শহর
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি, শহরে উত্তেজনা
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের (সদর হাসপাতাল) শিশু ওয়ার্ড থেকে দুই মাস বয়সী একটি শিশু চুরির অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় এই ঘটনার পর হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
চুরি যাওয়া শিশুটি জেলা সদরের ভুল্লী মুন্সিরহাট এলাকার শিমুল ও হাসি বেগম দম্পতির সন্তান।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, শ্বাসকষ্ট নিয়ে রবিবার (৯ মার্চ) শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করান তার বাবা-মা। দুদিন সেখানে তার চিকিৎসা চলার পর গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে তাকে চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৯টার দিকে শিশুটির স্বজন ও উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের ফটকের সামনের আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে শিশুটিকে শিগগিরই উদ্ধারের দাবি জানানো হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সারা রাত ধরে চেষ্টা চালিয়েও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শিশুটিকে উদ্ধারে সফল না হওয়ায় আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে ফের শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। তারা শহরের চৌরাস্তায় সড়কে অবস্থান নিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও অপরাধীর বিচার দাবি করে স্লোগান দেয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা সেখানে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত ছাত্র-জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। বলেন, ‘সিসি ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রযুক্তির সাহায্যে তার অবস্থান সম্পর্কে জানা গেছে। আজকের মধ্যেই শিশুটিকে উদ্ধার ও চোরকে আটক করা সম্ভব হবে।’ পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা স্থান ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: ভোলায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির চেষ্টার অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার
ঘটনার পর শিশুটি উদ্ধারে জরুরি বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল আলম বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির অভিযোগ পেয়েছি। আমরা হাসপাতালের সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ চেক করে দেখতে পাই, এক নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।’
ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার বলেন, ‘চুরি যাওয়া শিশুটির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আমাদের হাতে এসেছে। শিগগিরই শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
৫ দিন আগে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় ঢাকা
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ২০৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
বায়ুর মান ও দূষণের শহর র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ঢাকার বাতাসকে 'অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৬৭ ও ২৩৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়।
একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়।
আর সূচক ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: আজও ‘বায়ু দূষণের’ শীর্ষে ঢাকা
৯৪ দিন আগে
শেরপুর শহর পরিষ্কার করতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
শেরপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের চকবাজার শহীদ মিনার চত্বর ও তিনানী বাজার কলেজ মোড় থেকে তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে কলেজ মোড়, নিউমার্কেট, রঘুনাথ বাজার থানা মোড়, মুন্সীবাজার, খরমপুর, খেয়ারপাড় মোড়সহ ইউএনও অফিস চত্বরেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে দেখা যায় তাদের।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে শহর পরিষ্কার করতে রাস্তায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একজন রবিউল ইসলাম রতন বলেন, ‘অসহযোগ আন্দোলনের কারণে শেরপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা ও স্থাপনায় ময়লার স্তুপ জমা হয়েছে। তাই তারা নিজেদের উদ্যোগে এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছেন।’
ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী লিপু বলেন, ‘দেশের সরকার এখনও গঠন হয়নি। সেজন্য আমরা সাধারণ ছাত্ররা রাজপথে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।’
এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ও স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মধ্যে রয়েছে- আজকের তারুণ্য, ক্লিনআপ শেরপুর, রক্তসৈনিক বাংলাদেশসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার
ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
২২১ দিন আগে
শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব বেশি চাপে আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব বেশি চাপে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বুধবার গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কাছে টাকা আছে। গত তিন মাসে দুই বিলিয়ন করে রেমিট্যান্স এসেছে। যেটা পয়েন্ট টু পয়েন্ট ৩৮ শতাংশ।’
