিত যে আপনি কমপক্ষে আপনার জীবনে একবার এই স্টোরগুলোতে গেছেন এবং কিছু কিনেছেন। এখন আপনি এই কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বাইরে না গিয়ে ঘরেই নিরাপদে অনলাইনে কিনতে পারেন।
৩ বছর আগে
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৩১ লাখ ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৮২ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৬ হাজার ৩৮৪ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭২ হাজার ২০০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৯৭ জনের।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৩১১ জন।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৭ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আবারও বেড়েছে বলে রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৫৩ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯২২ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩২২ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, একদিনে ৮৩ জন মারা গেছে এবং ২ হাজার ৬৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৯২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩.৩৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩০১ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫২ জন। সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৮ শতাংশ।
৩ বছর আগে
ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ইউএস-বাংলার বিশেষ ফ্লাইট শনিবার শুরু
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিশেষ অনুমতি অনুসারে আগামী শনিবার থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-গুয়াংজু রুটে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনার শুরু করতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে দুবাই, দোহা, মাস্কাট ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে ৪ আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ইউএস বাংলার বিশেষ ফ্লাইট
বর্তমান সময়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সকল বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে বিদেশ গমনেচ্ছু সকল যাত্রীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের সকলের জন্য নিজ খরচে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন অথবা হোটেলে অবস্থান করতে হবে।
উল্লখ্য, প্রতি শনিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে চীনের গুয়াংজুর উদ্দেশে ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৫০ মিনিটে গুয়াংজুতে পৌঁছাবে। আবার প্রতি রবিবার ভোর ৫টায় গুয়াংজু থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে এবং সকাল ৭টায় ঢাকায় অবতরণ করবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু ১৭ এপ্রিল
ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হবে। বর্তমান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটসহ মোট ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
৩ বছর আগে
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস শনিবার
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস শনিবার পালিত হবে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর মহুকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন।
আরও পড়ুন: ৯ বছরেও সংশোধন হয়নি মুজিবনগরে জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্যের ভুল তথ্য
তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার গঠনের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকার যাত্রা শুরু করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, 'মুজিবনগর দিবসে আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিমগ্ন হয়ে দেশের মানুষকে দেশ গঠনে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই।'
রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস জানতে সক্ষম হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখবে।
পৃথক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, '১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যা বাঙালি জাতির জীবনে স্মরণীয় দিন। এই দিনই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার মেহেরপুর মহুকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করে।'
মুজিবনগর দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা ধরে রাখার জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
জাতির পিতা অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সকল সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: মন্ত্রী
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিবসটির উদযাপন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সকাল ১০টায় নগরীর ধানমন্ডি-৩২ এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলোতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।
দিবসটির তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এই দিনটিকে ঘিরে ভার্চুয়াল আলোচনার সভার আয়োজন করবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো আওয়ামী লীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসকে স্বল্প পরিসরে পালনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ভবন ও আ’লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি দলের সকল জেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: মুজিব শতবর্ষ: গাইবান্ধায় বিশ্বের ‘দীর্ঘতম’ আলপনা উৎসব
আ.লীগ ধানমন্ডি-৩২ এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দলের নেতা-কর্মীরা সেখানে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখবেন।
আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের নেতৃত্বে একটি দল রাত ১০টায় মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। আ.লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের দল ও এর সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সীমিত পরিসরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে
ঢাকার বায়ুর মান উন্নত করা সম্ভব কি?