এছাড়া এই দুই বিলিয়নই গ্রামের অর্থনীতিতে অবদান রাখে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘এই রেমিট্যান্সটা শহরে আসে না, কোনো ব্যাংকে আসে না, গ্রামে চলে যায়। গ্রামের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা এটার কারণেও বাড়ে।'
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গ্রামের মানুষ যারা উৎপাদন করে তারা কিন্তু শহরের নির্ধারিত আয়ের লোকের চেয়ে ভালো আছে।’
এছাড়া গ্রামে যারা অটো চালায়, গরু বা ছাগল পালন করে তাদের কিন্তু মাল্টিপল ইকনোমিক অ্যাক্টিভিটি আছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত আয়ের লোকগুলো খুব বেশি চাপে আছে। তাদের জন্য টিসিবিসহ অন্যান্য কর্মসূচি আছে।’
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্য আমদানি করতে ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গেও চুক্তি হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পেরেছি। বিশেষ করে চিনি ও তেল’
এই চিনি ও তেলের সরবরাহ ও দাম গত ৫ থেকে ৬ মাস স্থিতিশীল আছে বলে জানান আহসানুল ইসলাম টিটু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে আমাদের স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধাগুলো যাতে অব্যাহত থাকে। সেজন্য ডব্লিউটিওসহ বিভিন্ন জোটের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিগুলো করছি।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোটা ফ্রি, ডিউটি ফ্রি সুবিধা যাতে অব্যাহত থাকে। সেই ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্রুত কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট করবেন। চীনের সঙ্গে আমাদের স্টাডি সম্পূর্ণ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চায়না একটি এফটিএ করার জন্য উদ্যোগী। আসিয়ান কান্ট্রিগুলোর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছি।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, টিসিবির পণ্য বিক্রি নির্দিষ্ট স্থানে দোকানভিত্তিক কিভাবে করা যায়, সেটি আমরা পর্যায়ক্রমে করে যাচ্ছি।’
মন্ত্রণালয়ের দপ্তরগুলোতে গতিশীলতা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ট্যারিফ কমিশনকে আমরা ঢেলে সাজাতে চাচ্ছি। আমরা যখন উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাব ডব্লিউটিওর রুলস অনুযায়ী আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা রাখতে পারব না। অন্যের মার্কেট পেতে চাইলে আমাদের মার্কেট ওপেন করতে হবে। তখন আমাদের ট্যারিফ রেশনালাইজ করতে হবে। সেটা করতে হলে আমাদের ট্যারিফ কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।’
এবারও ব্যবসায়ীরা চামড়া কেনেননি, চামড়ার দাম পাওয়া যায়নি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চামড়ার ব্যাপারে প্রতি বছরই হয়, আমিও দেখি। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা আমাদের প্রথম বছর ছিল। আমরা চামড়ার দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলাম- ঢাকার বাইরে একটি গরুর লবণযুক্ত চামড়া ১ হাজার টাকা আর ঢাকায় ১ হাজার ২০০ টাকা। আমরা এটা মনিটরিং করব। মনিটরিং করে যে গ্যাপগুলো আছে, সেগুলো আগামী বছর পূরণ হয় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘৬৪ জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন জেলায় কত চামড়া কেনা হলো, কতগুলো সংরক্ষিত, কতগুলো অবিক্রিত রয়েছে। এ বিষয়ে একটা পরিসংখ্যান নেব। তবে এ বিষয়ে দায় হলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের। এক্ষেত্রে আমরা শুধু মনিটরিংই করতে পারি, কাউকে কেনায় বাধ্য করা হলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাজ। এর সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় যুক্ত রয়েছে। সমন্বয়টা আমরা করব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
২৬৩ দিন আগে
নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোর খালের আদলে ঢাকার খালগুলোর উন্নয়ন করতে চাই: ডিএনসিসি মেয়র
নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোর খালের আদলে ঢাকার খালগুলোর উন্নয়ন করতে চান বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোতে দেখেছি দৃষ্টিনন্দন খাল। খালগুলোতে নৌযান চলাচল করে। তাই ঢাকার খালগুলোর উন্নয়ন করতে চাই।
এদিকে ডিএনসিসি আওতাধীন কল্যাণপুর খালের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ডিএনসিসি ও নেদারল্যান্ডসের ‘ডাচ ওয়াটার সেক্টর কনসোর্টিয়ামের’ মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি মেয়রের কার্যালয়ে মেয়র ও ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেনের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে: ডিএনসিসির বর্জ্য প্রদর্শনীতে মেয়র
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম এবং সিডিআর ইন্টারন্যাশনাল বিভি বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সিপ্রিয়ান হেনড্রিক্স সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এসময় ডিএনসিসি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নেদারল্যান্ডসের উত্তম কার্যক্রমের মডেল ও অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সহায়ক হবে। এই চুক্তির মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় কল্যাণপুর খালের সমন্বিত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন, স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত হবে। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এসময় ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, জলাধার ব্যবস্থাপনায় নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের অংশীদার।
তিনি আরও বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২ হাজার ১০০ এবং পানি অবকাঠামো উন্নয়নে অন্যান্য অনেক উদ্যোগের গর্বিত অংশীদার।
তিনি বলেন, এই প্রকল্প একটি টেকসই এবং জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যতের দিকে একটি নতুন যাত্রা চিহ্নিত করবে।
জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করার জন্য কল্যাণপুর খালকে পুনরুদ্ধার করে আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া এবং খালের পানির গুণমান উন্নত করা এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
এর মাধ্যমে একদিকে যেমন কল্যাণপুরের চারপাশের সামগ্রিক পরিবেশের উন্নত হবে, তেমনি প্রস্তাবিত কল্যাণপুর হাইড্রো-ইকো-পার্কসহ অন্যান্য নগর উন্নয়ন উদ্যোগের সাফল্যকে ত্বরান্বিত করবে।
উল্লেখ্য, কল্যাণপুর খালের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাগুলো অনুসন্ধানের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, পাইলটিং এবং অন্যান্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে।
এরমধ্যে রয়েছে কল্যাণপুর খালের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, চারপাশের এলাকার উন্নয়ন, পার্ক উন্নয়ন এবং বাঁধের সৌন্দর্যবর্ধন। সম্মিলিত এই প্রচেষ্টা কল্যাণপুর এলাকার রূপান্তর ঘটাবে, এর বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে। সেই সঙ্গে টেকসই নগর উন্নয়নের জন্য এটি একটি রোল মডেল হবে।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে ছিলেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মাহে আলম, ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেলিগেটেড রিপ্রেজেন্টেটিভ-ওয়াটার নিলচা কিলেন, রেড অরেঞ্জ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক অর্ণব চক্রবর্তী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রকল্পের অনুমোদন: ডিএনসিসি মেয়র
ডিএনসিসিতে নতুন যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: মেয়র
২৯১ দিন আগে
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বিশ্বে পঞ্চম ঢাকা
সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা ১ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৭৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান পঞ্চম।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের কলকাতা ও দিল্লি এবং নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২১১, ২০৪, ২০১ ও ১৯৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম চারটি স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা বিশ্বে চতুর্থ
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকার
৩৭০ দিন আগে
অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো সহজ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দেশের গ্রামীণ রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া এলজিইডি সম্পাদিত বিভিন্ন প্রকল্পের গুণগত মান এখন অনেক বেড়েছে। ফলে শহরের বিভিন্ন সুবিধা এখন সহজেই গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। দেশের অর্থ-সামাজিক উন্নতিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অবদান তাই অনস্বীকার্য।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি এবং প্রশাসনিক বিষয়ে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার ফলে আজকাল গ্রামে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুবসমাজের আয়ের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা যেমন কমেছে, সঙ্গে গ্রামের অর্থনীতিও শক্তিশালী হচ্ছে।
মন্ত্রী এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে দেশের অর্ধেক উপজেলা পর্যায়ে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, শিগগিরই বাকি উপজেলাগুলোতে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে, যাতে বিভিন্ন কাজের মান ঠিক থাকে।
তিনি এ সময় গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার লোড ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ফলে গ্রামের রাস্তাঘাটেও এখন ভারী যানবাহন চলাচল করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখন থেকেই আমাদের সে অনুযায়ী অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট তৈরি করতে হবে। তবে কখনো কখনো ব্যয় সংকোচন নীতি নিতে গিয়ে অল্প পরিমাণ টাকার জন্য কাজের গুণগতমান যাতে নষ্ট না হয় সে বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দিয়ে বলেন, নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করে নিতে হবে। তিনি এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়নের বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়ন পেলে তা আমাদের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৪১৬ দিন আগে
পাপুয়া নিউ গিনির দুই বড় শহরে দাঙ্গা, নিহত ১৫
পাপুয়া নিউ গিনির দুই বৃহত্তম শহরে দাঙ্গা ও লুটপাটের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবারও (১১ জানুয়ারি) এই দাঙ্গা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করেছে দেশটির প্রশাসন।