আজকাল ঢাকায় যারা বসবাস করছেন তাদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন রাজধানীর ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণের কারণে ঢাকা আর বাসযোগ্য নেই বলে কোনও সুযোগ পেলে তারা অন্য শহরগুলোতে স্থানান্তরিত হবেন।
অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মুজিবুল হক বলেছেন, 'ঢাকায় বসবাস করা ব্যক্তিগত লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে কারণ এর বাতাস বেঁচে থাকার জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।'
আরও পড়ুন: বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বায়ু 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাসিন্দারা এই বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ এবং অস্বাস্থ্যকর বায়ু নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করেছেন যেমনটি তারা ২০১৭ সালে একই সময়ে করেছিলেন।
এই ৯০ দিনের সময়কালে (জানুয়ারী-মার্চ ২০২১), বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর ঢাকায় বায়ুর গুণমান ১২ দিনের জন্য 'বিপজ্জনক', ৫৮ দিনের জন্য 'অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর', ১৯ দিনের জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' এবং 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছিল।
২০১৭-২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) তথ্য বিশ্লেষণের পরে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিটি জানা গেছে।
২০২১ সালে, একিউআইয়ের দৈনিক গড় স্কোর ছিল জানুয়ারিতে ২৬১, ফেব্রুয়ারিতে ২৩১ এবং মার্চ মাসে ২১১, যা গত পাঁচ বছরে রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ।
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত বায়ুমণ্ডল দূষণ স্টাডিজ (সিএপিএস) এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার যে বিশ্লেষণ করেছেন সেটি অনুসারে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি-মার্চ মাসে গড়ে একিউআইয়ের স্কোর যথাক্রমে ২৪৭, ১৯৩ এবং ১৭০ ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ু দূষণ: হাইকোর্টের আরও ৩ দফা নির্দেশনা
এই পাঁচ বছরের সময়কালে, বাতাসের গুণমান ২০২০ সালে তুলনামূলকভাবে ভাল ছিল। কেননা জানুয়ারিতে গড় একিউআই স্কোর ছিল ২৩৫, ফেব্রুয়ারিতে ২২০ এবং বছরের মার্চ মাসে ১৭৫।
এছাড়াও, ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসে গড় একিউআই স্কোর ২৪০, ২২৬ এবং ১৯১ ছিল, যেখানে ২০১৮ সালের জানুয়ারি-মার্চ মাসে ২৫৬, ২২৪ এবং ১৮৩ ছিল।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে, ঢাকার বায়ুর গুণমান সাত দিনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ (স্কোর ৩০০+) ছিল, যেখানে ২৩ দিনের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর (স্কোর ২০০-৩০০) এবং অস্বাস্থ্যকর (১৫১-২০০) এক দিনের জন্য ছিল।
ঢাকার বায়ুর গুণমান তিন দিনের জন্য বিপজ্জনক ছিল, ২০ দিনের জন্য অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং ফেব্রুয়ারিতে অবশিষ্ট পাঁচ দিন অস্বাস্থ্যকর ছিল।
গত মার্চে, বায়ুর গুণমান দুই দিন বিপজ্জনক ছিল, ১৫ দিন খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ১৩ দিন অস্বাস্থ্যকর এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যকর নয় (স্কোর ১০১-১৫০) ছিল এক দিনের জন্য।
গত তিন মাসে, ২০ জানুয়ারিতে সর্বোচ্চ গড় একিউআই স্কোর ৩৬৫ এবং ১১ মার্চ সর্বনিম্ন গড় একিউআই স্কোর ১৪৪ ছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর না হলেও ঢাকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর
যদিও বিপজ্জনক বায়ু মানের কারণে ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে, মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে এবং বায়ু দূষণ পরীক্ষা করতে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হচ্ছে না।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মজুমদার বলেন, বায়ুর গুণগতমান বিপজ্জনক হলে মানুষকে বাইরের সকল কাজকর্ম এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই নিম্নমানের বাতাসে জড়িয়ে আছে এবং প্রায়ই বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত শহর বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
কোভিড-১৯ এবং নিম্ন মানের বায়ু
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের তীব্রতা এবং বায়ু দূষণকারীদের দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক থাকার কারণে নিম্ন মানের বায়ু নগরবাসীর জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য ঝুঁকির শীর্ষ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বায়ু দূষণ।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির সাথে সাথে দেশের বাতাসের মান এখন মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে একদিনে রেকর্ড ৭৮ মৃত্যু, শনাক্ত ৫৮১৯
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ স্তরের বায়ু দূষণের সংস্পর্শে মানুষের শ্বসন এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগের সৃষ্টি হয় যা কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে মানুষকে আরও সংবেদনশীল করে তোলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সম্প্রতি সতর্ক করে দেয়, যেসব শহরগুলিতে বায়ু দূষণের মাত্রা বেশি রয়েছে তাদের এই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে তৎপরতা জোরদার করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, আইন প্রয়োগ ও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে সবার মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মাস্ক নিজেকে বায়ু দূষণ এবং কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
বায়ু দূষণ এবং রোগসমূহ
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যায়, দূষিত বায়ু নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণের ফলে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসজনিত রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণের ফলে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুদূষণ কমছে না, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে নগরবাসীরা
সাধারণত, জুনের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হলে ঢাকার বায়ু পরিষ্কার হতে শুরু করে এবং জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বায়ু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে 'গ্রহণযোগ্য' থাকে।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) এবং বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উত্স হল ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ কাজের ধুলা।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে আজ মঙ্গলবার ভার্চ্যুয়াল ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন।
৩ বছর আগে