এর আগে বুধবার(১০ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা, সৈন্য, কারাকর্মী ও সরকারি কর্মচারীরা বেতন বিরোধের প্রতিবাদে তাদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর এই দাঙ্গা শুরু হয়।
পাপুয়া নিউ গিনি সরকার বেতন কমানোর জন্য প্রশাসনিক ত্রুটিকে দায়ী করেছে।
একই ধরনের দাঙ্গায় দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লায়েও দাঙ্গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন জানিয়েছে, পোর্ট মোরেসবি ও লে-তে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আরও ১৮০ জন প্রতিরক্ষাকর্মী পোর্ট মোরেসবি থেকে পালিয়ে যান। উচ্চ বেকারত্ব ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেশটিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে বলেছেন, পোর্ট মোরেসবি 'চাপ ও অস্থিরতার মধ্যে' ছিল, তবে সহিংসতা হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় নিহত ৬৮
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মারাপে বলেন, ‘গতকাল শহরে পুলিশ কাজ না করায় মানুষ অরাজকতা শুরু করে। তবে সবাই নয়, আমাদের শহরের কিছু অংশের লোকজন। আজ সকাল পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, শহরে উত্তেজনা কমেছে।’
ব্যবসায়ীরা ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ মেরামত করার কারণে বৃহস্পতিবার অনেক দোকানপাট ও ব্যাংকিং সেবা বন্ধ ছিল।
পাপুয়া নিউ গিনি একটি বৈচিত্র্যময়, উন্নয়নশীল দেশ। এখানে বেশিরভাগ জীবিকা নির্বাহকারী কৃষক। দেশটিতে প্রায় ৮০০টি ভাষায় কথা বলা হয়। এটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশে অবস্থিত। ১ কোটি মানুষ নিয়ে এটি অস্ট্রেলিয়ার পরে সবচেয়ে জনবহুল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ। অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তার সরকার তার নিকটতম প্রতিবেশীর কাছ থেকে সাহায্যের জন্য কোনো অনুরোধ পায়নি।
আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
গত মাসে পাপুয়া নিউ গিনি ও অস্ট্রেলিয়া একটি দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি সই করেছে।
আলবানিজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পোর্ট মোরেসবিতে কী ঘটছে সেখানকার আমাদের হাইকমিশন তার উপর খুব নিবিড় নজর রাখছে এবং অস্ট্রেলিয়ানরা পর্যবেক্ষণে আছে।’
পাপুয়া নিউ গিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উপজাতীয় সহিংসতা এবং নাগরিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে এবং এর পুলিশের সংখ্যা ৬ হাজার কর্মকর্তা থেকে বাড়িয়ে ২৬ হাজার করার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ৫
৪৩০ দিন আগে
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়
ঢাকার বাতাসের মান রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
এদিন এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৭ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে।
শুক্রবার ও শনিবার ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল যথাক্রমে ১৫৯ ও ২১৯, যার অর্থ বাতাস অস্বাস্থ্যকর ও খুব অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ছিল।
ভারতের দিল্লি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও চীনের সাংহাই যথাক্রমে ১৮৬, ১৭২ ও ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
একিউআই দৈনিক বায়ুর গুণমান প্রতিবেদন করার জন্য একটি সূচক। একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা পরিষ্কার বা দূষিত তা লোকেদের জানিয়ে দেয় এবং তাদের জন্য কী সম্পর্কিত স্বাস্থ্য প্রভাবগুলো উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
কণা দূষণের জন্য একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় দিনের মতো ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান মঙ্গলবার সকালে ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালে ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
৫১৮ দিন আগে
নাটোর শহরে অব্যাহত ভারী বর্ষণে অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
অব্যাহত ভারী বর্ষণে নাটোর শহরের অধিকাংশ এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের ব্যস্ততম কানাইখালী, নিচাবাজার, চৌকিরপাড়, কালুর মোড়, আলাইপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। বিপণিবিতান,বাজার, আবাসিক এলাকাসহ সব স্থানে থৈ থৈ করছে পানি।
বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সব শ্রেণি পেশার মানুষ। এক পর্যায়ে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী শহরের কালুর মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। সন্ধ্যায় পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মলয় কুমার পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতায় নাজেহাল রাজধানীবাসী
পরে এলাকাবাসী নিজেরাই ভরাট হয়ে যাওয়া খাল সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। পৌর এলাকার ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা ও খালগুলো দখল করে স্থাপনা তৈরি করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আজকের (বৃহস্পতিবার) মতো ভারী বৃষ্টিপাত না হলে আগামীকাল স্কেভেটর দিয়ে দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল ও ড্রেনগুলো সংস্কার করে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি হলেই শান্তিগঞ্জের বাজারে জলাবদ্ধতা
৫২৭ দিন আগে